Ajker Patrika

দিওয়ালির আতশবাজির দূষণে ভুগছে দিল্লির মানুষ, ৬৯ শতাংশ পরিবারে রোগী

অনলাইন ডেস্ক   
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১: ৩৯
Thumbnail image
দিওয়ালির পরদিন ১ নভেম্বর দিল্লির ইন্ডিয়া গেট এলাকার পরিস্থিতি। ছবি: এএফপি

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিবছর দিওয়ালির সময় পরিস্থিতি আরও মারাত্মক করে তোলে। এ বছর দিওয়ালির পরদিন গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্বের সর্বোচ্চ দূষণের নগরী ছিল দিল্লি। এই বায়ুদূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। দিল্লি ও জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের (এনসিআর) ৬৯ শতাংশ পরিবার জানিয়েছে, পরিবারের অন্তত একজন সদস্য দূষণের কারণে ভুগছে।

সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

দিওয়ালির রাতে দিল্লি ও এনসিআরের বিভিন্ন অংশে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৯৯৯-এ পৌঁছে গিয়েছিল। এযাবৎকালের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড।

ভারতীয় জরিপ প্রতিষ্ঠান লোকাল সার্কেলসের করা সমীক্ষায় দিল্লি, নয়ডা, গুড়গাঁও, ফরিদাবাদ এবং গাজিয়াবাদের ২১ হাজারের বেশি বাসিন্দার প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ৬৯ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন সদস্য গলাব্যথা বা কাশির সমস্যায় ভুগছে। ৬২ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন সদস্য চোখে জ্বলুনি অনুভব করছে এবং ৪৬ শতাংশ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নাক দিয়ে পানি পড়া বা সর্দি–কাশির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। অনেকেই একাধিক উপসর্গের কথা উল্লেখ করেছে।

দিওয়ালির দিন দিল্লির বাতাসের মান ছিল এযাবৎকালের সবচেয়ে খারাপ। ছবি: এএফপি
দিওয়ালির দিন দিল্লির বাতাসের মান ছিল এযাবৎকালের সবচেয়ে খারাপ। ছবি: এএফপি

এ ছাড়া শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার সমস্যা পাওয়া গেছে ৩১ শতাংশ পরিবারে, মাথাব্যথা ৩১ শতাংশ, উদ্বেগ বা মনোযোগের ঘাটতি ২৩ শতাংশ এবং ঘুমের অসুবিধা ১৫ শতাংশ পরিবারে পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, মাত্র ৩১ শতাংশ পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, তাঁদের পরিবারের কেউই দূষণের কারণে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন না।

একই ধরনের একটি সমীক্ষা গত ১৯ অক্টোবর পরিচালিত হয়েছিল। এদিন দিল্লিতে প্রথম ধাপের গ্র্যাপ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান) কার্যকর করা হয়েছিল। এতে দেখা যায়, কেবল দুই সপ্তাহের মধ্যে গলাব্যথা বা কাশি সমস্যার পরিমাণ ৩৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৯ শতাংশে পৌঁছেছে।

এই দূষণজনিত সংকট কাটিয়ে উঠতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে মানুষ, সেটিও সমীক্ষায় জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মাত্র ২৩ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তাঁরা এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করবেন। একইসংখ্যক মানুষ বলেছেন, এই পরিস্থিতি সহ্য করা ছাড়া উপায় নেই!

১৫ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, এর মধ্যেই তাঁদের দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরবেন। একইসংখ্যক মানুষ বলেছেন, তাঁরা ইমিউনিটি (রোগ প্রতিরোধক্ষমতা) বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় খাবার বা পানীয় গ্রহণ বাড়াবেন। কিছু উত্তরদাতা বলেছেন, একটু স্বাস্থ্যকর বাতাসে নিশ্বাস নিতে তাঁরা মাসের কিছু সময় ভ্রমণে কাটাবেন।

তবে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহারের সংখ্যাটি গত দুই সপ্তাহে ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৩ শতাংশ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত