মার্ক জাকারবার্গ, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, ফেসবুক
হার্ভার্ডের পড়াশোনা শেষ করেননি ফেসবুকের সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তাই স্নাতক ডিগ্রিও জোটেনি। কিন্তু তাঁর এই আক্ষেপ ঘোচে ‘ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি পেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালে তাঁকে এই ডিগ্রি দেয়। সম্মানসূচক সেই ডিগ্রি নিতে বাবা-মাকে নিয়ে হার্ভার্ডে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু কথা বলেছিলেন। সেগুলোর খণ্ডাংশ এখানে তুলে ধরা হলো।
আপনারা হার্ভার্ডে ভর্তির সুযোগ যেদিন পেয়েছিলেন, সেদিনের কথা স্পষ্ট মনে আছে? আমার আছে। আমি রুমে বসে সিভিলাইজেশন গেমটি খেলছিলাম। মেইল পেয়ে দ্রুত নিচে নেমে বাবাকে জানালাম। তিনি আমার মেইল খোলার দৃশ্যটি ভিডিও করলেন। প্রথম দিন কম্পিউটার সায়েন্স ক্লাসে আসতে দেরি হয়েছিল। তাড়াহুড়োয় টি-শার্টও উল্টো করে পরেছিলাম। আমাকে কেউ সেটা বলেনি।
এখানে এসে ফেসম্যাশ বানিয়েছিলাম বলেই প্রিসিলাকে (স্ত্রী) পেয়েছিলাম। এমন কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল, যারা এখনো আমার বন্ধু। এ জন্য আমি হার্ভার্ডের কাছে কৃতজ্ঞ।
আপনারা যা পেরেছেন, আমি তা পারিনি। এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলা শেষ করতে পারলে প্রথমবারের মতো হার্ভার্ডের কোনো যাত্রা শেষ হবে।
আজ আমি উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলব। এ নিয়ে একটি গল্প আছে। একবার প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি নাসা স্পেস সেন্টারে এসেছিলেন। এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে তিনি দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করলেন: এখানে তাঁর কাজ কী? তিনি বললেন, তিনি মানুষকে চাঁদে পাঠাতে সাহায্য করছেন।
আপনি যখন বড় কোনো উদ্দেশ্য সফল করতে নিজের চাহিদাকে কম গুরুত্ব দেবেন, তখনই ভালো কিছু হবে। অনেকেই ফেসবুক কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি বিক্রি করতে রাজি হইনি। আমার ওপর অনেক চাপ ছিল। ফেসবুক তৈরির সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেই বিক্রির পক্ষে মত দিয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছোট ছিল। কিন্তু আমি দেখতে চেয়েছিলাম, কীভাবে আরও বেশি মানুষকে এতে যুক্ত করা যায়। এই বিশ্ব কীভাবে চলে, সে সম্পর্কে ২২ বছর বয়সে আমার কোনো ধারণা ছিল না। বড় উদ্দেশ্য না থাকলে কীভাবে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, সেটা এখন আমি জানি।
আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন, কীভাবে এমন কিছু শুরু করব, যাতে লাখ লাখ মানুষ অংশ নেবে। আসলে কাজে নামার আগে কোনো ধারণাই পুরোপুরিভাবে প্রকাশ পায় না। যদি আমি শুরুতেই জানতাম, মানুষকে ভার্চুয়ালি কীভাবে যুক্ত করা যায়, তাহলে হয়তো ফেসবুকই বানাতাম না।
সিনেমা আর বাস্তবতা ভিন্ন। ভালো একটি আইডিয়া থাকলেই জীবন বদলে যায়—এটা একটা ভয়ংকর মিথ্যা। এমন চিন্তাভাবনা মানুষকে কাজ করতে বাধা দেয়। ফেসবুক তৈরির আগে আমি গেম, চ্যাট সিস্টেম, পড়াশোনার টুল ও মিউজিক প্লেয়ার বানিয়েছি। সেগুলো কিন্তু সফল হয়নি।
আদর্শবাদী হওয়া ভালো। কিন্তু জেনে রাখো, মানুষ তোমাকে পাগল বলবে, ভুলও বুঝবে। কিছু লোক তোমাকে টেনে নিচে নামাবে। এসবের ভয়ে অনেকে কাজ শুরু করে না। তবে যা–ই করো না কেন, এর প্রভাব ভবিষ্যতের ওপর পড়বে। আমাদের প্রজন্মকেই পৃথিবী বাঁচানোর লড়াইয়ে নামতে হবে। বিভিন্ন রোগের ওষুধ বের করতে হবে, সোলার প্যানেল তৈরি ও স্থাপনে অবদান রাখতে হবে। আলাদাভাবে কিছু শেখার সুযোগ তৈরি করতে হবে। অনলাইনে যাতে ভোট দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এ লক্ষ্যগুলো আমাদের আয়ত্তের মধ্যেই আছে। শুধু সফল হলে হবে না। মানুষের কল্যাণ হয়, এমন কিছু করতে হবে।
আমি অনেক উদ্যোক্তাকে চিনি। কিন্তু এমন কাউকে চিনি না, যে আয় করতে পারবে না বলে ব্যবসা শুরু করেনি। ব্যবসায় ক্ষতি হলে তা পুষিয়ে নেওয়ার সামর্থ্যই তাদের নেই। এ কারণে আইডিয়াগুলোকে তারা বাস্তব রূপ দিতে পারেনি।
শুধু ভালো আইডিয়া থাকলে আর কঠোর পরিশ্রম করলেই সফল হওয়া যায় না। সৌভাগ্যও প্রয়োজন হয়। পরিবারের জন্য অর্থ আয়ের চাপ থাকলে আমি কোডিংয়ে সময় দিতে পারতাম না। ফেসবুক ব্যর্থ হলেও আমার সমস্যা হবে না—এটা মাথায় ছিল বলেই হার্ভার্ডে এসে বক্তৃতা দিতে পারছি।
সূত্র: দ্য হার্ভার্ড গ্যাজেট
অনুবাদ: আনিকা জীনাত
হার্ভার্ডের পড়াশোনা শেষ করেননি ফেসবুকের সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তাই স্নাতক ডিগ্রিও জোটেনি। কিন্তু তাঁর এই আক্ষেপ ঘোচে ‘ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি পেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৭ সালে তাঁকে এই ডিগ্রি দেয়। সম্মানসূচক সেই ডিগ্রি নিতে বাবা-মাকে নিয়ে হার্ভার্ডে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু কথা বলেছিলেন। সেগুলোর খণ্ডাংশ এখানে তুলে ধরা হলো।
আপনারা হার্ভার্ডে ভর্তির সুযোগ যেদিন পেয়েছিলেন, সেদিনের কথা স্পষ্ট মনে আছে? আমার আছে। আমি রুমে বসে সিভিলাইজেশন গেমটি খেলছিলাম। মেইল পেয়ে দ্রুত নিচে নেমে বাবাকে জানালাম। তিনি আমার মেইল খোলার দৃশ্যটি ভিডিও করলেন। প্রথম দিন কম্পিউটার সায়েন্স ক্লাসে আসতে দেরি হয়েছিল। তাড়াহুড়োয় টি-শার্টও উল্টো করে পরেছিলাম। আমাকে কেউ সেটা বলেনি।
এখানে এসে ফেসম্যাশ বানিয়েছিলাম বলেই প্রিসিলাকে (স্ত্রী) পেয়েছিলাম। এমন কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল, যারা এখনো আমার বন্ধু। এ জন্য আমি হার্ভার্ডের কাছে কৃতজ্ঞ।
আপনারা যা পেরেছেন, আমি তা পারিনি। এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলা শেষ করতে পারলে প্রথমবারের মতো হার্ভার্ডের কোনো যাত্রা শেষ হবে।
আজ আমি উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলব। এ নিয়ে একটি গল্প আছে। একবার প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি নাসা স্পেস সেন্টারে এসেছিলেন। এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে তিনি দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করলেন: এখানে তাঁর কাজ কী? তিনি বললেন, তিনি মানুষকে চাঁদে পাঠাতে সাহায্য করছেন।
আপনি যখন বড় কোনো উদ্দেশ্য সফল করতে নিজের চাহিদাকে কম গুরুত্ব দেবেন, তখনই ভালো কিছু হবে। অনেকেই ফেসবুক কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি বিক্রি করতে রাজি হইনি। আমার ওপর অনেক চাপ ছিল। ফেসবুক তৈরির সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেই বিক্রির পক্ষে মত দিয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছোট ছিল। কিন্তু আমি দেখতে চেয়েছিলাম, কীভাবে আরও বেশি মানুষকে এতে যুক্ত করা যায়। এই বিশ্ব কীভাবে চলে, সে সম্পর্কে ২২ বছর বয়সে আমার কোনো ধারণা ছিল না। বড় উদ্দেশ্য না থাকলে কীভাবে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, সেটা এখন আমি জানি।
আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন, কীভাবে এমন কিছু শুরু করব, যাতে লাখ লাখ মানুষ অংশ নেবে। আসলে কাজে নামার আগে কোনো ধারণাই পুরোপুরিভাবে প্রকাশ পায় না। যদি আমি শুরুতেই জানতাম, মানুষকে ভার্চুয়ালি কীভাবে যুক্ত করা যায়, তাহলে হয়তো ফেসবুকই বানাতাম না।
সিনেমা আর বাস্তবতা ভিন্ন। ভালো একটি আইডিয়া থাকলেই জীবন বদলে যায়—এটা একটা ভয়ংকর মিথ্যা। এমন চিন্তাভাবনা মানুষকে কাজ করতে বাধা দেয়। ফেসবুক তৈরির আগে আমি গেম, চ্যাট সিস্টেম, পড়াশোনার টুল ও মিউজিক প্লেয়ার বানিয়েছি। সেগুলো কিন্তু সফল হয়নি।
আদর্শবাদী হওয়া ভালো। কিন্তু জেনে রাখো, মানুষ তোমাকে পাগল বলবে, ভুলও বুঝবে। কিছু লোক তোমাকে টেনে নিচে নামাবে। এসবের ভয়ে অনেকে কাজ শুরু করে না। তবে যা–ই করো না কেন, এর প্রভাব ভবিষ্যতের ওপর পড়বে। আমাদের প্রজন্মকেই পৃথিবী বাঁচানোর লড়াইয়ে নামতে হবে। বিভিন্ন রোগের ওষুধ বের করতে হবে, সোলার প্যানেল তৈরি ও স্থাপনে অবদান রাখতে হবে। আলাদাভাবে কিছু শেখার সুযোগ তৈরি করতে হবে। অনলাইনে যাতে ভোট দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এ লক্ষ্যগুলো আমাদের আয়ত্তের মধ্যেই আছে। শুধু সফল হলে হবে না। মানুষের কল্যাণ হয়, এমন কিছু করতে হবে।
আমি অনেক উদ্যোক্তাকে চিনি। কিন্তু এমন কাউকে চিনি না, যে আয় করতে পারবে না বলে ব্যবসা শুরু করেনি। ব্যবসায় ক্ষতি হলে তা পুষিয়ে নেওয়ার সামর্থ্যই তাদের নেই। এ কারণে আইডিয়াগুলোকে তারা বাস্তব রূপ দিতে পারেনি।
শুধু ভালো আইডিয়া থাকলে আর কঠোর পরিশ্রম করলেই সফল হওয়া যায় না। সৌভাগ্যও প্রয়োজন হয়। পরিবারের জন্য অর্থ আয়ের চাপ থাকলে আমি কোডিংয়ে সময় দিতে পারতাম না। ফেসবুক ব্যর্থ হলেও আমার সমস্যা হবে না—এটা মাথায় ছিল বলেই হার্ভার্ডে এসে বক্তৃতা দিতে পারছি।
সূত্র: দ্য হার্ভার্ড গ্যাজেট
অনুবাদ: আনিকা জীনাত
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের এক বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। ২৯ জুলাই, মঙ্গলবার ঢাকায় ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেস্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত হয়েছে ‘ফোরাম অ্যান্ড ক্লাব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪’। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার-এর আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেকর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখার কৌশলের জন্য জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ফাইভ এস পদ্ধতি। ধরুন, সকালে অফিসে ঢুকেই দেখলেন, ডেস্কটা জগাখিচুড়ি। কলম খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকারি নোট কোথায় রেখেছেন মনে নেই, চারপাশে কাগজের পাহাড়। এমন অবস্থায় কাজ শুরু করা কি সহজ?
১৯ ঘণ্টা আগেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ৩৪ হাজার শূন্যপদ পূরণে উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে সরাসরি নিয়োগযোগ্য ২ হাজার ৩৮২টি পদে নিয়োগের চাহিদার তথ্য জানিয়ে সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর বাকি পদগুলো মামলা শেষে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
১ দিন আগে