ষাটের দশকে দুনিয়াজুড়ে হুলুস্থুল ফেলে দেওয়া রক ব্যান্ড বিটলস। লাখ লাখ ভক্তের হৃদয় ভেঙে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এক সময় দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে এই ব্যান্ড দল। এই ভাঙনের দায় পুরোটাই দেওয়া হয় স্যার পল ম্যাককার্টনির ওপর। গত ৫০ বছর ধরে নিজের ঘাড়ে এই দায় নিয়ে চলছেন ম্যাককার্টনি। এর প্রমাণ হিসেবে ১৯৭০ সালে ম্যাককার্টনির একক অ্যালবাম প্রকাশের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে দেখানো হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, রকের জগতে বৃহত্তম ব্যান্ডের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করছেন।
ওই সময় এক সাক্ষাৎকারে পল ম্যাককার্টনি বলেছিলেন, লেনন-ম্যাক কার্টনি যৌথভাবে গান লেখার আর কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না।
কিন্তু সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ম্যাককার্টনি বলেছেন, আকস্মিক এই বিচ্ছেদটার পেছনে ছিলেন স্বয়ং জন লেনন। তিনি বলেন, আমি কিন্তু এই বিচ্ছেদটার জন্য কোনো আগ্রহ দেখাইনি। বরং জনিই চেয়েছিলেন।
ম্যাককার্টনি বলেন, আরে না না। জন হেঁটে একটা কক্ষে প্রবেশ করে বললেন, তিনি বিটলস ছেড়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এটা খুব রোমাঞ্চকর ব্যাপার, বরং বিবাহ বিচ্ছেদের মতো।
লেনন সরে না গেলে এই ব্যান্ড আবার সংগঠিত হতে পারত কি না-বিবিসির সাংবাদিক উইলসনের এমন প্রশ্নে ম্যাককার্টনি বলেন, এটা হতে পারত। আসল ব্যাপার হলো, ইয়োকোর (ইয়োকো অনো) সঙ্গে একটা নতুন জীবন গড়ছিলেন জন...একটু শান্তির জন্য আমস্টারডামে টানা এক সপ্তাহ বিছানাশুয়ে-বসেসে কাটানোর আয়োজন করছিলেন। এটা নিয়ে তো আর তর্ক চলে না। আমার জীবনের কঠিন একটা সময় গেছে সেটা।
ম্যাককার্টনি বলেন, এটা ছিল আমার ব্যান্ড, এটাই ছিল আমার কাজ, এটাই ছিল আমার জীবন। আমি চেয়েছিলাম ব্যান্ডটা চলুক। আমার মনে হয়, আমরা দারুণ কিছু কাজ করছিলাম- অ্যাবে রোড, লেট ইট বি, খারাপ না কিন্তু- এবং আমার মনে হয় আমরা ব্যান্ডটা চালিয়ে নিতে পারতাম।
ম্যাককার্টনি বলেন, বিটলসের ভাঙনের ব্যাপারটা ঘেঁটে গিয়েছিল কারণ নতুন ম্যানেজার অ্যালেন ক্লেইন- যার সঙ্গে ম্যাককার্টনি কাজ করতে চাননি- তিনি বলেছিলেন, ব্যান্ডের কিছু দুর্বল অংশ জোড়া লাগাতে তাঁর সময় লাগবে। ফলে কয়েক মাস আমাদের ভালো থাকার ভান করতে হয়েছে। এটা খুব অদ্ভুত বিরক্তিকর ব্যাপার ছিল। কারণ আমরা সবাই জানতাম এটাই বিটলসের শেষ। কিন্তু আমরা বেরিয়ে যেতে পারছিলাম না, এই যা।
ম্যানেজারের ক্লেইনের হাত থেকে গানের স্বত্ব বের করে আনতে ব্যান্ড সদস্যদের মধ্যকার চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কের ইতি টানার উপায় খুঁজতে হয়েছে তাঁদের। ম্যাককার্টনি শেষ পর্যন্ত ব্যান্ডের বাকি অংশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন।
তিনি বলেন, আমাকে যুদ্ধ করতে হয়েছে এবং এটাই একমাত্র উপায় ছিল, আর সেটা হলো বিটলসের বাকি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা। কারণ তাঁরা তো ক্লেইনের সঙ্গেই ছিলেন। কয়েক বছর পর কিন্তু এর জন্য তাঁরা আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। কিন্তু আমি তো এই বিচ্ছেদের জন্য কখনো উসকানি দিইনি।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে পল ম্যাককার্টনি বলেছিলেন, দ্য বিটলস অ্যানথোলজি এবং পিটার জ্যাকসনের মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তথ্যচিত্র ‘গেট ব্যাক’ নির্মাণ সম্ভব হয়েছে তাঁর এই আইনি পদক্ষেপের কারণেই।
ষাটের দশকে দুনিয়াজুড়ে হুলুস্থুল ফেলে দেওয়া রক ব্যান্ড বিটলস। লাখ লাখ ভক্তের হৃদয় ভেঙে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এক সময় দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে এই ব্যান্ড দল। এই ভাঙনের দায় পুরোটাই দেওয়া হয় স্যার পল ম্যাককার্টনির ওপর। গত ৫০ বছর ধরে নিজের ঘাড়ে এই দায় নিয়ে চলছেন ম্যাককার্টনি। এর প্রমাণ হিসেবে ১৯৭০ সালে ম্যাককার্টনির একক অ্যালবাম প্রকাশের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে দেখানো হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, রকের জগতে বৃহত্তম ব্যান্ডের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করছেন।
ওই সময় এক সাক্ষাৎকারে পল ম্যাককার্টনি বলেছিলেন, লেনন-ম্যাক কার্টনি যৌথভাবে গান লেখার আর কোনো সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না।
কিন্তু সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ম্যাককার্টনি বলেছেন, আকস্মিক এই বিচ্ছেদটার পেছনে ছিলেন স্বয়ং জন লেনন। তিনি বলেন, আমি কিন্তু এই বিচ্ছেদটার জন্য কোনো আগ্রহ দেখাইনি। বরং জনিই চেয়েছিলেন।
ম্যাককার্টনি বলেন, আরে না না। জন হেঁটে একটা কক্ষে প্রবেশ করে বললেন, তিনি বিটলস ছেড়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এটা খুব রোমাঞ্চকর ব্যাপার, বরং বিবাহ বিচ্ছেদের মতো।
লেনন সরে না গেলে এই ব্যান্ড আবার সংগঠিত হতে পারত কি না-বিবিসির সাংবাদিক উইলসনের এমন প্রশ্নে ম্যাককার্টনি বলেন, এটা হতে পারত। আসল ব্যাপার হলো, ইয়োকোর (ইয়োকো অনো) সঙ্গে একটা নতুন জীবন গড়ছিলেন জন...একটু শান্তির জন্য আমস্টারডামে টানা এক সপ্তাহ বিছানাশুয়ে-বসেসে কাটানোর আয়োজন করছিলেন। এটা নিয়ে তো আর তর্ক চলে না। আমার জীবনের কঠিন একটা সময় গেছে সেটা।
ম্যাককার্টনি বলেন, এটা ছিল আমার ব্যান্ড, এটাই ছিল আমার কাজ, এটাই ছিল আমার জীবন। আমি চেয়েছিলাম ব্যান্ডটা চলুক। আমার মনে হয়, আমরা দারুণ কিছু কাজ করছিলাম- অ্যাবে রোড, লেট ইট বি, খারাপ না কিন্তু- এবং আমার মনে হয় আমরা ব্যান্ডটা চালিয়ে নিতে পারতাম।
ম্যাককার্টনি বলেন, বিটলসের ভাঙনের ব্যাপারটা ঘেঁটে গিয়েছিল কারণ নতুন ম্যানেজার অ্যালেন ক্লেইন- যার সঙ্গে ম্যাককার্টনি কাজ করতে চাননি- তিনি বলেছিলেন, ব্যান্ডের কিছু দুর্বল অংশ জোড়া লাগাতে তাঁর সময় লাগবে। ফলে কয়েক মাস আমাদের ভালো থাকার ভান করতে হয়েছে। এটা খুব অদ্ভুত বিরক্তিকর ব্যাপার ছিল। কারণ আমরা সবাই জানতাম এটাই বিটলসের শেষ। কিন্তু আমরা বেরিয়ে যেতে পারছিলাম না, এই যা।
ম্যানেজারের ক্লেইনের হাত থেকে গানের স্বত্ব বের করে আনতে ব্যান্ড সদস্যদের মধ্যকার চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কের ইতি টানার উপায় খুঁজতে হয়েছে তাঁদের। ম্যাককার্টনি শেষ পর্যন্ত ব্যান্ডের বাকি অংশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন।
তিনি বলেন, আমাকে যুদ্ধ করতে হয়েছে এবং এটাই একমাত্র উপায় ছিল, আর সেটা হলো বিটলসের বাকি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা। কারণ তাঁরা তো ক্লেইনের সঙ্গেই ছিলেন। কয়েক বছর পর কিন্তু এর জন্য তাঁরা আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। কিন্তু আমি তো এই বিচ্ছেদের জন্য কখনো উসকানি দিইনি।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে পল ম্যাককার্টনি বলেছিলেন, দ্য বিটলস অ্যানথোলজি এবং পিটার জ্যাকসনের মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তথ্যচিত্র ‘গেট ব্যাক’ নির্মাণ সম্ভব হয়েছে তাঁর এই আইনি পদক্ষেপের কারণেই।
এবারের ঈদুল আজহায় চরকি তার গ্রাহকদের জন্য নিয়ে আসছে স্বয়ংসম্পূর্ণ এক প্যাকেজ। এই এক ওটিটিতেই সিনেপ্রেমিরা পেয়ে যাবেন ভরপুর বিনোদন। সেই মহা আয়োজনের নাম ‘বিরাট গরুর হাট’। গ্রামীণফোন নিবেদিত এই আয়োজনে থাকছে দর্শকনন্দিত সেরা ৪টি চলচ্চিত্র। এগুলোর সব কটিই ইতোমধ্যে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে চলতি বছরের
১২ ঘণ্টা আগেপ্রতি ঈদেই সিঙ্গেলস্ক্রিন দখলে থাকে শাকিব খানের। এই ঈদে সেই প্রভাবটা যেন আরও বেশি। হল-সংকটের সময়েও ১৩২ হলে মুক্তি পেয়েছে তাণ্ডব। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই এটিকে সাম্প্রতিক সময়ের রেকর্ড বলে দাবি করছে।
১৯ ঘণ্টা আগেআজ ঈদের দিন থেকে টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান। ঈদের বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের খবর থাকছে পাঠকের জন্য।
২০ ঘণ্টা আগেঈদের দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে সাত পর্বের ঈদের বিশেষ ধারাবাহিক নাটক। বাছাই করা এসব ধারাবাহিকের খবর থাকছে পাঠকের জন্য।
২ দিন আগে