Ajker Patrika

রূপপুর যে কত বড় ঝুঁকি, তা আমরা বুঝতে পারছি না: সুলতানা কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ২১
রূপপুর যে কত বড় ঝুঁকি, তা আমরা বুঝতে পারছি না: সুলতানা কামাল

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র মানুষের জন্য কত বড় ঝুঁকি, তা আমরা অনুধাবন করতে পারছি না বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল। আজ শুক্রবার সকালে ‘জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন’বিষয়ক বাপা-বেন বার্ষিক সম্মেলন-২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

যেকোনো জ্বালানিকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রেই স্থান নির্ধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় জানিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, ‘এমন কোনো জায়গায় নৈতিকভাবেই কোনো কেন্দ্র করা উচিত নয়, যেখানে অনেক মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হতে পারে। মানুষকে নানা ধরনের বিপদের সম্মুখীন করতে পারে। এত ঘনবসতিপূর্ণ একটা জায়গায় রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রটা করা হয়েছে, সেটা এখন পর্যটনের একটা জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ওটার মধ্য দিয়ে কত বড় একটা ঝুঁকি যে আমাদের জন্য তৈরি হয়ে গেল, সেটা আমরা অনুধাবন করতে পারছি না।’ 

যেকোনো নীতিনির্ধারণের আগে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের আলোচনা হওয়া উচিত জানিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, ‘এই আলোচনা যদি না হয়, তাহলে নীতিনির্ধারণের নানা ধরনের যে বিবেচনা থাকে, সেগুলো সবার কাছে স্পষ্ট হয় না। নীতিনির্ধারকেরা তো আমাদের জন্য নীতিনির্ধারণ করে দেন। কিন্তু সেটা প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত জায়গায় প্রতিঘাত করে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এখানে একা নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার যে প্রবণতা, তা প্রশ্নবিদ্ধ। আমাদের সম্মেলনে আমরা নীতিনির্ধারকদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’ 

সরকার পরিবেশের ক্ষেত্রে আগের চেয়ে অনেকটা নমনীয় এবং সহায়ক ভূমিকা পালন করছে জানিয়ে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাদের এক আলোচনায় পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান সাহেব এসেছিলেন। তিনি যেভাবে কথা বলেছেন, সেটাতে মনে হয়েছে এখন সরকার কিংবা নীতিনির্ধারকেরা, আমরা যেসব কথা বলছি, তা গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তাভাবনা করছে। পরিবেশ-সংক্রান্ত বিষয়েও সরকার এখন ভাবছে, কী করে অনবায়নযোগ্য থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যাওয়া যায়। তিনি (মন্ত্রী) রামপালের কথা বলেছেন, কিছু কিছু জায়গায় অনেক দূর এগিয়ে গেছি, সেটা থেকে ফেরত আসা সম্ভব না।’ 

আশা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে জানিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, ‘রামপাল নিয়ে আমাদের যে আপত্তি, তা-ও সরকার মোটামুটি আমলে নিচ্ছে। আগে যেমন একেবারেই খারিজ করে দিত, এখন তেমন হচ্ছে না। নতুন করে আশাবাদী হতে পারি। আশা না থাকলে তো কাজও করতে পারব না।’ 

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ ও ১২ তারিখে দুই দিনব্যাপী সম্মেলন করবে বাপা-বেন। সম্মেলন উপলক্ষে ১২টি বিষয়ে প্রবন্ধ আহ্বান করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নির্বাহী সহসভাপতি মো. আব্দুল মতিন, বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্কের সালেহ তানভীর, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত