সাইফুল আরিফ জুয়েল, মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা)
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অতিদরিদ্রদের কর্মসৃজন কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই প্রকল্পের আওতায় দৈনিক হাজিরায় অতিদরিদ্রদের মাটি কেটে গ্রামীণ রাস্তা ঘাট মেরামত করার কথা। এতে দরিদ্ররা কিছুটা আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং গ্রামীণ সড়কও মেরামত হবে।
কিন্তু প্রকল্পের যাঁরা দায়িত্বে তাঁরা দরিদ্রদের বাদ দিয়ে ‘মাটি কাটার দল’ ভাড়ায় নিয়ে করা হচ্ছে রাস্তা মেরামত। ফলে যাঁদের জন্য এ প্রকল্প তাঁরাই বাদ থাকছেন। বিফলে যাচ্ছে প্রকল্পের উদ্দেশ্য। বঞ্চিত হচ্ছেন সত্যিকারের উপকারভোগীরা। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, প্রকল্পে অনিয়ম হলে বিল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সরেজমিন উপজেলার সুয়াইর ইউনিয়নের জনদপুর পশ্চিমের নতুন মসজিদ হইতে জনদপুর রুবেল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতে এমন অনিয়ম দেখা গেছে। এ সময় রাস্তা মেরামতের স্থানে কোনো সাইনবোর্ডও দেখা যায়নি। এ সময় পার্শ্ববর্তী পাবই গ্রামের ১০-১২ জনকে ওই রাস্তায় মাটি কাটতে দেখো যায়। তাঁদের মধ্যে ওসমান গনি, জহিরুল ইসলাম ও আসাদ মিয়া জানান, আমার এ রাস্তায় চুক্তি ভিত্তিক মাটি কাটছি। আমরা ১৫ জন মিলে একটি দল গঠন করে শুকনো মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় মাটি কাটি। প্রতি হাজার ফিট মাটি ৪ হাজার টাকা দরে এখানে কাটছি। যদিও আমাদের দাবি পাঁচ হাজার টাকা ছিল। কিন্তু মেম্বার চার হাজারের বেশি দিতে চাচ্ছেন না। পুরো রাস্তা মেরামত প্রায় শেষের দিকে। আর ২-৩ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় (পিআইও) সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে সাত ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে গ্রামীণ অবকাঠামো মেরামতের জন্য মোট ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন হয়। এসব প্রকল্পের বরাদ্দ এক কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এরমধ্যে ইউনিয়নের জনদপুর পশ্চিমের নতুন মসজিদ হইতে জনদপুর রুবেল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতে বরাদ্দ ৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। এই প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইকুল মিয়া। এতে ৪৩ জন অতিদরিদ্র লোক ৪০ দিন কাজ করবেন। তাঁরা প্রতিদিন জনপ্রতি ৪০০ টাকা করে পাবেন। কাজের স্বচ্ছতার জন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নিজ নিজ মোবাইল নম্বরে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
কিন্তু ভুয়া উপকারভোগীর তালিকা বানিয়ে নিজের লোকদের নামে মোবাইল সিম তুলে অন্য এলাকার লোকজন দিয়ে মাটি কেটে অতিদরিদ্রদের টাকা হাতিয়ে নিতে চাইছেন প্রকল্প সভাপতি।
এলাকাবাসী জানায়, এই রাস্তা মেরামতে অনিয়ম হয়েছে। মানুষের চলাচলের কথা চিন্তা করে এখানে মাটি কাটানো হয়নি। যেনতেনভাবে মাটি ফেলে কাজ শেষ করে মেরামত করা হয়েছে। তারপর এই রাস্তায় কত টাকার মাটি কাটার কথা, এসব জানার উপায় নেই। কারণ কাজের পাশে কোনো সাইনবোর্ড নেই।
জনদপুর গ্রামের কাজী আলম জানায়, সড়কে মাটি ফেলা হচ্ছে যেনতেন ভাবে। বৃষ্টি হলেই এই মাটি ধুয়ে যাবে। পাশে ঢালু করে মাটি ফেলার দরকার ছিল। মেরামতের বরাদ্দের পরিমাণ শুনে তিনি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন। তার দাবি এই সড়কে খুব বেশি হলে এক লাখ টাকার মাটি কাটা হয়েছে।
এ বিষয়ে সুয়াইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে অনিয়মের বিষয়টি আমি দেখব।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, এই প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে শুনেছি। সঠিক নিয়মে কাজ না করলে বিল পাবে না। এর আগেও যারা এমনটা করেছে তাদের বিল দেওয়া হয়নি। গ্রামে কাজের জন্য অতিদরিদ্র লোক পাওয়া যায় না প্রকল্প সভাপতির এমন বক্তব্য মানতে নারাজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি। তিনি বলেন, অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অতিদরিদ্রদের কর্মসৃজন কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই প্রকল্পের আওতায় দৈনিক হাজিরায় অতিদরিদ্রদের মাটি কেটে গ্রামীণ রাস্তা ঘাট মেরামত করার কথা। এতে দরিদ্ররা কিছুটা আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং গ্রামীণ সড়কও মেরামত হবে।
কিন্তু প্রকল্পের যাঁরা দায়িত্বে তাঁরা দরিদ্রদের বাদ দিয়ে ‘মাটি কাটার দল’ ভাড়ায় নিয়ে করা হচ্ছে রাস্তা মেরামত। ফলে যাঁদের জন্য এ প্রকল্প তাঁরাই বাদ থাকছেন। বিফলে যাচ্ছে প্রকল্পের উদ্দেশ্য। বঞ্চিত হচ্ছেন সত্যিকারের উপকারভোগীরা। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, প্রকল্পে অনিয়ম হলে বিল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সরেজমিন উপজেলার সুয়াইর ইউনিয়নের জনদপুর পশ্চিমের নতুন মসজিদ হইতে জনদপুর রুবেল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতে এমন অনিয়ম দেখা গেছে। এ সময় রাস্তা মেরামতের স্থানে কোনো সাইনবোর্ডও দেখা যায়নি। এ সময় পার্শ্ববর্তী পাবই গ্রামের ১০-১২ জনকে ওই রাস্তায় মাটি কাটতে দেখো যায়। তাঁদের মধ্যে ওসমান গনি, জহিরুল ইসলাম ও আসাদ মিয়া জানান, আমার এ রাস্তায় চুক্তি ভিত্তিক মাটি কাটছি। আমরা ১৫ জন মিলে একটি দল গঠন করে শুকনো মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় মাটি কাটি। প্রতি হাজার ফিট মাটি ৪ হাজার টাকা দরে এখানে কাটছি। যদিও আমাদের দাবি পাঁচ হাজার টাকা ছিল। কিন্তু মেম্বার চার হাজারের বেশি দিতে চাচ্ছেন না। পুরো রাস্তা মেরামত প্রায় শেষের দিকে। আর ২-৩ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় (পিআইও) সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে সাত ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে গ্রামীণ অবকাঠামো মেরামতের জন্য মোট ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন হয়। এসব প্রকল্পের বরাদ্দ এক কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এরমধ্যে ইউনিয়নের জনদপুর পশ্চিমের নতুন মসজিদ হইতে জনদপুর রুবেল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতে বরাদ্দ ৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। এই প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইকুল মিয়া। এতে ৪৩ জন অতিদরিদ্র লোক ৪০ দিন কাজ করবেন। তাঁরা প্রতিদিন জনপ্রতি ৪০০ টাকা করে পাবেন। কাজের স্বচ্ছতার জন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নিজ নিজ মোবাইল নম্বরে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
কিন্তু ভুয়া উপকারভোগীর তালিকা বানিয়ে নিজের লোকদের নামে মোবাইল সিম তুলে অন্য এলাকার লোকজন দিয়ে মাটি কেটে অতিদরিদ্রদের টাকা হাতিয়ে নিতে চাইছেন প্রকল্প সভাপতি।
এলাকাবাসী জানায়, এই রাস্তা মেরামতে অনিয়ম হয়েছে। মানুষের চলাচলের কথা চিন্তা করে এখানে মাটি কাটানো হয়নি। যেনতেনভাবে মাটি ফেলে কাজ শেষ করে মেরামত করা হয়েছে। তারপর এই রাস্তায় কত টাকার মাটি কাটার কথা, এসব জানার উপায় নেই। কারণ কাজের পাশে কোনো সাইনবোর্ড নেই।
জনদপুর গ্রামের কাজী আলম জানায়, সড়কে মাটি ফেলা হচ্ছে যেনতেন ভাবে। বৃষ্টি হলেই এই মাটি ধুয়ে যাবে। পাশে ঢালু করে মাটি ফেলার দরকার ছিল। মেরামতের বরাদ্দের পরিমাণ শুনে তিনি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন। তার দাবি এই সড়কে খুব বেশি হলে এক লাখ টাকার মাটি কাটা হয়েছে।
এ বিষয়ে সুয়াইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান সেলিম বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে অনিয়মের বিষয়টি আমি দেখব।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, এই প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে শুনেছি। সঠিক নিয়মে কাজ না করলে বিল পাবে না। এর আগেও যারা এমনটা করেছে তাদের বিল দেওয়া হয়নি। গ্রামে কাজের জন্য অতিদরিদ্র লোক পাওয়া যায় না প্রকল্প সভাপতির এমন বক্তব্য মানতে নারাজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি। তিনি বলেন, অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪