অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের অন্যতম বিরল স্তন্যপায়ী প্রাণী সাওলা হয়তো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এমন আশঙ্কাই করছেন বিজ্ঞানীরা। হরিণ সদৃশ এই প্রাণীকে ২০১৩ সালে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল একটি ট্রেল ক্যামেরার ছবিতে। দুর্লভ বলেই কেউ কেউ এটিকে ‘এশিয়ার ইউনিকর্ন’ বলেও ডাকেন। ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেগেন-এর বন্যপ্রাণী জেনেটিসিস্ট রাসমুস হেলার মনে করেন—সাওলা প্রাণীটি যদি এখনো পৃথিবীতে বেঁচে থাকে তবে এদের সংখ্যা ১০০-এর নিচে হবে। সংখ্যাটি আরও কম, এমনকি শূন্যও হতে পারে।
তবে এক নতুন জিনগত গবেষণায় দেখা গেছে, সাওলাকে খুঁজে বের করা এবং সংরক্ষণে আশার আলো এখনো আছে। ১৯৯২ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আনামাইট পর্বতমালায় স্থানীয় শিকারিদের ঘরে পাওয়া ট্রফির মাধ্যমে প্রাণীটি প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে চিহ্নিত হয়। নতুন গবেষণায় ২৬টি শিকারের নমুনা বিশ্লেষণ করে সাওলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ রেফারেন্স জিনোম তৈরি করা হয়েছে, যা ‘সেল’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গত ৫ মে।
এই জিনগত মানচিত্র শুধু সাওলার পূর্বপুরুষ সম্পর্কেই নয়, তাদের বর্তমান অবস্থান শনাক্তেও সাহায্য করতে পারে। পরিবেশগত ডিএনএ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা ছড়িয়ে থাকা কোষ থেকে নদী-নালার পানিতে সাওলার উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারবেন।
গবেষণায় আরও জানা গেছে, সাওলার দুটি জেনেটিক গোষ্ঠী রয়েছে, যেগুলো ২০ হাজার থেকে ৫ হাজার বছর আগে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তনে আলাদা হয়ে পড়ে। এই দুটি উপগোষ্ঠীকে একত্র করে অন্তত ১২টি জীবিত প্রাণী নিয়ে প্রজনন কর্মসূচি শুরু করলে বিলুপ্তি ঠেকানো সম্ভব হতে পারে।
ভিয়েতনাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষক মিন লে জানিয়েছেন, এখনো অনেক শিকারি বনে ফাঁদ পেতে প্রাণী ধরে। এমন কাজ শুধু সাওলাই নয়, বাঘ-চিতা সহ বহু প্রজাতিকে বিলুপ্তির মুখে ফেলেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘তাৎক্ষণিক সংরক্ষণমূলক পদক্ষেপ না নিলে আরও অনেক প্রাণী অচিরেই হারিয়ে যাবে।’
লাওস-ভিত্তিক সাওলা ফাউন্ডেশন বর্তমানে সাওলা খুঁজে বের করতে কাজ করছে। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী লরেইন স্কটসন বলেন, ‘আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে সাওলার অন্যান্য আবাসেও অনুসন্ধান চালাতে পারব।’
সংস্থাটির কারিগরি পরিচালক রব টিমিন্স ১৯৯৬ সালে লাওসে মার্থা নামে জীবিত একটি সাওলা দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র কয়েকটি প্রাণী দিয়েই পুরো প্রজাতিকে ফিরিয়ে আনতে পারি। যেমনটা কনডর, গ্যালাপাগোস কচ্ছপ বা মরিশাস কেস্টরেলের ক্ষেত্রে হয়েছে।’
বিলুপ্তির কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা এই রহস্যময় প্রাণীটিকে নিয়ে তাই এখনো শেষ আশা বাঁচিয়ে রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ্বের অন্যতম বিরল স্তন্যপায়ী প্রাণী সাওলা হয়তো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এমন আশঙ্কাই করছেন বিজ্ঞানীরা। হরিণ সদৃশ এই প্রাণীকে ২০১৩ সালে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল একটি ট্রেল ক্যামেরার ছবিতে। দুর্লভ বলেই কেউ কেউ এটিকে ‘এশিয়ার ইউনিকর্ন’ বলেও ডাকেন। ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেগেন-এর বন্যপ্রাণী জেনেটিসিস্ট রাসমুস হেলার মনে করেন—সাওলা প্রাণীটি যদি এখনো পৃথিবীতে বেঁচে থাকে তবে এদের সংখ্যা ১০০-এর নিচে হবে। সংখ্যাটি আরও কম, এমনকি শূন্যও হতে পারে।
তবে এক নতুন জিনগত গবেষণায় দেখা গেছে, সাওলাকে খুঁজে বের করা এবং সংরক্ষণে আশার আলো এখনো আছে। ১৯৯২ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আনামাইট পর্বতমালায় স্থানীয় শিকারিদের ঘরে পাওয়া ট্রফির মাধ্যমে প্রাণীটি প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে চিহ্নিত হয়। নতুন গবেষণায় ২৬টি শিকারের নমুনা বিশ্লেষণ করে সাওলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ রেফারেন্স জিনোম তৈরি করা হয়েছে, যা ‘সেল’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গত ৫ মে।
এই জিনগত মানচিত্র শুধু সাওলার পূর্বপুরুষ সম্পর্কেই নয়, তাদের বর্তমান অবস্থান শনাক্তেও সাহায্য করতে পারে। পরিবেশগত ডিএনএ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা ছড়িয়ে থাকা কোষ থেকে নদী-নালার পানিতে সাওলার উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারবেন।
গবেষণায় আরও জানা গেছে, সাওলার দুটি জেনেটিক গোষ্ঠী রয়েছে, যেগুলো ২০ হাজার থেকে ৫ হাজার বছর আগে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তনে আলাদা হয়ে পড়ে। এই দুটি উপগোষ্ঠীকে একত্র করে অন্তত ১২টি জীবিত প্রাণী নিয়ে প্রজনন কর্মসূচি শুরু করলে বিলুপ্তি ঠেকানো সম্ভব হতে পারে।
ভিয়েতনাম ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষক মিন লে জানিয়েছেন, এখনো অনেক শিকারি বনে ফাঁদ পেতে প্রাণী ধরে। এমন কাজ শুধু সাওলাই নয়, বাঘ-চিতা সহ বহু প্রজাতিকে বিলুপ্তির মুখে ফেলেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘তাৎক্ষণিক সংরক্ষণমূলক পদক্ষেপ না নিলে আরও অনেক প্রাণী অচিরেই হারিয়ে যাবে।’
লাওস-ভিত্তিক সাওলা ফাউন্ডেশন বর্তমানে সাওলা খুঁজে বের করতে কাজ করছে। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী লরেইন স্কটসন বলেন, ‘আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে সাওলার অন্যান্য আবাসেও অনুসন্ধান চালাতে পারব।’
সংস্থাটির কারিগরি পরিচালক রব টিমিন্স ১৯৯৬ সালে লাওসে মার্থা নামে জীবিত একটি সাওলা দেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র কয়েকটি প্রাণী দিয়েই পুরো প্রজাতিকে ফিরিয়ে আনতে পারি। যেমনটা কনডর, গ্যালাপাগোস কচ্ছপ বা মরিশাস কেস্টরেলের ক্ষেত্রে হয়েছে।’
বিলুপ্তির কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা এই রহস্যময় প্রাণীটিকে নিয়ে তাই এখনো শেষ আশা বাঁচিয়ে রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় তরুণদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, তরুণদের লোভ, ক্ষমতার মোহ, আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি থেকে দূরে থেকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেশেরপুর এবং এর সংলগ্ন ভারতের মেঘালয়ে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও উত্তর/উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর বিস্তার লাভ করেছে। এই বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি
৬ ঘণ্টা আগেআজ শনিবারও ঢাকার আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে। তবে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৩ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর...
১৩ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে ফের দূষণ বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার রেকর্ড অনুসারে ঢাকার বায়ুমান ছিল যেখানে মাত্র ২৮, সেখানে আজ শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটের রেকর্ড অনুসারে ঢাকার বায়ুমান দাঁড়িয়েছে ৬৫। বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে