বিনোদন প্রতিবেদক
ঢাকা: নায়ক ফারুক সিঙ্গাপুরে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তাকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি অভিনয় করছেন না কেন? তাঁর পাল্টা প্রশ্ন ‘গত একদশকে এমন কোন চরিত্র হয়েছে যেটায় আমার অভিনয় করা উচিত ছিল?’ এমন নয় যে বর্ষীয়ান শিল্পীরা অভিনয় করতে চান না। কিন্তু অগুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে চেহারা দেখানোর জন্য ক্যামেরার সামনে হাজির হবেন না। গত দেড় যুগে তাদের কাছে উপযুক্ত গল্প বা চরিত্র নিতে ক’জন নির্মাতা গিয়েছেন? ক’জন চিত্রনাট্যকার সৈয়দ হাসান ইমাম, সোহেল রানা, নায়ক ফারুক, কবরী, আলমগীর, ববিতা, চম্পা, ইলিয়াস কাঞ্চনকে ভেবে গল্প লিখেছেন? স্করসিজি যেমন ‘আই হার্ড ইউ পেইন্ট হাউজেজ’ উপন্যাসটি পড়ার সময়ই পঁচাত্তর বছর বয়সী রবার্ট ডি-নিরোর কথা কল্পনা করে ফেলেছিলেন, সুজিত সরকার যেমন ‘বচ্চন সাহেবকে নিয়ে সিনেমা বানাব’ ভেবেই জুহি চতুর্বেদীকে গল্প লিখতে বলেন, সেরকমটা আমাদের সিনিয়র আর্টিস্টদের ক্ষেত্রে কি হয় খুব একটা?
গেল কয়েকবছরে বর্ষীয়ান অভিনেতারা একের পর এক চমক দেখিয়েছেন। সৈয়দ হাসান ইমাম ‘পাতা ঝরার দিন’ টেলিফিল্ম কিংবা ‘দ্য টাইপিস্ট’ শর্টফিল্মগুলোতে মূল চরিত্রে কি দারুণ অভিনয়ই না করেছেন। রাইসুল ইসলাম আসাদকে বলা হয় ‘কমপ্লিট স্কুল অব এক্টিং’। কখনো কোন প্রশ্ন আসে যে ‘জাত অভিনেতা কাকে বলে ও কি কি, উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দাও’ এর এক কথায় উত্তর হবে- রাইসুল ইসলাম আসাদ। তাকে মূল চরিত্রে কয়জন ভাবে? বছর তিন আগে তার অভিনীত ‘সোনালী ডানার চিল’ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। তরুণরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি করে। কিন্তু ওই হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়েই নাটক নির্মাণ হয়। মামুনুর রশীদ, তারিক আনামদের মতো অভিনেতারা নিয়মিত অভিনয় করলেও ভালো চরিত্রের অভাবে আলোচিত কাজ কম হয়।
আমাদের দেশের নাটক বা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে একটা অলিখিত নিয়ম আছে। এখানে কেউ মধ্যবয়সে পা দিলেও তাকে মোটামুটি বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়া হয়। অথবা তার জন্য বরাদ্দ থাকে বড় ভাই-বোন, বাবা-মা কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে ভিলেনের রোল, যেগুলো আদতে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
নায়করাজ রাজ্জাক মারা গেছেন ২০১৮ সালে। মৃত্যুর আগের দশ বছরে রাজ্জাক অভিনীত একটা উল্লেখযোগ্য সিনেমার কথা মনে করতে পারবেন কেউ? হুমায়ূন ফরীদি মারা গেলেন ২০১২ সালে। এর আগের একযুগে কতখানি ব্যবহার করা হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অভিনেতাকে? তার সামর্থ্যের পাঁচ পার্সেন্ট, নাকি দশ? নাম নিতে শুরু করলে তালিকাটা শুধু লম্বাই হবে, আর বাড়বে আক্ষেপ।
ঈদে পরিচালক সঞ্জয় সমাদ্দার নির্মাণ করলেন টেলিফিল্ম ‘মরণোত্তম’। সেই টেলিফিল্মে মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। ছয় বছর পর ছোট পর্দায় ফিরছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। আর বড় পর্দায় সম্ভবত তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ‘বিজলি’ সিনেমায়, সেটাও বছর তিনেক আগের কথা। টেলিফিল্মে এখনো যে ইলিয়াস কাঞ্চন ফিরতে পারেন স্বমহিমায় সেটার প্রমাণ মিললো। ইলিয়াস কাঞ্চন অভিনয় নয়, বাস্তবতার সাথে তার চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে তাকে যেভাবে পাওয়া যায় মনে হয়েছে সেটাই আবার পর্দায় ফুটিয়েছেন।
আমরা বিশ্ব সিনেমা থেকে প্রতিদিন কি শিখছি? মার্টিন স্করসিজির ‘দ্য আইরিশম্যান’ সিনেমায় শুধু নিরোই নন, অভিনয় করেছেন ৭৯ বছর বয়স্ক আল প্যাচিনোও। ক’দিন আগেই ‘দ্য ফাদার’ সিনেমায় অনন্য অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার জিতেছেন অ্যান্থনি হপকিন্স। ‘নো ম্যাডল্যান্ড’ ছবির জন্য অভিনেত্রী হিসেবে ৬৩ বছরে পেলেন ফ্রান্সিস ম্যাকডোমান্ড। বলিউডও অমিতাভ বচ্চনদের নিয়ে একের পর এক চমক দেখাচ্ছেন। অমিতাভ বচ্চন সময়ের সাথে, বয়সের সাথে, দর্শকের চাহিদার সাথে মিলিয়ে নিজেকে বদলে নিয়েছেন পুরোপুরি। এগিয়ে এসেছেন বলিউডের নির্মাতারাও।
এতে অমিতাভের যেমন অবদান আছে, তেমনই অবদান আছে বলিউডের নির্মাতাদের, দর্শকদের। রামগোপাল ভার্মা যেমন অমিতাভকে নিয়ে সরকার সিরিজ বানানোর ঝুঁকি নিয়েছেন, সুজিত সরকার বা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর মতো পরিচালকেরাও বিগ বি-কে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার সাহস দেখিয়েছেন। এসবেরই মিলিত ফলাফল, গত দুই দশকে একের পর এক সিনেমা দিয়ে দর্শক-সমালোচক উভয়কেই তুষ্ট করে গেছেন অমিতাভ বচ্চন।
বয়স হয়ে গেলেই কাউকে বাবা-মা অথবা বড় ভাই-বোনের রোল গছিয়ে দিতে হবে- এমন গৎবাঁধা ধারণা থেকে নির্মাতাদের বেরিয়ে আসাটা খুব জরুরী। অভিনয়শিল্পীর দক্ষতা অনুযায়ী গল্প লেখা হোক, চরিত্র বানানো হোক, বয়স দেখে নয়।
ঢাকা: নায়ক ফারুক সিঙ্গাপুরে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তাকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি অভিনয় করছেন না কেন? তাঁর পাল্টা প্রশ্ন ‘গত একদশকে এমন কোন চরিত্র হয়েছে যেটায় আমার অভিনয় করা উচিত ছিল?’ এমন নয় যে বর্ষীয়ান শিল্পীরা অভিনয় করতে চান না। কিন্তু অগুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে চেহারা দেখানোর জন্য ক্যামেরার সামনে হাজির হবেন না। গত দেড় যুগে তাদের কাছে উপযুক্ত গল্প বা চরিত্র নিতে ক’জন নির্মাতা গিয়েছেন? ক’জন চিত্রনাট্যকার সৈয়দ হাসান ইমাম, সোহেল রানা, নায়ক ফারুক, কবরী, আলমগীর, ববিতা, চম্পা, ইলিয়াস কাঞ্চনকে ভেবে গল্প লিখেছেন? স্করসিজি যেমন ‘আই হার্ড ইউ পেইন্ট হাউজেজ’ উপন্যাসটি পড়ার সময়ই পঁচাত্তর বছর বয়সী রবার্ট ডি-নিরোর কথা কল্পনা করে ফেলেছিলেন, সুজিত সরকার যেমন ‘বচ্চন সাহেবকে নিয়ে সিনেমা বানাব’ ভেবেই জুহি চতুর্বেদীকে গল্প লিখতে বলেন, সেরকমটা আমাদের সিনিয়র আর্টিস্টদের ক্ষেত্রে কি হয় খুব একটা?
গেল কয়েকবছরে বর্ষীয়ান অভিনেতারা একের পর এক চমক দেখিয়েছেন। সৈয়দ হাসান ইমাম ‘পাতা ঝরার দিন’ টেলিফিল্ম কিংবা ‘দ্য টাইপিস্ট’ শর্টফিল্মগুলোতে মূল চরিত্রে কি দারুণ অভিনয়ই না করেছেন। রাইসুল ইসলাম আসাদকে বলা হয় ‘কমপ্লিট স্কুল অব এক্টিং’। কখনো কোন প্রশ্ন আসে যে ‘জাত অভিনেতা কাকে বলে ও কি কি, উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দাও’ এর এক কথায় উত্তর হবে- রাইসুল ইসলাম আসাদ। তাকে মূল চরিত্রে কয়জন ভাবে? বছর তিন আগে তার অভিনীত ‘সোনালী ডানার চিল’ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়। তরুণরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি করে। কিন্তু ওই হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়েই নাটক নির্মাণ হয়। মামুনুর রশীদ, তারিক আনামদের মতো অভিনেতারা নিয়মিত অভিনয় করলেও ভালো চরিত্রের অভাবে আলোচিত কাজ কম হয়।
আমাদের দেশের নাটক বা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে একটা অলিখিত নিয়ম আছে। এখানে কেউ মধ্যবয়সে পা দিলেও তাকে মোটামুটি বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়া হয়। অথবা তার জন্য বরাদ্দ থাকে বড় ভাই-বোন, বাবা-মা কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে ভিলেনের রোল, যেগুলো আদতে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
নায়করাজ রাজ্জাক মারা গেছেন ২০১৮ সালে। মৃত্যুর আগের দশ বছরে রাজ্জাক অভিনীত একটা উল্লেখযোগ্য সিনেমার কথা মনে করতে পারবেন কেউ? হুমায়ূন ফরীদি মারা গেলেন ২০১২ সালে। এর আগের একযুগে কতখানি ব্যবহার করা হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অভিনেতাকে? তার সামর্থ্যের পাঁচ পার্সেন্ট, নাকি দশ? নাম নিতে শুরু করলে তালিকাটা শুধু লম্বাই হবে, আর বাড়বে আক্ষেপ।
ঈদে পরিচালক সঞ্জয় সমাদ্দার নির্মাণ করলেন টেলিফিল্ম ‘মরণোত্তম’। সেই টেলিফিল্মে মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। ছয় বছর পর ছোট পর্দায় ফিরছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। আর বড় পর্দায় সম্ভবত তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ‘বিজলি’ সিনেমায়, সেটাও বছর তিনেক আগের কথা। টেলিফিল্মে এখনো যে ইলিয়াস কাঞ্চন ফিরতে পারেন স্বমহিমায় সেটার প্রমাণ মিললো। ইলিয়াস কাঞ্চন অভিনয় নয়, বাস্তবতার সাথে তার চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে তাকে যেভাবে পাওয়া যায় মনে হয়েছে সেটাই আবার পর্দায় ফুটিয়েছেন।
আমরা বিশ্ব সিনেমা থেকে প্রতিদিন কি শিখছি? মার্টিন স্করসিজির ‘দ্য আইরিশম্যান’ সিনেমায় শুধু নিরোই নন, অভিনয় করেছেন ৭৯ বছর বয়স্ক আল প্যাচিনোও। ক’দিন আগেই ‘দ্য ফাদার’ সিনেমায় অনন্য অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার জিতেছেন অ্যান্থনি হপকিন্স। ‘নো ম্যাডল্যান্ড’ ছবির জন্য অভিনেত্রী হিসেবে ৬৩ বছরে পেলেন ফ্রান্সিস ম্যাকডোমান্ড। বলিউডও অমিতাভ বচ্চনদের নিয়ে একের পর এক চমক দেখাচ্ছেন। অমিতাভ বচ্চন সময়ের সাথে, বয়সের সাথে, দর্শকের চাহিদার সাথে মিলিয়ে নিজেকে বদলে নিয়েছেন পুরোপুরি। এগিয়ে এসেছেন বলিউডের নির্মাতারাও।
এতে অমিতাভের যেমন অবদান আছে, তেমনই অবদান আছে বলিউডের নির্মাতাদের, দর্শকদের। রামগোপাল ভার্মা যেমন অমিতাভকে নিয়ে সরকার সিরিজ বানানোর ঝুঁকি নিয়েছেন, সুজিত সরকার বা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর মতো পরিচালকেরাও বিগ বি-কে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার সাহস দেখিয়েছেন। এসবেরই মিলিত ফলাফল, গত দুই দশকে একের পর এক সিনেমা দিয়ে দর্শক-সমালোচক উভয়কেই তুষ্ট করে গেছেন অমিতাভ বচ্চন।
বয়স হয়ে গেলেই কাউকে বাবা-মা অথবা বড় ভাই-বোনের রোল গছিয়ে দিতে হবে- এমন গৎবাঁধা ধারণা থেকে নির্মাতাদের বেরিয়ে আসাটা খুব জরুরী। অভিনয়শিল্পীর দক্ষতা অনুযায়ী গল্প লেখা হোক, চরিত্র বানানো হোক, বয়স দেখে নয়।
সৌদি আরবের প্রথম দিকের কয়েকজন নারী র্যাপারের একজন জারা। সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সৌদির সীমানা পেরিয়ে তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে থাকছেন। আরবি, ইংরেজির পাশাপাশি সুইডিশ ভাষাতেও সাবলীল এই তরুণী। জানান, আরও একটি ভাষা শেখার ইচ্ছা আছে তাঁর। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গান...
১৬ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাচের মঞ্চে মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জুটি হয়েছিলেন আগে। এবার এই জুটিকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে বড় পর্দায়। সরকারি অনুদানের ‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন তাঁরা।
১ দিন আগেঅত ভালো ছাত্র ছিলেন না সুরিয়া। টেনেটুনে পাস করতেন। ফেল ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই গড়পড়তা ছাত্র এখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভরসা। ২০০৬ সালে তামিল এই অভিনেতা গড়ে তোলেন আগারাম ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেন তি
১ দিন আগেএকসময় টিভি নাটকে ছিল পারিবারিক গল্পের রাজত্ব। মাঝে প্রেম আর কমেডি গল্পের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই ধরনের নাটক। সংখ্যায় কম হলেও সম্প্রতি আবার ফিরছে পারিবারিক গল্পের নাটক। গত বছরের শেষ দিকে কে এম সোহাগ রানা শুরু করেন ‘দেনা পাওনা’ নামের ধারাবাহিকের কাজ। শুরুতে ইউটিউবে ৮ পর্বের মিনি সিরিজ হিসেবে পরিকল্
১ দিন আগে