নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের জাজিরার কাজিরহাট বন্দর এলাকার ডুবিসায়বর হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশপথে ময়লার স্তূপ। এতে দুর্গন্ধে নাকাল বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কাজিরহাট বন্দরের ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
কাজিরহাট বন্দর ও ডুবিসায়বর হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার বৃহত্তম পাইকারি বাজার কাজিরহাট বন্দর। সেখানে সহস্রাধিক পাইকারি ও খুচরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে হাজার হাজার ক্রেতা নিয়মিত এই বাজারে আসেন। কিন্তু এই বাজারের বর্জ্য অপসারণের জন্য কোনো ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। ফলে বাজারের সব ময়লা আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে বিদ্যালয় ঘেঁষা ফাঁকা জায়গায়। এখানেই ফেলা হচ্ছে বাজারের মুরগি পট্টি, মাছ ও মাংস পট্টি, কাঁচা বাজারসহ বন্দরের সব বর্জ্য। কয়েক বছর ধরে একই স্থানে ময়লা ফেলা হলেও, বর্জ্য অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি পৌরসভা বা বাজার কমিটি। এ কারণে উৎকট গন্ধ ছড়াচ্ছে। শ্রেণিকক্ষের দরজা জানালা বন্ধ করেও শিক্ষার্থীরা এই দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র হান্নান ছৈয়াল জানায়, বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় দুর্গন্ধে তার বমির উদ্রেক হয়। বিদ্যালয়ের সামনে ছোট একটা মাঠ থাকলেও, দুর্গন্ধের কারণে খেলাধুলা করতে পারে না। শ্রেণিকক্ষে দরজা-জানালা বন্ধ করেও গন্ধের হাত থেকে রেহাই মেলে না।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষিকা শিল্পী আক্তার বলেন, দুর্গন্ধের কারণে বাচ্চারা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেকবার বিষয়টি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটিকে জানানো হয়েছে। তবে কেউ কোনো কর্ণপাত করেন না। এই তীব্র দুর্গন্ধের মধ্যে ক্লাস নিতে তাঁদের খুবই কষ্ট হয়।
ডুবিসায়বর এলাকার বাসিন্দা বাদশা ফকির বলেন, একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে ময়লা ফেলার কারণে এগুলো পচে এমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
বিদ্যালয় ঘেঁষা সড়কটি ব্যবহার করে নিয়মিত যাতায়াত করেন কাজিরহাট বন্দরের আশপাশের ৮ থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ। ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই বন্দরের বর্জ্য অপসারণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাঁরা বাধ্য হয়ে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলছেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে গরু জবাই করে মাংস বিক্রির পর বিদ্যালয়ের পাশে বর্জ্য ফেলেন মাংস ব্যবসায়ী সিরাজ মাতবর। জানতে চাইলে সিরাজ বলেন, ‘ময়লা কই হালাইমু। ময়লা কি ব্যাগে কইরা আমাগো বাড়ি নিয়া হালাইমু? বাজারের সব দোকানদারই এহানে ময়লা হালায়।’
কাজিরহাট বন্দরের বাজার কমিটির সভাপতি কাজি গোলাম মেস্তফা বলেন, বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের এই দুর্গন্ধের হাত থেকে রক্ষা করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাজিরা পৌরসভার মেয়র মো. ইদ্রিস মাতবর বলেন, ‘পৌরসভার নিজস্ব কোনো ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। ইতিমধ্যে স্থায়ী ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরির লক্ষ্যে ৪০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের বরার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পৌর শহরের বর্জ্য অপসরণের জন্য ৬ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরির আগ পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা শহরের সব স্থান থেকে ময়লা সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় মজুত করবেন।’
শরীয়তপুরের জাজিরার কাজিরহাট বন্দর এলাকার ডুবিসায়বর হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশপথে ময়লার স্তূপ। এতে দুর্গন্ধে নাকাল বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কাজিরহাট বন্দরের ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
কাজিরহাট বন্দর ও ডুবিসায়বর হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার বৃহত্তম পাইকারি বাজার কাজিরহাট বন্দর। সেখানে সহস্রাধিক পাইকারি ও খুচরা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে হাজার হাজার ক্রেতা নিয়মিত এই বাজারে আসেন। কিন্তু এই বাজারের বর্জ্য অপসারণের জন্য কোনো ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। ফলে বাজারের সব ময়লা আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে বিদ্যালয় ঘেঁষা ফাঁকা জায়গায়। এখানেই ফেলা হচ্ছে বাজারের মুরগি পট্টি, মাছ ও মাংস পট্টি, কাঁচা বাজারসহ বন্দরের সব বর্জ্য। কয়েক বছর ধরে একই স্থানে ময়লা ফেলা হলেও, বর্জ্য অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি পৌরসভা বা বাজার কমিটি। এ কারণে উৎকট গন্ধ ছড়াচ্ছে। শ্রেণিকক্ষের দরজা জানালা বন্ধ করেও শিক্ষার্থীরা এই দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র হান্নান ছৈয়াল জানায়, বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার সময় দুর্গন্ধে তার বমির উদ্রেক হয়। বিদ্যালয়ের সামনে ছোট একটা মাঠ থাকলেও, দুর্গন্ধের কারণে খেলাধুলা করতে পারে না। শ্রেণিকক্ষে দরজা-জানালা বন্ধ করেও গন্ধের হাত থেকে রেহাই মেলে না।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষিকা শিল্পী আক্তার বলেন, দুর্গন্ধের কারণে বাচ্চারা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনেকবার বিষয়টি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটিকে জানানো হয়েছে। তবে কেউ কোনো কর্ণপাত করেন না। এই তীব্র দুর্গন্ধের মধ্যে ক্লাস নিতে তাঁদের খুবই কষ্ট হয়।
ডুবিসায়বর এলাকার বাসিন্দা বাদশা ফকির বলেন, একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে ময়লা ফেলার কারণে এগুলো পচে এমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
বিদ্যালয় ঘেঁষা সড়কটি ব্যবহার করে নিয়মিত যাতায়াত করেন কাজিরহাট বন্দরের আশপাশের ৮ থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ। ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই বন্দরের বর্জ্য অপসারণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাঁরা বাধ্য হয়ে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলছেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে গরু জবাই করে মাংস বিক্রির পর বিদ্যালয়ের পাশে বর্জ্য ফেলেন মাংস ব্যবসায়ী সিরাজ মাতবর। জানতে চাইলে সিরাজ বলেন, ‘ময়লা কই হালাইমু। ময়লা কি ব্যাগে কইরা আমাগো বাড়ি নিয়া হালাইমু? বাজারের সব দোকানদারই এহানে ময়লা হালায়।’
কাজিরহাট বন্দরের বাজার কমিটির সভাপতি কাজি গোলাম মেস্তফা বলেন, বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের এই দুর্গন্ধের হাত থেকে রক্ষা করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাজিরা পৌরসভার মেয়র মো. ইদ্রিস মাতবর বলেন, ‘পৌরসভার নিজস্ব কোনো ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। ইতিমধ্যে স্থায়ী ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরির লক্ষ্যে ৪০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের বরার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পৌর শহরের বর্জ্য অপসরণের জন্য ৬ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরির আগ পর্যন্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা শহরের সব স্থান থেকে ময়লা সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় মজুত করবেন।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪