অনলাইন ডেস্ক
পরিবেশ রক্ষায় গাছের ভূমিকা আমরা সবাই জানি। তবে কিছু গাছ শুধু বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করেই থেমে থাকে না, তারা এই গ্যাসকে রীতিমতো পাথরে পরিণত করে! সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আফ্রিকার কেনিয়ার সামবুরু অঞ্চলে এমনই তিন প্রজাতির ত্বীন ফলের গাছ (ডুমুরজাতীয় গাছ) খুঁজে পেয়েছেন, যেগুলো তাদের কাণ্ডে ও গুঁড়িতে চুনাপাথর (লাইমস্টোন) তৈরি করে কার্বন ধরে রাখে। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে পরিবেশবান্ধব একটি টেকসই পদ্ধতির সম্ভাবনা দেখাচ্ছে।
এই গবেষণা আন্তর্জাতিক একদল বিজ্ঞানী পরিচালনা করেছেন। দলটি কেনিয়া, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের নিয়ে গঠিত। গবেষণাটি উপস্থাপন করা হয় প্রাগে অনুষ্ঠিত গোল্ডসমিট ভূ-রসায়ন সম্মেলনে।
গবেষণায় কেনিয়ার সামবুরু কাউন্টিতে জন্মানো তিনটি ডুমুর প্রজাতির গাছ নিয়ে কাজ করা হয়েছে। এই গাছগুলো এমন একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, যাকে বলা হয় ‘অক্সালেট-কার্বোনেট পথ’ (oxalate-carbonate pathway)। কিছু উদ্ভিদে আগে থেকেই এই প্রক্রিয়া দেখা গেলেও ফলদ গাছের মধ্যে এটি খুব একটা দেখা যায় না।
সাধারণত সব গাছই কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং পাতায়, কাণ্ডে ও শিকড়ে জৈব কার্বন (organic carbon) আকারে জমা রাখে। এ কারণেই বনায়নকে কার্বন হ্রাসের উপায় হিসেবে দেখা হয়। তবে তিন ফলের গাছ আরও এক ধাপ এগিয়ে।
তারা বাতাস থেকে শোষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড দিয়ে ক্যালসিয়াম অক্সালেট নামক ক্ষুদ্র স্ফটিক তৈরি করে। পরবর্তী সময়ে গাছের কাণ্ড বা গুঁড়ি পচে গেলে কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক এগুলোকে রূপান্তর করে ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে।
সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়নবিদ মাইক রোলি জানান, ‘আমরা আগেও জানতাম কিছু গাছ কার্বন থেকে ক্যালসিয়াম অক্সালেট তৈরি করে, যা পরে মাটি ও জীবাণুর সাহায্যে রূপ নেয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে—অর্থাৎ চুনাপাথরে। তবে এর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কমাতে এটি কত ভূমিকা রাখতে পারে, তা এত দিন নজর এড়িয়েছে।’
এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিল তিনটি ডুমুরগাছ: Ficus wakefieldii, Ficus natalensis ও Ficus glumosa।-এর মধ্যে Ficus wakefieldii গাছটি সবচেয়ে বেশি হারে কার্বন জমাতে সক্ষম বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
তিনটি প্রজাতির মধ্যে Ficus wakefieldii সবচেয়ে দক্ষতার সঙ্গে কার্বন শুষে ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে রূপান্তর করে। এখন গবেষকেরা এ গাছের জলের চাহিদা, ফল উৎপাদনের ক্ষমতা এবং বিভিন্ন পরিবেশে কার্বন ধারণের হার নিয়ে আরও গবেষণা চালাবেন।
গাছ মারা গেলে সাধারণ জৈব কার্বন সহজেই আবার বাতাসে ফিরে যেতে পারে, তবে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট অনেক স্থায়ী এবং এটি মাটিতে দীর্ঘকাল ধরে কার্বন আটকে রাখতে পারে। তাই পরিবেশগত দিক থেকে এদের গুরুত্ব অনেক। মাইক রোলি বলেন, ‘যদি আমরা বনে বা কৃষিভিত্তিক বনায়নের জন্য গাছ লাগাতে চাই, তাহলে এমন ফলদ বৃক্ষ নির্বাচন করাই ভালো, যারা জৈব ও অজৈব—দুভাবেই কার্বন ধরে রাখতে পারে।’
গবেষকেরা জানান, এসব ডুমুরগাছ কেনিয়ার শুষ্ক ও আগ্নেয়গিরির পাশে মাটিতে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। এই পরিবেশে চুনাপাথরের গঠন পর্যবেক্ষণ করা অপেক্ষাকৃত সহজ। তবে আর্দ্র এলাকায়ও একই প্রক্রিয়া ঘটতে পারে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক ইমেজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট শুধু গাছের বাইরের অংশেই নয়, ভেতরের কাঠেও জমা হয়। এতে করে গাছের চারপাশের মাটি আরও ক্ষারধর্মী (alkaline) হয়ে ওঠে, যা অন্যান্য উদ্ভিদের পুষ্টি গ্রহণে সহায়তা করে।
যদিও এই গবেষণা মূলত শুষ্ক অঞ্চলের গাছ নিয়ে করা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা বলছেন, আর্দ্র এলাকায়ও এই প্রক্রিয়া কার্যকর হতে পারে। কারণ, অনেক গাছই ক্যালসিয়াম অক্সালেট তৈরি করে এবং এই প্রক্রিয়ায় সহায়ক জীবাণুগুলোও পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিস্তৃত।
পরিবেশ রক্ষায় গাছের ভূমিকা আমরা সবাই জানি। তবে কিছু গাছ শুধু বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করেই থেমে থাকে না, তারা এই গ্যাসকে রীতিমতো পাথরে পরিণত করে! সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আফ্রিকার কেনিয়ার সামবুরু অঞ্চলে এমনই তিন প্রজাতির ত্বীন ফলের গাছ (ডুমুরজাতীয় গাছ) খুঁজে পেয়েছেন, যেগুলো তাদের কাণ্ডে ও গুঁড়িতে চুনাপাথর (লাইমস্টোন) তৈরি করে কার্বন ধরে রাখে। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে পরিবেশবান্ধব একটি টেকসই পদ্ধতির সম্ভাবনা দেখাচ্ছে।
এই গবেষণা আন্তর্জাতিক একদল বিজ্ঞানী পরিচালনা করেছেন। দলটি কেনিয়া, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের নিয়ে গঠিত। গবেষণাটি উপস্থাপন করা হয় প্রাগে অনুষ্ঠিত গোল্ডসমিট ভূ-রসায়ন সম্মেলনে।
গবেষণায় কেনিয়ার সামবুরু কাউন্টিতে জন্মানো তিনটি ডুমুর প্রজাতির গাছ নিয়ে কাজ করা হয়েছে। এই গাছগুলো এমন একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, যাকে বলা হয় ‘অক্সালেট-কার্বোনেট পথ’ (oxalate-carbonate pathway)। কিছু উদ্ভিদে আগে থেকেই এই প্রক্রিয়া দেখা গেলেও ফলদ গাছের মধ্যে এটি খুব একটা দেখা যায় না।
সাধারণত সব গাছই কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং পাতায়, কাণ্ডে ও শিকড়ে জৈব কার্বন (organic carbon) আকারে জমা রাখে। এ কারণেই বনায়নকে কার্বন হ্রাসের উপায় হিসেবে দেখা হয়। তবে তিন ফলের গাছ আরও এক ধাপ এগিয়ে।
তারা বাতাস থেকে শোষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড দিয়ে ক্যালসিয়াম অক্সালেট নামক ক্ষুদ্র স্ফটিক তৈরি করে। পরবর্তী সময়ে গাছের কাণ্ড বা গুঁড়ি পচে গেলে কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক এগুলোকে রূপান্তর করে ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে।
সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়নবিদ মাইক রোলি জানান, ‘আমরা আগেও জানতাম কিছু গাছ কার্বন থেকে ক্যালসিয়াম অক্সালেট তৈরি করে, যা পরে মাটি ও জীবাণুর সাহায্যে রূপ নেয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে—অর্থাৎ চুনাপাথরে। তবে এর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কমাতে এটি কত ভূমিকা রাখতে পারে, তা এত দিন নজর এড়িয়েছে।’
এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিল তিনটি ডুমুরগাছ: Ficus wakefieldii, Ficus natalensis ও Ficus glumosa।-এর মধ্যে Ficus wakefieldii গাছটি সবচেয়ে বেশি হারে কার্বন জমাতে সক্ষম বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।
তিনটি প্রজাতির মধ্যে Ficus wakefieldii সবচেয়ে দক্ষতার সঙ্গে কার্বন শুষে ক্যালসিয়াম কার্বোনেটে রূপান্তর করে। এখন গবেষকেরা এ গাছের জলের চাহিদা, ফল উৎপাদনের ক্ষমতা এবং বিভিন্ন পরিবেশে কার্বন ধারণের হার নিয়ে আরও গবেষণা চালাবেন।
গাছ মারা গেলে সাধারণ জৈব কার্বন সহজেই আবার বাতাসে ফিরে যেতে পারে, তবে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট অনেক স্থায়ী এবং এটি মাটিতে দীর্ঘকাল ধরে কার্বন আটকে রাখতে পারে। তাই পরিবেশগত দিক থেকে এদের গুরুত্ব অনেক। মাইক রোলি বলেন, ‘যদি আমরা বনে বা কৃষিভিত্তিক বনায়নের জন্য গাছ লাগাতে চাই, তাহলে এমন ফলদ বৃক্ষ নির্বাচন করাই ভালো, যারা জৈব ও অজৈব—দুভাবেই কার্বন ধরে রাখতে পারে।’
গবেষকেরা জানান, এসব ডুমুরগাছ কেনিয়ার শুষ্ক ও আগ্নেয়গিরির পাশে মাটিতে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। এই পরিবেশে চুনাপাথরের গঠন পর্যবেক্ষণ করা অপেক্ষাকৃত সহজ। তবে আর্দ্র এলাকায়ও একই প্রক্রিয়া ঘটতে পারে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক ইমেজিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট শুধু গাছের বাইরের অংশেই নয়, ভেতরের কাঠেও জমা হয়। এতে করে গাছের চারপাশের মাটি আরও ক্ষারধর্মী (alkaline) হয়ে ওঠে, যা অন্যান্য উদ্ভিদের পুষ্টি গ্রহণে সহায়তা করে।
যদিও এই গবেষণা মূলত শুষ্ক অঞ্চলের গাছ নিয়ে করা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা বলছেন, আর্দ্র এলাকায়ও এই প্রক্রিয়া কার্যকর হতে পারে। কারণ, অনেক গাছই ক্যালসিয়াম অক্সালেট তৈরি করে এবং এই প্রক্রিয়ায় সহায়ক জীবাণুগুলোও পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিস্তৃত।
গতকাল ঢাকায় ব্যাপক বৃষ্টি হলেও আজ শহরটির বায়ুমান কিছুটা অবনতি হয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান সূচক পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ার এর তথ্যমতে, আজ (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার একিউআই (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) ছিল ৯৮, যা ‘সহনীয়’ সীমায় রয়েছে। সাধারণত বর্ষাকালে ঢাকার বায়ুমান সহনীয় পর্যায়ে
১২ ঘণ্টা আগেঢাকার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
১৩ ঘণ্টা আগেজলাভূমি হ্রাসের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ভূমি ব্যবহারে পরিবর্তন (কৃষিজমিতে আবাসন বা কারখানা স্থাপন ইত্যাদি), দূষণ, কৃষি সম্প্রসারণ, আক্রমণাত্মক প্রজাতির বিস্তার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব—যেমন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও খরা।
১ দিন আগেসকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে দেশজুড়ে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার এক বুলেটিনে এ তথ্য জানা গেছে। এ ছাড়া আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
১ দিন আগে