এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
কর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখার কৌশলের জন্য জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ফাইভ এস পদ্ধতি। এ পদ্ধতি নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
ধরুন, সকালে অফিসে ঢুকেই দেখলেন, ডেস্কটা জগাখিচুড়ি। কলম খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকারি নোট কোথায় রেখেছেন মনে নেই, চারপাশে কাগজের পাহাড়। এমন অবস্থায় কাজ শুরু করা কি সহজ? মোটেই নয়। এ সমস্যার সমাধান খুঁজতেই জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ‘ফাইভ এস’ পদ্ধতি। এ পদ্ধতির মূলকথা হলো, আপনার কাজের জায়গা যদি গোছানো থাকে, তাহলে কাজ করা হবে সহজ, দ্রুত ও নির্ভুল। শুধু অফিসে নয়, এ নিয়ম আপনার পড়ার টেবিল এমনকি জীবনযাপনেও বদল এনে দিতে পারে। জাপানের শিল্পবিপ্লবের সময় এ কৌশলের উদ্ভব হয় এবং পরবর্তী সময়ে তা বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা ও মান বজায় রেখে কর্মপরিবেশ উন্নত করার এমন কৌশল সচেতন ব্যবস্থাপনার চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে।
‘ফাইভ এস’ কী
‘ফাইভ এস’ (5S) হলো পাঁচটি জাপানি শব্দের আদ্যক্ষর, যার প্রতিটি আপনাকে শেখায় কীভাবে একটা জায়গা গুছিয়ে, পরিষ্কার রেখে এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজের গতি বাড়ানো যায়। ১৯৫০-এর দশকে জাপানের টয়োটা মোটর কোম্পানিতে উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা আনার উদ্দেশ্যে ‘টয়োটা প্রোডাকশন সিস্টেম’ চালু হয়। এই ব্যবস্থার একটি অংশ ছিল ফাইভ এস, যা পরে একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপনা কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়। Kaizen (ধারাবাহিক উন্নয়ন) নীতির অন্তর্ভুক্ত এ কৌশল ব্যবস্থাপনার জগৎকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয়। পাঁচটি ধাপ—
বাছাই করুন (Seiri)
যে জিনিসগুলো প্রয়োজনীয় নয়, সেগুলোকে কর্মপরিবেশ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এতে জায়গা খালি হয়, বিশৃঙ্খলা কমে এবং দরকারি জিনিসগুলো খুঁজে পেতে সহজ হয়। আমরা প্রতিদিন কত অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমিয়ে রাখি পুরোনো ম্যাগাজিন, নষ্ট কলম, ফেলে দেওয়ার মতো ফাইল! Seiri শেখায় কীভাবে দরকারি আর অদরকারি জিনিস আলাদা করে জায়গা ফাঁকা করা যায়।
গুছিয়ে রাখুন (Seiton)
প্রয়োজনীয় জিনিস এমনভাবে রাখুন, যাতে প্রয়োজনের সময় সহজে পাওয়া যায়। যেমন ধরুন, খাতা-কলম বা প্রতিদিন পড়েন এমন কোনো বই যদি প্রতিদিন আলাদা জায়গায় রাখেন, তাহলে প্রতিবার খুঁজতে সময় যাবে। Seiton বলে, ‘প্রতিটি জিনিসের একটা নির্দিষ্ট জায়গা থাকা উচিত।’ বাসায় প্রয়োগ করুন: অফিসে যেসব ফাইল প্রয়োজন হয়, সেগুলো হাতের নাগালে রাখুন। আর যেগুলো কম প্রয়োজন, সেগুলো আলমারি বা ডেস্কে রাখতে পারেন।
পরিষ্কার করুন (Seiso)
শুধু গুছিয়ে রাখলেই হবে না, নিয়মিত পরিষ্কার করাও জরুরি। জাপানের অফিস বা কারখানায় প্রত্যেক কর্মী নিজের টেবিল, এমনকি যন্ত্রপাতি নিজে পরিষ্কার করেন। এতে পরিবেশ যেমন ভালো থাকে, তেমনি নিজের জিনিস নিয়েও সচেতনতা বাড়ে।
বাসায় প্রয়োগ করুন: প্রতিদিন ৫ মিনিট করে নিজের পড়ার টেবিল বা অফিস ডেস্ক পরিষ্কার করুন।
নিয়ম বানান (Seiketsu)
এই তিন ধাপ যেন একবার করে করে থেমে না যায়, সেটাই Seiketsu-র শিক্ষা। তাই তারা নিয়ম বানায় প্রতিদিন সকালে পরিষ্কার করা, সপ্তাহে এক দিন রিভিউ করা, লেবেল আপডেট রাখা। বাসায় প্রয়োগ করুন: প্রতি শনিবার আলমারি বা ফ্রিজ গোছানোর ‘পরিবার দিবস’ চালু করুন।
শৃঙ্খলা বজায় রাখুন (Shitsuke)
যেকোনো অভ্যাস টিকিয়ে রাখতে লাগে শৃঙ্খলা, ধৈর্য ও নিজস্ব দায়বদ্ধতা। জাপানিরা এ ধাপকে খুব গুরুত্ব দেন। কারণ, তাঁরা বিশ্বাস করেন, গুছিয়ে রাখার অভ্যাস শুধু জিনিসপত্রে নয়, জীবনেও শৃঙ্খলা আনে। ছোটদের শেখান জিনিসপত্র ব্যবহারের পর যেখানে ছিল, সেখানে রেখে দিতে।
কোথায় কোথায় ফাইভ এস কাজ করে? অফিসে: সময় বাঁচে, ভুল কমে, পরিবেশ হয় পেশাদার।
স্কুলে: শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হয়।
হাসপাতালে: নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন চিকিৎসা পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
ঘরে: সময়, জায়গা ও মানসিক চাপ কমে।
‘ফাইভ এস’ শুধু একটি কাজের কৌশল নয়, এটি একটি জীবনদর্শন। এটি শেখায় কীভাবে ছোট ছোট অভ্যাস আপনাকে একজন গোছানো, সময়সচেতন ও দায়িত্ববান মানুষে রূপান্তর করতে পারে।
কর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখার কৌশলের জন্য জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ফাইভ এস পদ্ধতি। এ পদ্ধতি নিয়ে লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
ধরুন, সকালে অফিসে ঢুকেই দেখলেন, ডেস্কটা জগাখিচুড়ি। কলম খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকারি নোট কোথায় রেখেছেন মনে নেই, চারপাশে কাগজের পাহাড়। এমন অবস্থায় কাজ শুরু করা কি সহজ? মোটেই নয়। এ সমস্যার সমাধান খুঁজতেই জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ‘ফাইভ এস’ পদ্ধতি। এ পদ্ধতির মূলকথা হলো, আপনার কাজের জায়গা যদি গোছানো থাকে, তাহলে কাজ করা হবে সহজ, দ্রুত ও নির্ভুল। শুধু অফিসে নয়, এ নিয়ম আপনার পড়ার টেবিল এমনকি জীবনযাপনেও বদল এনে দিতে পারে। জাপানের শিল্পবিপ্লবের সময় এ কৌশলের উদ্ভব হয় এবং পরবর্তী সময়ে তা বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা ও মান বজায় রেখে কর্মপরিবেশ উন্নত করার এমন কৌশল সচেতন ব্যবস্থাপনার চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে।
‘ফাইভ এস’ কী
‘ফাইভ এস’ (5S) হলো পাঁচটি জাপানি শব্দের আদ্যক্ষর, যার প্রতিটি আপনাকে শেখায় কীভাবে একটা জায়গা গুছিয়ে, পরিষ্কার রেখে এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজের গতি বাড়ানো যায়। ১৯৫০-এর দশকে জাপানের টয়োটা মোটর কোম্পানিতে উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা আনার উদ্দেশ্যে ‘টয়োটা প্রোডাকশন সিস্টেম’ চালু হয়। এই ব্যবস্থার একটি অংশ ছিল ফাইভ এস, যা পরে একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপনা কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়। Kaizen (ধারাবাহিক উন্নয়ন) নীতির অন্তর্ভুক্ত এ কৌশল ব্যবস্থাপনার জগৎকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয়। পাঁচটি ধাপ—
বাছাই করুন (Seiri)
যে জিনিসগুলো প্রয়োজনীয় নয়, সেগুলোকে কর্মপরিবেশ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এতে জায়গা খালি হয়, বিশৃঙ্খলা কমে এবং দরকারি জিনিসগুলো খুঁজে পেতে সহজ হয়। আমরা প্রতিদিন কত অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমিয়ে রাখি পুরোনো ম্যাগাজিন, নষ্ট কলম, ফেলে দেওয়ার মতো ফাইল! Seiri শেখায় কীভাবে দরকারি আর অদরকারি জিনিস আলাদা করে জায়গা ফাঁকা করা যায়।
গুছিয়ে রাখুন (Seiton)
প্রয়োজনীয় জিনিস এমনভাবে রাখুন, যাতে প্রয়োজনের সময় সহজে পাওয়া যায়। যেমন ধরুন, খাতা-কলম বা প্রতিদিন পড়েন এমন কোনো বই যদি প্রতিদিন আলাদা জায়গায় রাখেন, তাহলে প্রতিবার খুঁজতে সময় যাবে। Seiton বলে, ‘প্রতিটি জিনিসের একটা নির্দিষ্ট জায়গা থাকা উচিত।’ বাসায় প্রয়োগ করুন: অফিসে যেসব ফাইল প্রয়োজন হয়, সেগুলো হাতের নাগালে রাখুন। আর যেগুলো কম প্রয়োজন, সেগুলো আলমারি বা ডেস্কে রাখতে পারেন।
পরিষ্কার করুন (Seiso)
শুধু গুছিয়ে রাখলেই হবে না, নিয়মিত পরিষ্কার করাও জরুরি। জাপানের অফিস বা কারখানায় প্রত্যেক কর্মী নিজের টেবিল, এমনকি যন্ত্রপাতি নিজে পরিষ্কার করেন। এতে পরিবেশ যেমন ভালো থাকে, তেমনি নিজের জিনিস নিয়েও সচেতনতা বাড়ে।
বাসায় প্রয়োগ করুন: প্রতিদিন ৫ মিনিট করে নিজের পড়ার টেবিল বা অফিস ডেস্ক পরিষ্কার করুন।
নিয়ম বানান (Seiketsu)
এই তিন ধাপ যেন একবার করে করে থেমে না যায়, সেটাই Seiketsu-র শিক্ষা। তাই তারা নিয়ম বানায় প্রতিদিন সকালে পরিষ্কার করা, সপ্তাহে এক দিন রিভিউ করা, লেবেল আপডেট রাখা। বাসায় প্রয়োগ করুন: প্রতি শনিবার আলমারি বা ফ্রিজ গোছানোর ‘পরিবার দিবস’ চালু করুন।
শৃঙ্খলা বজায় রাখুন (Shitsuke)
যেকোনো অভ্যাস টিকিয়ে রাখতে লাগে শৃঙ্খলা, ধৈর্য ও নিজস্ব দায়বদ্ধতা। জাপানিরা এ ধাপকে খুব গুরুত্ব দেন। কারণ, তাঁরা বিশ্বাস করেন, গুছিয়ে রাখার অভ্যাস শুধু জিনিসপত্রে নয়, জীবনেও শৃঙ্খলা আনে। ছোটদের শেখান জিনিসপত্র ব্যবহারের পর যেখানে ছিল, সেখানে রেখে দিতে।
কোথায় কোথায় ফাইভ এস কাজ করে? অফিসে: সময় বাঁচে, ভুল কমে, পরিবেশ হয় পেশাদার।
স্কুলে: শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্ববোধ সৃষ্টি হয়।
হাসপাতালে: নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন চিকিৎসা পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
ঘরে: সময়, জায়গা ও মানসিক চাপ কমে।
‘ফাইভ এস’ শুধু একটি কাজের কৌশল নয়, এটি একটি জীবনদর্শন। এটি শেখায় কীভাবে ছোট ছোট অভ্যাস আপনাকে একজন গোছানো, সময়সচেতন ও দায়িত্ববান মানুষে রূপান্তর করতে পারে।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১১ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১১ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।
কর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখার কৌশলের জন্য জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ফাইভ এস পদ্ধতি। ধরুন, সকালে অফিসে ঢুকেই দেখলেন, ডেস্কটা জগাখিচুড়ি। কলম খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকারি নোট কোথায় রেখেছেন মনে নেই, চারপাশে কাগজের পাহাড়। এমন অবস্থায় কাজ শুরু করা কি সহজ?
৩০ জুলাই ২০২৫‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১১ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১১ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেমো. আশিকুর রহমান
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
কর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখার কৌশলের জন্য জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ফাইভ এস পদ্ধতি। ধরুন, সকালে অফিসে ঢুকেই দেখলেন, ডেস্কটা জগাখিচুড়ি। কলম খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকারি নোট কোথায় রেখেছেন মনে নেই, চারপাশে কাগজের পাহাড়। এমন অবস্থায় কাজ শুরু করা কি সহজ?
৩০ জুলাই ২০২৫২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১১ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেফোনেটিকস
মমতাজ জাহান মম
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)
কর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখার কৌশলের জন্য জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ফাইভ এস পদ্ধতি। ধরুন, সকালে অফিসে ঢুকেই দেখলেন, ডেস্কটা জগাখিচুড়ি। কলম খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকারি নোট কোথায় রেখেছেন মনে নেই, চারপাশে কাগজের পাহাড়। এমন অবস্থায় কাজ শুরু করা কি সহজ?
৩০ জুলাই ২০২৫২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১১ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
কর্মক্ষেত্র গুছিয়ে রাখার কৌশলের জন্য জাপানিরা আবিষ্কার করেছেন ফাইভ এস পদ্ধতি। ধরুন, সকালে অফিসে ঢুকেই দেখলেন, ডেস্কটা জগাখিচুড়ি। কলম খুঁজে পাচ্ছেন না, দরকারি নোট কোথায় রেখেছেন মনে নেই, চারপাশে কাগজের পাহাড়। এমন অবস্থায় কাজ শুরু করা কি সহজ?
৩০ জুলাই ২০২৫২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
১১ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
১১ ঘণ্টা আগে