ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচেও মাঝে মাঝে জ্বলে ওঠে আশার ক্ষীণ আলো। সেই আশার আলোর কিছু কণা গিয়ে পৌঁছেছে হাজার মাইল দূরের বাংলাদেশ থেকে। এ দেশে এখনো তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে জেগে আছে মানবতার উষ্ণ স্পন্দন। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন চোখ মেলে দেখেছেন গাজার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের করুণ চিত্র। কিন্তু তাঁরা শুধু দেখে থেমে থাকেননি, এগিয়ে এসেছেন সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে। ভালোবাসার উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন খাদ্যসামগ্রী ও সহায়তা। এই সহায়তা পৌঁছেছে গাজার ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত ও নিরুপায় মানুষের হাতে।
হয়তো তাতে মিটেছে শুধু এক বেলার ক্ষুধা, কিন্তু হৃদয়ে ছাপ ফেলেছে এক শক্তিশালী বার্তা—‘তোমরা একা নও’।
‘প্রজেক্ট লাইফলাইন গাজা’ নামে এই মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। তাঁদের এই উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও একাত্ম হয়েছেন। সম্প্রতি গাজার নিপীড়িত মানুষের হাতে পৌঁছেছে তাঁদের পাঠানো ত্রাণ।
এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ওশীন নাওয়ার জয়া ও মো. ইব্রাহিম, অ্যানথ্রোপলজি বিভাগের আম্মার বিন আসাদ, ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের জুনায়েদ মাসুদ, ইন্টারন্যাশনাল মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের ওমর ফারুক শ্রাবণ এবং ইংরেজি বিভাগের তানজিলা সুলতানা তানি ও হাবিবা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসমা-উল-হুসনা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারিহা তাবাস্সুম। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সহায়তা করেছে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ত্রাণসহায়তা ফিলিস্তিনের গাজায় পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন আল বারাকাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি সাকিবুল হক। তিনি জানান, গত পৌনে দুই বছরের বেশি সময় গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে, তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। অনেকে খাদ্যের অভাবেও মারা যাচ্ছে। খাদ্যের অভাবে বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা।’
প্রজেক্ট লাইফলাইন গাজার আওতায় ২০০টি পরিবারের মাঝে ২০০ প্যাকেট খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে ছিল রুটি, শুকনো খাবার ও পানীয়। এগুলো গাজার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অংশে অবস্থিত বাইত হানুন এলাকায় আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
এই মানবিক উদ্যোগ সম্পর্কে ওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, ‘প্রতিনিয়ত আমরা গাজার মানুষের ওপর যে ভয়াবহতা ও নির্মমতা দেখি, তা অমানবিকতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মানবিক দায়বদ্ধতার জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।’
জয়া জানান, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন এই কার্যক্রমে তাঁদের পাশে থেকেছে।
জয়া বলেন, ‘বিভিন্ন বিভাগ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ব্যবহার করে গাজায় প্রয়োজনীয় খাদ্য ও সহায়তা পৌঁছে দিতে।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচেও মাঝে মাঝে জ্বলে ওঠে আশার ক্ষীণ আলো। সেই আশার আলোর কিছু কণা গিয়ে পৌঁছেছে হাজার মাইল দূরের বাংলাদেশ থেকে। এ দেশে এখনো তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে জেগে আছে মানবতার উষ্ণ স্পন্দন। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন চোখ মেলে দেখেছেন গাজার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের করুণ চিত্র। কিন্তু তাঁরা শুধু দেখে থেমে থাকেননি, এগিয়ে এসেছেন সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে। ভালোবাসার উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন খাদ্যসামগ্রী ও সহায়তা। এই সহায়তা পৌঁছেছে গাজার ক্ষুধার্ত, ক্লান্ত ও নিরুপায় মানুষের হাতে।
হয়তো তাতে মিটেছে শুধু এক বেলার ক্ষুধা, কিন্তু হৃদয়ে ছাপ ফেলেছে এক শক্তিশালী বার্তা—‘তোমরা একা নও’।
‘প্রজেক্ট লাইফলাইন গাজা’ নামে এই মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। তাঁদের এই উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও একাত্ম হয়েছেন। সম্প্রতি গাজার নিপীড়িত মানুষের হাতে পৌঁছেছে তাঁদের পাঠানো ত্রাণ।
এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ওশীন নাওয়ার জয়া ও মো. ইব্রাহিম, অ্যানথ্রোপলজি বিভাগের আম্মার বিন আসাদ, ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের জুনায়েদ মাসুদ, ইন্টারন্যাশনাল মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের ওমর ফারুক শ্রাবণ এবং ইংরেজি বিভাগের তানজিলা সুলতানা তানি ও হাবিবা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসমা-উল-হুসনা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারিহা তাবাস্সুম। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সহায়তা করেছে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ত্রাণসহায়তা ফিলিস্তিনের গাজায় পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন আল বারাকাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি সাকিবুল হক। তিনি জানান, গত পৌনে দুই বছরের বেশি সময় গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে, তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। অনেকে খাদ্যের অভাবেও মারা যাচ্ছে। খাদ্যের অভাবে বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা।’
প্রজেক্ট লাইফলাইন গাজার আওতায় ২০০টি পরিবারের মাঝে ২০০ প্যাকেট খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে ছিল রুটি, শুকনো খাবার ও পানীয়। এগুলো গাজার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অংশে অবস্থিত বাইত হানুন এলাকায় আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
এই মানবিক উদ্যোগ সম্পর্কে ওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, ‘প্রতিনিয়ত আমরা গাজার মানুষের ওপর যে ভয়াবহতা ও নির্মমতা দেখি, তা অমানবিকতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মানবিক দায়বদ্ধতার জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।’
জয়া জানান, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন এই কার্যক্রমে তাঁদের পাশে থেকেছে।
জয়া বলেন, ‘বিভিন্ন বিভাগ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ব্যবহার করে গাজায় প্রয়োজনীয় খাদ্য ও সহায়তা পৌঁছে দিতে।’
অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয় (আরটিপি) বৃত্তি-২০২৬-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। দেশটির গভর্নমেন্ট রিসার্চ ট্রেনিং...
১০ ঘণ্টা আগেনরসিংদীর ভেলানগরে অবস্থিত নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস আবারও অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে। মফস্বল শহর থেকে গড়ে ওঠা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর (২০২৫ সালের) এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩২০ শিক্ষার্থীর সবাই শতভাগ পাস এবং শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে। এমন সাফল্য শুধু প্রতিষ্ঠানের নয়...
১০ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লার একটি ছোট ভাড়া বাসা। জানালার পাশে টেবিলে বসে নিয়মিত পড়াশোনা করত নিবিড় কর্মকার। চারপাশে গুঞ্জন, ব্যস্ততা—তবু সেই কিশোর নিজের ভুবনে ছিল নিবিষ্ট। সময় কাটাত বইয়ের পাতায়, স্বপ্ন বুনত ভবিষ্যতের জন্য।
১০ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয়জীবন শুধু শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে তা পূর্ণতা পায় না। এ সময়টিই হতে পারে নেতৃত্বগুণ, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশের শ্রেষ্ঠ সুযোগ। এই উপলব্ধি থেকে যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্ভাবনী সংগঠন এন্ট্রাপ্রেনিউশিপ অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব...
১০ ঘণ্টা আগে