অনলাইন ডেস্ক
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত আগে থেকে বুঝতে পারলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি থাকা গাছের পাতার রং বদলে যেতে পারে অগ্ন্যুৎপাতের আগে। এই পরিবর্তন আগাম সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করতে পারে।
আগ্নেয়গিরি যত সক্রিয় হয়, ভূপৃষ্ঠের তত কাছাকাছি উঠে আসে ম্যাগমা। এতে চারপাশে কার্বন অক্সাইডের মাত্রা বাড়ে, যার প্রভাবে আশপাশের গাছগুলো আরও সবুজ ও সুস্থ হয়ে ওঠে।
এই পরিবর্তন ধরা যায় ‘নর্মালাইজড ডিফারেন্স ভেজিটেশন ইনডেক্স’ (এনডিভিআই) নামক এক পরিমাপে, যা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্লেষণযোগ্য। অর্থাৎ, স্থানীয় কোনো মাঠ পর্যায়ের কাজ ছাড়াই বা স্থলভিত্তিক সেনসর ছাড়াই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের আগাম সংকেত পাওয়া সম্ভব—বিশেষ করে দুর্গম ও কঠিন এলাকায় এটি কার্যকর হতে পারে।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক ও ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টনের আগ্নেয়গিরি বিজ্ঞানী নিকোল গুইন বলেন, ‘এ ধরনের বিশ্লেষণের জন্য অনেক উপগ্রহ রয়েছে।’
সম্প্রতি গুইন নেতৃত্বাধীন এক গবেষণায় ইতালির মাউন্ট এথনার আশপাশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ও স্যাটেলাইট ছবি তুলনা করে দেখা যায়, গাছের পাতা যত সবুজ হয়, ততই বাড়ে গ্যাস নিঃসারণের মাত্রা।
দুই বছরের পর্যবেক্ষণে তাঁরা ১৬ বার এনডিভিআই ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ একসঙ্গে বেড়ে যাওয়ার স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছেন, যা ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ওপরের দিকে উঠে আসার সঙ্গে মিলে গেছে। এমনকি আগ্নেয়গিরির ফাটলের বাইরে থেকেও এই নিঃসারণের প্রভাব দেখা যায়।
এই গবেষণায় ২০১৯ সালের আরেক গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়। সেই গবেষণা পরিচালনা করেছিলেন ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্নেয়গিরি বিজ্ঞানী রবার্ট বোগ। সেখানে দেখা যায়, কোস্টারিকার দুটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসারণ পার্শ্ববর্তী গাছের পাতায় প্রভাব ফেলেছে।
গুইন ও বোগ এখন নাসা ও স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের নেতৃত্বাধীন একটি প্রকল্পে কাজ করছেন, যেখানে পানামা ও কোস্টারিকার আগ্নেয়গিরিগুলোর চারপাশে গাছপালার রঙের পরিবর্তন বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
এই প্রকল্পের নাম ‘এয়ারবোর্ন ভ্যালিডেশন ইউনিফায়েড এক্সপেরিমেন্ট: ল্যান্ড টু ওশান’ (এভিইউইএলও)। এর লক্ষ্য হলো, উপগ্রহের মাধ্যমে পৃথিবীর অবস্থা মাপার নতুন উপায় খুঁজে বের করা। নাসার বর্তমান অবজারভেটরি, যেমন: অরবিটিং কার্বন অবজারভেটরি ২, যা কেবল বড় অগ্ন্যুৎপাত শনাক্ত করতে পারে।
বোগ বলেন, ‘একটি আগ্নেয়গিরি থেকে মাঝারি পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসারণ ঘটলেও সেটা স্যাটেলাইটে ধরা পড়ে না। তাই আমাদের লক্ষ্য এমন একটি উপায় খুঁজে বের করা, যেখানে সরাসরি কার্বন ডাই-অক্সাইড না মেপেও তার পরিবর্তনের সংকেত পাওয়া যাবে।
ভূমিকম্পের কম্পন, ভূমির উচ্চতার পরিবর্তনের মতো আরও অনেক সংকেত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাসে কাজে আসে। এবার গাছের পাতা সবুজ হয়ে ওঠাও সেই সংকেতের তালিকায় যোগ হলো। যদিও সব অঞ্চলে এই প্রক্রিয়া উপযুক্ত না-ও হতে পারে।
এভিইউইএলও প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা আরও একটি বিষয় নিয়ে আগ্রহী। কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়লে গাছের ওপর সামগ্রিক কী ধরনের প্রভাব পড়ে, সেটা জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাই এমন পরিস্থিতিতে গাছপালা কীভাবে এই গ্যাস শোষণ করছে, সেটা জানাও ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে এভিইউইএলও প্রকল্পের সদস্য ও ক্যালিফোর্নিয়ার চ্যাপম্যান ইউনিভার্সিটির জলবায়ুবিজ্ঞানী জশ ফিশার বলেন, ‘আমরা শুধু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস নয়, বরং গাছগুলো কতটা কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করছে সেটাও জানতে চাই। কারণ ভবিষ্যতে পৃথিবীর সব গাছকেই উচ্চ কার্বন ডাই-অক্সাইডের মধ্যে বেঁচে থাকতে হবে।
এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ‘রিমোট সেন্সিং অব এনভায়রনমেন্ট’ সাময়িকীতে।
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত আগে থেকে বুঝতে পারলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি থাকা গাছের পাতার রং বদলে যেতে পারে অগ্ন্যুৎপাতের আগে। এই পরিবর্তন আগাম সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করতে পারে।
আগ্নেয়গিরি যত সক্রিয় হয়, ভূপৃষ্ঠের তত কাছাকাছি উঠে আসে ম্যাগমা। এতে চারপাশে কার্বন অক্সাইডের মাত্রা বাড়ে, যার প্রভাবে আশপাশের গাছগুলো আরও সবুজ ও সুস্থ হয়ে ওঠে।
এই পরিবর্তন ধরা যায় ‘নর্মালাইজড ডিফারেন্স ভেজিটেশন ইনডেক্স’ (এনডিভিআই) নামক এক পরিমাপে, যা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্লেষণযোগ্য। অর্থাৎ, স্থানীয় কোনো মাঠ পর্যায়ের কাজ ছাড়াই বা স্থলভিত্তিক সেনসর ছাড়াই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের আগাম সংকেত পাওয়া সম্ভব—বিশেষ করে দুর্গম ও কঠিন এলাকায় এটি কার্যকর হতে পারে।
এই গবেষণার প্রধান গবেষক ও ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টনের আগ্নেয়গিরি বিজ্ঞানী নিকোল গুইন বলেন, ‘এ ধরনের বিশ্লেষণের জন্য অনেক উপগ্রহ রয়েছে।’
সম্প্রতি গুইন নেতৃত্বাধীন এক গবেষণায় ইতালির মাউন্ট এথনার আশপাশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ও স্যাটেলাইট ছবি তুলনা করে দেখা যায়, গাছের পাতা যত সবুজ হয়, ততই বাড়ে গ্যাস নিঃসারণের মাত্রা।
দুই বছরের পর্যবেক্ষণে তাঁরা ১৬ বার এনডিভিআই ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ একসঙ্গে বেড়ে যাওয়ার স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছেন, যা ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ওপরের দিকে উঠে আসার সঙ্গে মিলে গেছে। এমনকি আগ্নেয়গিরির ফাটলের বাইরে থেকেও এই নিঃসারণের প্রভাব দেখা যায়।
এই গবেষণায় ২০১৯ সালের আরেক গবেষণার কথা উল্লেখ করা হয়। সেই গবেষণা পরিচালনা করেছিলেন ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্নেয়গিরি বিজ্ঞানী রবার্ট বোগ। সেখানে দেখা যায়, কোস্টারিকার দুটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসারণ পার্শ্ববর্তী গাছের পাতায় প্রভাব ফেলেছে।
গুইন ও বোগ এখন নাসা ও স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের নেতৃত্বাধীন একটি প্রকল্পে কাজ করছেন, যেখানে পানামা ও কোস্টারিকার আগ্নেয়গিরিগুলোর চারপাশে গাছপালার রঙের পরিবর্তন বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
এই প্রকল্পের নাম ‘এয়ারবোর্ন ভ্যালিডেশন ইউনিফায়েড এক্সপেরিমেন্ট: ল্যান্ড টু ওশান’ (এভিইউইএলও)। এর লক্ষ্য হলো, উপগ্রহের মাধ্যমে পৃথিবীর অবস্থা মাপার নতুন উপায় খুঁজে বের করা। নাসার বর্তমান অবজারভেটরি, যেমন: অরবিটিং কার্বন অবজারভেটরি ২, যা কেবল বড় অগ্ন্যুৎপাত শনাক্ত করতে পারে।
বোগ বলেন, ‘একটি আগ্নেয়গিরি থেকে মাঝারি পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসারণ ঘটলেও সেটা স্যাটেলাইটে ধরা পড়ে না। তাই আমাদের লক্ষ্য এমন একটি উপায় খুঁজে বের করা, যেখানে সরাসরি কার্বন ডাই-অক্সাইড না মেপেও তার পরিবর্তনের সংকেত পাওয়া যাবে।
ভূমিকম্পের কম্পন, ভূমির উচ্চতার পরিবর্তনের মতো আরও অনেক সংকেত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাসে কাজে আসে। এবার গাছের পাতা সবুজ হয়ে ওঠাও সেই সংকেতের তালিকায় যোগ হলো। যদিও সব অঞ্চলে এই প্রক্রিয়া উপযুক্ত না-ও হতে পারে।
এভিইউইএলও প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা আরও একটি বিষয় নিয়ে আগ্রহী। কার্বন ডাই অক্সাইড বাড়লে গাছের ওপর সামগ্রিক কী ধরনের প্রভাব পড়ে, সেটা জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাই এমন পরিস্থিতিতে গাছপালা কীভাবে এই গ্যাস শোষণ করছে, সেটা জানাও ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে এভিইউইএলও প্রকল্পের সদস্য ও ক্যালিফোর্নিয়ার চ্যাপম্যান ইউনিভার্সিটির জলবায়ুবিজ্ঞানী জশ ফিশার বলেন, ‘আমরা শুধু আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস নয়, বরং গাছগুলো কতটা কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করছে সেটাও জানতে চাই। কারণ ভবিষ্যতে পৃথিবীর সব গাছকেই উচ্চ কার্বন ডাই-অক্সাইডের মধ্যে বেঁচে থাকতে হবে।
এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ‘রিমোট সেন্সিং অব এনভায়রনমেন্ট’ সাময়িকীতে।
গভীর নিম্নচাপের কারণে আজ বৃহস্পতিবার সারা দিন অঝোরে বৃষ্টি ঝরেছে। উপকূলীয় জেলা ও চরাঞ্চলে চার ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। বৃষ্টি কয়েক দিন চলতে পারে, এতে ঢাকার কিছু কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে। তা ছাড়া পাহাড়ধসের শঙ্কার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নেওয়ায় সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর এবং অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। এ কারণে উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ
৪ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতসহ ঝোড়ো হাওয়া বইছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৬ ঘণ্টা আগেবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আজ বিকেলে এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
৭ ঘণ্টা আগে