বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
বর্ষা মৌসুমে ঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাসের কারণে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূল। এসব উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জলোচ্ছ্বাস ও উচ্চ জোয়ারের হাত থেকে রক্ষার জন্য ২০১৫ সালে উপকূলজুড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু অনিয়ম, কাজের নিম্নমান কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আজও শেষ হয়নি প্রকল্পটির কাজ। ২৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছর জুনে শেষ হতে চললেও নতুন করে সিসি ব্লক দেবে যাওয়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের দাবি, প্রকল্পের কাজ চলাকালেই ঘূর্ণিঝড়, জোয়ার-ভাটার কারণে কয়েক দফায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বাঁধটির কার্যক্রম। ভাঙনের জায়গাগুলো শনাক্ত করে সময়ের আগে সংস্কার করে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত অংশের স্থায়ী পুনর্বাসন প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয় ২০১৫ সালে। সে বছরের ১৯ মে ২৫১ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় ধরে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়। পরবর্তী সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হলে বাঁধ ভেঙে যাওয়া, সিসি ব্লক ধসে পড়া, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের কারণে কয়েক দফা সংস্কার করা হয়। তাতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সংশোধিত ব্যয় ৪২ কোটি ৩১ লাখ টাকা বাড়িয়ে ২৯৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা করে সর্বশেষ প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।
ইতিমধ্যে চলমান এডিপি প্রকল্পের আওতায় ৩ দশমিক ৮৪৮ কিলোমিটার নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ এবং ৬ দশমিক ২৬ কিমি বাঁধ পুনরাকৃতিকরণসহ ঢাল প্রতিরক্ষা কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বাঁশখালীর খানখানাবাদের প্রেমাশিয়া ও রায়ছটা এলাকার উপকূলীয় বাঁধের সংস্কার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লোকালয়ে পানির প্রবেশ ঠেকাতে সিসি ব্লকের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। অনেক জায়গায় সিসি ব্লক বসানোর কাজ শেষ হলেও সমুদ্রের পানির চাপে ব্লকের নিচে মাটি সরে দেবে গেছে। আবার কোথাও নিম্নমানের কাজের কারণে ব্লকগুলো উঠে নিচের দিকে ধসে পড়েছে। অনেক জায়গায় গত কয়েক বছরে কয়েক দফায় সংস্কারকাজ করেও ভাঙন থেকে রক্ষা করা যায়নি।
বাঁশখালী উপকূলজুড়ে এ বাঁধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঠিকভাবে সংস্কার করা না হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে আরও বড় ধরনের ভাঙন দেখা যেতে পারে বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকাজুড়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় ও বাঁশখালীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকাশন চাকমা পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্পের শুরুর দিকের নকশা অনুযায়ী কাজ করার কারণে বেড়িবাঁধ নির্মাণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কারণে বারবার ভাঙন, জোয়ার-ভাটার লবণাক্ত পানির প্রবেশে মাটি ক্ষয়ের কারণে বেড়িবাঁধটি সংস্কার করতে সময় লাগছে। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করতে পারব বলে আমরা আশা করি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাঁধ নির্মাণের এ প্রকল্প নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ অনেক পুরোনো। তা ছাড়া পর্যাপ্ত সমীক্ষা ছাড়াই নকশা করে কাজ করার কারণে তীরবর্তী এলাকায় বারবার ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বালু ও কঙ্করের মিশ্রণ ভালো না হওয়ায় প্রকল্প চলমান সময়ে বিভিন্ন স্থানে দেবে যাওয়া কিংবা ব্লক উঠে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। সম্ভাব্যতা যাচাই করে সঠিক মানমাত্রা ব্যবহার করে কাজ করলে সিসি ব্লকের স্থায়িত্ব দীর্ঘমেয়াদি হবে। প্রকল্প বুঝিয়ে দেওয়ার পর আবারও নতুন করে যেন ভাঙন সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে নজরদারি করতে হবে পাউবোকেই।
বর্ষা মৌসুমে ঝড় কিংবা জলোচ্ছ্বাসের কারণে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূল। এসব উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জলোচ্ছ্বাস ও উচ্চ জোয়ারের হাত থেকে রক্ষার জন্য ২০১৫ সালে উপকূলজুড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু অনিয়ম, কাজের নিম্নমান কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আজও শেষ হয়নি প্রকল্পটির কাজ। ২৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছর জুনে শেষ হতে চললেও নতুন করে সিসি ব্লক দেবে যাওয়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের দাবি, প্রকল্পের কাজ চলাকালেই ঘূর্ণিঝড়, জোয়ার-ভাটার কারণে কয়েক দফায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বাঁধটির কার্যক্রম। ভাঙনের জায়গাগুলো শনাক্ত করে সময়ের আগে সংস্কার করে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত অংশের স্থায়ী পুনর্বাসন প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয় ২০১৫ সালে। সে বছরের ১৯ মে ২৫১ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় ধরে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে পাস হয়। পরবর্তী সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হলে বাঁধ ভেঙে যাওয়া, সিসি ব্লক ধসে পড়া, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের কারণে কয়েক দফা সংস্কার করা হয়। তাতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সংশোধিত ব্যয় ৪২ কোটি ৩১ লাখ টাকা বাড়িয়ে ২৯৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা করে সর্বশেষ প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।
ইতিমধ্যে চলমান এডিপি প্রকল্পের আওতায় ৩ দশমিক ৮৪৮ কিলোমিটার নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ এবং ৬ দশমিক ২৬ কিমি বাঁধ পুনরাকৃতিকরণসহ ঢাল প্রতিরক্ষা কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বাঁশখালীর খানখানাবাদের প্রেমাশিয়া ও রায়ছটা এলাকার উপকূলীয় বাঁধের সংস্কার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লোকালয়ে পানির প্রবেশ ঠেকাতে সিসি ব্লকের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। অনেক জায়গায় সিসি ব্লক বসানোর কাজ শেষ হলেও সমুদ্রের পানির চাপে ব্লকের নিচে মাটি সরে দেবে গেছে। আবার কোথাও নিম্নমানের কাজের কারণে ব্লকগুলো উঠে নিচের দিকে ধসে পড়েছে। অনেক জায়গায় গত কয়েক বছরে কয়েক দফায় সংস্কারকাজ করেও ভাঙন থেকে রক্ষা করা যায়নি।
বাঁশখালী উপকূলজুড়ে এ বাঁধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঠিকভাবে সংস্কার করা না হলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে আরও বড় ধরনের ভাঙন দেখা যেতে পারে বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকাজুড়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় ও বাঁশখালীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকাশন চাকমা পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্পের শুরুর দিকের নকশা অনুযায়ী কাজ করার কারণে বেড়িবাঁধ নির্মাণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কারণে বারবার ভাঙন, জোয়ার-ভাটার লবণাক্ত পানির প্রবেশে মাটি ক্ষয়ের কারণে বেড়িবাঁধটি সংস্কার করতে সময় লাগছে। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করতে পারব বলে আমরা আশা করি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাঁধ নির্মাণের এ প্রকল্প নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ অনেক পুরোনো। তা ছাড়া পর্যাপ্ত সমীক্ষা ছাড়াই নকশা করে কাজ করার কারণে তীরবর্তী এলাকায় বারবার ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বালু ও কঙ্করের মিশ্রণ ভালো না হওয়ায় প্রকল্প চলমান সময়ে বিভিন্ন স্থানে দেবে যাওয়া কিংবা ব্লক উঠে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। সম্ভাব্যতা যাচাই করে সঠিক মানমাত্রা ব্যবহার করে কাজ করলে সিসি ব্লকের স্থায়িত্ব দীর্ঘমেয়াদি হবে। প্রকল্প বুঝিয়ে দেওয়ার পর আবারও নতুন করে যেন ভাঙন সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে নজরদারি করতে হবে পাউবোকেই।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫