গোলাম ওয়াদুদ
জেমস নামটার সঙ্গেই কী যেন একটা মিশে আছে। যদিও তাঁর পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম। কিন্তু স্টেজে দর্শকদের কাছে তিনিই প্রিয় জেমস। জেমসের সঙ্গে পরিচয়টা ঠিক কবে, তা মনে নেই। তবে এটুকু মনে আছে যে, যেদিন থেকে গানের সঙ্গে বন্ধন—সেদিন থেকেই জেমস নামের একজনের সঙ্গে পরিচয়।
খুব বেশি আগে না হলেও গ্রামে তখনো ক্যাসেটে গান শোনার দারুণ চল ছিল। ক্যাসেটে দরাজ কণ্ঠে একজন শিল্পীর গান ভেসে আসত, ভরাট গলা; বেশ ভালো লাগত। সম্ভবত জেমসের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিই প্রথম শোনা হয়। কী কথা, কী সুর, কী কণ্ঠ! সেই থেকে শুরু। সেই গানটি কতবার শোনা হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এই এখন যখন জেমস নিয়ে লিখছি, তখনো এই গান শুনতে শুনতেই লিখেছি।
জেমস কি একটু রাশভারী? একটা ‘সব হারা বিবাগি’ ভাব কি তাঁর চলায়, বলায় তাকানোর ভঙ্গিতে? একটা না ফুরানো দূরত্বের চাদরে কি তিনি নিজেকে ঢেকে রাখেন সব সময়? হয়তো। কে জানে। কাছে তো যাওয়া হয়নি কখনো। কিন্তু তাঁর কণ্ঠ, তাঁর বহির্মূর্তি থেকে একেবারেই আলাদা। তাঁর ভরাট কণ্ঠের জাদু যে কাউকে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তাঁর কণ্ঠের জাদুতে আবিষ্ট হয়েছিল ওপার বাংলা ও বলিউড। সেই নব্বইয়ের দশক থেকে স্টেজ মাতাচ্ছেন এই নগরবাউল খ্যাত শিল্পী।
‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’ দিয়ে যে জেমসের তুমুল জনপ্রিয়তা, সেই নগরবাউলের পরিণতি সত্যিকার অর্থেই লোক টিউনে গিয়েই ঠেকল শেষ পর্যন্ত। একবার যদি আসে ‘মান্নান মিয়ার তিতাস মলম’ তো অন্যদিকে ‘লেইস ফিতা লেস’, কিংবা ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, বা বলিউডে আবার একেবারে অন্য রকম ‘ভিগি ভিগি’, আবার লোক সুরে আশ্রয় নিয়ে যখন কণ্ঠে আসে ‘মাটির ঠিকানা’, ‘আসবার কালে আসলাম একা’, ‘তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম’, তখন ‘মীরাবাঈ’ খ্যাত জেমসকে নতুন নতুন ধাঁচে আবিষ্কার করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। প্রতিটি গানেই তিনি তাঁর তাবৎ সিগনেচার নিয়েই নতুন কিছু হাজির করেছেন।
আজম খান পপগুরু—এ তো সর্বস্বীকৃত। কিন্তু জেমসও এই ‘গুরু’ খেতাবটি কিন্তু তাঁর ভক্তদের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। এখনো তিনি সেই আসনেই আসীন। ক্যামেরায় বা ক্যামেরার পেছনেও রাখছেন দক্ষতার স্বাক্ষর। জেমসের গান শুনে যেমন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে আকাশ বিলিয়ে দেয়, তেমনি তাঁর গান শুনে হারানো বা দূরে থাকা বাবা-মাকে মনে করে অনেকেই।
নিজের অভিজ্ঞতাই বলা যায়। আমি তখন মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছি। প্রথম বাড়ি থেকে মানে আম্মা-আব্বুর থেকে দূরে থাকতে হবে। যেদিন প্রথম আব্বু আমাকে কলেজে ভর্তি করে মেসে রেখে এল, সেদিন রাতে অসংখ্যবার জেমসের দরাজ কণ্ঠে ‘বাবা কত দিন দেখি না তোমায়’ আর ‘রাতের তারা মাকে জানিয়ে দিস’ এই দুটি গান শুনেছি, আর কান্না করেছি। এর পর প্রতিদিনই এই দুটি গান শুনতাম। এত কষ্টের গান, তবু যেন অন্য রকম একটা ভালোবাসা কাজ করত এখনো করে। কী যেন জাদু আছে জেমসের গানে।
যা হোক আর গল্প বলে সময় নষ্ট করব না। আজ ২ অক্টোবর। নগর বাউলের জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের আজকের দিনে এ দেশের গানের জগৎকে সমৃদ্ধ করতে জন্ম নিয়েছিলেন ফারুক মাহফুজ আনাম ওরফে জেমস। জন্ম নওগাঁয় হলেও বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে। আজ গুণী এই শিল্পীর ৫৭তম জন্মদিন। এই দিনে ভালোবাসা ছাড়া আর কী দেওয়া যেতে পারে।
জেমস নামটার সঙ্গেই কী যেন একটা মিশে আছে। যদিও তাঁর পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম। কিন্তু স্টেজে দর্শকদের কাছে তিনিই প্রিয় জেমস। জেমসের সঙ্গে পরিচয়টা ঠিক কবে, তা মনে নেই। তবে এটুকু মনে আছে যে, যেদিন থেকে গানের সঙ্গে বন্ধন—সেদিন থেকেই জেমস নামের একজনের সঙ্গে পরিচয়।
খুব বেশি আগে না হলেও গ্রামে তখনো ক্যাসেটে গান শোনার দারুণ চল ছিল। ক্যাসেটে দরাজ কণ্ঠে একজন শিল্পীর গান ভেসে আসত, ভরাট গলা; বেশ ভালো লাগত। সম্ভবত জেমসের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিই প্রথম শোনা হয়। কী কথা, কী সুর, কী কণ্ঠ! সেই থেকে শুরু। সেই গানটি কতবার শোনা হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এই এখন যখন জেমস নিয়ে লিখছি, তখনো এই গান শুনতে শুনতেই লিখেছি।
জেমস কি একটু রাশভারী? একটা ‘সব হারা বিবাগি’ ভাব কি তাঁর চলায়, বলায় তাকানোর ভঙ্গিতে? একটা না ফুরানো দূরত্বের চাদরে কি তিনি নিজেকে ঢেকে রাখেন সব সময়? হয়তো। কে জানে। কাছে তো যাওয়া হয়নি কখনো। কিন্তু তাঁর কণ্ঠ, তাঁর বহির্মূর্তি থেকে একেবারেই আলাদা। তাঁর ভরাট কণ্ঠের জাদু যে কাউকে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তাঁর কণ্ঠের জাদুতে আবিষ্ট হয়েছিল ওপার বাংলা ও বলিউড। সেই নব্বইয়ের দশক থেকে স্টেজ মাতাচ্ছেন এই নগরবাউল খ্যাত শিল্পী।
‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’ দিয়ে যে জেমসের তুমুল জনপ্রিয়তা, সেই নগরবাউলের পরিণতি সত্যিকার অর্থেই লোক টিউনে গিয়েই ঠেকল শেষ পর্যন্ত। একবার যদি আসে ‘মান্নান মিয়ার তিতাস মলম’ তো অন্যদিকে ‘লেইস ফিতা লেস’, কিংবা ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, বা বলিউডে আবার একেবারে অন্য রকম ‘ভিগি ভিগি’, আবার লোক সুরে আশ্রয় নিয়ে যখন কণ্ঠে আসে ‘মাটির ঠিকানা’, ‘আসবার কালে আসলাম একা’, ‘তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম’, তখন ‘মীরাবাঈ’ খ্যাত জেমসকে নতুন নতুন ধাঁচে আবিষ্কার করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। প্রতিটি গানেই তিনি তাঁর তাবৎ সিগনেচার নিয়েই নতুন কিছু হাজির করেছেন।
আজম খান পপগুরু—এ তো সর্বস্বীকৃত। কিন্তু জেমসও এই ‘গুরু’ খেতাবটি কিন্তু তাঁর ভক্তদের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। এখনো তিনি সেই আসনেই আসীন। ক্যামেরায় বা ক্যামেরার পেছনেও রাখছেন দক্ষতার স্বাক্ষর। জেমসের গান শুনে যেমন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে আকাশ বিলিয়ে দেয়, তেমনি তাঁর গান শুনে হারানো বা দূরে থাকা বাবা-মাকে মনে করে অনেকেই।
নিজের অভিজ্ঞতাই বলা যায়। আমি তখন মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছি। প্রথম বাড়ি থেকে মানে আম্মা-আব্বুর থেকে দূরে থাকতে হবে। যেদিন প্রথম আব্বু আমাকে কলেজে ভর্তি করে মেসে রেখে এল, সেদিন রাতে অসংখ্যবার জেমসের দরাজ কণ্ঠে ‘বাবা কত দিন দেখি না তোমায়’ আর ‘রাতের তারা মাকে জানিয়ে দিস’ এই দুটি গান শুনেছি, আর কান্না করেছি। এর পর প্রতিদিনই এই দুটি গান শুনতাম। এত কষ্টের গান, তবু যেন অন্য রকম একটা ভালোবাসা কাজ করত এখনো করে। কী যেন জাদু আছে জেমসের গানে।
যা হোক আর গল্প বলে সময় নষ্ট করব না। আজ ২ অক্টোবর। নগর বাউলের জন্মদিন। ১৯৬৪ সালের আজকের দিনে এ দেশের গানের জগৎকে সমৃদ্ধ করতে জন্ম নিয়েছিলেন ফারুক মাহফুজ আনাম ওরফে জেমস। জন্ম নওগাঁয় হলেও বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে। আজ গুণী এই শিল্পীর ৫৭তম জন্মদিন। এই দিনে ভালোবাসা ছাড়া আর কী দেওয়া যেতে পারে।
সৌদি আরবের প্রথম দিকের কয়েকজন নারী র্যাপারের একজন জারা। সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সৌদির সীমানা পেরিয়ে তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে থাকছেন। আরবি, ইংরেজির পাশাপাশি সুইডিশ ভাষাতেও সাবলীল এই তরুণী। জানান, আরও একটি ভাষা শেখার ইচ্ছা আছে তাঁর। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গান...
১৬ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাচের মঞ্চে মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জুটি হয়েছিলেন আগে। এবার এই জুটিকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে বড় পর্দায়। সরকারি অনুদানের ‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন তাঁরা।
১ দিন আগেঅত ভালো ছাত্র ছিলেন না সুরিয়া। টেনেটুনে পাস করতেন। ফেল ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই গড়পড়তা ছাত্র এখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভরসা। ২০০৬ সালে তামিল এই অভিনেতা গড়ে তোলেন আগারাম ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেন তি
১ দিন আগেএকসময় টিভি নাটকে ছিল পারিবারিক গল্পের রাজত্ব। মাঝে প্রেম আর কমেডি গল্পের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই ধরনের নাটক। সংখ্যায় কম হলেও সম্প্রতি আবার ফিরছে পারিবারিক গল্পের নাটক। গত বছরের শেষ দিকে কে এম সোহাগ রানা শুরু করেন ‘দেনা পাওনা’ নামের ধারাবাহিকের কাজ। শুরুতে ইউটিউবে ৮ পর্বের মিনি সিরিজ হিসেবে পরিকল্
১ দিন আগে