
৬ ডিসেম্বর সারা দেশে মুক্তি পাচ্ছে সোহেল রানা বয়াতির প্রথম সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত গান, ট্রেলার আশা জাগিয়েছে সিনেমাটি নিয়ে। আজকের পত্রিকার সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা, সিনেমা নিয়ে প্রত্যাশা আর প্রাসঙ্গিক নানা বিষয়ে কথা বলেছেন এর মুখ্য দুই অভিনয়শিল্পী রওনক হাসান ও মৌসুমী হামিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এস রানা
এম এস রানা

‘নয়া মানুষ’ মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমার চরিত্রের জন্য কীভাবে নিজেকে তৈরি করলেন?
রওনক হাসান: এমন বানভাসি একজন মানুষ, প্রান্তিক একজন মানুষ—এই জীবনটা তো আমি দেখিনি, আমি যাপন করিনি কখনো। সেই জায়গা থেকে এটা আমার জন্য খুবই কঠিন একটা কাজ ছিল। অভিনয়ে অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে, স্ক্রিপ্ট পড়ে, ওই অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে মিশে একধরনের চেষ্টা করেছি আমি। বিষয়টা খুব সহজ ছিল না আমার জন্য, বেশ কঠিন ছিল। আমাদের সঙ্গে ঔপন্যাসিক আ মা ম হাসানুজ্জামান ছিলেন, তিনিও অনেক সহযোগিতা করেছেন।
মৌসুমী হামিদ: আমার তো এমন চরিত্রে অভিজ্ঞতা একেবারেই কম। আমার যে শারীরিক গঠন বা উচ্চতা, তাতেও একধরনের শঙ্কা ছিল। যতই আমি শাড়ি পরে তাদের মতো করে সাজি না কেন, ভয় ছিল আমি তাদের মতো হয়ে উঠতে পারব কি না। যারা ওই চরে থাকে, চেষ্টা করেছি তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে, তাদের সঙ্গে মিশে, কথা বলে, তাদের মতো হয়ে উঠতে। তারা কীভাবে কথা বলে, কীভাবে ঝগড়া করে, কীভাবে জীবনটা যাপন করে—এসব আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছি।
অভিনয়ের পর নিজের চরিত্রে নিজেকে কতটা সফল মনে হয়েছে?
মৌসুমী: সহশিল্পীরা আমাকে ভীষণ সহযোগিতা করেছেন। রওনক ভাই ছিলেন, হাসান ভাই ছিলেন, বদরুদ্দোজা ভাই ছিলেন, আশীষ খন্দকারের মতো আর্টিস্ট ছিলেন। সবার সহযোগিতায় চেষ্টা করেছি, কতটা পেরেছি, সেটা দর্শকই ভালো বলবেন।
রওনক: একটা কাজে অভিনয় করার পর সেই কাজটি আমার আর ভালো লাগে না। আমার মনে হয় আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। যে কারণে একটা পর্যায়ে আমি হতাশ হয়ে পড়তাম। তাই যখন পরিচালক বলেন ভালো হয়েছে, যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বা দর্শকেরা বলেন ভালো হয়েছে, তখন আমার মনে হয় ভালো হয়েছে।
শহুরে মানুষের জন্য তো নৌকা চালানো বেশ কঠিন। প্রাইভেট কার চালানোয় অভ্যস্ত মানুষের জন্য শুটিংয়ে নৌকা চালানোটা কতটা কঠিন মনে হলো রওনকের?
রওনক: ভীষণ কঠিন।
মৌসুমী: রওনক ভাই তো শুটিং চলাকালে শক্ত হয়ে বসে থাকতেন, নৌকা চালিয়ে তাঁর শরীর ব্যথা হয়ে যেত। কোনো কিছু পাত্তা দিতেন না। কিন্তু যখনই শুটিং শেষ হতো, তিনি বিছানায় এলিয়ে পড়তেন, ব্যথায় কাতরাতেন। এমনও দিন গেছে, শরীরে প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে তিনি শুটিং করেছেন, প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছে কিন্তু থেমে যাননি বা কাউকে বুঝতে দেননি।
ঝড়ের কবলে পড়ে সেট ভেঙে গিয়েছিল শুনেছি?
রওনক: সিত্রাং ঝড়ের পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। আমরা ঝড় শুরুর আগে চলে এসেছিলাম। শুটিংয়ের জন্য যে ঘরটা বানানো হয়েছিল, সেটা ঝড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। পরে পুরো সেটটা আবার বানিয়ে শুটিং করতে হয়েছে।
সেই ঝড়ের দৃশ্য কি আছে সিনেমায়?
মৌসুমী: কিছু আছে, বৃষ্টির দৃশ্য আছে। আমরা চলে এলেও পরিচালককে কিছুতেই আনা যাচ্ছিল না। তিনি ওর মাঝেই লাইভ কিছু দৃশ্যের শুটিং করতে চেয়েছেন।
নয়া মানুষ সিনেমাটি দর্শক কী কারণে, কেন দেখবেন?
রওনক: নয়া মানুষের গল্পটা শতভাগ এই বাংলার, এই বাংলার প্রান্তিক মানুষের গল্প, এই বাংলার জল, মাটি, আগুন, মানুষ ও সম্প্রীতির গল্প। এবং এই মুহূর্তে আমাদের দেশে কিছু বিষয়ের বিবেচনায় এই গল্পটা খুবই সমসাময়িক। আমার দেশের প্রান্তিক মানুষেরা জীবনটাকে কীভাবে দেখে, ধর্মকে কীভাবে দেখে, রাজনীতিকে কীভাবে দেখে, সেই বিষয়গুলো এখানে আছে। সব মিলিয়ে সিনেমাটা যখন দর্শক হলে বসে দেখবে, তখন চোখের এবং মনের একধরনের আরাম পাবে।
এখন তো সারা বিশ্বেই অ্যাকশন, অ্যানিমেশন, হরর সিনেমার প্রতি দর্শকের আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে। এমন সময়ে এই সিনেমাটা দর্শকদের কতটা স্বস্তি দেবে বলে মনে করেন?
মৌসুমী: সিনেমাটাকে যদি কোনো ফর্মুলায় ফেলতে চান, তাহলে বলতে পারেন এটা এটা সোশ্যাল ড্রামা মুভি। চরের মানুষের জীবনেও একটা ফিলোসফি আছে। তারাও তো জীবন ধারণ করে কোনো না কোনো বিশ্বাসের ওপরে। এই সিনেমায় ওই মানুষগুলোর রোমান্টিসিজম আছে, ওই মানুষগুলোর জীবনের অ্যাকশন আছে, তারা কীভাবে ধর্মকে মেনে চলে, তারা কীভাবে প্রেমকে দেখে, সম্পর্ককে দেখে। অ্যাকশন, অ্যানিমেশন তো প্রচুর হচ্ছে। এর মাঝে এই সিনেমাটা বৈচিত্র্য দেবে।
সিনেমার একটা গান রিলিজ হয়েছে ‘চান্দের বাড়ি’। কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন গানটি নিয়ে?
মৌসুমী: সবাই খুব পছন্দ করছে। গানটার দৃশ্যায়ন যেমন সুন্দর, কথাগুলো, সুরটাও তেমন সুন্দর। গেয়েছেনও দুজন মিষ্টি মানুষ—মাশা ও অনিমেষ। কম্পোজ করেছেন ইমন চৌধুরী। সুজন হাজংয়ের লেখা। সব মিলিয়ে দারুণ একটা গান হয়েছে।
অন্য গানগুলো কেমন?
রওনক: আরও দু-তিনটি গান আছে। একটা লিখেছেন নির্মলেন্দু গুণ। অসাধারণ লিরিক। আরেকটি গান শহিদুল্লাহ ফরায়েজী লিখেছেন। গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, খায়রুল ওয়াসিফ। গানগুলোও সিনেমার একটা সম্পদ হয়ে থাকবে।
প্রচারণা নিয়ে কী ধরনের পরিকল্পনা আছে?
রওনক: এই ধরনের সিনেমায় আমাদের দেশে স্পনসর পাওয়া যায় না। এই সিনেমাটিও তৈরি হয়েছে নানাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে। সেই অর্থে এটাকে গণ-অর্থায়নও বলতে পারেন। এই সিনেমার প্রচারণার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে গণমাধ্যম। তারা আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। ইতিমধ্যেই মানুষ তাদের মাধ্যমেই সিনেমাটি সম্পর্কে জেনেছেন, আগ্রহী হয়েছেন। আমরাও পরিকল্পনা করছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা সিনেমা মুক্তির পর হলে যাওয়ার। তবে সেই অর্থে সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর সুযোগ বা সামর্থ্য আমাদের নেই।
প্রযোজকেরা কেন এ ধরনের সিনেমায় লগ্নি করতে চান না? এটা কি আস্থাহীনতার অভাব?
রওনক: এটা খুবই জটিল বিষয়। এর একটা কারণ হতে পারে, আমরা শতভাগ পেশাদারি মনোভাব নিয়ে কাজটা করি না। আবেগ থেকে কাজটা করি। আবার এই কথাটাও আমি বলতে চাই, নাটক, সিনেমার ক্ষেত্রে আমরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে যথাযথ সাপোর্ট পাই না। সমাজ থেকেও পাই না। আমার মনে আছে, একবার আমার মাকে একজন পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন, ওনার ছোট ছেলেটা কলেজে পড়ে আর বড় ছেলেটা নষ্ট হয়ে গেছে, ও নাটক করে। আমার মা বিছানায় শুয়ে কাঁদে, কারণ তার বড় ছেলে নষ্ট হয়ে গেছে। আমার বাবা আমাকে বললেন, তুই এক হাজার টাকা বেতনের হলেও একটা চাকরি কর, যেন বলতে পারি আমার ছেলে একটা চাকরি করে।
নয়া মানুষ সোহেল রানা বয়াতির প্রথম সিনেমা। পরিচালকের জন্য কি এটা কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল?
রওনক: প্রথম সিনেমায় এলে কোনো কিছুই ঠিকমতো বোঝা যায় না। ডিরেকশন দিতে গিয়ে আমি নিজেও সেটা টের পেয়েছিলাম। আমার পরিচালিত প্রথম নাটকের বাজেট ছিল সাড়ে ৫ লাখ টাকা, খরচ হয়েছিল ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বাকি টাকা আমার নিজেকে ম্যানেজ করতে হয়েছে। প্রথম কাজে তো কিছু সমস্যা থাকবেই।
পরিচালক সোহেল রানা বয়াতির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
রওনক: নানা রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। নানা অভিযোগ, নানা অভিমান। তবে যখন সিনেমাটি তৈরি হয়ে গেল, তখন মনে হলো, বয়াতি অসাধারণ একটা কাজ করে ফেলেছে।
মৌসুমী: কিছু কিছু ব্যাপারে আমাদের মনোমালিন্য হয়েছে, কোনো কোনো বিষয়ে আমরা একমত হতে পারছিলাম না। একসময় তো আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সিনেমাটির শুটিং আর করব না। শেষ পর্যন্ত মনে হয়েছে, বয়াতি একটা দুঃসাহসিক কাজ করেছে।
রওনক: কিছু কিছু কাজ দেখে আমার কাছে ওকে উন্মাদ মনে হয়েছে। সে মাত্র ৩৭ হাজার টাকা পকেটে নিয়ে আস্ত একটা ইউনিট নিয়ে সিনেমার শুটিং করতে চলে গেছে। এই কথা আগে জানলে তো আমি শুটিংয়েই যেতাম না। কিন্তু শুটিংয়ের মাঝে এর কাছে, ওর কাছে বলে টাকা আনিয়ে ঠিকই শুটিং শেষ করেছে। ওর এই উন্মাদনার কারণেই সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেছে।
মৌসুমী: আমি ভাবছিলাম সিনেমাটি হবে না। আচ্ছা বলুন, এটা কোনো সুস্থ মানুষের কাজ! এই কটা টাকা নিয়ে ৬০ জন লোক নিয়ে সে ১২দিনের জন্য আউটডোরে চলে গেল শুটিং করতে!
সিনেমাটি কতটা সফলতা পেলে আপনারা সন্তুষ্ট?
রওনক: আমরা অনেক কষ্ট করে একটা সিনেমা করলাম, সেটা দর্শক দেখলেই আমরা খুশি হব। আমরা চাই, সিনেমাটি ভালো লাগলে দর্শক সেটা উপভোগ করুক, মন্দ লাগলে কেন মন্দ লাগল সেই কথাটাও বলুক, আমরা কী ভুল করেছি তা জানাক।
মৌসুমী: আমাদের পেছনে বড় কোনো অর্থায়ন নেই, আমাদের পেছনে বড় কোনো লোগো নেই, আমরা এত কষ্ট করে যে সিনেমাটা বানালাম, সেটা দর্শকের অনুভূতিকে সামান্যতম নাড়া দিতে পারলেও আমি খুশি।
‘নয়া মানুষ’ মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমার চরিত্রের জন্য কীভাবে নিজেকে তৈরি করলেন?
রওনক হাসান: এমন বানভাসি একজন মানুষ, প্রান্তিক একজন মানুষ—এই জীবনটা তো আমি দেখিনি, আমি যাপন করিনি কখনো। সেই জায়গা থেকে এটা আমার জন্য খুবই কঠিন একটা কাজ ছিল। অভিনয়ে অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে, স্ক্রিপ্ট পড়ে, ওই অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে মিশে একধরনের চেষ্টা করেছি আমি। বিষয়টা খুব সহজ ছিল না আমার জন্য, বেশ কঠিন ছিল। আমাদের সঙ্গে ঔপন্যাসিক আ মা ম হাসানুজ্জামান ছিলেন, তিনিও অনেক সহযোগিতা করেছেন।
মৌসুমী হামিদ: আমার তো এমন চরিত্রে অভিজ্ঞতা একেবারেই কম। আমার যে শারীরিক গঠন বা উচ্চতা, তাতেও একধরনের শঙ্কা ছিল। যতই আমি শাড়ি পরে তাদের মতো করে সাজি না কেন, ভয় ছিল আমি তাদের মতো হয়ে উঠতে পারব কি না। যারা ওই চরে থাকে, চেষ্টা করেছি তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে, তাদের সঙ্গে মিশে, কথা বলে, তাদের মতো হয়ে উঠতে। তারা কীভাবে কথা বলে, কীভাবে ঝগড়া করে, কীভাবে জীবনটা যাপন করে—এসব আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছি।
অভিনয়ের পর নিজের চরিত্রে নিজেকে কতটা সফল মনে হয়েছে?
মৌসুমী: সহশিল্পীরা আমাকে ভীষণ সহযোগিতা করেছেন। রওনক ভাই ছিলেন, হাসান ভাই ছিলেন, বদরুদ্দোজা ভাই ছিলেন, আশীষ খন্দকারের মতো আর্টিস্ট ছিলেন। সবার সহযোগিতায় চেষ্টা করেছি, কতটা পেরেছি, সেটা দর্শকই ভালো বলবেন।
রওনক: একটা কাজে অভিনয় করার পর সেই কাজটি আমার আর ভালো লাগে না। আমার মনে হয় আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। যে কারণে একটা পর্যায়ে আমি হতাশ হয়ে পড়তাম। তাই যখন পরিচালক বলেন ভালো হয়েছে, যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বা দর্শকেরা বলেন ভালো হয়েছে, তখন আমার মনে হয় ভালো হয়েছে।
শহুরে মানুষের জন্য তো নৌকা চালানো বেশ কঠিন। প্রাইভেট কার চালানোয় অভ্যস্ত মানুষের জন্য শুটিংয়ে নৌকা চালানোটা কতটা কঠিন মনে হলো রওনকের?
রওনক: ভীষণ কঠিন।
মৌসুমী: রওনক ভাই তো শুটিং চলাকালে শক্ত হয়ে বসে থাকতেন, নৌকা চালিয়ে তাঁর শরীর ব্যথা হয়ে যেত। কোনো কিছু পাত্তা দিতেন না। কিন্তু যখনই শুটিং শেষ হতো, তিনি বিছানায় এলিয়ে পড়তেন, ব্যথায় কাতরাতেন। এমনও দিন গেছে, শরীরে প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে তিনি শুটিং করেছেন, প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছে কিন্তু থেমে যাননি বা কাউকে বুঝতে দেননি।
ঝড়ের কবলে পড়ে সেট ভেঙে গিয়েছিল শুনেছি?
রওনক: সিত্রাং ঝড়ের পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। আমরা ঝড় শুরুর আগে চলে এসেছিলাম। শুটিংয়ের জন্য যে ঘরটা বানানো হয়েছিল, সেটা ঝড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। পরে পুরো সেটটা আবার বানিয়ে শুটিং করতে হয়েছে।
সেই ঝড়ের দৃশ্য কি আছে সিনেমায়?
মৌসুমী: কিছু আছে, বৃষ্টির দৃশ্য আছে। আমরা চলে এলেও পরিচালককে কিছুতেই আনা যাচ্ছিল না। তিনি ওর মাঝেই লাইভ কিছু দৃশ্যের শুটিং করতে চেয়েছেন।
নয়া মানুষ সিনেমাটি দর্শক কী কারণে, কেন দেখবেন?
রওনক: নয়া মানুষের গল্পটা শতভাগ এই বাংলার, এই বাংলার প্রান্তিক মানুষের গল্প, এই বাংলার জল, মাটি, আগুন, মানুষ ও সম্প্রীতির গল্প। এবং এই মুহূর্তে আমাদের দেশে কিছু বিষয়ের বিবেচনায় এই গল্পটা খুবই সমসাময়িক। আমার দেশের প্রান্তিক মানুষেরা জীবনটাকে কীভাবে দেখে, ধর্মকে কীভাবে দেখে, রাজনীতিকে কীভাবে দেখে, সেই বিষয়গুলো এখানে আছে। সব মিলিয়ে সিনেমাটা যখন দর্শক হলে বসে দেখবে, তখন চোখের এবং মনের একধরনের আরাম পাবে।
এখন তো সারা বিশ্বেই অ্যাকশন, অ্যানিমেশন, হরর সিনেমার প্রতি দর্শকের আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে। এমন সময়ে এই সিনেমাটা দর্শকদের কতটা স্বস্তি দেবে বলে মনে করেন?
মৌসুমী: সিনেমাটাকে যদি কোনো ফর্মুলায় ফেলতে চান, তাহলে বলতে পারেন এটা এটা সোশ্যাল ড্রামা মুভি। চরের মানুষের জীবনেও একটা ফিলোসফি আছে। তারাও তো জীবন ধারণ করে কোনো না কোনো বিশ্বাসের ওপরে। এই সিনেমায় ওই মানুষগুলোর রোমান্টিসিজম আছে, ওই মানুষগুলোর জীবনের অ্যাকশন আছে, তারা কীভাবে ধর্মকে মেনে চলে, তারা কীভাবে প্রেমকে দেখে, সম্পর্ককে দেখে। অ্যাকশন, অ্যানিমেশন তো প্রচুর হচ্ছে। এর মাঝে এই সিনেমাটা বৈচিত্র্য দেবে।
সিনেমার একটা গান রিলিজ হয়েছে ‘চান্দের বাড়ি’। কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন গানটি নিয়ে?
মৌসুমী: সবাই খুব পছন্দ করছে। গানটার দৃশ্যায়ন যেমন সুন্দর, কথাগুলো, সুরটাও তেমন সুন্দর। গেয়েছেনও দুজন মিষ্টি মানুষ—মাশা ও অনিমেষ। কম্পোজ করেছেন ইমন চৌধুরী। সুজন হাজংয়ের লেখা। সব মিলিয়ে দারুণ একটা গান হয়েছে।
অন্য গানগুলো কেমন?
রওনক: আরও দু-তিনটি গান আছে। একটা লিখেছেন নির্মলেন্দু গুণ। অসাধারণ লিরিক। আরেকটি গান শহিদুল্লাহ ফরায়েজী লিখেছেন। গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, খায়রুল ওয়াসিফ। গানগুলোও সিনেমার একটা সম্পদ হয়ে থাকবে।
প্রচারণা নিয়ে কী ধরনের পরিকল্পনা আছে?
রওনক: এই ধরনের সিনেমায় আমাদের দেশে স্পনসর পাওয়া যায় না। এই সিনেমাটিও তৈরি হয়েছে নানাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে। সেই অর্থে এটাকে গণ-অর্থায়নও বলতে পারেন। এই সিনেমার প্রচারণার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে গণমাধ্যম। তারা আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। ইতিমধ্যেই মানুষ তাদের মাধ্যমেই সিনেমাটি সম্পর্কে জেনেছেন, আগ্রহী হয়েছেন। আমরাও পরিকল্পনা করছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা সিনেমা মুক্তির পর হলে যাওয়ার। তবে সেই অর্থে সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর সুযোগ বা সামর্থ্য আমাদের নেই।
প্রযোজকেরা কেন এ ধরনের সিনেমায় লগ্নি করতে চান না? এটা কি আস্থাহীনতার অভাব?
রওনক: এটা খুবই জটিল বিষয়। এর একটা কারণ হতে পারে, আমরা শতভাগ পেশাদারি মনোভাব নিয়ে কাজটা করি না। আবেগ থেকে কাজটা করি। আবার এই কথাটাও আমি বলতে চাই, নাটক, সিনেমার ক্ষেত্রে আমরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে যথাযথ সাপোর্ট পাই না। সমাজ থেকেও পাই না। আমার মনে আছে, একবার আমার মাকে একজন পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন, ওনার ছোট ছেলেটা কলেজে পড়ে আর বড় ছেলেটা নষ্ট হয়ে গেছে, ও নাটক করে। আমার মা বিছানায় শুয়ে কাঁদে, কারণ তার বড় ছেলে নষ্ট হয়ে গেছে। আমার বাবা আমাকে বললেন, তুই এক হাজার টাকা বেতনের হলেও একটা চাকরি কর, যেন বলতে পারি আমার ছেলে একটা চাকরি করে।
নয়া মানুষ সোহেল রানা বয়াতির প্রথম সিনেমা। পরিচালকের জন্য কি এটা কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল?
রওনক: প্রথম সিনেমায় এলে কোনো কিছুই ঠিকমতো বোঝা যায় না। ডিরেকশন দিতে গিয়ে আমি নিজেও সেটা টের পেয়েছিলাম। আমার পরিচালিত প্রথম নাটকের বাজেট ছিল সাড়ে ৫ লাখ টাকা, খরচ হয়েছিল ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বাকি টাকা আমার নিজেকে ম্যানেজ করতে হয়েছে। প্রথম কাজে তো কিছু সমস্যা থাকবেই।
পরিচালক সোহেল রানা বয়াতির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
রওনক: নানা রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। নানা অভিযোগ, নানা অভিমান। তবে যখন সিনেমাটি তৈরি হয়ে গেল, তখন মনে হলো, বয়াতি অসাধারণ একটা কাজ করে ফেলেছে।
মৌসুমী: কিছু কিছু ব্যাপারে আমাদের মনোমালিন্য হয়েছে, কোনো কোনো বিষয়ে আমরা একমত হতে পারছিলাম না। একসময় তো আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সিনেমাটির শুটিং আর করব না। শেষ পর্যন্ত মনে হয়েছে, বয়াতি একটা দুঃসাহসিক কাজ করেছে।
রওনক: কিছু কিছু কাজ দেখে আমার কাছে ওকে উন্মাদ মনে হয়েছে। সে মাত্র ৩৭ হাজার টাকা পকেটে নিয়ে আস্ত একটা ইউনিট নিয়ে সিনেমার শুটিং করতে চলে গেছে। এই কথা আগে জানলে তো আমি শুটিংয়েই যেতাম না। কিন্তু শুটিংয়ের মাঝে এর কাছে, ওর কাছে বলে টাকা আনিয়ে ঠিকই শুটিং শেষ করেছে। ওর এই উন্মাদনার কারণেই সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেছে।
মৌসুমী: আমি ভাবছিলাম সিনেমাটি হবে না। আচ্ছা বলুন, এটা কোনো সুস্থ মানুষের কাজ! এই কটা টাকা নিয়ে ৬০ জন লোক নিয়ে সে ১২দিনের জন্য আউটডোরে চলে গেল শুটিং করতে!
সিনেমাটি কতটা সফলতা পেলে আপনারা সন্তুষ্ট?
রওনক: আমরা অনেক কষ্ট করে একটা সিনেমা করলাম, সেটা দর্শক দেখলেই আমরা খুশি হব। আমরা চাই, সিনেমাটি ভালো লাগলে দর্শক সেটা উপভোগ করুক, মন্দ লাগলে কেন মন্দ লাগল সেই কথাটাও বলুক, আমরা কী ভুল করেছি তা জানাক।
মৌসুমী: আমাদের পেছনে বড় কোনো অর্থায়ন নেই, আমাদের পেছনে বড় কোনো লোগো নেই, আমরা এত কষ্ট করে যে সিনেমাটা বানালাম, সেটা দর্শকের অনুভূতিকে সামান্যতম নাড়া দিতে পারলেও আমি খুশি।

চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
১৩ ঘণ্টা আগে
গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা।
১৩ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মারা যান আসামের জনপ্রিয় সংগীতিশিল্পী জুবিন গর্গ। তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দুর্ঘটনার কথা জানালেও অনেকেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়েছিলেন। কেউ কেউ দাবি করছিলেন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে জুবিনকে।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী। এবার তানিম নূরের ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমায় সুরমা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৮ কেজি ওজন কমালেন বাঁধন। আজ থেকে শুরু হবে এই সিনেমার শুটিং। এ ছাড়া ইতিমধ্যে তিনি শেষ করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’ ও রুবাইয়াত হোসেনের ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমার শুটিং।
গত শুক্রবার বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানানো হয়, এতে অভিনয় করছেন বাঁধন। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঁধন জানালেন, নতুন এই সিনেমার জন্য প্রস্তুত হতে তাঁকে কমাতে হয়েছে ১৮ কেজি ওজন। বাঁধন জানালেন, ওজন কমানোর এই পথ সহজ ছিল না তাঁর জন্য। ফেসবুকে বাঁধন লেখেন, ‘৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি—এই যাত্রা সহজ ছিল না। মানসিক স্বাস্থ্য সংগ্রাম, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও জেনেটিক কারণে ওজন বেড়েই যাচ্ছিল। কিন্তু সঠিক চিকিৎসকের নির্দেশনা, ডিসিপ্লিন এবং আত্মবিশ্বাসের জোরে আমি মাত্র ৬ মাসে ১৮ কেজি ওজন কমাতে পেরেছি। এটি শুধু ওজন কমানো নয়—এটি নিরাময়, শক্তি এবং আত্মসম্মানেরও প্রতীক; এখনো এগিয়ে চলছি।’
বাঁধন জানান, এই যাত্রায় সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তাঁর মেয়ে। মেয়েই তাঁকে শরীরচর্চা করতে, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে এবং প্রতিদিন নিজেকে বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করেছে। এর আগে বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে বাঁধন জানান, এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম প্রেরণা ছিল তাঁর মেয়ে। বাঁধন বলেন, ‘তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে সবার আগে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। ও চায় উৎসব-এর মতো সিনেমায় আমি কাজ করি। তাই এই চিত্রনাট্য আমার কাছে এগিয়ে ছিল।’
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে বনলতা এক্সপ্রেস। এতে বাঁধনের বিপরীতে আছেন চঞ্চল চৌধুরী। আরও দেখা যাবে মোশাররফ করিম, ইন্তেখাব দিনার, জাকিয়া বারী মম, শরিফুল রাজ, সাবিলা নূর ও শ্যামল মাওলাকে। আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে এই সিনেমা।

এদিকে শুক্রবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত জানালেন, সম্পূর্ণ কাজ শেষে মাস্টার সিনেমাটি এখন সবাইকে দেখানোর জন্য প্রস্তুত। গত বছর এপ্রিলে শেষ হয়েছিল সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমার শুটিং। রাজনৈতিক থ্রিলার ঘরানার মাস্টারের শুটিং-পরবর্তী কাজ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। একটি উপজেলার স্থানীয় রাজনীতি এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। এতে বাঁধনকে দেখা যাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) চরিত্রে। আরও অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, জাকিয়া বারী মম প্রমুখ। নির্মাতা জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়ার পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে মাস্টার।

এ বছরের মাঝামঝি সময়ে বাঁধন শেষ করেছেন দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমার কাজ। ১৩ ডিসেম্বর ফ্রান্সে শুরু হওয়া লেস আর্কস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওয়ার্ক-ইন-প্রোগ্রেস প্রোগ্রামে এই সিনেমার প্রকল্পটি প্রদর্শিত হবে। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ শেষ হবে সম্পূর্ণ কাজ। রুবাইয়াত হোসেনের পরিচালনায় এতে বাঁধনের সহশিল্পী রিকিতা নন্দিনী শিমু, সুনেরাহ বিনতে কামাল, জাইনিন করিম চৌধুরী প্রমুখ।

চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী। এবার তানিম নূরের ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমায় সুরমা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৮ কেজি ওজন কমালেন বাঁধন। আজ থেকে শুরু হবে এই সিনেমার শুটিং। এ ছাড়া ইতিমধ্যে তিনি শেষ করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’ ও রুবাইয়াত হোসেনের ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমার শুটিং।
গত শুক্রবার বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানানো হয়, এতে অভিনয় করছেন বাঁধন। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঁধন জানালেন, নতুন এই সিনেমার জন্য প্রস্তুত হতে তাঁকে কমাতে হয়েছে ১৮ কেজি ওজন। বাঁধন জানালেন, ওজন কমানোর এই পথ সহজ ছিল না তাঁর জন্য। ফেসবুকে বাঁধন লেখেন, ‘৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি—এই যাত্রা সহজ ছিল না। মানসিক স্বাস্থ্য সংগ্রাম, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও জেনেটিক কারণে ওজন বেড়েই যাচ্ছিল। কিন্তু সঠিক চিকিৎসকের নির্দেশনা, ডিসিপ্লিন এবং আত্মবিশ্বাসের জোরে আমি মাত্র ৬ মাসে ১৮ কেজি ওজন কমাতে পেরেছি। এটি শুধু ওজন কমানো নয়—এটি নিরাময়, শক্তি এবং আত্মসম্মানেরও প্রতীক; এখনো এগিয়ে চলছি।’
বাঁধন জানান, এই যাত্রায় সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তাঁর মেয়ে। মেয়েই তাঁকে শরীরচর্চা করতে, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে এবং প্রতিদিন নিজেকে বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করেছে। এর আগে বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে বাঁধন জানান, এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম প্রেরণা ছিল তাঁর মেয়ে। বাঁধন বলেন, ‘তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে সবার আগে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। ও চায় উৎসব-এর মতো সিনেমায় আমি কাজ করি। তাই এই চিত্রনাট্য আমার কাছে এগিয়ে ছিল।’
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে বনলতা এক্সপ্রেস। এতে বাঁধনের বিপরীতে আছেন চঞ্চল চৌধুরী। আরও দেখা যাবে মোশাররফ করিম, ইন্তেখাব দিনার, জাকিয়া বারী মম, শরিফুল রাজ, সাবিলা নূর ও শ্যামল মাওলাকে। আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে এই সিনেমা।

এদিকে শুক্রবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত জানালেন, সম্পূর্ণ কাজ শেষে মাস্টার সিনেমাটি এখন সবাইকে দেখানোর জন্য প্রস্তুত। গত বছর এপ্রিলে শেষ হয়েছিল সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমার শুটিং। রাজনৈতিক থ্রিলার ঘরানার মাস্টারের শুটিং-পরবর্তী কাজ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। একটি উপজেলার স্থানীয় রাজনীতি এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। এতে বাঁধনকে দেখা যাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) চরিত্রে। আরও অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, জাকিয়া বারী মম প্রমুখ। নির্মাতা জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়ার পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে মাস্টার।

এ বছরের মাঝামঝি সময়ে বাঁধন শেষ করেছেন দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমার কাজ। ১৩ ডিসেম্বর ফ্রান্সে শুরু হওয়া লেস আর্কস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওয়ার্ক-ইন-প্রোগ্রেস প্রোগ্রামে এই সিনেমার প্রকল্পটি প্রদর্শিত হবে। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ শেষ হবে সম্পূর্ণ কাজ। রুবাইয়াত হোসেনের পরিচালনায় এতে বাঁধনের সহশিল্পী রিকিতা নন্দিনী শিমু, সুনেরাহ বিনতে কামাল, জাইনিন করিম চৌধুরী প্রমুখ।

একটা কাজে অভিনয় করার পর সেই কাজটি আমার আর ভালো লাগে না। আমার মনে হয় আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। যে কারণে একটা পর্যায়ে আমি হতাশ হয়ে পড়তাম। তাই যখন পরিচালক বলেন ভালো হয়েছে, যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বা দর্শকেরা বলেন ভালো হয়েছে, তখন আমার মনে হয় ভালো হয়েছে।
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা।
১৩ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মারা যান আসামের জনপ্রিয় সংগীতিশিল্পী জুবিন গর্গ। তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দুর্ঘটনার কথা জানালেও অনেকেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়েছিলেন। কেউ কেউ দাবি করছিলেন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে জুবিনকে।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে। পরিচালনা করবেন কাজী আসাদ। প্রাথমিকভাবে সিনেমার নাম রাখা হয়েছে ‘লাইফ লাইন’। নতুন বছরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে এটি।
১৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ওয়েব ফিল্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন মিম। মিম জানান, গল্পটা তাঁর ভালো লেগেছে। আরও জানান, গল্প ভালো না লাগায় এত দিন কাজ করা হয়নি তাঁর। মিম বলেন, ‘অনেকেই জানতে চান, কাজ কম করছি কেন? কারণ গল্পটাই মিলছিল না ঠিকভাবে। গল্প বা কাজের প্রস্তাব তো অনেক আসে, কিন্তু গল্প বা আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো ভালো লাগছিল না। কাজী আসাদ যখন এই গল্পটা শোনালেন এবং আমি চরকিতে তাঁর আগের কাজ দেখলাম, আমার মনে হলো কাজটা করা দরকার।’
এই ওয়েব ফিল্মে একদম নতুনভাবে উপস্থাপন করা হবে মিমকে। কাজী আসাদ বলেন, ‘বিদ্যা সিনহা মিম আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন পরীক্ষিত, মেধাবী এবং গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী। সচরাচর তাঁকে গ্ল্যামার লুকেই দেখি। কিন্তু মজাটাই ওখানে যে তাঁকে কীভাবে ভেঙে নতুন ধরনের চরিত্রে দর্শকদের সামনে হাজির করা যায়। আমরা সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। আশা করছি দর্শকেরা আমার কথা মিলিয়ে নিতে পারবেন।’
এখনই গল্প নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না নির্মাতা। শুধু জানালেন, এটি নির্মিত হবে ইমোশনাল ড্রামা ঘরানায়। গল্প লিখেছেন মাহমুদুল হাসান টিপু ও কাজী আসাদ। নির্মাতার সঙ্গে চিত্রনাট্য করেছেন আসাদুজ্জামান আবীর। এ মাসের শেষ দিকে শুরু হবে শুটিং। এই সিনেমায় মিমের সহশিল্পীদের নাম শিগগির ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে চরকি।

গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে। পরিচালনা করবেন কাজী আসাদ। প্রাথমিকভাবে সিনেমার নাম রাখা হয়েছে ‘লাইফ লাইন’। নতুন বছরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে এটি।
১৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ওয়েব ফিল্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন মিম। মিম জানান, গল্পটা তাঁর ভালো লেগেছে। আরও জানান, গল্প ভালো না লাগায় এত দিন কাজ করা হয়নি তাঁর। মিম বলেন, ‘অনেকেই জানতে চান, কাজ কম করছি কেন? কারণ গল্পটাই মিলছিল না ঠিকভাবে। গল্প বা কাজের প্রস্তাব তো অনেক আসে, কিন্তু গল্প বা আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো ভালো লাগছিল না। কাজী আসাদ যখন এই গল্পটা শোনালেন এবং আমি চরকিতে তাঁর আগের কাজ দেখলাম, আমার মনে হলো কাজটা করা দরকার।’
এই ওয়েব ফিল্মে একদম নতুনভাবে উপস্থাপন করা হবে মিমকে। কাজী আসাদ বলেন, ‘বিদ্যা সিনহা মিম আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন পরীক্ষিত, মেধাবী এবং গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী। সচরাচর তাঁকে গ্ল্যামার লুকেই দেখি। কিন্তু মজাটাই ওখানে যে তাঁকে কীভাবে ভেঙে নতুন ধরনের চরিত্রে দর্শকদের সামনে হাজির করা যায়। আমরা সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। আশা করছি দর্শকেরা আমার কথা মিলিয়ে নিতে পারবেন।’
এখনই গল্প নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না নির্মাতা। শুধু জানালেন, এটি নির্মিত হবে ইমোশনাল ড্রামা ঘরানায়। গল্প লিখেছেন মাহমুদুল হাসান টিপু ও কাজী আসাদ। নির্মাতার সঙ্গে চিত্রনাট্য করেছেন আসাদুজ্জামান আবীর। এ মাসের শেষ দিকে শুরু হবে শুটিং। এই সিনেমায় মিমের সহশিল্পীদের নাম শিগগির ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে চরকি।

একটা কাজে অভিনয় করার পর সেই কাজটি আমার আর ভালো লাগে না। আমার মনে হয় আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। যে কারণে একটা পর্যায়ে আমি হতাশ হয়ে পড়তাম। তাই যখন পরিচালক বলেন ভালো হয়েছে, যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বা দর্শকেরা বলেন ভালো হয়েছে, তখন আমার মনে হয় ভালো হয়েছে।
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা।
১৩ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মারা যান আসামের জনপ্রিয় সংগীতিশিল্পী জুবিন গর্গ। তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দুর্ঘটনার কথা জানালেও অনেকেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়েছিলেন। কেউ কেউ দাবি করছিলেন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে জুবিনকে।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা। গত শুক্রবার মুক্তির ঘোষণা এল আরও এক সিনেমার। ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে আহমেদ হাসান সানি পরিচালিত ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’। এই সিনেমা দিয়ে শেষ হচ্ছে বছর।
এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি সিনেমার গল্পে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা রাজনৈতিক অস্থিরতার নানা প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন নির্মাতা। গত মাস থেকে সিনেমার প্রচার শুরু হয়েছে। গানের পর ট্রেলার প্রকাশের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হলো সিনেমার মুক্তির তারিখ।
আহমেদ হাসান সানি একজন সংগীতশিল্পী। বিজ্ঞাপনচিত্র বানিয়ে নির্মাতা হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’ তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক আলাপের অভ্যাসটা জরুরি। মানুষ যত রাজনৈতিকভাবে সচেতন হবে, তত দেশকে নিয়ে ভাবতে শিখবে। আমরা সারা জীবন দেখে এসেছি হোটেলে, বাসে, রেস্টুরেন্টে বড় করে লেখা থাকে, এখানে রাজনৈতিক আলাপ নিষিদ্ধ। রাজনৈতিক আলাপ করাকে ট্যাবু হিসেবে দেখেছি আমরা। এই ট্যাবুকে ভাঙার লক্ষ্যে সিনেমাটি করা।’
সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম, তানভীর অপূর্ব, এ কে আজাদ সেতু, কেয়া আলমসহ অনেকে। প্রযোজনা করেছেন খালিদ মাহমুদ তূর্য।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা। গত শুক্রবার মুক্তির ঘোষণা এল আরও এক সিনেমার। ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে আহমেদ হাসান সানি পরিচালিত ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’। এই সিনেমা দিয়ে শেষ হচ্ছে বছর।
এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি সিনেমার গল্পে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা রাজনৈতিক অস্থিরতার নানা প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন নির্মাতা। গত মাস থেকে সিনেমার প্রচার শুরু হয়েছে। গানের পর ট্রেলার প্রকাশের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হলো সিনেমার মুক্তির তারিখ।
আহমেদ হাসান সানি একজন সংগীতশিল্পী। বিজ্ঞাপনচিত্র বানিয়ে নির্মাতা হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’ তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক আলাপের অভ্যাসটা জরুরি। মানুষ যত রাজনৈতিকভাবে সচেতন হবে, তত দেশকে নিয়ে ভাবতে শিখবে। আমরা সারা জীবন দেখে এসেছি হোটেলে, বাসে, রেস্টুরেন্টে বড় করে লেখা থাকে, এখানে রাজনৈতিক আলাপ নিষিদ্ধ। রাজনৈতিক আলাপ করাকে ট্যাবু হিসেবে দেখেছি আমরা। এই ট্যাবুকে ভাঙার লক্ষ্যে সিনেমাটি করা।’
সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম, তানভীর অপূর্ব, এ কে আজাদ সেতু, কেয়া আলমসহ অনেকে। প্রযোজনা করেছেন খালিদ মাহমুদ তূর্য।

একটা কাজে অভিনয় করার পর সেই কাজটি আমার আর ভালো লাগে না। আমার মনে হয় আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। যে কারণে একটা পর্যায়ে আমি হতাশ হয়ে পড়তাম। তাই যখন পরিচালক বলেন ভালো হয়েছে, যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বা দর্শকেরা বলেন ভালো হয়েছে, তখন আমার মনে হয় ভালো হয়েছে।
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
১৩ ঘণ্টা আগে
গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মারা যান আসামের জনপ্রিয় সংগীতিশিল্পী জুবিন গর্গ। তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দুর্ঘটনার কথা জানালেও অনেকেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়েছিলেন। কেউ কেউ দাবি করছিলেন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে জুবিনকে।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মারা যান আসামের জনপ্রিয় সংগীতিশিল্পী জুবিন গর্গ। তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দুর্ঘটনার কথা জানালেও অনেকেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়েছিলেন। কেউ কেউ দাবি করছিলেন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে জুবিনকে। রহস্য উন্মোচনে একাধিক তদন্ত দল গঠনের নির্দেশ দেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। গত শুক্রবার আসাম পুলিশের বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) আড়াই হাজার পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছে, যেখানে চারজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দাখিল করা চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালের আয়োজক শ্যামকানু মোহন্ত, জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, ব্যান্ডের ড্রামার শেখর জ্যোতি গোস্বামী এবং গায়িকা অমৃতপ্রভা মোহন্ত। এ ছাড়া জুবিন গর্গের চাচাতো ভাই পুলিশ কর্মকর্তা সন্দীপন গর্গের বিরুদ্ধেও অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তের শুরুতেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জুবিন গর্গের মৃত্যু তদন্তের জন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে এসআইটি (দ্য স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম) গঠন করে আসাম সরকার। ভারতীয় একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত তিন মাসে প্রায় ৩০০ জনকে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। একটি টিম সিঙ্গাপুরে গিয়েও তথ্য-প্রমাণাদি সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়ার পরই জুবিনের সমাধিস্থলে ফুল, মোমবাতি হাতে ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি তিনি, ভেঙে পড়েন কান্নায়। এ সময় গরিমা বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারছি না, জুবিনের মতো মানুষকেও কেউ নিজের স্বার্থে খুন করতে পারে! গোটা জীবন যে মানুষটা অন্যের জন্য বিলিয়ে দিল। নিজের সময়, অর্থ, মন—সবটাই তো চিরকাল বিলিয়ে গেছে সে। গত তিন মাস এসআইটি প্রচুর পরিশ্রম করেছে। যার ফলাফল মানুষের প্রত্যাশার সঙ্গে মিলে গেছে। এখন বাকি সব নির্ভর করছে বিচারব্যবস্থার ওপর। দোষী সাব্যস্তদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে।’

সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মারা যান আসামের জনপ্রিয় সংগীতিশিল্পী জুবিন গর্গ। তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দুর্ঘটনার কথা জানালেও অনেকেই ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়েছিলেন। কেউ কেউ দাবি করছিলেন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে জুবিনকে। রহস্য উন্মোচনে একাধিক তদন্ত দল গঠনের নির্দেশ দেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। গত শুক্রবার আসাম পুলিশের বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) আড়াই হাজার পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করেছে, যেখানে চারজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দাখিল করা চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালের আয়োজক শ্যামকানু মোহন্ত, জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, ব্যান্ডের ড্রামার শেখর জ্যোতি গোস্বামী এবং গায়িকা অমৃতপ্রভা মোহন্ত। এ ছাড়া জুবিন গর্গের চাচাতো ভাই পুলিশ কর্মকর্তা সন্দীপন গর্গের বিরুদ্ধেও অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তের শুরুতেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জুবিন গর্গের মৃত্যু তদন্তের জন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে এসআইটি (দ্য স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম) গঠন করে আসাম সরকার। ভারতীয় একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত তিন মাসে প্রায় ৩০০ জনকে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। একটি টিম সিঙ্গাপুরে গিয়েও তথ্য-প্রমাণাদি সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়ার পরই জুবিনের সমাধিস্থলে ফুল, মোমবাতি হাতে ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জুবিনের স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি তিনি, ভেঙে পড়েন কান্নায়। এ সময় গরিমা বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারছি না, জুবিনের মতো মানুষকেও কেউ নিজের স্বার্থে খুন করতে পারে! গোটা জীবন যে মানুষটা অন্যের জন্য বিলিয়ে দিল। নিজের সময়, অর্থ, মন—সবটাই তো চিরকাল বিলিয়ে গেছে সে। গত তিন মাস এসআইটি প্রচুর পরিশ্রম করেছে। যার ফলাফল মানুষের প্রত্যাশার সঙ্গে মিলে গেছে। এখন বাকি সব নির্ভর করছে বিচারব্যবস্থার ওপর। দোষী সাব্যস্তদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে।’

একটা কাজে অভিনয় করার পর সেই কাজটি আমার আর ভালো লাগে না। আমার মনে হয় আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। যে কারণে একটা পর্যায়ে আমি হতাশ হয়ে পড়তাম। তাই যখন পরিচালক বলেন ভালো হয়েছে, যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বা দর্শকেরা বলেন ভালো হয়েছে, তখন আমার মনে হয় ভালো হয়েছে।
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
১৩ ঘণ্টা আগে
গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা।
১৩ ঘণ্টা আগে