Ajker Patrika

প্লাস্টিকের বিনিময়ে মিলছে ডিম মুরগি মাছ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২: ৫৮
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীতে প্লাস্টিকের বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে তেল, ডিম, চিনি, মুরগি, মাছসহ আরও অনেক পণ্য।

আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) নগরীর কর্ণফুলী নদীর পাড়ে বাকলিয়া স্টেডিয়ামে প্লাস্টিকমুক্ত নগর গড়তে প্লাস্টিকের বিনিময়ে এমন ব্যতিক্রমী বাজার প্রকল্প চালু করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এক বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন খালে প্রচুর প্লাস্টিক ও পলিথিন জমছে। জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ প্লাস্টিক ও পলিথিন। পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করতে পারলে আমরা নগরীর জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান পাব।’

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা জানিয়েছেন, এক কেজি প্লাস্টিকের বিনিময়ে ছয়টি ডিম, আধা কেজি সুজি, একটি পরনের কাপড় মিলবে। আবার তিন কেজি পলিথিন বা প্লাস্টিকের পরিবর্তে এক কেজি চিনি, দুই কেজি আটা; চার কেজির বিনিময়ে একটি মাছ, এক লিটার সোয়াবিন তেল এবং ছয় কেজির বিনিময়ে একটি মুরগি পাওয়া যাবে।

গৃহস্থালি পণ্যের পাশাপাশি শিক্ষা উপকরণও সংগ্রহ করা যাবে। এক কেজি প্লাস্টিক বা পলিথিনের বিনিময়ে ১২টি কলম, কিংবা চারটি পেনসিল অথবা খাতা সংগ্রহ করা যাবে। আট কেজি প্লাস্টিক বা পলিথিন দিলে মিলবে একটি স্কুল ব্যাগ।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুবি লাখ কেজি পরিত্যক্ত প্লাস্টিক রিসাইকেল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে যেখানে প্রতি কেজি পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দাম ২০-২৫ টাকা, সেখানে এই প্রকল্পে বিদ্যানন্দ দিচ্ছে ৫০-৮০ টাকা পযন্ত দাম।

জানা গেছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা দিবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এই প্রকল্প সফল হলে আরও বৃহৎ আকারে এই প্রকল্পের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আয়োজকদের।

প্লাস্টিকের বিনিময়ে এমন বাজার সংগ্রহ করতে আজ সোমবার সকাল থেকে সেখানে জড়ো হয় বিভিন্ন বয়সী মানুষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

লুটপাটে শেষ ৫ কোটির প্রকল্প

‘ওরা সোনার তৈরি, আমরা মাটির’, কারখানার ভেতর আত্মহত্যার আগে শ্রমিকের ফেসবুক পোস্ট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, বেশির ভাগই ভারতীয়, আছে বাংলাদেশিও

আওয়ামী লীগকেও পথভ্রষ্ট করেছেন শেখ হাসিনা

গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও বাংলাদেশের ক্ষতিপূরণ দাবির উল্লেখ নেই পাকিস্তানের বিবৃতিতে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত