জুবায়ের ইবনে কামাল

বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো তৈরির জন্য দক্ষ কারিগর তৈরির পাশাপাশি বেকারদের হাতেকলমে শিখিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান। মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল থেকে ঘুরে এসে সেই গল্প জানাচ্ছেন জুবায়ের ইবনে কামাল।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানো এসব প্রবাসীর বেশির ভাগই শ্রমিক। অর্থনীতিতে এত বড় ভূমিকা রাখা শ্রমিকেরা কোথায় প্রশিক্ষণ পান?
এই উত্তর খুঁজতে আপনাকে দৃষ্টি ফেরাতে হবে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে। দেশ ও দেশের বাইরে অবকাঠামো উন্নয়নে যাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের হাতেকলমে শিক্ষা দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে অন্যতম মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল (মটস)। এ ট্রেনিং সেন্টারের অবস্থান রাজধানীর পল্লবীতে।
ক্যাম্পাসের এক পাশে সারি সারি আমগাছসহ বিভিন্ন বৃক্ষের সমারোহ, অন্য পাশে প্রশাসনিক ভবন। ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব শিক্ষার্থী স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চান। এ রকম একজনের সঙ্গে কথা হলো সেখানে। তিনি হারুন আহমেদ, এসেছেন দিনাজপুর থেকে। অভাবের সংসারে অষ্টম শ্রেণির বেশি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তাঁর। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা না থাকায় কর্মসংস্থানও জোটেনি। বন্ধুর মাধ্যমে মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের কথা শুনে সেখানে ওয়েল্ডিং শিখতে দেড় মাসের সংক্ষিপ্ত কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। হারুন জানান, এখানে ভর্তি হওয়ার আগে ওয়েল্ডিং সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না তাঁর। ‘এখানে ভর্তি হওয়ার পর স্যার শিখাইল ওয়াল্লিং (ওয়েল্ডিং)। দেড় মাসে ৩০ ক্লাস। ২৬ ক্লাস করছি, এখনই ভালো ফিনিশিং দিতে পারি’, বলছিলেন হারুন।
কথা হলো মটস ইনস্টিটিউট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেমস গোমেজের সঙ্গে। তিনি শোনালেন প্রতিষ্ঠানটি শুরুর ইতিহাস। ‘একাত্তরের আগে এই অঞ্চলে বেশ বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছিল। সত্তর সালের ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই একাত্তর সালে স্বাধীনতাসংগ্রাম। পরপর এই ধাক্কাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তখন দাতব্য সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশ ত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু স্থায়ী ও দীর্ঘ পরিকল্পনা হাতে নেয়। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো এ প্রতিষ্ঠান।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে সিভিল কনস্ট্রাকশন, ইলেকট্রিক, ওয়েল্ডিংসহ বেশ কয়েকটি ট্রেড রয়েছে। এসব ট্রেডের আওতায় শিক্ষার্থীরা স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের কর্মসংস্থানও নিশ্চিত করা হয়।
মটস ইনস্টিটিউটের জব প্লেসমেন্ট অফিসার সুমন পারভেজ জানান, চাকরি দেওয়াটা অত সোজা নয়। তবে হাতেকলমে দক্ষ করে তুলতে পারলে, দেশে কিংবা বিদেশে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ট্রেড ঘুরিয়ে দেখাতে দেখাতে নিজের অভিজ্ঞতা জানান তিনি। কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর গায়ে ছিল কমলা রঙের পোশাক। সুমন জানালেন, কমলা রঙের পোশাক পরা শিক্ষার্থীদের বিদেশের শ্রমিক ভিসা নিশ্চিত হয়ে গেছে। তাঁরা শেষবারের মতো নিজেদের অভিজ্ঞতা ঝালিয়ে নিচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে চাকরি খুঁজে দেওয়ার দায়িত্বে থাকা মানুষটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগ মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
দেড় ও তিন মাসের প্রশিক্ষণের বাইরে তিন ও চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে। তিন বছরের কোর্সে অটোমোবাইল ও মেশিনিস্ট নামে দুটি আলাদা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথম বিষয়টির আওতায় অটোমোবাইল এবং কৃষিকাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিন ও যন্ত্রপাতি সংযোজন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, ওয়েল্ডিং, শিট মেটালসহ ইলেকট্রিক্যাল বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অন্যদিকে মেশিনিস্ট বিষয়ের আওতায় লেদ, মিলিং, ড্রিলিং, গ্রাইন্ডিং ও অন্যান্য মেশিনে যন্ত্রাংশ তৈরি, মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল, মেকানিক্যাল ও অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের সুযোগও রয়েছে এখানে।

বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো তৈরির জন্য দক্ষ কারিগর তৈরির পাশাপাশি বেকারদের হাতেকলমে শিখিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান। মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল থেকে ঘুরে এসে সেই গল্প জানাচ্ছেন জুবায়ের ইবনে কামাল।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানো এসব প্রবাসীর বেশির ভাগই শ্রমিক। অর্থনীতিতে এত বড় ভূমিকা রাখা শ্রমিকেরা কোথায় প্রশিক্ষণ পান?
এই উত্তর খুঁজতে আপনাকে দৃষ্টি ফেরাতে হবে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে। দেশ ও দেশের বাইরে অবকাঠামো উন্নয়নে যাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের হাতেকলমে শিক্ষা দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে অন্যতম মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল (মটস)। এ ট্রেনিং সেন্টারের অবস্থান রাজধানীর পল্লবীতে।
ক্যাম্পাসের এক পাশে সারি সারি আমগাছসহ বিভিন্ন বৃক্ষের সমারোহ, অন্য পাশে প্রশাসনিক ভবন। ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব শিক্ষার্থী স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চান। এ রকম একজনের সঙ্গে কথা হলো সেখানে। তিনি হারুন আহমেদ, এসেছেন দিনাজপুর থেকে। অভাবের সংসারে অষ্টম শ্রেণির বেশি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তাঁর। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা না থাকায় কর্মসংস্থানও জোটেনি। বন্ধুর মাধ্যমে মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের কথা শুনে সেখানে ওয়েল্ডিং শিখতে দেড় মাসের সংক্ষিপ্ত কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। হারুন জানান, এখানে ভর্তি হওয়ার আগে ওয়েল্ডিং সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না তাঁর। ‘এখানে ভর্তি হওয়ার পর স্যার শিখাইল ওয়াল্লিং (ওয়েল্ডিং)। দেড় মাসে ৩০ ক্লাস। ২৬ ক্লাস করছি, এখনই ভালো ফিনিশিং দিতে পারি’, বলছিলেন হারুন।
কথা হলো মটস ইনস্টিটিউট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেমস গোমেজের সঙ্গে। তিনি শোনালেন প্রতিষ্ঠানটি শুরুর ইতিহাস। ‘একাত্তরের আগে এই অঞ্চলে বেশ বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছিল। সত্তর সালের ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই একাত্তর সালে স্বাধীনতাসংগ্রাম। পরপর এই ধাক্কাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তখন দাতব্য সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশ ত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু স্থায়ী ও দীর্ঘ পরিকল্পনা হাতে নেয়। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো এ প্রতিষ্ঠান।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে সিভিল কনস্ট্রাকশন, ইলেকট্রিক, ওয়েল্ডিংসহ বেশ কয়েকটি ট্রেড রয়েছে। এসব ট্রেডের আওতায় শিক্ষার্থীরা স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের কর্মসংস্থানও নিশ্চিত করা হয়।
মটস ইনস্টিটিউটের জব প্লেসমেন্ট অফিসার সুমন পারভেজ জানান, চাকরি দেওয়াটা অত সোজা নয়। তবে হাতেকলমে দক্ষ করে তুলতে পারলে, দেশে কিংবা বিদেশে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ট্রেড ঘুরিয়ে দেখাতে দেখাতে নিজের অভিজ্ঞতা জানান তিনি। কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর গায়ে ছিল কমলা রঙের পোশাক। সুমন জানালেন, কমলা রঙের পোশাক পরা শিক্ষার্থীদের বিদেশের শ্রমিক ভিসা নিশ্চিত হয়ে গেছে। তাঁরা শেষবারের মতো নিজেদের অভিজ্ঞতা ঝালিয়ে নিচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে চাকরি খুঁজে দেওয়ার দায়িত্বে থাকা মানুষটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগ মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
দেড় ও তিন মাসের প্রশিক্ষণের বাইরে তিন ও চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে। তিন বছরের কোর্সে অটোমোবাইল ও মেশিনিস্ট নামে দুটি আলাদা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথম বিষয়টির আওতায় অটোমোবাইল এবং কৃষিকাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিন ও যন্ত্রপাতি সংযোজন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, ওয়েল্ডিং, শিট মেটালসহ ইলেকট্রিক্যাল বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অন্যদিকে মেশিনিস্ট বিষয়ের আওতায় লেদ, মিলিং, ড্রিলিং, গ্রাইন্ডিং ও অন্যান্য মেশিনে যন্ত্রাংশ তৈরি, মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল, মেকানিক্যাল ও অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের সুযোগও রয়েছে এখানে।
জুবায়ের ইবনে কামাল

বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো তৈরির জন্য দক্ষ কারিগর তৈরির পাশাপাশি বেকারদের হাতেকলমে শিখিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান। মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল থেকে ঘুরে এসে সেই গল্প জানাচ্ছেন জুবায়ের ইবনে কামাল।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানো এসব প্রবাসীর বেশির ভাগই শ্রমিক। অর্থনীতিতে এত বড় ভূমিকা রাখা শ্রমিকেরা কোথায় প্রশিক্ষণ পান?
এই উত্তর খুঁজতে আপনাকে দৃষ্টি ফেরাতে হবে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে। দেশ ও দেশের বাইরে অবকাঠামো উন্নয়নে যাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের হাতেকলমে শিক্ষা দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে অন্যতম মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল (মটস)। এ ট্রেনিং সেন্টারের অবস্থান রাজধানীর পল্লবীতে।
ক্যাম্পাসের এক পাশে সারি সারি আমগাছসহ বিভিন্ন বৃক্ষের সমারোহ, অন্য পাশে প্রশাসনিক ভবন। ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব শিক্ষার্থী স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চান। এ রকম একজনের সঙ্গে কথা হলো সেখানে। তিনি হারুন আহমেদ, এসেছেন দিনাজপুর থেকে। অভাবের সংসারে অষ্টম শ্রেণির বেশি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তাঁর। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা না থাকায় কর্মসংস্থানও জোটেনি। বন্ধুর মাধ্যমে মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের কথা শুনে সেখানে ওয়েল্ডিং শিখতে দেড় মাসের সংক্ষিপ্ত কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। হারুন জানান, এখানে ভর্তি হওয়ার আগে ওয়েল্ডিং সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না তাঁর। ‘এখানে ভর্তি হওয়ার পর স্যার শিখাইল ওয়াল্লিং (ওয়েল্ডিং)। দেড় মাসে ৩০ ক্লাস। ২৬ ক্লাস করছি, এখনই ভালো ফিনিশিং দিতে পারি’, বলছিলেন হারুন।
কথা হলো মটস ইনস্টিটিউট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেমস গোমেজের সঙ্গে। তিনি শোনালেন প্রতিষ্ঠানটি শুরুর ইতিহাস। ‘একাত্তরের আগে এই অঞ্চলে বেশ বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছিল। সত্তর সালের ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই একাত্তর সালে স্বাধীনতাসংগ্রাম। পরপর এই ধাক্কাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তখন দাতব্য সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশ ত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু স্থায়ী ও দীর্ঘ পরিকল্পনা হাতে নেয়। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো এ প্রতিষ্ঠান।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে সিভিল কনস্ট্রাকশন, ইলেকট্রিক, ওয়েল্ডিংসহ বেশ কয়েকটি ট্রেড রয়েছে। এসব ট্রেডের আওতায় শিক্ষার্থীরা স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের কর্মসংস্থানও নিশ্চিত করা হয়।
মটস ইনস্টিটিউটের জব প্লেসমেন্ট অফিসার সুমন পারভেজ জানান, চাকরি দেওয়াটা অত সোজা নয়। তবে হাতেকলমে দক্ষ করে তুলতে পারলে, দেশে কিংবা বিদেশে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ট্রেড ঘুরিয়ে দেখাতে দেখাতে নিজের অভিজ্ঞতা জানান তিনি। কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর গায়ে ছিল কমলা রঙের পোশাক। সুমন জানালেন, কমলা রঙের পোশাক পরা শিক্ষার্থীদের বিদেশের শ্রমিক ভিসা নিশ্চিত হয়ে গেছে। তাঁরা শেষবারের মতো নিজেদের অভিজ্ঞতা ঝালিয়ে নিচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে চাকরি খুঁজে দেওয়ার দায়িত্বে থাকা মানুষটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগ মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
দেড় ও তিন মাসের প্রশিক্ষণের বাইরে তিন ও চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে। তিন বছরের কোর্সে অটোমোবাইল ও মেশিনিস্ট নামে দুটি আলাদা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথম বিষয়টির আওতায় অটোমোবাইল এবং কৃষিকাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিন ও যন্ত্রপাতি সংযোজন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, ওয়েল্ডিং, শিট মেটালসহ ইলেকট্রিক্যাল বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অন্যদিকে মেশিনিস্ট বিষয়ের আওতায় লেদ, মিলিং, ড্রিলিং, গ্রাইন্ডিং ও অন্যান্য মেশিনে যন্ত্রাংশ তৈরি, মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল, মেকানিক্যাল ও অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের সুযোগও রয়েছে এখানে।

বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো তৈরির জন্য দক্ষ কারিগর তৈরির পাশাপাশি বেকারদের হাতেকলমে শিখিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান। মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল থেকে ঘুরে এসে সেই গল্প জানাচ্ছেন জুবায়ের ইবনে কামাল।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানো এসব প্রবাসীর বেশির ভাগই শ্রমিক। অর্থনীতিতে এত বড় ভূমিকা রাখা শ্রমিকেরা কোথায় প্রশিক্ষণ পান?
এই উত্তর খুঁজতে আপনাকে দৃষ্টি ফেরাতে হবে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে। দেশ ও দেশের বাইরে অবকাঠামো উন্নয়নে যাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের হাতেকলমে শিক্ষা দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে অন্যতম মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল (মটস)। এ ট্রেনিং সেন্টারের অবস্থান রাজধানীর পল্লবীতে।
ক্যাম্পাসের এক পাশে সারি সারি আমগাছসহ বিভিন্ন বৃক্ষের সমারোহ, অন্য পাশে প্রশাসনিক ভবন। ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব শিক্ষার্থী স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চান। এ রকম একজনের সঙ্গে কথা হলো সেখানে। তিনি হারুন আহমেদ, এসেছেন দিনাজপুর থেকে। অভাবের সংসারে অষ্টম শ্রেণির বেশি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তাঁর। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা না থাকায় কর্মসংস্থানও জোটেনি। বন্ধুর মাধ্যমে মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের কথা শুনে সেখানে ওয়েল্ডিং শিখতে দেড় মাসের সংক্ষিপ্ত কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। হারুন জানান, এখানে ভর্তি হওয়ার আগে ওয়েল্ডিং সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না তাঁর। ‘এখানে ভর্তি হওয়ার পর স্যার শিখাইল ওয়াল্লিং (ওয়েল্ডিং)। দেড় মাসে ৩০ ক্লাস। ২৬ ক্লাস করছি, এখনই ভালো ফিনিশিং দিতে পারি’, বলছিলেন হারুন।
কথা হলো মটস ইনস্টিটিউট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জেমস গোমেজের সঙ্গে। তিনি শোনালেন প্রতিষ্ঠানটি শুরুর ইতিহাস। ‘একাত্তরের আগে এই অঞ্চলে বেশ বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছিল। সত্তর সালের ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই একাত্তর সালে স্বাধীনতাসংগ্রাম। পরপর এই ধাক্কাগুলোতে লাখ লাখ মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তখন দাতব্য সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশ ত্রাণ দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু স্থায়ী ও দীর্ঘ পরিকল্পনা হাতে নেয়। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো এ প্রতিষ্ঠান।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে সিভিল কনস্ট্রাকশন, ইলেকট্রিক, ওয়েল্ডিংসহ বেশ কয়েকটি ট্রেড রয়েছে। এসব ট্রেডের আওতায় শিক্ষার্থীরা স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের কর্মসংস্থানও নিশ্চিত করা হয়।
মটস ইনস্টিটিউটের জব প্লেসমেন্ট অফিসার সুমন পারভেজ জানান, চাকরি দেওয়াটা অত সোজা নয়। তবে হাতেকলমে দক্ষ করে তুলতে পারলে, দেশে কিংবা বিদেশে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ট্রেড ঘুরিয়ে দেখাতে দেখাতে নিজের অভিজ্ঞতা জানান তিনি। কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর গায়ে ছিল কমলা রঙের পোশাক। সুমন জানালেন, কমলা রঙের পোশাক পরা শিক্ষার্থীদের বিদেশের শ্রমিক ভিসা নিশ্চিত হয়ে গেছে। তাঁরা শেষবারের মতো নিজেদের অভিজ্ঞতা ঝালিয়ে নিচ্ছেন। কয়েক বছর ধরে চাকরি খুঁজে দেওয়ার দায়িত্বে থাকা মানুষটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগ মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
দেড় ও তিন মাসের প্রশিক্ষণের বাইরে তিন ও চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্স রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে। তিন বছরের কোর্সে অটোমোবাইল ও মেশিনিস্ট নামে দুটি আলাদা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথম বিষয়টির আওতায় অটোমোবাইল এবং কৃষিকাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিন ও যন্ত্রপাতি সংযোজন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, ওয়েল্ডিং, শিট মেটালসহ ইলেকট্রিক্যাল বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অন্যদিকে মেশিনিস্ট বিষয়ের আওতায় লেদ, মিলিং, ড্রিলিং, গ্রাইন্ডিং ও অন্যান্য মেশিনে যন্ত্রাংশ তৈরি, মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল, মেকানিক্যাল ও অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের সুযোগও রয়েছে এখানে।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো তৈরির জন্য দক্ষ কারিগর তৈরির পাশাপাশি বেকারদের হাতেকলমে শিখিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান। মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল থেকে ঘুরে এসে সেই গল্প
০৬ আগস্ট ২০২৩
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো তৈরির জন্য দক্ষ কারিগর তৈরির পাশাপাশি বেকারদের হাতেকলমে শিখিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান। মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল থেকে ঘুরে এসে সেই গল্প
০৬ আগস্ট ২০২৩
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৭ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেআব্দুর রাজ্জাক খান

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো তৈরির জন্য দক্ষ কারিগর তৈরির পাশাপাশি বেকারদের হাতেকলমে শিখিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান। মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল থেকে ঘুরে এসে সেই গল্প
০৬ আগস্ট ২০২৩
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেনওসাদ আল সাইম

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো তৈরির জন্য দক্ষ কারিগর তৈরির পাশাপাশি বেকারদের হাতেকলমে শিখিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান। মিরপুর অ্যাগ্রিকালচার ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং স্কুল থেকে ঘুরে এসে সেই গল্প
০৬ আগস্ট ২০২৩
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১০ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগে