Ajker Patrika

বিইউএফটি-তে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সংমিশ্রণে শৈল্পিক অভিজাত্য প্রদর্শনী

শিক্ষা ডেস্ক
ফ্যাশন প্রদর্শনী ‘শৈল্পিক অভিজাত্য’। ছবি: সংগৃহীত
ফ্যাশন প্রদর্শনী ‘শৈল্পিক অভিজাত্য’। ছবি: সংগৃহীত

বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) আয়োজন করেছে ব্যতিক্রমধর্মী ফ্যাশন প্রদর্শনী ‘শৈল্পিক অভিজাত্য’। যেখানে ব্যাচেলর অব ফ্যাশন স্টাডিজের ২২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বাংলার ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রশিল্পকে আধুনিক ও টেকসই ফ্যাশনের সংমিশ্রণে নতুন মাত্রায় উপস্থাপন করেছেন।

১০ ও ১১ মার্চে অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনীতে জামদানি, ট্রাইবাল ফ্যাব্রিক, হ্যান্ডলুম টেক্সটাইল ও গামছা বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়। এগুলোকে আধুনিক ফ্যাশন থিমের সঙ্গে মিলিয়ে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেমন পাঙ্ক অনুপ্রাণিত সিলুয়েট ও এক্সপেরিমেন্টাল ড্র্যাপিং। বিশেষত, গামছা-পাঙ্ক ফিউশন ডিজাইনে হস্তনির্মিত গামছার কাপড়কে অভিনব স্টাইলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সায়ানো ডাইয়ের ব্যবহার, যা প্রাকৃতিক ও সাসটেইনেবল রঙের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আধুনিক ডাইং প্রযুক্তির এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ ছাড়া টাই-ডাই ও বিডওয়ার্কের সংযোজন ডিজাইনে গভীরতা ও নিখুঁত কারুকাজের ছাপ এনেছে।

এটি শুধু একটি ফ্যাশন প্রদর্শনী ছিল না, বরং শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয় তুলে ধরেছেন, যেমন মানসিক স্বাস্থ্য, আসক্তি, বডি পজিটিভিটি ও পরিবেশগত সচেতনতা। কিছু ডিজাইন ভিটিলিগো থিমে তৈরি করা হয়েছিল, যা প্রচলিত সৌন্দর্যের মানদণ্ডকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বৈচিত্র্য ও সহনশীলতাকে তুলে ধরেছে। অন্য কিছু ডিজাইনে মানসিক স্বাস্থ্য ও আসক্তির জটিলতা ফুটিয়ে তোলার জন্য ডিস্ট্রেসড টেক্সচার, অ্যাসিমেট্রিক্যাল কাটস ও লেয়ারড ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে, যা উদ্বেগ, বিষণ্ণতা ও মাদকের আসক্তির মতো মানসিক সংকটের প্রতিচ্ছবি বহন করে।

ঐতিহ্য ও উদ্ভাবনের অসাধারণ মিশ্রণে শিক্ষার্থীদের সৃষ্ট নকশাগুলো দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। এই প্রদর্শনী ফ্যাশনকে শুধু নান্দনিকতার গণ্ডিতে আবদ্ধ না রেখে একটি শিল্পমাধ্যম ও সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরেছে। বিইউএফটির শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছেন, ঐতিহ্যের নতুন ব্যাখ্যার মাধ্যমে ভবিষ্যৎবান্ধব ও টেকসই ফ্যাশনের সম্ভাবনা অনন্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত