Ajker Patrika

ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা আয়

মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৪৬
Thumbnail image

আজহারুল ইসলাম আশিক। পড়াশোনা করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে। তবে এর বাইরে তাঁর আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি সরকারি তালিকাভুক্ত একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। তিন বছর ধরে ফ্রিল্যান্সিং করে তিনি প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা দিয়ে তিনি বানিয়েছেন বাড়ি, কিনেছেন শখের মোটরসাইকেল ও ক্যামেরা। 

যেভাবে শুরু
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার আশিক ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন ২০১৩ সালে। তখন তিনি নবম শ্রেণিতে পড়তেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তাঁর দূরসম্পর্কের এক চাচা তখন ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর টাকা আয় করতেন। মূলত তাঁর মাধ্যমেই আশিকের ফ্রিল্যান্সিংয়ে হাতেখড়ি। সে বছর ঈদের বন্ধে সেই চাচা আশিকদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আশিক তাঁর কাছে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান। তিনি আশিকের আগ্রহ দেখে একটি কাজ দেন। একপর্যায়ে আশিক ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করতে থাকেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এভাবেই চলতে লাগল। এ সময় ইউটিউব থেকে সামান্য পরিমাণ আয় হতো আশিকের। ২০১৮ সালের মার্চে হোয়াইট বোর্ড অ্যানিমেশন শিখে ফাইবারে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে ৫ ডলারের একটা কাজ করেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জগতে এটাই তাঁর প্রথম কাজ। তবে কাজ তেমন ভালো না হওয়ায় আবারও শেখার প্রতি মনোযোগী হন তিনি। 

করোনাকাল যখন আশীর্বাদ
২০২০ সালের আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে আশিক তাঁর বিভিন্ন দক্ষতা ক্লায়েন্টদের অফার করলেন। ক্লায়েন্টরা তাঁর প্রোফাইল দেখে নভেম্বর মাস থেকে কাজ দেওয়া শুরু করেন। ডিসেম্বর মাসে প্রথম তিনি ৪৫ হাজার টাকা আয় করেন। চার মাসের মাথায় তাঁর আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ লাখ টাকায়। এর পর থেকে প্রতি মাসে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা করে গড়ে আয় হতে থাকে। 

বানিয়েছেন বাড়ি, কিনছেন বাইক-ক্যামেরা
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার এক বছরের মাথায় আশিক নিজের আয় ও বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয় করে একটি বাড়ি বানিয়ে ফেলেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি কিনে ফেলেন শখের মোটরসাইকেল ও ক্যামেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত