এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
সেনাবাহিনীর জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার মো. কামরুজ্জামান ও সুফিয়া জামানের প্রথম সন্তানের জন্ম খুলনা হলেও বাবার কর্মসূত্রে বেড়ে ওঠা দেশের উত্তরে অবস্থিত বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে। ছাত্র হিসেবে ছেলেবেলায় অমনোযোগী হলেও শৈশব ছেড়ে কৈশোরে পদার্পণের সঙ্গে সঙ্গে লেখাপড়ায় ক্রমান্বয়ে আন্তরিক হতে থাকেন। পরে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিকে এবং ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
প্রস্তুতি ও সাফল্য
দেশসেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞানে ভর্তি হয়ে নিজের লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীকে পড়ানোর কাজে সময় দিয়ে সাহায্য করতেন সম্মান শ্রেণির শুরু থেকেই। প্রতিবছরই তাঁর অভিজ্ঞতায় নানান পালক সংযুক্ত হতে থাকে। চতুর্থ বর্ষ থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। সম্মান ফল প্রকাশের আগেই আবেদন করেন ৪০তম বিসিএসে।
আগে থেকেই গণিত ও বিজ্ঞানের চর্চা থাকায় বেশি সময় দিতেন সাধারণ জ্ঞান এবং ইংরেজির মতো বিষয়গুলোতে। প্রস্তুতিকালে সব সময় পিএসসি প্রদত্ত সিলেবাসটি ভালোভাবে বিশ্লেষণ এবং বিগত বছরের প্রশ্ন দেখে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বা টপিক নির্ধারণ করে নিতেন। কোন সাবজেক্ট থেকে কত নম্বর তুলবেন, এটার একটা খসড়া হিসাবও তিনি শুরুতেই করে নিতেন। সব বিষয়ে নোট করে সময় নষ্ট করতেন না।
শুধু কঠিন অথচ গুরুত্বপূর্ণ কিংবা সহায়ক বইগুলোতে ভালো উত্তর নেই এমন সব টপিক নিজে নোট করতেন। ৪০তম বিসিএসেই তিনি নিজের শীর্ষ পছন্দ পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন।
সাফল্য অর্জনে
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফল হতে সময় লেগে যাওয়ায় পরীক্ষার্থীরা অনেক ক্ষেত্রেই সফলদের পরামর্শ নেন। এ সময় সফলদের অন্ধের মতো অনুকরণ করতে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা নিজের পথ হারিয়ে ফেলেন। যেমন একজন সফল ব্যক্তি দিনে রুটিন অনুসরণ করে ১০ ঘণ্টা লেখাপড়া করেন। নতুন একজন পরীক্ষার্থী হয়তো নানান ব্যস্ততা মিলিয়ে থেকে দিনে ৬ ঘণ্টা পড়তে পারেন এবং ১০ ঘণ্টার পড়া তিনি ৬ ঘণ্টায় সম্পন্ন করতে পারেন। এখন এই ৬ ঘণ্টা পড়া প্রার্থী যদি মনে করেন আমি ১০ ঘণ্টা পড়তে পারছি না আমাকে দিয়ে সফলতা আসবে না এবং তিনি যদি এই চিন্তা থেকে লেখাপড়া বাদ দিয়ে দেন, তাহলে কত বড় ভুল তিনি করবেন নিশ্চয়ই তা বোঝা যাচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে পরামর্শ হিসেবে তিনি বলেছেন, একজন পরীক্ষার্থী যেহেতু নিজে সফলতার সঙ্গে সম্মান পাস করেছেন, স্বভাবতই তিনি সফল হতে একটি কৌশল অবলম্বন করেছেন। তাই তাঁর উচিত হবে সেই কার্যকর কৌশলটি চাকরি প্রস্তুতির ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা। তারপর অভিজ্ঞ এবং সফল এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে নিজের কৌশলের দুর্বল দিকগুলো খুঁজে বের করা। এরপর সেগুলো নিয়ে কাজ করা। অনন্তকাল ধরে প্রত্যেকের সফলতার গল্প ভিন্ন ছিল আর ভবিষ্যতেও থাকবে। তাই অন্যের সফলতার গল্পে অন্ধ অনুকরণ পরিহার করুন এবং নিজের গল্প নিজেই লিখুন। মনে রাখবেন, সবাই সব বিষয়ে সমানভাবে পারদর্শী হয় না। তবে সফলরা তাঁদের দুর্বলতাকে ফেলে না রেখে ধীরে ধীরে শাণিত করেন। তাই যে বিষয়ে আপনি অনেক বেশি দুর্বল, সেটার জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি দুটি পরিকল্পনা করুন।
বিগত বিসিএসের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণে বলা যায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এনসিটিবি প্রণীত বইগুলো প্রিলিমিনারি এবং লিখিত উভয় পরীক্ষায় আপনার শ্রেষ্ঠ সহায়ক বই হিসেবে কাজে দেবে। আর ভাইভার জন্য ‘ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি’ বইটি সহায়ক হিসেবে দারুণ কাজে দেবে।
সেনাবাহিনীর জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার মো. কামরুজ্জামান ও সুফিয়া জামানের প্রথম সন্তানের জন্ম খুলনা হলেও বাবার কর্মসূত্রে বেড়ে ওঠা দেশের উত্তরে অবস্থিত বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে। ছাত্র হিসেবে ছেলেবেলায় অমনোযোগী হলেও শৈশব ছেড়ে কৈশোরে পদার্পণের সঙ্গে সঙ্গে লেখাপড়ায় ক্রমান্বয়ে আন্তরিক হতে থাকেন। পরে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিকে এবং ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
প্রস্তুতি ও সাফল্য
দেশসেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞানে ভর্তি হয়ে নিজের লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীকে পড়ানোর কাজে সময় দিয়ে সাহায্য করতেন সম্মান শ্রেণির শুরু থেকেই। প্রতিবছরই তাঁর অভিজ্ঞতায় নানান পালক সংযুক্ত হতে থাকে। চতুর্থ বর্ষ থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। সম্মান ফল প্রকাশের আগেই আবেদন করেন ৪০তম বিসিএসে।
আগে থেকেই গণিত ও বিজ্ঞানের চর্চা থাকায় বেশি সময় দিতেন সাধারণ জ্ঞান এবং ইংরেজির মতো বিষয়গুলোতে। প্রস্তুতিকালে সব সময় পিএসসি প্রদত্ত সিলেবাসটি ভালোভাবে বিশ্লেষণ এবং বিগত বছরের প্রশ্ন দেখে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বা টপিক নির্ধারণ করে নিতেন। কোন সাবজেক্ট থেকে কত নম্বর তুলবেন, এটার একটা খসড়া হিসাবও তিনি শুরুতেই করে নিতেন। সব বিষয়ে নোট করে সময় নষ্ট করতেন না।
শুধু কঠিন অথচ গুরুত্বপূর্ণ কিংবা সহায়ক বইগুলোতে ভালো উত্তর নেই এমন সব টপিক নিজে নোট করতেন। ৪০তম বিসিএসেই তিনি নিজের শীর্ষ পছন্দ পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন।
সাফল্য অর্জনে
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সফল হতে সময় লেগে যাওয়ায় পরীক্ষার্থীরা অনেক ক্ষেত্রেই সফলদের পরামর্শ নেন। এ সময় সফলদের অন্ধের মতো অনুকরণ করতে গিয়ে পরীক্ষার্থীরা নিজের পথ হারিয়ে ফেলেন। যেমন একজন সফল ব্যক্তি দিনে রুটিন অনুসরণ করে ১০ ঘণ্টা লেখাপড়া করেন। নতুন একজন পরীক্ষার্থী হয়তো নানান ব্যস্ততা মিলিয়ে থেকে দিনে ৬ ঘণ্টা পড়তে পারেন এবং ১০ ঘণ্টার পড়া তিনি ৬ ঘণ্টায় সম্পন্ন করতে পারেন। এখন এই ৬ ঘণ্টা পড়া প্রার্থী যদি মনে করেন আমি ১০ ঘণ্টা পড়তে পারছি না আমাকে দিয়ে সফলতা আসবে না এবং তিনি যদি এই চিন্তা থেকে লেখাপড়া বাদ দিয়ে দেন, তাহলে কত বড় ভুল তিনি করবেন নিশ্চয়ই তা বোঝা যাচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে পরামর্শ হিসেবে তিনি বলেছেন, একজন পরীক্ষার্থী যেহেতু নিজে সফলতার সঙ্গে সম্মান পাস করেছেন, স্বভাবতই তিনি সফল হতে একটি কৌশল অবলম্বন করেছেন। তাই তাঁর উচিত হবে সেই কার্যকর কৌশলটি চাকরি প্রস্তুতির ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা। তারপর অভিজ্ঞ এবং সফল এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে নিজের কৌশলের দুর্বল দিকগুলো খুঁজে বের করা। এরপর সেগুলো নিয়ে কাজ করা। অনন্তকাল ধরে প্রত্যেকের সফলতার গল্প ভিন্ন ছিল আর ভবিষ্যতেও থাকবে। তাই অন্যের সফলতার গল্পে অন্ধ অনুকরণ পরিহার করুন এবং নিজের গল্প নিজেই লিখুন। মনে রাখবেন, সবাই সব বিষয়ে সমানভাবে পারদর্শী হয় না। তবে সফলরা তাঁদের দুর্বলতাকে ফেলে না রেখে ধীরে ধীরে শাণিত করেন। তাই যে বিষয়ে আপনি অনেক বেশি দুর্বল, সেটার জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি দুটি পরিকল্পনা করুন।
বিগত বিসিএসের প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণে বলা যায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এনসিটিবি প্রণীত বইগুলো প্রিলিমিনারি এবং লিখিত উভয় পরীক্ষায় আপনার শ্রেষ্ঠ সহায়ক বই হিসেবে কাজে দেবে। আর ভাইভার জন্য ‘ভাইভা বোর্ডের মুখোমুখি’ বইটি সহায়ক হিসেবে দারুণ কাজে দেবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫