সম্পাদকীয়
একাত্তরের মে মাসেই রুমী চলে গিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। মায়ের মনে হাহাকার। সে রকম কোনো খবর পাচ্ছেন না ছেলের। কোথায় আছে, কী করছে, তা তো জানতে পারছেন না।
৮ আগস্ট ফার্মগেটের মিলিটারি চেকপোস্টে হয়েছিল গেরিলা অপারেশন। অতর্কিত হামলায় পাকিস্তানিদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে ক্র্যাক প্লাটুনের ছেলেরা।
দুপুরে খাওয়ার পর জাহানারা ইমাম, শরীফ ইমামসহ আরও কয়েকজন গল্প করছিলেন বাড়িতে। এমন সময় লালু এল, চোখে হাসি। জাহানারা ইমামকে ডেকে নিয়ে বলল, ‘বুবু, রুমী এসেছে আমাদের বাড়িতে, শরীফ ভাইকে গিয়ে নিয়ে আসতে বলেছে।’
শরীর হিম হয়ে গেল মায়ের। তিনি ঝিম ধরে বসে থাকলেন। তারপর বানিয়ে বললেন স্বামীকে, ‘শরীফ, মার হঠাৎ টাকার দরকার হয়েছে, তাই লালুকে পাঠিয়েছেন। ওকে টাকা দিলাম। তুমি একটু গাড়িতে করে পৌঁছে দিয়ে এসো।’
জামী বলল, ‘সারা দিন বাড়িতে বসে আছি। আমিও ঘুরে আসি।’
গাড়ি ফিরে এলে নিঃশব্দে দোতলায় নিজের ঘরে চলে গেলেন জাহানারা ইমাম। রুমী এল। গায়ের রং তামাটে, মুখভর্তি দাড়ি-গোঁফ, লম্বা চুল, আর মুখে ভুবনভোলানো হাসি। রুমী দুই হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এল, ওকে ধরে কাঁদতে লাগলেন জাহানারা ইমাম। রুমী ফিসফিস করে বলল, ‘আম্মা, থামো। দাদা শুনতে পাবে। তোমার কান্না শুনলে ঠিক সন্দেহ করবে।’
রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর রুমী ওর মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার গল্প করল। তারপর বলল, ‘আম্মা, আমি কিন্তু সিগারেট ধরে ফেলেছি। তোমাকে প্রমিস করেছিলাম না যে ধরার আগে জানাব, তা আর হলো না।’
জাহানারা ইমামের মনে পড়ল, ক্লাস এইটে থাকার সময় রুমীকে তিনি বলেছিলেন, ‘দ্যাখ, সিগারেট যদি ধরিস তো বলে-কয়ে ধরবি। নইলে লুকিয়ে সিগারেট খাবি, আমি জানব না, তারপর আমার বান্ধবী এসে বলবে, রুমীকে সিগারেট খেতে দেখলাম—সে আমার সইবে না।’
রুমী হেসে বলল, ‘ওখানে সিগারেট না ধরে উপায় নেই আম্মা।’
সূত্র: জাহানারা ইমাম, একাত্তরের দিনগুলি, পৃষ্ঠা ১৪৪-১৪৫
একাত্তরের মে মাসেই রুমী চলে গিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। মায়ের মনে হাহাকার। সে রকম কোনো খবর পাচ্ছেন না ছেলের। কোথায় আছে, কী করছে, তা তো জানতে পারছেন না।
৮ আগস্ট ফার্মগেটের মিলিটারি চেকপোস্টে হয়েছিল গেরিলা অপারেশন। অতর্কিত হামলায় পাকিস্তানিদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে ক্র্যাক প্লাটুনের ছেলেরা।
দুপুরে খাওয়ার পর জাহানারা ইমাম, শরীফ ইমামসহ আরও কয়েকজন গল্প করছিলেন বাড়িতে। এমন সময় লালু এল, চোখে হাসি। জাহানারা ইমামকে ডেকে নিয়ে বলল, ‘বুবু, রুমী এসেছে আমাদের বাড়িতে, শরীফ ভাইকে গিয়ে নিয়ে আসতে বলেছে।’
শরীর হিম হয়ে গেল মায়ের। তিনি ঝিম ধরে বসে থাকলেন। তারপর বানিয়ে বললেন স্বামীকে, ‘শরীফ, মার হঠাৎ টাকার দরকার হয়েছে, তাই লালুকে পাঠিয়েছেন। ওকে টাকা দিলাম। তুমি একটু গাড়িতে করে পৌঁছে দিয়ে এসো।’
জামী বলল, ‘সারা দিন বাড়িতে বসে আছি। আমিও ঘুরে আসি।’
গাড়ি ফিরে এলে নিঃশব্দে দোতলায় নিজের ঘরে চলে গেলেন জাহানারা ইমাম। রুমী এল। গায়ের রং তামাটে, মুখভর্তি দাড়ি-গোঁফ, লম্বা চুল, আর মুখে ভুবনভোলানো হাসি। রুমী দুই হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এল, ওকে ধরে কাঁদতে লাগলেন জাহানারা ইমাম। রুমী ফিসফিস করে বলল, ‘আম্মা, থামো। দাদা শুনতে পাবে। তোমার কান্না শুনলে ঠিক সন্দেহ করবে।’
রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর রুমী ওর মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার গল্প করল। তারপর বলল, ‘আম্মা, আমি কিন্তু সিগারেট ধরে ফেলেছি। তোমাকে প্রমিস করেছিলাম না যে ধরার আগে জানাব, তা আর হলো না।’
জাহানারা ইমামের মনে পড়ল, ক্লাস এইটে থাকার সময় রুমীকে তিনি বলেছিলেন, ‘দ্যাখ, সিগারেট যদি ধরিস তো বলে-কয়ে ধরবি। নইলে লুকিয়ে সিগারেট খাবি, আমি জানব না, তারপর আমার বান্ধবী এসে বলবে, রুমীকে সিগারেট খেতে দেখলাম—সে আমার সইবে না।’
রুমী হেসে বলল, ‘ওখানে সিগারেট না ধরে উপায় নেই আম্মা।’
সূত্র: জাহানারা ইমাম, একাত্তরের দিনগুলি, পৃষ্ঠা ১৪৪-১৪৫
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪