সুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)
মোংলা সমুদ্রবন্দরের ইনারবার খননকাজের মাটি-বালু ফেলা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। বন্দরের পশুর চ্যানেল-সংলগ্ন খুলনার দাকোপ উপজেলার ৩০০ একর জমিতে খননকাজের এ বালু ফেলতে দিচ্ছেন না স্থানীয়রা। জেটিতে নাব্যতা-সংকট সমাধানের জন্যই এ খননকাজ চলছে।
সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এ স্থান পরিদর্শন করতে গেলে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে সেখানে যেতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বন্দর ব্যবহারকারীরা চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা বলছেন, একটি মহল গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে খননকাজে বাধা দিচ্ছে। এ খনন প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হলে মোংলা বন্দরে আবারও অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নাব্যতা-সংকটের কারণে হাড়বাড়িয়া থেকে বন্দরের জেটি পর্যন্ত ৭ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারে না। বন্দরের জেটিতে সহজে বেশি গভীরতার জাহাজ ভেড়ানোর লক্ষ্যে পশুর নদে ৭৯৪ কোটি টাকা ব্যয় ইনারবার খননকাজ গত বছরের ১৩ মার্চ শুরু করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইনারবারে খনন কাজ সম্পন্ন হলে বন্দর জেটিতে সাড়ে ৯ থেকে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারবে।
মোংলা বন্দরের ইনারবার খনন প্রকল্পের পরিচালক ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিকস বিভাগ) শেখ শওকত আলী জানান, প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার আগে ২০১৮ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে খননের মাটি ফেলার জন্য জমি নির্ধারণ করে।
খননের বালু ফেলার জন্য ১ হাজার ৫০০ একর জমির প্রয়োজন হলে ৫০০ একর সরকারি খাসজমি, মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকার মালিকানা ৭০০ একর জমি এবং পশুর নদের পশ্চিম পাড় দাকোপ উপজেলার বানিয়াশান্তা এলাকায় আরও ৩০০ একর জমি নির্ধারণ করা হয়।
শওকত আলী আরও জানান, গত বছর খননকাজ শুরুর পর মোংলা উপজেলার ও সরকারি খাসজমিতে বালু ফেলা নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। সমস্যা সৃষ্টি হয় দাকোপ উপজেলার বানিয়াশান্তা এলাকায় ৩০০ একর জমিতে বালু ফেলতে গিয়ে। সেখানের গ্রামবাসীকে ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনে নামে একটি মহল।
এদিকে গ্রামবাসীর দাবি, এই জমি তিন ফসলি জমি। কিন্তু ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে ৩০০ একর জমির মধ্যে ১৮৫ একর জমি দুই ফসলি ও ১১৫ একর জমি
এক ফসলি।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানে তিন ফসলি কোনো জমি নেই। ওই জমিতে দুই বছরের জন্য ড্রেজিংয়ের মাটি ফেলার পর জমির মূল মালিকেরা তাঁদের মালিকানা আবারও ফিরে পাবেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মুসা বলেন, চলমান ড্রেজিং প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হলে জাতীয় অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। চলমান এ প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বন্দরসংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতার দরকার। পশুর নদের উত্তোলিত বালু বানিশান্তা এলাকায় ফেলার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসককে জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের ৭ কোটি টাকা ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে।
মোংলা সমুদ্রবন্দরের ইনারবার খননকাজের মাটি-বালু ফেলা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। বন্দরের পশুর চ্যানেল-সংলগ্ন খুলনার দাকোপ উপজেলার ৩০০ একর জমিতে খননকাজের এ বালু ফেলতে দিচ্ছেন না স্থানীয়রা। জেটিতে নাব্যতা-সংকট সমাধানের জন্যই এ খননকাজ চলছে।
সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এ স্থান পরিদর্শন করতে গেলে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে সেখানে যেতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বন্দর ব্যবহারকারীরা চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা বলছেন, একটি মহল গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে খননকাজে বাধা দিচ্ছে। এ খনন প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হলে মোংলা বন্দরে আবারও অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নাব্যতা-সংকটের কারণে হাড়বাড়িয়া থেকে বন্দরের জেটি পর্যন্ত ৭ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারে না। বন্দরের জেটিতে সহজে বেশি গভীরতার জাহাজ ভেড়ানোর লক্ষ্যে পশুর নদে ৭৯৪ কোটি টাকা ব্যয় ইনারবার খননকাজ গত বছরের ১৩ মার্চ শুরু করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইনারবারে খনন কাজ সম্পন্ন হলে বন্দর জেটিতে সাড়ে ৯ থেকে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারবে।
মোংলা বন্দরের ইনারবার খনন প্রকল্পের পরিচালক ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (সিভিল ও হাইড্রোলিকস বিভাগ) শেখ শওকত আলী জানান, প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার আগে ২০১৮ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে খননের মাটি ফেলার জন্য জমি নির্ধারণ করে।
খননের বালু ফেলার জন্য ১ হাজার ৫০০ একর জমির প্রয়োজন হলে ৫০০ একর সরকারি খাসজমি, মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি এলাকার মালিকানা ৭০০ একর জমি এবং পশুর নদের পশ্চিম পাড় দাকোপ উপজেলার বানিয়াশান্তা এলাকায় আরও ৩০০ একর জমি নির্ধারণ করা হয়।
শওকত আলী আরও জানান, গত বছর খননকাজ শুরুর পর মোংলা উপজেলার ও সরকারি খাসজমিতে বালু ফেলা নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। সমস্যা সৃষ্টি হয় দাকোপ উপজেলার বানিয়াশান্তা এলাকায় ৩০০ একর জমিতে বালু ফেলতে গিয়ে। সেখানের গ্রামবাসীকে ভুল বুঝিয়ে আন্দোলনে নামে একটি মহল।
এদিকে গ্রামবাসীর দাবি, এই জমি তিন ফসলি জমি। কিন্তু ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে ৩০০ একর জমির মধ্যে ১৮৫ একর জমি দুই ফসলি ও ১১৫ একর জমি
এক ফসলি।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানে তিন ফসলি কোনো জমি নেই। ওই জমিতে দুই বছরের জন্য ড্রেজিংয়ের মাটি ফেলার পর জমির মূল মালিকেরা তাঁদের মালিকানা আবারও ফিরে পাবেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মুসা বলেন, চলমান ড্রেজিং প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হলে জাতীয় অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। চলমান এ প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বন্দরসংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতার দরকার। পশুর নদের উত্তোলিত বালু বানিশান্তা এলাকায় ফেলার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসককে জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের ৭ কোটি টাকা ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪