নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
কোন বনাঞ্চল বা সংরক্ষিত প্রাকৃতিক ক্ষেত্রে নয়, বরং চট্টগ্রাম নগরের পাহাড় এবং সড়কে মিলেছে ৩৬৬ প্রজাতির ঔষধি বৃক্ষ, গুল্ম ও লতাপাতার সন্ধান। এসব গাছের মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, জন্ডিসসহ আরও নানা রোগের ঔষধি গুণাগুণ। যুগ যুগ ধরে এসব উদ্ভিদ ব্যবহার হয়ে আসছে নানা চিকিৎসায়। সম্প্রতি বেসরকারি সংস্থা ইফেক্টিভ ক্রিয়েশন অন হিউম্যান ওপেইনিয়ন (ইকো) এর উদ্যোগে পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এটি পরিচালনা করেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে এই গবেষণার ফলাফল নিয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে এই সংস্থাটি।
এ সময় ইকোর সভাপতি মোহাম্মদ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি জানান, সবুজে ঘেরা চট্টগ্রাম শহরের উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের ধারণা পেতেই তাঁদের এমন উদ্যোগ।
ইকোর সভাপতি মোহাম্মদ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ঔষধি উদ্ভিদগুলো শনাক্ত করে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পরিচিত করা, যাতে ভবিষ্যতে সেগুলো নিয়ে আরও ব্যাপক পরিসরে গবেষণা করা যায়। এই গবেষণায় নগরে কত প্রজাতির উদ্ভিদ আছে, কতগুলো ঔষধি উদ্ভিদ আছে, কতগুলো বিপন্ন ও বিলুপ্তির পথে এসব জানার চেষ্টা ছিল। চট্টগ্রাম শহরে পরিকল্পিত বনায়নেও এই গবেষণা সহযোগিতা করবে।’
এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল। তিনি জানান, গবেষণাটি করতে তারা নগরের ১৮টি পাহাড়, মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও বিভিন্ন সড়কের পাশে চষে বেড়িয়েছেন গত প্রায় ৫ মাস। সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন উদ্ভিদ ও গাছের নমুনা। কাজ করেছেন নগরের উদ্ভিদ নিয়ে করা আগের বিভিন্ন গবেষণা ও ডাটাবেজ নিয়েও।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল বলেন, আমাদের গবেষণায় মোট ৪৯৫ প্রজাতির উদ্ভিদ রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৬৬টি প্রজাতি হলো ঔষধি। এসবে ডায়াবেটিস, আলসার, জন্ডিস, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক রোগ, চর্মরোগ, যক্ষ্মা, বাত, আমাশয়সহ আরও বিভিন্ন রোগের ঔষধি গুণ আছে। পুরো গবেষণায় আমরা পেয়েছি বড় বৃক্ষ ১৭৭ প্রজাতির, গুল্ম জাতীয় ৮৬ প্রজাতির, বীরুৎ জাতীয় ১৭৯ প্রজাতির, আর লতা জাতীয় উদ্ভিদ ৫৩ প্রজাতির। এদের মধ্যে ১৪১টি প্রজাতি বিদেশি এবং ৩৫৪ দেশীয় প্রজাতি। তবে আরও বড় পরিসরে গবেষণা হলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
ওমর ফারুক রাসেল যোগ করেন, আশঙ্কার বিষয় হলো এসব উদ্ভিদের মধ্যে বিপন্ন প্রজাতি আছে ১৩টি এবং সংরক্ষণের অভাবে ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হতে পারে এমন প্রজাতি পাওয়া গেছে প্রায় ১৩৭টি।
গবেষণায় সিআরবি এলাকায় ১৮৩টি, টাইগারপাসে ১৭০টি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন পাহাড়ে ১৬২টি, বাটালি পাহাড়ে ১৮৪টি, বিভিন্ন রাস্তার পাশে ৪৭টি, বায়েজিদ লিংক রোডে ১৭২টি, ডিসি হিলে ১০৯ টিসহ নগরীর আরও ১৩টি স্থান মিলিয়ে মোট ৩৬৬ ধরনের ঔষধি গাছের সন্ধান পান গবেষকেরা।
কোন বনাঞ্চল বা সংরক্ষিত প্রাকৃতিক ক্ষেত্রে নয়, বরং চট্টগ্রাম নগরের পাহাড় এবং সড়কে মিলেছে ৩৬৬ প্রজাতির ঔষধি বৃক্ষ, গুল্ম ও লতাপাতার সন্ধান। এসব গাছের মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, জন্ডিসসহ আরও নানা রোগের ঔষধি গুণাগুণ। যুগ যুগ ধরে এসব উদ্ভিদ ব্যবহার হয়ে আসছে নানা চিকিৎসায়। সম্প্রতি বেসরকারি সংস্থা ইফেক্টিভ ক্রিয়েশন অন হিউম্যান ওপেইনিয়ন (ইকো) এর উদ্যোগে পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এটি পরিচালনা করেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে এই গবেষণার ফলাফল নিয়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে এই সংস্থাটি।
এ সময় ইকোর সভাপতি মোহাম্মদ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি জানান, সবুজে ঘেরা চট্টগ্রাম শহরের উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের ধারণা পেতেই তাঁদের এমন উদ্যোগ।
ইকোর সভাপতি মোহাম্মদ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল ঔষধি উদ্ভিদগুলো শনাক্ত করে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পরিচিত করা, যাতে ভবিষ্যতে সেগুলো নিয়ে আরও ব্যাপক পরিসরে গবেষণা করা যায়। এই গবেষণায় নগরে কত প্রজাতির উদ্ভিদ আছে, কতগুলো ঔষধি উদ্ভিদ আছে, কতগুলো বিপন্ন ও বিলুপ্তির পথে এসব জানার চেষ্টা ছিল। চট্টগ্রাম শহরে পরিকল্পিত বনায়নেও এই গবেষণা সহযোগিতা করবে।’
এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল। তিনি জানান, গবেষণাটি করতে তারা নগরের ১৮টি পাহাড়, মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও বিভিন্ন সড়কের পাশে চষে বেড়িয়েছেন গত প্রায় ৫ মাস। সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন উদ্ভিদ ও গাছের নমুনা। কাজ করেছেন নগরের উদ্ভিদ নিয়ে করা আগের বিভিন্ন গবেষণা ও ডাটাবেজ নিয়েও।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল বলেন, আমাদের গবেষণায় মোট ৪৯৫ প্রজাতির উদ্ভিদ রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৬৬টি প্রজাতি হলো ঔষধি। এসবে ডায়াবেটিস, আলসার, জন্ডিস, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক রোগ, চর্মরোগ, যক্ষ্মা, বাত, আমাশয়সহ আরও বিভিন্ন রোগের ঔষধি গুণ আছে। পুরো গবেষণায় আমরা পেয়েছি বড় বৃক্ষ ১৭৭ প্রজাতির, গুল্ম জাতীয় ৮৬ প্রজাতির, বীরুৎ জাতীয় ১৭৯ প্রজাতির, আর লতা জাতীয় উদ্ভিদ ৫৩ প্রজাতির। এদের মধ্যে ১৪১টি প্রজাতি বিদেশি এবং ৩৫৪ দেশীয় প্রজাতি। তবে আরও বড় পরিসরে গবেষণা হলে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
ওমর ফারুক রাসেল যোগ করেন, আশঙ্কার বিষয় হলো এসব উদ্ভিদের মধ্যে বিপন্ন প্রজাতি আছে ১৩টি এবং সংরক্ষণের অভাবে ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হতে পারে এমন প্রজাতি পাওয়া গেছে প্রায় ১৩৭টি।
গবেষণায় সিআরবি এলাকায় ১৮৩টি, টাইগারপাসে ১৭০টি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন পাহাড়ে ১৬২টি, বাটালি পাহাড়ে ১৮৪টি, বিভিন্ন রাস্তার পাশে ৪৭টি, বায়েজিদ লিংক রোডে ১৭২টি, ডিসি হিলে ১০৯ টিসহ নগরীর আরও ১৩টি স্থান মিলিয়ে মোট ৩৬৬ ধরনের ঔষধি গাছের সন্ধান পান গবেষকেরা।
আকাশ অনেকটাই পরিষ্কার, আছে বাতাসের প্রবাহও। তবুও গতকাল বুধবারের তুলনায় ঢাকার বায়ুমানে আজ বৃহস্পতিবারও উন্নতি হয়নি, বরং অবনতি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের রেকর্ড অনুসারে, ঢাকার বায়ুমান ছিল ১২৬, যা সংবেদনশীল স্বাস্থ্যের মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২২ মিনিট আগেপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘শব্দদূষণ রোধে আমাদের ‘‘লাউড কালচারের’’ বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যেমনটি অন্যান্য সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে।’
১৬ ঘণ্টা আগেবিশ্ব ধরিত্রী দিবসে প্লাস্টিক দূষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে জনসচেতনতা কর্মসূচি পালন করেছে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা যুব সংগঠন ভলান্টিয়ার ফর এনভায়রনমেন্ট (ভিএফই)। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রমনা পার্কে এ কর্মসূচি আয়োজিত হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেবুধবার সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায়, রংপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে