নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল প্রায় দুই বছর। এ সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর তুলনামূলক কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘লার্নিং লস’ নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সহযোগিতায় এই গবেষণা করা হয়। গবেষণায় অংশ নেয় ১৮ হাজার ৮৩৮ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গবেষণায় শিক্ষার্থীদের শিখনক্ষতি পরিমাপের জন্য ২০২২ সালের লার্নিং লস স্টাডি-২০২২ এবং কারিকুলাম ইফেক্টিভনেস স্টাডি-২০২২ গবেষণা দুটির তথ্যের আলোকে শিক্ষার্থীর শিখন পারদর্শিতার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর তুলনামূলক কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
গবেষণা প্রতিবেদনে বিষয়ভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তুলনামূলক বেশি শিখনক্ষতি ঘটেছে পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজিতে ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে কম শিখনক্ষতি হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির গণিতে শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং তৃতীয় শ্রেণির গণিতে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ। দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে, তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলা বিষয়ে তুলনামূলকভাবে কম শিখনক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে বেশি ভালো করেছে। এ ছাড়া সব বিষয় ও শ্রেণির শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে একটি অসমতা দেখা গেছে—বিশেষ করে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মধ্যে।
আরও দেখা যায়, দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ে প্রয়োগের দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে শিখনক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, বাংলা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের গড় অনুধাবন দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতার ক্ষেত্রে অসমতার মাত্রা খুবই বেশি এবং প্রয়োগ দক্ষতার ক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ। জ্ঞানমূলক ক্ষেত্রে এই অসমতার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম বিশেষ করে বাংলায়।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে প্রয়োগ দক্ষতায় শিখনক্ষতি সর্বাধিক। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ে ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, গণিত ১৮ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ইংরেজি ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ অনুধাবন দক্ষতাও কমে গেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ইংরেজি বিষয়ে জ্ঞান এবং অনুধাবনের গড় দক্ষতা বেড়েছে। গবেষণায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দক্ষতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার অসমতা দেখা গেছে। বিশেষ করে গণিতের অনুধাবন দক্ষতার ক্ষেত্রে অসমতা বেশি। তবে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের জ্ঞান সম্পর্কিত প্রশ্নে বিপরীত চিত্র পাওয়া গেছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ে উচ্চতর দক্ষতা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান এবং ইংরেজিতে অনুধাবনের ক্ষমতায় তুলনামূলকভাবে কম শিখনক্ষতি দেখা গেছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতায় উচ্চমাত্রার অসমতা পাওয়া যায়। ইংরেজি বিষয়ে অনুধাবন দক্ষতার ক্ষেত্রে এই অসমতা সর্বোচ্চ, যদিও প্রয়োগ দক্ষতার ক্ষেত্রে তা কম।
গবেষণায় দেখা যায়, বরিশাল বিভাগের শিক্ষার্থীরা সব শ্রেণি ও বিষয়ে অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান সবচেয়ে পেছনে। দ্বিতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা শহরের শিক্ষার্থীদের চেয়ে তুলনামূলক ভালো ফলাফল করেছে। অন্যদিকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে শহরের শিক্ষার্থীরা অল্প ব্যবধানে গ্রামের শিক্ষার্থীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল প্রায় দুই বছর। এ সময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর তুলনামূলক কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘লার্নিং লস’ নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সহযোগিতায় এই গবেষণা করা হয়। গবেষণায় অংশ নেয় ১৮ হাজার ৮৩৮ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গবেষণায় শিক্ষার্থীদের শিখনক্ষতি পরিমাপের জন্য ২০২২ সালের লার্নিং লস স্টাডি-২০২২ এবং কারিকুলাম ইফেক্টিভনেস স্টাডি-২০২২ গবেষণা দুটির তথ্যের আলোকে শিক্ষার্থীর শিখন পারদর্শিতার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর তুলনামূলক কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
গবেষণা প্রতিবেদনে বিষয়ভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তুলনামূলক বেশি শিখনক্ষতি ঘটেছে পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজিতে ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে কম শিখনক্ষতি হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির গণিতে শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং তৃতীয় শ্রেণির গণিতে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ। দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে, তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলা বিষয়ে তুলনামূলকভাবে কম শিখনক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে বেশি ভালো করেছে। এ ছাড়া সব বিষয় ও শ্রেণির শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে একটি অসমতা দেখা গেছে—বিশেষ করে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মধ্যে।
আরও দেখা যায়, দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ে প্রয়োগের দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে শিখনক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। অন্যদিকে, বাংলা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের গড় অনুধাবন দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতার ক্ষেত্রে অসমতার মাত্রা খুবই বেশি এবং প্রয়োগ দক্ষতার ক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ। জ্ঞানমূলক ক্ষেত্রে এই অসমতার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম বিশেষ করে বাংলায়।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে প্রয়োগ দক্ষতায় শিখনক্ষতি সর্বাধিক। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ে ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, গণিত ১৮ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ইংরেজি ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ অনুধাবন দক্ষতাও কমে গেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ইংরেজি বিষয়ে জ্ঞান এবং অনুধাবনের গড় দক্ষতা বেড়েছে। গবেষণায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দক্ষতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার অসমতা দেখা গেছে। বিশেষ করে গণিতের অনুধাবন দক্ষতার ক্ষেত্রে অসমতা বেশি। তবে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের জ্ঞান সম্পর্কিত প্রশ্নে বিপরীত চিত্র পাওয়া গেছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ে উচ্চতর দক্ষতা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান এবং ইংরেজিতে অনুধাবনের ক্ষমতায় তুলনামূলকভাবে কম শিখনক্ষতি দেখা গেছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতায় উচ্চমাত্রার অসমতা পাওয়া যায়। ইংরেজি বিষয়ে অনুধাবন দক্ষতার ক্ষেত্রে এই অসমতা সর্বোচ্চ, যদিও প্রয়োগ দক্ষতার ক্ষেত্রে তা কম।
গবেষণায় দেখা যায়, বরিশাল বিভাগের শিক্ষার্থীরা সব শ্রেণি ও বিষয়ে অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীদের অবস্থান সবচেয়ে পেছনে। দ্বিতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা শহরের শিক্ষার্থীদের চেয়ে তুলনামূলক ভালো ফলাফল করেছে। অন্যদিকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে শহরের শিক্ষার্থীরা অল্প ব্যবধানে গ্রামের শিক্ষার্থীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
আগামী আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ও শাবিপ্রবির পক্ষে বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। সেখানে সায়েম তাঁর গবেষণা "Synthesis and Characterization of Nanocellulose Phosphate as a Novel Biomaterial for Bone Tissue Engineering" বিষয়ে উপস্থাপন করবেন, যা হাড়ের...
১১ ঘণ্টা আগেপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা চলতি বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ-সংক্রান্ত পত্র দিয়েছে দেশের সব উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের। ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকে বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করে...
১ দিন আগেআইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় গোপালগঞ্জ জেলার বৃহস্পতিবারের আলিম, এইচএসসি ভোকেশনাল, বিএম, বিএমটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জ ছাড়া অন্যান্য জেলার আলিম, এইচএসসি ভোকেশনাল, বিএম, বিএমটি পরীক্ষা চলবে।
২ দিন আগেনিউজিল্যান্ডে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটন স্কলারশিপ-২০২৬-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বে যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৩ দিন আগে