সাব্বির হোসেন
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শুধু শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে তা পূর্ণতা পায় না। এ সময়টিই হতে পারে নেতৃত্বগুণ, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশের শ্রেষ্ঠ সুযোগ। এই উপলব্ধি থেকে যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্ভাবনী সংগঠন এন্ট্রাপ্রেনিউশিপ অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (ইএলডিসি)। ইএলডিসির মূল দর্শন—‘নেতৃত্ব মানেই সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা। একজন প্রকৃত নেতা যেখানেই থাকুক, নিজেকে আলাদাভাবে প্রমাণ করবেই।’
একটি সংগঠনের সফলতা শুধু ইভেন্ট আয়োজনের মধ্যেই সীমিত নয়, বরং সেটি কতটা শিক্ষার্থীর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারছে, কতজনকে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করতে পারছে; সেটিই তার প্রকৃত শক্তি। ইএলডিসি সেই শক্তির ভিত্তিতেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দীপ্ত আলো ছড়াচ্ছে।
‘বাবার জন্য কিনুন’—এক মানবিক উদ্যোগ থেকে যাত্রা
২০২০ সালের ৩ জুলাই। ক্যানসারে আক্রান্ত এক শিক্ষার্থীর বাবার চিকিৎসার খরচ সংগ্রহে এগিয়ে আসেন সহপাঠীরা। উদ্যোগ নেন সাতটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা দল, আয়োজন করেন ব্যতিক্রমী এক মানবিক মেলা—‘বাবার জন্য কিনুন’। এই আয়োজনে অংশ নিতে গিয়ে কিছু উদ্যোক্তামনস্ক শিক্ষার্থী উপলব্ধি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতৃত্ব ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে কাজ করা কোনো সংগঠিত প্ল্যাটফর্ম নেই। সেই অভাব পূরণের ভাবনা থেকে জন্ম নেয় ইএলডিসি। প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন মো. জহির রায়হান এবং সদস্যসচিব ছিলেন ফয়সাল আহমেদ। পরে গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি হন জহির রায়হান এবং সাধারণ সম্পাদক হন মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
নেতৃত্ব শেখায় না, নেতৃত্ব গড়ে তোলে
বর্তমান সভাপতি শাহরিয়ার আলম সাফল্য বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মধ্যেই নেতৃত্বগুণ রয়েছে। প্রয়োজন শুধু একটি উপযুক্ত পরিবেশ, দিকনির্দেশনা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা—ইএলডিসি সেই সুযোগটাই তৈরি করে দেয়। এটা কেবল একটি ক্লাব নয়, বরং রূপান্তরের একটি প্ল্যাটফর্ম।’
গত পাঁচ বছরে ক্লাবটি আয়োজন করেছে ৪৫টির বেশি সফল প্রোগ্রাম, যেখানে অংশ নেন ৬,০০০+ শিক্ষার্থী। শুধু অংশগ্রহণই নয়, এসব আয়োজনে নেতৃত্বও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গড়ে উঠেছে শক্তিশালী নেতৃত্বের একটি প্ল্যাটফর্ম।
সাতটি বিভাগে নেতৃত্বের চর্চা
ইএলডিসি কাজ করে সাতটি বিভাগে বিভক্ত হয়ে, যেখানে প্রত্যেক সদস্য হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পান। বিভাগগুলো হলো ১. মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্ব; ২. ডিজাইন; ৩. কনটেন্ট
ও উদ্ভাবনী আইডিয়া; ৪. মিডিয়া ও জনসংযোগ; ৫. পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন; ৬. ডিজিটাল প্রচারণা; ৭. ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বিশ্লেষণ।
জাতীয় পর্যায়ে কুবির মুখ
ইএলডিসি দেশের ৮৫টির বেশি ক্লাব ও সংগঠনের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছে। শুধু গত ১০ মাসেই হয়েছে ৪১টি জাতীয় পার্টনারশিপ। ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক কাজী যুহায়ের আনান লাজিম বলেন, ‘এই অর্জন কেবল ইএলডিসির নয়, এটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে একটি যুগান্তকারী উত্থান।’
বছরজুড়ে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, জব ফেয়ার, ক্যাম্পাস-টু-করপোরেট কানেকশন, বৃহৎ উদ্যোক্তা মেলা এবং জাতীয় নেতৃত্ব প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানান যুহায়ের আনান লাজিম।
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শুধু শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে তা পূর্ণতা পায় না। এ সময়টিই হতে পারে নেতৃত্বগুণ, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশের শ্রেষ্ঠ সুযোগ। এই উপলব্ধি থেকে যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্ভাবনী সংগঠন এন্ট্রাপ্রেনিউশিপ অ্যান্ড লিডারশিপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব (ইএলডিসি)। ইএলডিসির মূল দর্শন—‘নেতৃত্ব মানেই সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা। একজন প্রকৃত নেতা যেখানেই থাকুক, নিজেকে আলাদাভাবে প্রমাণ করবেই।’
একটি সংগঠনের সফলতা শুধু ইভেন্ট আয়োজনের মধ্যেই সীমিত নয়, বরং সেটি কতটা শিক্ষার্থীর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারছে, কতজনকে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করতে পারছে; সেটিই তার প্রকৃত শক্তি। ইএলডিসি সেই শক্তির ভিত্তিতেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দীপ্ত আলো ছড়াচ্ছে।
‘বাবার জন্য কিনুন’—এক মানবিক উদ্যোগ থেকে যাত্রা
২০২০ সালের ৩ জুলাই। ক্যানসারে আক্রান্ত এক শিক্ষার্থীর বাবার চিকিৎসার খরচ সংগ্রহে এগিয়ে আসেন সহপাঠীরা। উদ্যোগ নেন সাতটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা দল, আয়োজন করেন ব্যতিক্রমী এক মানবিক মেলা—‘বাবার জন্য কিনুন’। এই আয়োজনে অংশ নিতে গিয়ে কিছু উদ্যোক্তামনস্ক শিক্ষার্থী উপলব্ধি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতৃত্ব ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে কাজ করা কোনো সংগঠিত প্ল্যাটফর্ম নেই। সেই অভাব পূরণের ভাবনা থেকে জন্ম নেয় ইএলডিসি। প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন মো. জহির রায়হান এবং সদস্যসচিব ছিলেন ফয়সাল আহমেদ। পরে গঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি হন জহির রায়হান এবং সাধারণ সম্পাদক হন মোহাম্মদ মেহেদী হাসান।
নেতৃত্ব শেখায় না, নেতৃত্ব গড়ে তোলে
বর্তমান সভাপতি শাহরিয়ার আলম সাফল্য বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মধ্যেই নেতৃত্বগুণ রয়েছে। প্রয়োজন শুধু একটি উপযুক্ত পরিবেশ, দিকনির্দেশনা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা—ইএলডিসি সেই সুযোগটাই তৈরি করে দেয়। এটা কেবল একটি ক্লাব নয়, বরং রূপান্তরের একটি প্ল্যাটফর্ম।’
গত পাঁচ বছরে ক্লাবটি আয়োজন করেছে ৪৫টির বেশি সফল প্রোগ্রাম, যেখানে অংশ নেন ৬,০০০+ শিক্ষার্থী। শুধু অংশগ্রহণই নয়, এসব আয়োজনে নেতৃত্বও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গড়ে উঠেছে শক্তিশালী নেতৃত্বের একটি প্ল্যাটফর্ম।
সাতটি বিভাগে নেতৃত্বের চর্চা
ইএলডিসি কাজ করে সাতটি বিভাগে বিভক্ত হয়ে, যেখানে প্রত্যেক সদস্য হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পান। বিভাগগুলো হলো ১. মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও নেতৃত্ব; ২. ডিজাইন; ৩. কনটেন্ট
ও উদ্ভাবনী আইডিয়া; ৪. মিডিয়া ও জনসংযোগ; ৫. পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন; ৬. ডিজিটাল প্রচারণা; ৭. ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বিশ্লেষণ।
জাতীয় পর্যায়ে কুবির মুখ
ইএলডিসি দেশের ৮৫টির বেশি ক্লাব ও সংগঠনের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছে। শুধু গত ১০ মাসেই হয়েছে ৪১টি জাতীয় পার্টনারশিপ। ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক কাজী যুহায়ের আনান লাজিম বলেন, ‘এই অর্জন কেবল ইএলডিসির নয়, এটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে একটি যুগান্তকারী উত্থান।’
বছরজুড়ে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, জব ফেয়ার, ক্যাম্পাস-টু-করপোরেট কানেকশন, বৃহৎ উদ্যোক্তা মেলা এবং জাতীয় নেতৃত্ব প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনার কথা জানান যুহায়ের আনান লাজিম।
নেদারল্যান্ডসে এরিক ব্লুমিঙ্ক স্কলারশিপ ২০২৬-এর জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় দেশটির গ্রোনিংজেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
২১ মিনিট আগেঅস্ট্রেলিয়ার চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয় (আরটিপি) বৃত্তি-২০২৬-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তির জন্য বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। দেশটির গভর্নমেন্ট রিসার্চ ট্রেনিং...
১১ ঘণ্টা আগেনরসিংদীর ভেলানগরে অবস্থিত নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল অ্যান্ড হোমস আবারও অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে। মফস্বল শহর থেকে গড়ে ওঠা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর (২০২৫ সালের) এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩২০ শিক্ষার্থীর সবাই শতভাগ পাস এবং শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে। এমন সাফল্য শুধু প্রতিষ্ঠানের নয়...
১১ ঘণ্টা আগেযুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচেও মাঝে মাঝে জ্বলে ওঠে আশার ক্ষীণ আলো। সেই আশার আলোর কিছু কণা গিয়ে পৌঁছেছে হাজার মাইল দূরের বাংলাদেশ থেকে। এ দেশে এখনো তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে জেগে আছে মানবতার উষ্ণ স্পন্দন। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন
১১ ঘণ্টা আগে