বিনোদন প্রতিবেদক
প্রথম আলাপে ইন্দ্রপুরের স্টুডিওতে রীতিমতো প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছিলেন মানিকদা। আলাপের একপর্যায়ে চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘আমি অনঙ্গ বউ পেয়ে গেছি।’ মনে পড়ে, ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়া হয়। সাধারণ একটি শাড়ি পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। বলেছিলেন, ‘মেয়েটি তো দারুণ ফটোজেনিক!’
ভারতের শান্তিনিকেতন ও বীরভূমে ‘অশনি সংকেত’ সিনেমার শুটিং করেছিলাম। শান্তিনিকেতনে শুটিং করার দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। বিশেষ করে শান্তিনিকেতনে যে বাড়িটিতে শুটিং করেছিলাম, সেই বাড়িটির কথা এবং শুটিং করার কথা এবং শুটিং করার ফাঁকে আড্ডার সময়ের কথাগুলো খুব মনে পড়ে।
এই ছবির মাধ্যমেই প্রথম বিদেশে কোনো উৎসবে গিয়েছিলাম। মুক্তির আগেই ছবিটি দেখানো হয়েছিল বার্লিন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। আমাকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। সিনেমাটিকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ‘গোল্ডেন বিয়ার’ দেওয়া হয়। সত্যজিৎ রায়ের নামের পাশাপাশি আমার নামটিও সবাই জানলেন। ওটা ছিল বিরাট প্রাপ্তি। ওই প্রথম আমার এমন বড় কোনো উৎসবে যাওয়া।সিনেমা মুক্তির পরও কলকাতায় গেলেই মানিকদার জন্য পদ্মার ইলিশ আর চিংড়ি নিয়ে যেতাম। উনি খুব আদর করতেন আমাকে। দাদার একটা চিঠি এখনো আমার কাছে আছে, তিনি লিখেছেন, ‘তোকে বোম্বের ছবিতে নেবার জন্যে বেশ কিছু প্রডিউসার আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। তুই যদি করিস, তাহলে ওদের ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। নিজেই কথা বলে নে। নিজেরটা নিজে বুঝে নিবি।’
মারা যাওয়ার বেশ কিছুদিন আগে উনাকে দেখতে গিয়েছিলাম। তখন খুব একটা কথা বলতে পারেন না। হাসপাতাল থেকে একটু সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছিলেন। বউদিকে বললাম, মানিকদাকে দেখতে এসেছি।
বউদি বললেন,
‘কথা বলতে পারবে না। ভেতর গিয়ে একটু দেখে যা।’
ওটাই আমার শেষ দেখা। তবে তাঁর সঙ্গে আর কথা হয়নি। তার কয়েক মাস পর তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন পরপারে।
তাঁর হাত ধরে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, জয়া ভাদুড়ি, শর্মিলা ঠাকুর সিনেমায় আসেন। আমারও নতুন যাত্রা শুরু হলো তাঁর ‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় কাজ করার মাধ্যমে। একজীবনে কত কিংবদন্তির জন্মদাতা তিনি!
অনুলিখন: মীর রাকিব হাসান
প্রথম আলাপে ইন্দ্রপুরের স্টুডিওতে রীতিমতো প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছিলেন মানিকদা। আলাপের একপর্যায়ে চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘আমি অনঙ্গ বউ পেয়ে গেছি।’ মনে পড়ে, ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়া হয়। সাধারণ একটি শাড়ি পরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই। বলেছিলেন, ‘মেয়েটি তো দারুণ ফটোজেনিক!’
ভারতের শান্তিনিকেতন ও বীরভূমে ‘অশনি সংকেত’ সিনেমার শুটিং করেছিলাম। শান্তিনিকেতনে শুটিং করার দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। বিশেষ করে শান্তিনিকেতনে যে বাড়িটিতে শুটিং করেছিলাম, সেই বাড়িটির কথা এবং শুটিং করার কথা এবং শুটিং করার ফাঁকে আড্ডার সময়ের কথাগুলো খুব মনে পড়ে।
এই ছবির মাধ্যমেই প্রথম বিদেশে কোনো উৎসবে গিয়েছিলাম। মুক্তির আগেই ছবিটি দেখানো হয়েছিল বার্লিন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। আমাকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। সিনেমাটিকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ‘গোল্ডেন বিয়ার’ দেওয়া হয়। সত্যজিৎ রায়ের নামের পাশাপাশি আমার নামটিও সবাই জানলেন। ওটা ছিল বিরাট প্রাপ্তি। ওই প্রথম আমার এমন বড় কোনো উৎসবে যাওয়া।সিনেমা মুক্তির পরও কলকাতায় গেলেই মানিকদার জন্য পদ্মার ইলিশ আর চিংড়ি নিয়ে যেতাম। উনি খুব আদর করতেন আমাকে। দাদার একটা চিঠি এখনো আমার কাছে আছে, তিনি লিখেছেন, ‘তোকে বোম্বের ছবিতে নেবার জন্যে বেশ কিছু প্রডিউসার আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। তুই যদি করিস, তাহলে ওদের ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। নিজেই কথা বলে নে। নিজেরটা নিজে বুঝে নিবি।’
মারা যাওয়ার বেশ কিছুদিন আগে উনাকে দেখতে গিয়েছিলাম। তখন খুব একটা কথা বলতে পারেন না। হাসপাতাল থেকে একটু সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছিলেন। বউদিকে বললাম, মানিকদাকে দেখতে এসেছি।
বউদি বললেন,
‘কথা বলতে পারবে না। ভেতর গিয়ে একটু দেখে যা।’
ওটাই আমার শেষ দেখা। তবে তাঁর সঙ্গে আর কথা হয়নি। তার কয়েক মাস পর তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন পরপারে।
তাঁর হাত ধরে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, জয়া ভাদুড়ি, শর্মিলা ঠাকুর সিনেমায় আসেন। আমারও নতুন যাত্রা শুরু হলো তাঁর ‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় কাজ করার মাধ্যমে। একজীবনে কত কিংবদন্তির জন্মদাতা তিনি!
অনুলিখন: মীর রাকিব হাসান
বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাচের মঞ্চে মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জুটি হয়েছিলেন আগে। এবার এই জুটিকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে বড় পর্দায়। সরকারি অনুদানের ‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন তাঁরা।
২৮ মিনিট আগেঅত ভালো ছাত্র ছিলেন না সুরিয়া। টেনেটুনে পাস করতেন। ফেল ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই গড়পড়তা ছাত্র এখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভরসা। ২০০৬ সালে তামিল এই অভিনেতা গড়ে তোলেন আগারাম ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেন তি
৩৩ মিনিট আগেএকসময় টিভি নাটকে ছিল পারিবারিক গল্পের রাজত্ব। মাঝে প্রেম আর কমেডি গল্পের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই ধরনের নাটক। সংখ্যায় কম হলেও সম্প্রতি আবার ফিরছে পারিবারিক গল্পের নাটক। গত বছরের শেষ দিকে কে এম সোহাগ রানা শুরু করেন ‘দেনা পাওনা’ নামের ধারাবাহিকের কাজ। শুরুতে ইউটিউবে ৮ পর্বের মিনি সিরিজ হিসেবে পরিকল্
৩৭ মিনিট আগেকালজয়ী রূপকথা ‘স্নো হোয়াইট’কে নতুনভাবে পর্দায় নিয়ে এসেছে ডিজনি। প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে তৈরি হয়েছে স্নো হোয়াইট। ডিজনির অন্যতম ব্যয়বহুল এই মিউজিক্যাল ফ্যান্টাসি মুক্তির আগে থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছিল। গত ২১ মার্চে মুক্তির পর বিতর্ক বেড়েছে আরও।
৪২ মিনিট আগে