মীর রাকিব হাসান, ঢাকা
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা। চার দশকের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে আর শতাধিক নাটকে। কয়েক বছর আগে বাম চোখে সমস্যা দেখা দিলে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করান। এখন তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।
চোখের সমস্যার কী অবস্থা?
চোখে ইনফেকশন হয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। কলকাতায় চিকিৎসার পর এখন অনেকটাই ঠিক হয়েছে। কথা ছিল প্রতি ছয় মাসে একবার চেকআপের জন্য কলকাতায় যাব। করোনার কারণে প্রায় দুই বছর হলো যেতে পারছি না। তবে এখন চোখে দেখছি। লেখালেখি করে সময় কাটাচ্ছি।
কী লিখছেন?
বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্ত হয়েছি। সেখানে আমার লেখা নাটক নিয়মিত যাবে। অনেক দিন ধরেই লেখালেখি করছি। নাটক, সিনেমার গল্প লিখেছি। ‘প্রেমিক ডাকাত’ নামে নিজের প্রযোজনার একটি ছবির গান ও গল্প আমার লেখা। ওই ছবিতে অর্থলগ্নির পর থেকেই ভীষণ অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ি।
সেটা কীভাবে?
আমি যখন ছবিটি প্রযোজনা করি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই সময়টা ছিল অশ্লীল ছবির যুগ। আমি সুস্থধারার ছবি নির্মাণ করলাম সাহস করে। সময়টা এমন ছিল যে ওই গল্প চলল না। অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। তখন আমার অভিনয়ের বয়স ১৮ বছর। আমার সব সঞ্চয় ব্যয় করেছি ছবিটির জন্য। আস্তে আস্তে কাজও কমতে থাকল, অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়তে শুরু করলাম। এই সমস্যার কথা আপনজনদেরই বোঝাতে পারি না, অন্য মানুষকে আর কী বোঝাব।
এখন কি কাজ করতে পারবেন?
করোনার আগেও টুকটাক কাজ করেছি। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন আমি অসুস্থ, চোখে দেখি না, তাই কাজে ডাকে না। আমার চোখের যে সমস্যা ছিল সেটা তো কয়েক বছর আগের কথা। অপারেশনের পর একটা চোখ একটু ছোট হয়ে গেছে। কিন্তু তাতে কি আর আমি খালেদা আক্তার কল্পনা না? মানুষ কি আমাকে চিনতে পারবে না? যেভাবেই হোক নাটক আর চলচ্চিত্রের মানুষের মাঝে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আমরা ছবির মানুষ বলে অনেকে নাটকে ডাকে না। নাটক বা ওয়েব সিরিজে আমাদের অভিনয়ের সুযোগ হতে পারে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হয়?
একটা সময় নিয়মিত কথা হতো। ধীরে ধীরে সবাই দূরে সরে গেছে। তারাও কল দেয় না, আমিও দিই না। আমি অনেক দিন পর্যন্ত অনেকেরই খোঁজখবর নিয়েছি। আত্মীয়স্বজনেরও নিয়েছি। একতরফা কত খবর নেওয়া যায়!
সমিতিগুলো খোঁজখবর নেয়?
ওরাই এই দুঃসময়ে সবচেয়ে কাছে এসেছে। সমিতিতে তো আমরা চাঁদাও দিচ্ছি না। কিন্তু কিছুদিন পরপর বাসায় প্যাকেট পাঠিয়ে দেয়। কখনো কখনো টাকাও দিচ্ছে। ওরা যে আমাদের জন্য কিছু করতে চায়, সেই চেষ্টাটা দেখা যায়। তবে এটাও ঠিক, ওদেরও তো সীমাবদ্ধতা আছে। কতটাই-বা পারে।
পরিবার নিয়ে কিছু বলবেন…
আমি ছেলে, পুত্রবধূ আর দুই নাতির সঙ্গে থাকি। মেয়ে পরিবার নিয়ে থাকে স্কটল্যান্ডে। বিয়ে হয়েছে, দুই সন্তান তার। আর আমার ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন বেশির ভাগই চট্টগ্রামে থাকে। মা মারা গেলেন ছয় মাস আগে।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ আছে?
আমি দুই বাচ্চার মা হয়েই চলচ্চিত্রে এসেছি। নায়িকা হতে আসিনি। আমি বলেছি, মা, ভাবি যে চরিত্রেই আমাকে পছন্দ হয় নেবেন। নায়িকা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করিনি। অর্থনৈতিক সমস্যাও ছিল। মা হিসেবে সেই সময় যেসব চরিত্র করেছি, তাতে আফসোস নেই; বরং মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে আমি গর্বিত।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা। চার দশকের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে আর শতাধিক নাটকে। কয়েক বছর আগে বাম চোখে সমস্যা দেখা দিলে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করান। এখন তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।
চোখের সমস্যার কী অবস্থা?
চোখে ইনফেকশন হয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। কলকাতায় চিকিৎসার পর এখন অনেকটাই ঠিক হয়েছে। কথা ছিল প্রতি ছয় মাসে একবার চেকআপের জন্য কলকাতায় যাব। করোনার কারণে প্রায় দুই বছর হলো যেতে পারছি না। তবে এখন চোখে দেখছি। লেখালেখি করে সময় কাটাচ্ছি।
কী লিখছেন?
বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্ত হয়েছি। সেখানে আমার লেখা নাটক নিয়মিত যাবে। অনেক দিন ধরেই লেখালেখি করছি। নাটক, সিনেমার গল্প লিখেছি। ‘প্রেমিক ডাকাত’ নামে নিজের প্রযোজনার একটি ছবির গান ও গল্প আমার লেখা। ওই ছবিতে অর্থলগ্নির পর থেকেই ভীষণ অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়ি।
সেটা কীভাবে?
আমি যখন ছবিটি প্রযোজনা করি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই সময়টা ছিল অশ্লীল ছবির যুগ। আমি সুস্থধারার ছবি নির্মাণ করলাম সাহস করে। সময়টা এমন ছিল যে ওই গল্প চলল না। অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। তখন আমার অভিনয়ের বয়স ১৮ বছর। আমার সব সঞ্চয় ব্যয় করেছি ছবিটির জন্য। আস্তে আস্তে কাজও কমতে থাকল, অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়তে শুরু করলাম। এই সমস্যার কথা আপনজনদেরই বোঝাতে পারি না, অন্য মানুষকে আর কী বোঝাব।
এখন কি কাজ করতে পারবেন?
করোনার আগেও টুকটাক কাজ করেছি। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন আমি অসুস্থ, চোখে দেখি না, তাই কাজে ডাকে না। আমার চোখের যে সমস্যা ছিল সেটা তো কয়েক বছর আগের কথা। অপারেশনের পর একটা চোখ একটু ছোট হয়ে গেছে। কিন্তু তাতে কি আর আমি খালেদা আক্তার কল্পনা না? মানুষ কি আমাকে চিনতে পারবে না? যেভাবেই হোক নাটক আর চলচ্চিত্রের মানুষের মাঝে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আমরা ছবির মানুষ বলে অনেকে নাটকে ডাকে না। নাটক বা ওয়েব সিরিজে আমাদের অভিনয়ের সুযোগ হতে পারে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হয়?
একটা সময় নিয়মিত কথা হতো। ধীরে ধীরে সবাই দূরে সরে গেছে। তারাও কল দেয় না, আমিও দিই না। আমি অনেক দিন পর্যন্ত অনেকেরই খোঁজখবর নিয়েছি। আত্মীয়স্বজনেরও নিয়েছি। একতরফা কত খবর নেওয়া যায়!
সমিতিগুলো খোঁজখবর নেয়?
ওরাই এই দুঃসময়ে সবচেয়ে কাছে এসেছে। সমিতিতে তো আমরা চাঁদাও দিচ্ছি না। কিন্তু কিছুদিন পরপর বাসায় প্যাকেট পাঠিয়ে দেয়। কখনো কখনো টাকাও দিচ্ছে। ওরা যে আমাদের জন্য কিছু করতে চায়, সেই চেষ্টাটা দেখা যায়। তবে এটাও ঠিক, ওদেরও তো সীমাবদ্ধতা আছে। কতটাই-বা পারে।
পরিবার নিয়ে কিছু বলবেন…
আমি ছেলে, পুত্রবধূ আর দুই নাতির সঙ্গে থাকি। মেয়ে পরিবার নিয়ে থাকে স্কটল্যান্ডে। বিয়ে হয়েছে, দুই সন্তান তার। আর আমার ভাইবোন, আত্মীয়স্বজন বেশির ভাগই চট্টগ্রামে থাকে। মা মারা গেলেন ছয় মাস আগে।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ নিয়ে কোনো আক্ষেপ আছে?
আমি দুই বাচ্চার মা হয়েই চলচ্চিত্রে এসেছি। নায়িকা হতে আসিনি। আমি বলেছি, মা, ভাবি যে চরিত্রেই আমাকে পছন্দ হয় নেবেন। নায়িকা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করিনি। অর্থনৈতিক সমস্যাও ছিল। মা হিসেবে সেই সময় যেসব চরিত্র করেছি, তাতে আফসোস নেই; বরং মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে আমি গর্বিত।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় শোকে কাতর পুরো দেশ। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় ব্যথিত হয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সিমলাও। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন হলে গণমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই অভিনেত্রী।
১ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘ডিপ্রেশন আর ট্রমা কল্পনার কিছু না, এগুলো বাস্তব, নিঃশব্দ, কিন্তু ভেতর থেকে ধ্বংস করে দেয়। অনেক সময় এসব শুরু হয় ছোটবেলায়, আর একটিমাত্র ঘটনা বদলে দিতে পারে গোটা জীবন।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ব্যান্ড তারকা নগর বাউল জেমস। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় জেমসের একটি কনসার্টের আয়ের অংশবিশেষ দেওয়া হবে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের।
৭ ঘণ্টা আগেসীমা বিশ্বাসের চরিত্রের সাজপোশাক দেখে অনুমান করা যাচ্ছে, সিনেমায় তাঁকে শেখ হাসিনার চরিত্রে দেখা যাবে। তাঁর অভিব্যক্তি, পরনের ঢাকাই জামদানি শাড়ি এবং মাথায় ঘোমটা দেওয়ার ধরনে তেমনটাই ধারনা করা হচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে