নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরিবার, সমাজ ও দেশের কল্যাণে শিক্ষার্থীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। আজ বুধবার রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম সমাবর্তনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করেন। এ সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের ২ হাজার ৮৮৫ শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ছয় শিক্ষার্থী স্বর্ণপদক পান।
এবারের সমাবর্তন বক্তা ছিলেন এপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শামস রহমান প্রমুখ।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা যুগসন্ধিক্ষণে উপনীত হয়েছি। জাতি হিসেবে আমরা অধিকার বিবর্জিত প্রজা থেকে আবার নতুন করে অধিকারসমৃদ্ধ নাগরিক হয়েছি। এই নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে তরুণ শক্তির বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। তেমনই এক তরুণপ্রাণসমৃদ্ধ প্রাঙ্গণে এসে আজ আমি গৌরবান্বিত।’ এ সময় তিনি স্নাতকের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাদন জানান।
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি যত মেধাবী হোন না কেন, আপনার ডিগ্রি যত বড় হোক কিংবা আপনি বিশ্বের যেকোনো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করুন না কেন, আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমরা পরিবর্তনকে ভয় পাব না; বরং পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে উপযোগী করে তুলতে শিখব। তবে আমাদের মূল মূল্যবোধের জায়গায় আমরা কোনো আপস করব না। মনে রাখতে হবে, সাফল্যের পথ কখনো সহজ ও সরল হয় না। এই পথ পাড়ি দিতে গেলে নানা রকম বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়।’
নাসিম মঞ্জুর আরও বলেন, ‘আজ থেকে ২৫ বা ৩০ বছর পরের বাংলাদেশ কেমন হবে, তা নির্ভর করছে আপনাদের ওপর। জুলাই অভ্যুত্থানে আপনারা যে বৈষম্যহীন দেশের কথা বলেছেন, সেই কমিটমেন্ট ধরে রেখে একটি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার নেতৃত্ব দেবেন।’ একই সঙ্গে গ্র্যাজুয়েটদের তিনি চাকরির বদলে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, পৃথিবীব্যাপী পারস্পরিক ব্যবধান ও দ্বন্দ্ব বাড়ছে। সহমর্মিতা নিয়ে মানুষের সহাবস্থান এখন কল্পনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় ও বৈশ্বিক এই অস্থিরতা দূর করে শান্তির পৃথিবী গড়ার দায়িত্ব তরুণদের নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বাংলাদেশ উচ্চমানের শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবি জানান। পাশাপাশি একটি আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও উদ্ভাবনী শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে দাবি তুলে ধরেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শামস রহমান বলেন, ‘আমাদের জনশক্তিকে সম্পদে রূপান্তর করতে হলে প্রযুক্তিগত ও ভাষাগত দক্ষতা বাড়াতে হবে।’ শিক্ষার্থীদের প্রচলিত কাঠামোর বাইরে গিয়ে নিজেদের সৃজনশীলতা দিয়ে নতুন কিছু করতে উৎসাহ দেন তিনি।
সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষক, স্নাতক শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেকে।
পরিবার, সমাজ ও দেশের কল্যাণে শিক্ষার্থীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। আজ বুধবার রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম সমাবর্তনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করেন। এ সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের ২ হাজার ৮৮৫ শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ছয় শিক্ষার্থী স্বর্ণপদক পান।
এবারের সমাবর্তন বক্তা ছিলেন এপেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শামস রহমান প্রমুখ।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা যুগসন্ধিক্ষণে উপনীত হয়েছি। জাতি হিসেবে আমরা অধিকার বিবর্জিত প্রজা থেকে আবার নতুন করে অধিকারসমৃদ্ধ নাগরিক হয়েছি। এই নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে তরুণ শক্তির বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। তেমনই এক তরুণপ্রাণসমৃদ্ধ প্রাঙ্গণে এসে আজ আমি গৌরবান্বিত।’ এ সময় তিনি স্নাতকের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাদন জানান।
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি যত মেধাবী হোন না কেন, আপনার ডিগ্রি যত বড় হোক কিংবা আপনি বিশ্বের যেকোনো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করুন না কেন, আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমরা পরিবর্তনকে ভয় পাব না; বরং পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে উপযোগী করে তুলতে শিখব। তবে আমাদের মূল মূল্যবোধের জায়গায় আমরা কোনো আপস করব না। মনে রাখতে হবে, সাফল্যের পথ কখনো সহজ ও সরল হয় না। এই পথ পাড়ি দিতে গেলে নানা রকম বাধাবিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়।’
নাসিম মঞ্জুর আরও বলেন, ‘আজ থেকে ২৫ বা ৩০ বছর পরের বাংলাদেশ কেমন হবে, তা নির্ভর করছে আপনাদের ওপর। জুলাই অভ্যুত্থানে আপনারা যে বৈষম্যহীন দেশের কথা বলেছেন, সেই কমিটমেন্ট ধরে রেখে একটি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার নেতৃত্ব দেবেন।’ একই সঙ্গে গ্র্যাজুয়েটদের তিনি চাকরির বদলে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, পৃথিবীব্যাপী পারস্পরিক ব্যবধান ও দ্বন্দ্ব বাড়ছে। সহমর্মিতা নিয়ে মানুষের সহাবস্থান এখন কল্পনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় ও বৈশ্বিক এই অস্থিরতা দূর করে শান্তির পৃথিবী গড়ার দায়িত্ব তরুণদের নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বাংলাদেশ উচ্চমানের শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবি জানান। পাশাপাশি একটি আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও উদ্ভাবনী শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে দাবি তুলে ধরেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শামস রহমান বলেন, ‘আমাদের জনশক্তিকে সম্পদে রূপান্তর করতে হলে প্রযুক্তিগত ও ভাষাগত দক্ষতা বাড়াতে হবে।’ শিক্ষার্থীদের প্রচলিত কাঠামোর বাইরে গিয়ে নিজেদের সৃজনশীলতা দিয়ে নতুন কিছু করতে উৎসাহ দেন তিনি।
সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষক, স্নাতক শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেকে।
রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ১৯৯৮-২০২৫ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগেস্মৃতি, আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভরে গেল স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অ্যালামনাই মিট অ্যান্ড গ্রিট-২০২৫। স্মৃতির ভেলায় গৌরবের পথ ধরে সামনে এগিয়ে চলার প্রত্যয় নিয়ে আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হলো এই বর্ণাঢ্য আয়োজন।
১০ ঘণ্টা আগেইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাসে (১৬ এপ্রিল, বুধবার) বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করা হয়েছে।
২ দিন আগেবর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদ্যাপন করেছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)। দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য পয়লা বৈশাখের শুরু থেকে বিইউপির মনপুরা মাঠ এবং কনকোর্সে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২ দিন আগে