অস্কারের ৯৫ তম আসরে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন মালয়েশীয় অভিনেত্রী মিশেল ইয়ো। প্রথম কোনো এশীয় নারী হিসেবে সেরা অভিনেত্রীর অস্কার জিতলেন তিনি। মজার ব্যাপার হলো—এই মিশেল ইয়ো ক্যারিয়ারের উত্থানকালেই সব ছেড়েছুড়ে বিয়ে করে সংসারী হয়েছিলেন। একজন আদর্শ মা হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি। এক দীর্ঘ নৈরাশ্যের সময় পেরিয়ে আবার ফিরেছেন অভিনয়ে। গত বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন বাসলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেসব কথা বলেছেন মিশেল ইয়ো।
১৯৯০ সালে মিশেল ইয়োর জীবন ছিল বেশ আলাদা। ১৯৮৩ সালে ২৮ বছর বয়সী ইয়ো মিস মালয়েশিয়া হন। এরপর অভিনয় জীবন শুরু। ‘মিশেল খান’ ছদ্মনামে ‘ইয়েস, ম্যাডাম’ এবং ‘ম্যাগনিফিসেন্ট ওয়ারিয়র্স’–এর মতো অ্যাকশন সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ব্যাপক প্রশংসা পান।
ইয়োর ভাষায়, এটা এমন একটা পেশা যার জন্য ভেতরের অন্য মানুষটি খুন হয়ে যাচ্ছিল। তিনি এ জগৎ থেকে দূরে সরতে চেয়েছিলেন। তিনি অন্য একটা জীবন খুঁজছিলেন। ইয়ো বলেন, ‘মা হওয়ার ধারণাটি আমি পছন্দ করতাম।’ স্বাধীন হওয়া বা একটি সমৃদ্ধ কর্মজীবনের পরিবর্তে ‘একজন ভালো মানুষ’ হওয়ার গুরুত্ব তাঁর কাছে ছিল অগ্রাধিকার। ওই সময় ঘরকন্যা এবং রুপালি পর্দা থেকে নজর সরিয়ে রাখার জীবন নিয়েই খুশি ছিলেন।
১৯৮৮ সালে হংকংয়ের ধনকুবের ডিকসন পুনেকে বিয়ে করেন মিশেল ইয়ো। এরপর সংসারের প্রতি মনোযোগ দিতে অভিনয় থেকে বিরতি নেন। মিশেল জানিয়েছেন, অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার পেছনে ডিকসন কিংবা তাঁর পরিবারের কোনো দায় ছিল না। কিন্তু ১৯৯২ সালে মাত্র চার বছরের সংসার জীবনের ইতি টানতে বাধ্য হন।
এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ নিয়ে মিশেল ইয়ো বলেন, ‘ব্যাপারটা খোলাসা হয়ে গেল যে, আমি অক্ষম (সন্তান ধারণে)। আমি যদি নিজের কাছে সৎ থাকি (তাহলে বলতেই হয়), আমি আসলে আমাদের জন্য আগামী ১০টা বছর তিক্ততায় ভরিয়ে তুলতে চাইনি। কারণ এশীয় পরিবারগুলোর একটা অংশ এবং ঐতিহ্য হলো, মানুষ ছেলে এবং মেয়ে সন্তান চায়। এবং যখন আপনি বুঝতে পারেন (যে আপনি সন্তান ধারণে অক্ষম), তখন আপনাকে ব্যাপারটা সামলে নিতে হয়। আপনার দিকে ধেয়ে আসা বিরূপ পরিস্থিতিগুলো আপনাকেই সামলাতে হবে।’
বিচ্ছেদের পর ওই বছরই অভিনয়ে ফেরেন ইয়ো। জ্যাকি চ্যানের সঙ্গে ‘সুপারকপ’ সিনেমায় অসাধারণ অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। এরপর ক্যারিয়ারে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
দীর্ঘদিন একা থাকার পর ২০০৪ সালে সাংহাইতে একটি টুর্নামেন্টে ‘ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি ল’ অটোমোবাইল’–এর সাবেক সভাপতি জিন টডটের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুসারে তাঁরা এর এক বছর পর বাগদান সম্পন্ন করেন। এখনো একসঙ্গে আছেন। তবে মিশেলের কোনো সন্তান হয়নি।
সন্তান না হওয়ার বিষয়ে ইউ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ইয়ো বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমি পারিনি। আমি আইভিএফ (টেস্টটিউব বেবি) পর্যন্ত চেষ্টা করেছি। আসলে আমি সন্তানের জন্য মরিয়া ছিলাম।’
অভিনেত্রী মিশেল ইয়ো অস্কারের ৯৫ তম আসরে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন। ‘এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স’ চলচ্চিত্রে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য এ সম্মাননা পান তিনি। চলচ্চিত্রটি মূলত অ্যাডভেঞ্চারধর্মী। ছবিটির গল্প একজন নারীকে কেন্দ্র করে, যিনি মাল্টিভার্সে নিজের বিভিন্ন সংস্করণ তালাশ করে বেড়ান।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে জমকালো আয়োজনে অস্কারের ৯৫ তম আসরের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ২৩টি শাখায় পুরস্কার বিতরণের আয়োজন শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের সময় ১২ মার্চ রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময় ১৩ মার্চ ভোর ৬ টা)। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন জিমি কিমেল।
অস্কারের ৯৫ তম আসরে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন মালয়েশীয় অভিনেত্রী মিশেল ইয়ো। প্রথম কোনো এশীয় নারী হিসেবে সেরা অভিনেত্রীর অস্কার জিতলেন তিনি। মজার ব্যাপার হলো—এই মিশেল ইয়ো ক্যারিয়ারের উত্থানকালেই সব ছেড়েছুড়ে বিয়ে করে সংসারী হয়েছিলেন। একজন আদর্শ মা হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেননি। এক দীর্ঘ নৈরাশ্যের সময় পেরিয়ে আবার ফিরেছেন অভিনয়ে। গত বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন বাসলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেসব কথা বলেছেন মিশেল ইয়ো।
১৯৯০ সালে মিশেল ইয়োর জীবন ছিল বেশ আলাদা। ১৯৮৩ সালে ২৮ বছর বয়সী ইয়ো মিস মালয়েশিয়া হন। এরপর অভিনয় জীবন শুরু। ‘মিশেল খান’ ছদ্মনামে ‘ইয়েস, ম্যাডাম’ এবং ‘ম্যাগনিফিসেন্ট ওয়ারিয়র্স’–এর মতো অ্যাকশন সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ব্যাপক প্রশংসা পান।
ইয়োর ভাষায়, এটা এমন একটা পেশা যার জন্য ভেতরের অন্য মানুষটি খুন হয়ে যাচ্ছিল। তিনি এ জগৎ থেকে দূরে সরতে চেয়েছিলেন। তিনি অন্য একটা জীবন খুঁজছিলেন। ইয়ো বলেন, ‘মা হওয়ার ধারণাটি আমি পছন্দ করতাম।’ স্বাধীন হওয়া বা একটি সমৃদ্ধ কর্মজীবনের পরিবর্তে ‘একজন ভালো মানুষ’ হওয়ার গুরুত্ব তাঁর কাছে ছিল অগ্রাধিকার। ওই সময় ঘরকন্যা এবং রুপালি পর্দা থেকে নজর সরিয়ে রাখার জীবন নিয়েই খুশি ছিলেন।
১৯৮৮ সালে হংকংয়ের ধনকুবের ডিকসন পুনেকে বিয়ে করেন মিশেল ইয়ো। এরপর সংসারের প্রতি মনোযোগ দিতে অভিনয় থেকে বিরতি নেন। মিশেল জানিয়েছেন, অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার পেছনে ডিকসন কিংবা তাঁর পরিবারের কোনো দায় ছিল না। কিন্তু ১৯৯২ সালে মাত্র চার বছরের সংসার জীবনের ইতি টানতে বাধ্য হন।
এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ নিয়ে মিশেল ইয়ো বলেন, ‘ব্যাপারটা খোলাসা হয়ে গেল যে, আমি অক্ষম (সন্তান ধারণে)। আমি যদি নিজের কাছে সৎ থাকি (তাহলে বলতেই হয়), আমি আসলে আমাদের জন্য আগামী ১০টা বছর তিক্ততায় ভরিয়ে তুলতে চাইনি। কারণ এশীয় পরিবারগুলোর একটা অংশ এবং ঐতিহ্য হলো, মানুষ ছেলে এবং মেয়ে সন্তান চায়। এবং যখন আপনি বুঝতে পারেন (যে আপনি সন্তান ধারণে অক্ষম), তখন আপনাকে ব্যাপারটা সামলে নিতে হয়। আপনার দিকে ধেয়ে আসা বিরূপ পরিস্থিতিগুলো আপনাকেই সামলাতে হবে।’
বিচ্ছেদের পর ওই বছরই অভিনয়ে ফেরেন ইয়ো। জ্যাকি চ্যানের সঙ্গে ‘সুপারকপ’ সিনেমায় অসাধারণ অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। এরপর ক্যারিয়ারে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
দীর্ঘদিন একা থাকার পর ২০০৪ সালে সাংহাইতে একটি টুর্নামেন্টে ‘ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি ল’ অটোমোবাইল’–এর সাবেক সভাপতি জিন টডটের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুসারে তাঁরা এর এক বছর পর বাগদান সম্পন্ন করেন। এখনো একসঙ্গে আছেন। তবে মিশেলের কোনো সন্তান হয়নি।
সন্তান না হওয়ার বিষয়ে ইউ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ইয়ো বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমি পারিনি। আমি আইভিএফ (টেস্টটিউব বেবি) পর্যন্ত চেষ্টা করেছি। আসলে আমি সন্তানের জন্য মরিয়া ছিলাম।’
অভিনেত্রী মিশেল ইয়ো অস্কারের ৯৫ তম আসরে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন। ‘এভরিথিং এভরিহোয়্যার অল অ্যাট ওয়ান্স’ চলচ্চিত্রে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য এ সম্মাননা পান তিনি। চলচ্চিত্রটি মূলত অ্যাডভেঞ্চারধর্মী। ছবিটির গল্প একজন নারীকে কেন্দ্র করে, যিনি মাল্টিভার্সে নিজের বিভিন্ন সংস্করণ তালাশ করে বেড়ান।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে জমকালো আয়োজনে অস্কারের ৯৫ তম আসরের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ২৩টি শাখায় পুরস্কার বিতরণের আয়োজন শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের সময় ১২ মার্চ রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময় ১৩ মার্চ ভোর ৬ টা)। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন জিমি কিমেল।
গত শনিবার হয়ে গেল অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন। ২০২৫-২৮ মেয়াদের সভাপতি হয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। গত কমিটির কিছু কার্যক্রম পড়েছিল প্রশ্নের মুখে। তাই নতুন কমিটির চ্যালেঞ্জটা এবার একটু বেশি। অভিনয়শিল্পী সংঘ নিয়ে নতুন সভাপতি আজাদ আবুল...
১৪ ঘণ্টা আগেকবি জীবনানন্দ দাশের জীবন ও কর্ম অবলম্বনে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাট্যদল থিয়েটার ফ্যাক্টরি। ‘কমলা রঙের বোধ’ নামের নাটকটি রচনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন অলোক বসু। রাজধানীর মহিলা সমিতির মঞ্চে আগামী ৯ মে উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে নাটকটির। একই স্থানে ১০ ও ১১ মে কমলা রঙের বোধ নাটকের আরও চারটি প্রদর্শনী করার...
১৪ ঘণ্টা আগেঅদ্ভুত দাবি ঊর্বশী রাওতেলার। ভারতের উত্তরাখন্ডে নাকি তাঁর নামে রয়েছে মন্দির! সেখানে ভক্তরা পূজা দিতে আসে, প্রদীপ জ্বালায়, নিজেদের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে। তাঁর ছবির নিচে মাথা ঠেকিয়ে করে প্রণাম। ঊর্বশীর এই বিস্ময়কর দাবিতে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। ক্ষোভে ফুঁসছেন উত্তর ভারতের পুরোহিত সম্প্রদায়।
১৪ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের প্রথম দিকের কয়েকজন নারী র্যাপারের একজন জারা। সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সৌদির সীমানা পেরিয়ে তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে থাকছেন। আরবি, ইংরেজির পাশাপাশি সুইডিশ ভাষাতেও সাবলীল এই তরুণী। জানান, আরও একটি ভাষা শেখার ইচ্ছা আছে তাঁর। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গান...
১ দিন আগে