Ajker Patrika

ছুটির দিনে পর্যটনকেন্দ্রে ভিড়

বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ২৫
Thumbnail image

বান্দরবান শহরে এখন পর্যটকে জমজমাট। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এদিকে আগামীকাল রোববার থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন উপলক্ষে তিন দিনের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলা সদরেই বেশি থাকছেন পর্যটকেরা।

শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে অনেক পর্যটক বান্দরবানে বেড়াতে আসেন। এর মধ্যে শনিবার বড়দিনের উৎসব হওয়ায় বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বান্দরবানের নীলাচল, মেঘলা ও শৈলপ্রপাত পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে।

বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটি, বড়দিন ও রোয়াংছড়ি-থানচিতে ইউপি নির্বাচনের কারণে তিন দিন পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় লোকজন জেলা সদরেই থাকছেন। তাঁরা জেলা সদরের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

পর্যটন ব্যবসাসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বান্দরবান শহরের নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাত, প্রান্তিক লেকসহ আশপাশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার পর্যটক আসেন। এই ছুটিতে বান্দরবান জেলা ও উপজেলায় এক লাখ পর্যটকের আগমন আশা করছেন তাঁরা। শহরে সব হোটেল-রিসোর্টের কক্ষগুলো অনেক আগেই বুকিং হয়ে গেছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর জোন ইনচার্জ মো. আমিনুল হক বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকে পর্যটক থাকা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। গতকাল নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে আসা মাঈনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকালে ছয়জনের একটি দল নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। দুপুরে মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রেও তাঁরা বেড়াতে যান। সবখানে ৫০ টাকায় টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশ করেছেন। এ ছাড়া মেঘলায় কেব্‌ল কারে ৫০ টাকা দিয়ে চড়েছেন। সেই সঙ্গে লেকে স্পিডবোটে ঘুরে বেড়ানো, ঝুলন্ত সেতু দিয়ে পারাপারে আনন্দ পেয়েছেন তিনি।

কুমিল্লা থেকে আসা রুমানা শারমিন বলেন, ‘মেঘলার নাম আগে শুনলেও প্রথম বান্দরবানে এসে নীলাচলে গিয়ে অন্য রকম আমেজ পাওয়া গেছে। এমন মুগ্ধকর স্থানে ঘুরে বেড়ানোর আলাদা আনন্দ।’

এদিকে বান্দরবানে আসা পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে পর্যটন মৌসুমে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়েসুর রহমান বলেন, প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যায় উন্মুক্ত চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে। সারা দিন ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যায় পর্যটকদের একটু প্রশান্তি দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন এই ব্যবস্থা করেছে।

হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার বলেন, ‘বান্দরবানে ভাসমান পর্যটকের সংখ্যাই বেশি। তাঁরা সকালে এসে দিনভর ঘুরে বিকেল বা রাতে আবার চলে যান। তাঁরা যদি বান্দরবানে থাকতেন, তাহলে পর্যটনে আরও ভালো ব্যবসা হতো।’

বান্দরবানে পর্যটনকেন্দ্রিক জিপ-নোয়া মালিক সমিতির সদস্য সাফায়েত হোসেন বলেন, তাঁরা জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ায় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে গাড়ি চলাচল করছে। কেউ যাতে বাড়তি ভাড়া না নিতে পারে, সে ব্যাপারে মালিক-শ্রমিকেরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

এদিকে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়ে সিভিল সার্জন অংসুই প্রু মারমা বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি এখনো শেষ হয়নি। শীতে আবার করোনার শঙ্কা রয়েছে। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মুখে মাস্ক পরিধান করার বাধ্যবাধকতা প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত