সৈয়দা জেবুননেছা কুমকুম

আইবিএ ছিল তাঁর একমাত্র ধ্যানধারণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের ফলাফল দেওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ একদমই পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। তাই বলে হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নন। দ্বিগুণ উদ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। অতঃপর মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন! বলছিলাম ভিকারুননিসা নূন কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দা জেবুননেছা কুমকুমের কথা। চলুন, আইবিএ প্রস্তুতি সম্পর্কে তাঁর থেকে জেনে আসা যাক!
প্রস্তুতির শুরু
আমি জানুয়ারি থেকেই অল্প অল্প করে আইবিএর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলাম। তবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এসে পুরোদমে পড়া শুরু করি। জাবির ই ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ভর্তি পরীক্ষার নম্বর ১০০, যার মধ্যে ৮০ নম্বর এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষা এবং এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ওপর ২০ নম্বর। বাংলা ১০, ইংরেজি ৩০, গণিত ২৫ এবং সমসাময়িক ব্যবসায়িক বিষয়াবলি থেকে ১৫, মোট ৮০ নম্বরের উত্তর করতে হয়।
বেসিক ভালোই ছিল
আমার বেসিক মোটামুটি ভালোই ছিল। তবে তাই বলে একেবারে প্রস্তুতি ছাড়া পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। সব বিষয়ই পড়ে যেতে হবে। আমি Cliff's TOEFL, Mentor's Basic Grammar Sheets গ্রামারের জন্য পড়েছিলাম। আর গণিতের জন্য Nova's GRE Math Bible, Barron's SAT এবং Mentor's QBank সমাধান করেছিলাম। সঙ্গে Word Smart 1 ও 2, ঢাবি ঘ ইউনিটের জন্য সাধারণ জ্ঞান প্রস্তুতিও নেওয়া ছিল। এ ছাড়া কোচিং থেকে দেওয়া সাধারণ জ্ঞান লেকচার শিটও বেশ কাজে দিত। সেখান থেকেই আমি বাংলা আর সাধারণ জ্ঞানটা পড়তাম। এ ছাড়া কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে আইবিএর সিনিয়রদের সঙ্গে যোগাযোগ করতাম।
নোট করে পড়া
কিছু জিনিস আছে যা কখনো মনে থাকে না, যেমন সম্মেলনের সময়, স্থান ইত্যাদি। তাই শেষ মুহূর্তে ওগুলো পড়ে আমি সময় নষ্ট করিনি। Word Smart একবার পুরোটা শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। নিজে নোট করলে বেশি ভালো মনে থাকে এবং রিভাইজ দিতে সময় কম লাগে। ক্যালকুলেশন তাড়াতাড়ি করার অনুশীলন করতে হবে। যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ যত তাড়াতাড়ি করা যাবে, গণিত তত কম সময়ে শেষ করা যাবে।
শেষ সাত দিনের প্রস্তুতি
শেষ সাত দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে নতুন কিছু শেখার নেই, যা আগে শিখা হয়েছে তা-ই বারবার পড়তে হবে। এর সঙ্গে বারবার মক টেস্ট দেওয়া উচিত। দুর্বলতা জানা যায় এবং ওগুলোর ওপর ভালোভাবে কাজ করা যায়। আমি প্রথমে সাধারণ জ্ঞান শেষ করেছি, তারপর বাংলা ব্যাকরণ এবং গদ্য-পদ্য একবার রিডিং পড়েছিলাম। গণিতের সব নিয়ম দেখেছিলাম আর ছোট ছোট মক টেস্ট দিতাম।
পরীক্ষার আগের রাতে
পরীক্ষার আগের রাতে চাইলে সেগুলো রিভাইজ দেওয়া যায়, যেগুলো পরীক্ষার আগে একবার রিভাইজ না দিলে মনে থাকে না। আগে থেকে নিয়ম করে পড়া শেষ করতে হবে যাতে একবার পড়ে শেষ করে আরেকবার চোখ বোলানো যায়; বিশেষ করে সাধারণ জ্ঞান দুইবার পড়তে হবে। না হলে মনে থাকার সম্ভাবনা কম। ছয় ঘণ্টা ঘুমানো গেলে সবচেয়ে ভালো হয়। আর ক্যাফেইন পরিহার করা উচিত।
পরীক্ষার দিন যা যা করণীয়
কেন্দ্রে গিয়ে ভুলেও কিছু পড়া উচিত না। মাথা যথাসম্ভব ঠান্ডা রাখতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসটা সুন্দর। তাই ভালো হয় আশপাশে ঘুরে গাছগাছালি দেখে মন ভালো করা। তাহলে পরীক্ষার সময় মাথা কাজ করবে।হলে গিয়ে অবশ্যই পরীক্ষার দিকনির্দেশনা ভালোমতো পড়তে হবে। ঢাবি আইবিএতে আমি একটা বড় ভুল করেছিলাম। দিকনির্দেশনা না পড়ে পেনসিল ব্যবহার করেছিলাম এবং প্রশ্নে উত্তর দাগিয়েছিলাম। জাবিতে যারা এমন করেছিল, তাদের সবার নম্বর কাটা হয়েছিল। তাই ভুলেও প্রশ্নে উত্তর দাগাবে না, খাতা বাতিল হবে। যদি জার্নি করে গিয়ে খারাপ লাগে তাহলে ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম খেলে ভালো লাগবে। তবে এমন কিছু খাওয়া উচিত না যাতে পরীক্ষার সময় গলা বা পেটে খারাপ লাগে। একটা প্রশ্ন বারবার পড়লে এবং অপশন বারবার দেখলে নানান বিষয় মনে আসবে এবং উত্তর পরিবর্তনের ইচ্ছে হবে। তাই দেখেই যেটা ভালো মনে হয়, সেটা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া উচিত। না পারলে উত্তর করার প্রয়োজন নেই। অনেকেই সাধারণ জ্ঞান আর বাংলা এড়িয়ে যায়। কিন্তু আমি বলব যে অল্প অল্প করে ওগুলোও পড়তে। সব পড়ে গেলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
অনুলিখন: মুসাররাত আবির

আইবিএ ছিল তাঁর একমাত্র ধ্যানধারণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের ফলাফল দেওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ একদমই পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। তাই বলে হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নন। দ্বিগুণ উদ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। অতঃপর মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন! বলছিলাম ভিকারুননিসা নূন কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দা জেবুননেছা কুমকুমের কথা। চলুন, আইবিএ প্রস্তুতি সম্পর্কে তাঁর থেকে জেনে আসা যাক!
প্রস্তুতির শুরু
আমি জানুয়ারি থেকেই অল্প অল্প করে আইবিএর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলাম। তবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এসে পুরোদমে পড়া শুরু করি। জাবির ই ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ভর্তি পরীক্ষার নম্বর ১০০, যার মধ্যে ৮০ নম্বর এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষা এবং এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ওপর ২০ নম্বর। বাংলা ১০, ইংরেজি ৩০, গণিত ২৫ এবং সমসাময়িক ব্যবসায়িক বিষয়াবলি থেকে ১৫, মোট ৮০ নম্বরের উত্তর করতে হয়।
বেসিক ভালোই ছিল
আমার বেসিক মোটামুটি ভালোই ছিল। তবে তাই বলে একেবারে প্রস্তুতি ছাড়া পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। সব বিষয়ই পড়ে যেতে হবে। আমি Cliff's TOEFL, Mentor's Basic Grammar Sheets গ্রামারের জন্য পড়েছিলাম। আর গণিতের জন্য Nova's GRE Math Bible, Barron's SAT এবং Mentor's QBank সমাধান করেছিলাম। সঙ্গে Word Smart 1 ও 2, ঢাবি ঘ ইউনিটের জন্য সাধারণ জ্ঞান প্রস্তুতিও নেওয়া ছিল। এ ছাড়া কোচিং থেকে দেওয়া সাধারণ জ্ঞান লেকচার শিটও বেশ কাজে দিত। সেখান থেকেই আমি বাংলা আর সাধারণ জ্ঞানটা পড়তাম। এ ছাড়া কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে আইবিএর সিনিয়রদের সঙ্গে যোগাযোগ করতাম।
নোট করে পড়া
কিছু জিনিস আছে যা কখনো মনে থাকে না, যেমন সম্মেলনের সময়, স্থান ইত্যাদি। তাই শেষ মুহূর্তে ওগুলো পড়ে আমি সময় নষ্ট করিনি। Word Smart একবার পুরোটা শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। নিজে নোট করলে বেশি ভালো মনে থাকে এবং রিভাইজ দিতে সময় কম লাগে। ক্যালকুলেশন তাড়াতাড়ি করার অনুশীলন করতে হবে। যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ যত তাড়াতাড়ি করা যাবে, গণিত তত কম সময়ে শেষ করা যাবে।
শেষ সাত দিনের প্রস্তুতি
শেষ সাত দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে নতুন কিছু শেখার নেই, যা আগে শিখা হয়েছে তা-ই বারবার পড়তে হবে। এর সঙ্গে বারবার মক টেস্ট দেওয়া উচিত। দুর্বলতা জানা যায় এবং ওগুলোর ওপর ভালোভাবে কাজ করা যায়। আমি প্রথমে সাধারণ জ্ঞান শেষ করেছি, তারপর বাংলা ব্যাকরণ এবং গদ্য-পদ্য একবার রিডিং পড়েছিলাম। গণিতের সব নিয়ম দেখেছিলাম আর ছোট ছোট মক টেস্ট দিতাম।
পরীক্ষার আগের রাতে
পরীক্ষার আগের রাতে চাইলে সেগুলো রিভাইজ দেওয়া যায়, যেগুলো পরীক্ষার আগে একবার রিভাইজ না দিলে মনে থাকে না। আগে থেকে নিয়ম করে পড়া শেষ করতে হবে যাতে একবার পড়ে শেষ করে আরেকবার চোখ বোলানো যায়; বিশেষ করে সাধারণ জ্ঞান দুইবার পড়তে হবে। না হলে মনে থাকার সম্ভাবনা কম। ছয় ঘণ্টা ঘুমানো গেলে সবচেয়ে ভালো হয়। আর ক্যাফেইন পরিহার করা উচিত।
পরীক্ষার দিন যা যা করণীয়
কেন্দ্রে গিয়ে ভুলেও কিছু পড়া উচিত না। মাথা যথাসম্ভব ঠান্ডা রাখতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসটা সুন্দর। তাই ভালো হয় আশপাশে ঘুরে গাছগাছালি দেখে মন ভালো করা। তাহলে পরীক্ষার সময় মাথা কাজ করবে।হলে গিয়ে অবশ্যই পরীক্ষার দিকনির্দেশনা ভালোমতো পড়তে হবে। ঢাবি আইবিএতে আমি একটা বড় ভুল করেছিলাম। দিকনির্দেশনা না পড়ে পেনসিল ব্যবহার করেছিলাম এবং প্রশ্নে উত্তর দাগিয়েছিলাম। জাবিতে যারা এমন করেছিল, তাদের সবার নম্বর কাটা হয়েছিল। তাই ভুলেও প্রশ্নে উত্তর দাগাবে না, খাতা বাতিল হবে। যদি জার্নি করে গিয়ে খারাপ লাগে তাহলে ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম খেলে ভালো লাগবে। তবে এমন কিছু খাওয়া উচিত না যাতে পরীক্ষার সময় গলা বা পেটে খারাপ লাগে। একটা প্রশ্ন বারবার পড়লে এবং অপশন বারবার দেখলে নানান বিষয় মনে আসবে এবং উত্তর পরিবর্তনের ইচ্ছে হবে। তাই দেখেই যেটা ভালো মনে হয়, সেটা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া উচিত। না পারলে উত্তর করার প্রয়োজন নেই। অনেকেই সাধারণ জ্ঞান আর বাংলা এড়িয়ে যায়। কিন্তু আমি বলব যে অল্প অল্প করে ওগুলোও পড়তে। সব পড়ে গেলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
অনুলিখন: মুসাররাত আবির
সৈয়দা জেবুননেছা কুমকুম

আইবিএ ছিল তাঁর একমাত্র ধ্যানধারণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের ফলাফল দেওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ একদমই পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। তাই বলে হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নন। দ্বিগুণ উদ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। অতঃপর মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন! বলছিলাম ভিকারুননিসা নূন কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দা জেবুননেছা কুমকুমের কথা। চলুন, আইবিএ প্রস্তুতি সম্পর্কে তাঁর থেকে জেনে আসা যাক!
প্রস্তুতির শুরু
আমি জানুয়ারি থেকেই অল্প অল্প করে আইবিএর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলাম। তবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এসে পুরোদমে পড়া শুরু করি। জাবির ই ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ভর্তি পরীক্ষার নম্বর ১০০, যার মধ্যে ৮০ নম্বর এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষা এবং এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ওপর ২০ নম্বর। বাংলা ১০, ইংরেজি ৩০, গণিত ২৫ এবং সমসাময়িক ব্যবসায়িক বিষয়াবলি থেকে ১৫, মোট ৮০ নম্বরের উত্তর করতে হয়।
বেসিক ভালোই ছিল
আমার বেসিক মোটামুটি ভালোই ছিল। তবে তাই বলে একেবারে প্রস্তুতি ছাড়া পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। সব বিষয়ই পড়ে যেতে হবে। আমি Cliff's TOEFL, Mentor's Basic Grammar Sheets গ্রামারের জন্য পড়েছিলাম। আর গণিতের জন্য Nova's GRE Math Bible, Barron's SAT এবং Mentor's QBank সমাধান করেছিলাম। সঙ্গে Word Smart 1 ও 2, ঢাবি ঘ ইউনিটের জন্য সাধারণ জ্ঞান প্রস্তুতিও নেওয়া ছিল। এ ছাড়া কোচিং থেকে দেওয়া সাধারণ জ্ঞান লেকচার শিটও বেশ কাজে দিত। সেখান থেকেই আমি বাংলা আর সাধারণ জ্ঞানটা পড়তাম। এ ছাড়া কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে আইবিএর সিনিয়রদের সঙ্গে যোগাযোগ করতাম।
নোট করে পড়া
কিছু জিনিস আছে যা কখনো মনে থাকে না, যেমন সম্মেলনের সময়, স্থান ইত্যাদি। তাই শেষ মুহূর্তে ওগুলো পড়ে আমি সময় নষ্ট করিনি। Word Smart একবার পুরোটা শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। নিজে নোট করলে বেশি ভালো মনে থাকে এবং রিভাইজ দিতে সময় কম লাগে। ক্যালকুলেশন তাড়াতাড়ি করার অনুশীলন করতে হবে। যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ যত তাড়াতাড়ি করা যাবে, গণিত তত কম সময়ে শেষ করা যাবে।
শেষ সাত দিনের প্রস্তুতি
শেষ সাত দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে নতুন কিছু শেখার নেই, যা আগে শিখা হয়েছে তা-ই বারবার পড়তে হবে। এর সঙ্গে বারবার মক টেস্ট দেওয়া উচিত। দুর্বলতা জানা যায় এবং ওগুলোর ওপর ভালোভাবে কাজ করা যায়। আমি প্রথমে সাধারণ জ্ঞান শেষ করেছি, তারপর বাংলা ব্যাকরণ এবং গদ্য-পদ্য একবার রিডিং পড়েছিলাম। গণিতের সব নিয়ম দেখেছিলাম আর ছোট ছোট মক টেস্ট দিতাম।
পরীক্ষার আগের রাতে
পরীক্ষার আগের রাতে চাইলে সেগুলো রিভাইজ দেওয়া যায়, যেগুলো পরীক্ষার আগে একবার রিভাইজ না দিলে মনে থাকে না। আগে থেকে নিয়ম করে পড়া শেষ করতে হবে যাতে একবার পড়ে শেষ করে আরেকবার চোখ বোলানো যায়; বিশেষ করে সাধারণ জ্ঞান দুইবার পড়তে হবে। না হলে মনে থাকার সম্ভাবনা কম। ছয় ঘণ্টা ঘুমানো গেলে সবচেয়ে ভালো হয়। আর ক্যাফেইন পরিহার করা উচিত।
পরীক্ষার দিন যা যা করণীয়
কেন্দ্রে গিয়ে ভুলেও কিছু পড়া উচিত না। মাথা যথাসম্ভব ঠান্ডা রাখতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসটা সুন্দর। তাই ভালো হয় আশপাশে ঘুরে গাছগাছালি দেখে মন ভালো করা। তাহলে পরীক্ষার সময় মাথা কাজ করবে।হলে গিয়ে অবশ্যই পরীক্ষার দিকনির্দেশনা ভালোমতো পড়তে হবে। ঢাবি আইবিএতে আমি একটা বড় ভুল করেছিলাম। দিকনির্দেশনা না পড়ে পেনসিল ব্যবহার করেছিলাম এবং প্রশ্নে উত্তর দাগিয়েছিলাম। জাবিতে যারা এমন করেছিল, তাদের সবার নম্বর কাটা হয়েছিল। তাই ভুলেও প্রশ্নে উত্তর দাগাবে না, খাতা বাতিল হবে। যদি জার্নি করে গিয়ে খারাপ লাগে তাহলে ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম খেলে ভালো লাগবে। তবে এমন কিছু খাওয়া উচিত না যাতে পরীক্ষার সময় গলা বা পেটে খারাপ লাগে। একটা প্রশ্ন বারবার পড়লে এবং অপশন বারবার দেখলে নানান বিষয় মনে আসবে এবং উত্তর পরিবর্তনের ইচ্ছে হবে। তাই দেখেই যেটা ভালো মনে হয়, সেটা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া উচিত। না পারলে উত্তর করার প্রয়োজন নেই। অনেকেই সাধারণ জ্ঞান আর বাংলা এড়িয়ে যায়। কিন্তু আমি বলব যে অল্প অল্প করে ওগুলোও পড়তে। সব পড়ে গেলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
অনুলিখন: মুসাররাত আবির

আইবিএ ছিল তাঁর একমাত্র ধ্যানধারণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের ফলাফল দেওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ একদমই পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। তাই বলে হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নন। দ্বিগুণ উদ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। অতঃপর মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন! বলছিলাম ভিকারুননিসা নূন কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দা জেবুননেছা কুমকুমের কথা। চলুন, আইবিএ প্রস্তুতি সম্পর্কে তাঁর থেকে জেনে আসা যাক!
প্রস্তুতির শুরু
আমি জানুয়ারি থেকেই অল্প অল্প করে আইবিএর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলাম। তবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এসে পুরোদমে পড়া শুরু করি। জাবির ই ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ভর্তি পরীক্ষার নম্বর ১০০, যার মধ্যে ৮০ নম্বর এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষা এবং এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ওপর ২০ নম্বর। বাংলা ১০, ইংরেজি ৩০, গণিত ২৫ এবং সমসাময়িক ব্যবসায়িক বিষয়াবলি থেকে ১৫, মোট ৮০ নম্বরের উত্তর করতে হয়।
বেসিক ভালোই ছিল
আমার বেসিক মোটামুটি ভালোই ছিল। তবে তাই বলে একেবারে প্রস্তুতি ছাড়া পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। সব বিষয়ই পড়ে যেতে হবে। আমি Cliff's TOEFL, Mentor's Basic Grammar Sheets গ্রামারের জন্য পড়েছিলাম। আর গণিতের জন্য Nova's GRE Math Bible, Barron's SAT এবং Mentor's QBank সমাধান করেছিলাম। সঙ্গে Word Smart 1 ও 2, ঢাবি ঘ ইউনিটের জন্য সাধারণ জ্ঞান প্রস্তুতিও নেওয়া ছিল। এ ছাড়া কোচিং থেকে দেওয়া সাধারণ জ্ঞান লেকচার শিটও বেশ কাজে দিত। সেখান থেকেই আমি বাংলা আর সাধারণ জ্ঞানটা পড়তাম। এ ছাড়া কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে আইবিএর সিনিয়রদের সঙ্গে যোগাযোগ করতাম।
নোট করে পড়া
কিছু জিনিস আছে যা কখনো মনে থাকে না, যেমন সম্মেলনের সময়, স্থান ইত্যাদি। তাই শেষ মুহূর্তে ওগুলো পড়ে আমি সময় নষ্ট করিনি। Word Smart একবার পুরোটা শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। নিজে নোট করলে বেশি ভালো মনে থাকে এবং রিভাইজ দিতে সময় কম লাগে। ক্যালকুলেশন তাড়াতাড়ি করার অনুশীলন করতে হবে। যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ যত তাড়াতাড়ি করা যাবে, গণিত তত কম সময়ে শেষ করা যাবে।
শেষ সাত দিনের প্রস্তুতি
শেষ সাত দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে নতুন কিছু শেখার নেই, যা আগে শিখা হয়েছে তা-ই বারবার পড়তে হবে। এর সঙ্গে বারবার মক টেস্ট দেওয়া উচিত। দুর্বলতা জানা যায় এবং ওগুলোর ওপর ভালোভাবে কাজ করা যায়। আমি প্রথমে সাধারণ জ্ঞান শেষ করেছি, তারপর বাংলা ব্যাকরণ এবং গদ্য-পদ্য একবার রিডিং পড়েছিলাম। গণিতের সব নিয়ম দেখেছিলাম আর ছোট ছোট মক টেস্ট দিতাম।
পরীক্ষার আগের রাতে
পরীক্ষার আগের রাতে চাইলে সেগুলো রিভাইজ দেওয়া যায়, যেগুলো পরীক্ষার আগে একবার রিভাইজ না দিলে মনে থাকে না। আগে থেকে নিয়ম করে পড়া শেষ করতে হবে যাতে একবার পড়ে শেষ করে আরেকবার চোখ বোলানো যায়; বিশেষ করে সাধারণ জ্ঞান দুইবার পড়তে হবে। না হলে মনে থাকার সম্ভাবনা কম। ছয় ঘণ্টা ঘুমানো গেলে সবচেয়ে ভালো হয়। আর ক্যাফেইন পরিহার করা উচিত।
পরীক্ষার দিন যা যা করণীয়
কেন্দ্রে গিয়ে ভুলেও কিছু পড়া উচিত না। মাথা যথাসম্ভব ঠান্ডা রাখতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর ক্যাম্পাসটা সুন্দর। তাই ভালো হয় আশপাশে ঘুরে গাছগাছালি দেখে মন ভালো করা। তাহলে পরীক্ষার সময় মাথা কাজ করবে।হলে গিয়ে অবশ্যই পরীক্ষার দিকনির্দেশনা ভালোমতো পড়তে হবে। ঢাবি আইবিএতে আমি একটা বড় ভুল করেছিলাম। দিকনির্দেশনা না পড়ে পেনসিল ব্যবহার করেছিলাম এবং প্রশ্নে উত্তর দাগিয়েছিলাম। জাবিতে যারা এমন করেছিল, তাদের সবার নম্বর কাটা হয়েছিল। তাই ভুলেও প্রশ্নে উত্তর দাগাবে না, খাতা বাতিল হবে। যদি জার্নি করে গিয়ে খারাপ লাগে তাহলে ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম খেলে ভালো লাগবে। তবে এমন কিছু খাওয়া উচিত না যাতে পরীক্ষার সময় গলা বা পেটে খারাপ লাগে। একটা প্রশ্ন বারবার পড়লে এবং অপশন বারবার দেখলে নানান বিষয় মনে আসবে এবং উত্তর পরিবর্তনের ইচ্ছে হবে। তাই দেখেই যেটা ভালো মনে হয়, সেটা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেওয়া উচিত। না পারলে উত্তর করার প্রয়োজন নেই। অনেকেই সাধারণ জ্ঞান আর বাংলা এড়িয়ে যায়। কিন্তু আমি বলব যে অল্প অল্প করে ওগুলোও পড়তে। সব পড়ে গেলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
অনুলিখন: মুসাররাত আবির

বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম।
১৮ ঘণ্টা আগে
আড্ডা এখন অনেক কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের হাতে থাকা ছোট্ট একটি যন্ত্র—মোবাইল ফোনসেট। এই যন্ত্র আমাদের একে-অপরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বলি ‘রেস ডিসকানেকটেড আস, রিলিজিয়ন সেপারেট আস, পলিটিকস ডিভাইড আস, ওয়েলথ ক্ল্যাসিফাই আস’।
১৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি আবেদন আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ওরিয়েন্টেশন, রেজিস্ট্রেশন ও শ্রেণি
১৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম। ঠিক এমনই ভিন্নধর্মী এক আড্ডার আয়োজন করেছে পাঠকবন্ধু আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয় (আরপিএসইউ) শাখা। এটি ছিল পাঠকবন্ধুর দ্বিতীয় পর্বের প্রাণবন্ত ‘ক্যাম্পাস আড্ডা’, যেখানে হাসি, গল্প ও সৃজনশীলতায় মিলিত হয়েছে এক মধুর মিলনক্ষেত্র।
২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার তীরঘেঁষা সবুজ ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে বসে এই প্রাণবন্ত আড্ডা। এতে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন কুইজ প্রতিযোগিতা, রম্য বিতর্ক, মজার ‘পিলো পাসিং’ খেলা এবং সুরের তালে তালে গান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন আরপিএসইউ পাঠকবন্ধু শাখার সদস্যরা। পরে নুসরাত আহমেদ কণার সঞ্চালনায় শুরু হয় আড্ডার আলোচনা। শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়। পাশাপাশি বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা মো. আসাদুজ্জামান, আজকের পত্রিকার পক্ষে হেড অব ডিজিটাল অ্যাড সেলস মো. সিরাজুল ইসলাম সুমন, পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী মো. আব্দুর রাজ্জাক খান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তাহমিদ আল মাহবুব খান এলিন এবং পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা।

ছাত্র উপদেষ্টা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘একটি সুন্দর পৃথিবী আমরা গড়ে তুলতে চাইলে শুধু পরিবেশ সুন্দর করাই যথেষ্ট নয়। প্রথমে আমাদের মনের ভেতরটি পরিষ্কার ও সুন্দর করতে হবে। প্রতিটি ভালো কাজে নিজেকে যুক্ত রাখতে হবে। তখন শরীর-মন সুস্থ থাকবে, রোগ-বালাই কমবে। মানবিকতা গড়ে তোলা, সুন্দরভাবে বাঁচা—এই প্রত্যয় আমাদের রাখতে হবে।’
প্রযুক্তির এই যুগে আমরা ধীরে ধীরে বই পড়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তবে পাঠকবন্ধু চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে এবং তাদের পাঠাভ্যাস বাড়িয়ে তুলতে। এ ছাড়া ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের বাইরে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখেছে। সেই অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরা—এটিই আজকের ক্যাম্পাস আড্ডার মূল উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করেন মো. সিরাজুল ইসলাম সুমন।

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে মো. আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘আমরা এমন এক আড্ডার আয়োজন করেছি, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একত্রে বসে তাদের অভিজ্ঞতা, স্মৃতিচারণা ও স্বপ্নগুলো ভাগাভাগি করবেন। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারব।’
মো. তাহমিদ আল মাহবুব খান এলিন বলেন, ‘আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আমাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বৈচিত্রের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই ধরনের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আমরা সামাজিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সক্ষম হই এবং একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ ও আন্তসম্পর্ক গড়ে তুলি।’

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস আড্ডা একটি অনন্য মঞ্চ। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পাঠপ্রেমীরা একত্র হয়ে জ্ঞান, চিন্তা ও মানবিকতার সুন্দর বন্ধনে মিলিত হন। পাঠ শুধুই বিদ্বান বানায় না, মানুষও গড়ে তোলে।’
আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় রম্য বিতর্ক ‘পরীক্ষায় প্রশ্ন কঠিন নয়, শিক্ষার্থীর কল্পনাশক্তিই ভয়ংকর!’। এতে অংশ নেন তামান্না আক্তার, আফরিন আক্তার, জাকিয়া সুলতানা ও এশা ইসলাম। প্রথম স্থান অধিকার করেন জাকিয়া সুলতানা।

এরপর শুরু হয় মজার ‘পিলো পাসিং’ খেলা, যেখানে মিউজিকের তালে শিক্ষার্থীরা উপভোগ করেন খেলার আনন্দ। প্রথম হন মেহেরুনেছা মেরি। এরপর মঞ্চে গান পরিবেশন করেন আরপিএসইউ কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা। অনুষ্ঠানের আগের দিন অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা, যেখানে প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রথম স্থান অধিকার করেন নাদিয়া আক্তার।
পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সাফল্যের মুখ দেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপস্থিত থেকে তরুণদের এই সৃষ্টিশীল উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক সাবরিন সুলতানা উর্বরা জানান, আরপিএসইউ ক্যাম্পাসে এক অনন্য বিকেল কাটল পাঠপ্রেমী তরুণদের সঙ্গে। বই শুধুই পড়ার বস্তু নয়, এটি একটি সেতুবন্ধন, যা মানুষকে মানুষে যুক্ত করে, ভাবনায় গভীরতা আনে এবং সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে।’
অনুষ্ঠান শেষে পাঠকবন্ধুর অতিথি ও সদস্যরা পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। হাসি, গল্প আর গানে গানে এক আনন্দঘন দিন কাটে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পাঠকবন্ধুদের।

বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম। ঠিক এমনই ভিন্নধর্মী এক আড্ডার আয়োজন করেছে পাঠকবন্ধু আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয় (আরপিএসইউ) শাখা। এটি ছিল পাঠকবন্ধুর দ্বিতীয় পর্বের প্রাণবন্ত ‘ক্যাম্পাস আড্ডা’, যেখানে হাসি, গল্প ও সৃজনশীলতায় মিলিত হয়েছে এক মধুর মিলনক্ষেত্র।
২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার তীরঘেঁষা সবুজ ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে বসে এই প্রাণবন্ত আড্ডা। এতে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন কুইজ প্রতিযোগিতা, রম্য বিতর্ক, মজার ‘পিলো পাসিং’ খেলা এবং সুরের তালে তালে গান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন আরপিএসইউ পাঠকবন্ধু শাখার সদস্যরা। পরে নুসরাত আহমেদ কণার সঞ্চালনায় শুরু হয় আড্ডার আলোচনা। শুরুতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়। পাশাপাশি বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা মো. আসাদুজ্জামান, আজকের পত্রিকার পক্ষে হেড অব ডিজিটাল অ্যাড সেলস মো. সিরাজুল ইসলাম সুমন, পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী মো. আব্দুর রাজ্জাক খান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তাহমিদ আল মাহবুব খান এলিন এবং পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা।

ছাত্র উপদেষ্টা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘একটি সুন্দর পৃথিবী আমরা গড়ে তুলতে চাইলে শুধু পরিবেশ সুন্দর করাই যথেষ্ট নয়। প্রথমে আমাদের মনের ভেতরটি পরিষ্কার ও সুন্দর করতে হবে। প্রতিটি ভালো কাজে নিজেকে যুক্ত রাখতে হবে। তখন শরীর-মন সুস্থ থাকবে, রোগ-বালাই কমবে। মানবিকতা গড়ে তোলা, সুন্দরভাবে বাঁচা—এই প্রত্যয় আমাদের রাখতে হবে।’
প্রযুক্তির এই যুগে আমরা ধীরে ধীরে বই পড়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তবে পাঠকবন্ধু চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের বইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে এবং তাদের পাঠাভ্যাস বাড়িয়ে তুলতে। এ ছাড়া ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের বাইরে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখেছে। সেই অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরা—এটিই আজকের ক্যাম্পাস আড্ডার মূল উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করেন মো. সিরাজুল ইসলাম সুমন।

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে মো. আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ‘আমরা এমন এক আড্ডার আয়োজন করেছি, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একত্রে বসে তাদের অভিজ্ঞতা, স্মৃতিচারণা ও স্বপ্নগুলো ভাগাভাগি করবেন। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারব।’
মো. তাহমিদ আল মাহবুব খান এলিন বলেন, ‘আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আমাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বৈচিত্রের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই ধরনের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আমরা সামাজিক বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সক্ষম হই এবং একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ ও আন্তসম্পর্ক গড়ে তুলি।’

পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘পাঠকবন্ধুর ক্যাম্পাস আড্ডা একটি অনন্য মঞ্চ। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পাঠপ্রেমীরা একত্র হয়ে জ্ঞান, চিন্তা ও মানবিকতার সুন্দর বন্ধনে মিলিত হন। পাঠ শুধুই বিদ্বান বানায় না, মানুষও গড়ে তোলে।’
আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় রম্য বিতর্ক ‘পরীক্ষায় প্রশ্ন কঠিন নয়, শিক্ষার্থীর কল্পনাশক্তিই ভয়ংকর!’। এতে অংশ নেন তামান্না আক্তার, আফরিন আক্তার, জাকিয়া সুলতানা ও এশা ইসলাম। প্রথম স্থান অধিকার করেন জাকিয়া সুলতানা।

এরপর শুরু হয় মজার ‘পিলো পাসিং’ খেলা, যেখানে মিউজিকের তালে শিক্ষার্থীরা উপভোগ করেন খেলার আনন্দ। প্রথম হন মেহেরুনেছা মেরি। এরপর মঞ্চে গান পরিবেশন করেন আরপিএসইউ কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা। অনুষ্ঠানের আগের দিন অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা, যেখানে প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রথম স্থান অধিকার করেন নাদিয়া আক্তার।
পাঠকবন্ধু আরপিএসইউ শাখার সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সাফল্যের মুখ দেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা উপস্থিত থেকে তরুণদের এই সৃষ্টিশীল উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক সাবরিন সুলতানা উর্বরা জানান, আরপিএসইউ ক্যাম্পাসে এক অনন্য বিকেল কাটল পাঠপ্রেমী তরুণদের সঙ্গে। বই শুধুই পড়ার বস্তু নয়, এটি একটি সেতুবন্ধন, যা মানুষকে মানুষে যুক্ত করে, ভাবনায় গভীরতা আনে এবং সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে।’
অনুষ্ঠান শেষে পাঠকবন্ধুর অতিথি ও সদস্যরা পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন। হাসি, গল্প আর গানে গানে এক আনন্দঘন দিন কাটে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পাঠকবন্ধুদের।

আইবিএ ছিল তাঁর একমাত্র ধ্যানধারণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের ফলাফল দেওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ একদমই পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। তাই বলে হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নন। দ্বিগুণ উদ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। অতঃপর মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন! বলছিলাম ভিকারুননিসা ন
১৪ আগস্ট ২০২২
আড্ডা এখন অনেক কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের হাতে থাকা ছোট্ট একটি যন্ত্র—মোবাইল ফোনসেট। এই যন্ত্র আমাদের একে-অপরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বলি ‘রেস ডিসকানেকটেড আস, রিলিজিয়ন সেপারেট আস, পলিটিকস ডিভাইড আস, ওয়েলথ ক্ল্যাসিফাই আস’।
১৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি আবেদন আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ওরিয়েন্টেশন, রেজিস্ট্রেশন ও শ্রেণি
১৯ ঘণ্টা আগেঅধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়

আড্ডা এখন অনেক কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের হাতে থাকা ছোট্ট একটি যন্ত্র—মোবাইল ফোনসেট। এই যন্ত্র আমাদের একে-অপরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বলি ‘রেস ডিসকানেকটেড আস, রিলিজিয়ন সেপারেট আস, পলিটিকস ডিভাইড আস, ওয়েলথ ক্ল্যাসিফাই আস’। এর সঙ্গে যোগ করতে চাই ‘মোবাইল ডিমোরালাইজড’। যদিও এই উক্তি নিয়ে বিতর্ক আছে, তবু সত্যি হলো, মোবাইল জীবনের অপরিহার্য অংশ হলেও এর অপব্যবহার ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে।
আজকাল ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময়ও হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া হয়। এক পরিবারের তিনজন সদস্য একসঙ্গে বসলেও প্রত্যেকে ব্যস্ত নিজের মোবাইলের মধ্যে, কথাবার্তা প্রায় নেই। অথচ মোবাইলের মধ্যে রয়েছে অসীম সম্ভাবনা। এটি দিয়ে তুমি প্রজেক্ট, থিসিস বা যেকোনো একাডেমিক গবেষণা করতে পারো। আমাদের সময়ে এই ধরনের সুযোগ ছিল না। এখন ইন্টারনেট তোমার হাতের মুঠোয়। জ্ঞান আহরণ করতে চাইলে তুমি পুরো বিশ্ব জয় করতে পারো। মনে রাখতে হবে, মোবাইলের দুটি দিক আছে—একটি সুফল, অন্যটি কুফল। সুফল কাজে লাগাতে হবে। নেতিবাচক ব্যবহার আমাদের যুবসমাজে বিভিন্ন আসক্তি, হতাশা এবং দুঃখজনক আত্মহত্যার মতো প্রবণতা তৈরি করছে। তাই তোমরা মোবাইল ব্যবহার করবে এর ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগিয়ে।
জীবনে সব সময় ইতিবাচক থাকতে হবে। আমি নিজে খারাপ থাকলেও বলি, ‘আমি খুব ভালো আছি’। এই মানসিক ইতিবাচকতা মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর স্বপ্ন থাকতে হবে—স্বপ্ন ছাড়া কেউ বড় হতে পারে না। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম বলেছিলেন, ‘স্বপ্ন সেটা নয়, যা আমরা ঘুমিয়ে দেখি; স্বপ্ন সেটাই, যা আমাদের ঘুমাতে দেয় না।’
তোমরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছ ‘আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়’, এর প্রতিষ্ঠাতা আর পি সাহাও ছিলেন একজন মহান স্বপ্নদ্রষ্টা। মাত্র সাত বছর বয়সে মাকে হারিয়ে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ‘আমি যদি কখনো সম্পদশালী হই, তাহলে একটি মাতৃসদন হাসপাতাল গড়ে তুলব, যেন কোনো মা বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।’ ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়াশোনা করা, দারিদ্র্যপীড়িত সেই মানুষটি ফুটপাতে ঘুমিয়েছে, সংবাদপত্র বিক্রি করেছে, গাড়ি মুছেছে। কিন্তু অক্লান্ত পরিশ্রমে মাত্র ছয় বছরে তিনি ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেন। কয়লা, জুট, চামড়া, লবণ, নৌপরিবহন—সব ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন।
তবে সেই সম্পদ নিজের জন্য নয়, তিনি উৎসর্গ করেছিলেন মানুষের কল্যাণে। প্রতিষ্ঠা করেছেন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী কলেজ, দেবেন্দ্র কলেজ—সবই মানবতার সেবায় নিবেদিত।
তোমাদেরও তাই স্বপ্ন দেখতে হবে, নিজের ভেতরে ইতিবাচক শক্তি জাগিয়ে তুলতে হবে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং সমাজ পরিবর্তনে এগিয়ে আসতে হবে।
অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়, উপাচার্য, আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়

আড্ডা এখন অনেক কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের হাতে থাকা ছোট্ট একটি যন্ত্র—মোবাইল ফোনসেট। এই যন্ত্র আমাদের একে-অপরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বলি ‘রেস ডিসকানেকটেড আস, রিলিজিয়ন সেপারেট আস, পলিটিকস ডিভাইড আস, ওয়েলথ ক্ল্যাসিফাই আস’। এর সঙ্গে যোগ করতে চাই ‘মোবাইল ডিমোরালাইজড’। যদিও এই উক্তি নিয়ে বিতর্ক আছে, তবু সত্যি হলো, মোবাইল জীবনের অপরিহার্য অংশ হলেও এর অপব্যবহার ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে।
আজকাল ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময়ও হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া হয়। এক পরিবারের তিনজন সদস্য একসঙ্গে বসলেও প্রত্যেকে ব্যস্ত নিজের মোবাইলের মধ্যে, কথাবার্তা প্রায় নেই। অথচ মোবাইলের মধ্যে রয়েছে অসীম সম্ভাবনা। এটি দিয়ে তুমি প্রজেক্ট, থিসিস বা যেকোনো একাডেমিক গবেষণা করতে পারো। আমাদের সময়ে এই ধরনের সুযোগ ছিল না। এখন ইন্টারনেট তোমার হাতের মুঠোয়। জ্ঞান আহরণ করতে চাইলে তুমি পুরো বিশ্ব জয় করতে পারো। মনে রাখতে হবে, মোবাইলের দুটি দিক আছে—একটি সুফল, অন্যটি কুফল। সুফল কাজে লাগাতে হবে। নেতিবাচক ব্যবহার আমাদের যুবসমাজে বিভিন্ন আসক্তি, হতাশা এবং দুঃখজনক আত্মহত্যার মতো প্রবণতা তৈরি করছে। তাই তোমরা মোবাইল ব্যবহার করবে এর ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগিয়ে।
জীবনে সব সময় ইতিবাচক থাকতে হবে। আমি নিজে খারাপ থাকলেও বলি, ‘আমি খুব ভালো আছি’। এই মানসিক ইতিবাচকতা মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর স্বপ্ন থাকতে হবে—স্বপ্ন ছাড়া কেউ বড় হতে পারে না। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম বলেছিলেন, ‘স্বপ্ন সেটা নয়, যা আমরা ঘুমিয়ে দেখি; স্বপ্ন সেটাই, যা আমাদের ঘুমাতে দেয় না।’
তোমরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছ ‘আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়’, এর প্রতিষ্ঠাতা আর পি সাহাও ছিলেন একজন মহান স্বপ্নদ্রষ্টা। মাত্র সাত বছর বয়সে মাকে হারিয়ে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ‘আমি যদি কখনো সম্পদশালী হই, তাহলে একটি মাতৃসদন হাসপাতাল গড়ে তুলব, যেন কোনো মা বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।’ ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়াশোনা করা, দারিদ্র্যপীড়িত সেই মানুষটি ফুটপাতে ঘুমিয়েছে, সংবাদপত্র বিক্রি করেছে, গাড়ি মুছেছে। কিন্তু অক্লান্ত পরিশ্রমে মাত্র ছয় বছরে তিনি ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেন। কয়লা, জুট, চামড়া, লবণ, নৌপরিবহন—সব ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন।
তবে সেই সম্পদ নিজের জন্য নয়, তিনি উৎসর্গ করেছিলেন মানুষের কল্যাণে। প্রতিষ্ঠা করেছেন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী কলেজ, দেবেন্দ্র কলেজ—সবই মানবতার সেবায় নিবেদিত।
তোমাদেরও তাই স্বপ্ন দেখতে হবে, নিজের ভেতরে ইতিবাচক শক্তি জাগিয়ে তুলতে হবে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে এবং সমাজ পরিবর্তনে এগিয়ে আসতে হবে।
অধ্যাপক ড. মনীন্দ্র কুমার রায়, উপাচার্য, আর পি সাহা বিশ্ববিদ্যালয়

আইবিএ ছিল তাঁর একমাত্র ধ্যানধারণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের ফলাফল দেওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ একদমই পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। তাই বলে হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নন। দ্বিগুণ উদ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। অতঃপর মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন! বলছিলাম ভিকারুননিসা ন
১৪ আগস্ট ২০২২
বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম।
১৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি আবেদন আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ওরিয়েন্টেশন, রেজিস্ট্রেশন ও শ্রেণি
১৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ২৮ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৯ অক্টোবর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আইবিএ ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত। আবেদন শেষে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগেপর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আগামী ২৮ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৯ অক্টোবর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আইবিএ ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত। আবেদন শেষে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগেপর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।

আইবিএ ছিল তাঁর একমাত্র ধ্যানধারণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের ফলাফল দেওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ একদমই পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। তাই বলে হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নন। দ্বিগুণ উদ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। অতঃপর মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন! বলছিলাম ভিকারুননিসা ন
১৪ আগস্ট ২০২২
বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম।
১৮ ঘণ্টা আগে
আড্ডা এখন অনেক কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের হাতে থাকা ছোট্ট একটি যন্ত্র—মোবাইল ফোনসেট। এই যন্ত্র আমাদের একে-অপরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বলি ‘রেস ডিসকানেকটেড আস, রিলিজিয়ন সেপারেট আস, পলিটিকস ডিভাইড আস, ওয়েলথ ক্ল্যাসিফাই আস’।
১৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি আবেদন আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ওরিয়েন্টেশন, রেজিস্ট্রেশন ও শ্রেণি
১৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি আবেদন আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ওরিয়েন্টেশন, রেজিস্ট্রেশন ও শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১ হাজার ১০৯টি আসনে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ও নিয়মাবলি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৩২০, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৩০৩ এবং কোটায় ১৭। আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো এসএসসি ২০২২-২৩ ও এইচএসসি ২০২৪-২৫ পরীক্ষায় সম্মিলিত জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০। ভর্তি পরীক্ষা ৬০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৪০ নম্বরের লিখিত অংশের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত অঙ্কন পরীক্ষা থাকবে।
‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ২৮১, যার মধ্যে সাধারণ আসন ২৬৬ ও কোটায় ১৫। আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো সম্মিলিত জিপিএ ন্যূনতম ৮.০০। পরীক্ষা পদ্ধতি ‘এ’ ইউনিটের মতো হবে। ‘সি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা ও চারুকলা স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৪১৫, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৩৯১ ও কোটায় ২৪।
আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত জিপিএ কমপক্ষে ৭ পেতে হবে। চারুকলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত লিখিত ও অঙ্কন পরীক্ষা নেওয়া হবে। ‘ডি’ ইউনিটের (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৮৮, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৮৩ ও কোটায় ৫।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি আবেদন আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। আর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ৩০ ডিসেম্বর। চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ওরিয়েন্টেশন, রেজিস্ট্রেশন ও শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১ হাজার ১০৯টি আসনে ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ও নিয়মাবলি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৩২০, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৩০৩ এবং কোটায় ১৭। আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো এসএসসি ২০২২-২৩ ও এইচএসসি ২০২৪-২৫ পরীক্ষায় সম্মিলিত জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০। ভর্তি পরীক্ষা ৬০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৪০ নম্বরের লিখিত অংশের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত অঙ্কন পরীক্ষা থাকবে।
‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ২৮১, যার মধ্যে সাধারণ আসন ২৬৬ ও কোটায় ১৫। আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো সম্মিলিত জিপিএ ন্যূনতম ৮.০০। পরীক্ষা পদ্ধতি ‘এ’ ইউনিটের মতো হবে। ‘সি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা ও চারুকলা স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৪১৫, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৩৯১ ও কোটায় ২৪।
আবেদনের যোগ্যতার শর্ত হলো এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিত জিপিএ কমপক্ষে ৭ পেতে হবে। চারুকলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত লিখিত ও অঙ্কন পরীক্ষা নেওয়া হবে। ‘ডি’ ইউনিটের (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) মোট আসন সংখ্যা ৮৮, যার মধ্যে সাধারণ আসন ৮৩ ও কোটায় ৫।

আইবিএ ছিল তাঁর একমাত্র ধ্যানধারণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ বিভাগের ফলাফল দেওয়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ একদমই পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। তাই বলে হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নন। দ্বিগুণ উদ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। অতঃপর মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন! বলছিলাম ভিকারুননিসা ন
১৪ আগস্ট ২০২২
বন্ধুদের সঙ্গে সবাই কমবেশি আড্ডা দিই। তবে শিক্ষার্থীদের এমন আড্ডায় যদি যোগ দেন শিক্ষকেরা, ভাগাভাগি করেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার গল্প, আর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পান অনুপ্রেরণা, তখন সেই আড্ডা হয়ে ওঠে সত্যিই ব্যতিক্রম।
১৮ ঘণ্টা আগে
আড্ডা এখন অনেক কমে গেছে। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের হাতে থাকা ছোট্ট একটি যন্ত্র—মোবাইল ফোনসেট। এই যন্ত্র আমাদের একে-অপরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আমি বলি ‘রেস ডিসকানেকটেড আস, রিলিজিয়ন সেপারেট আস, পলিটিকস ডিভাইড আস, ওয়েলথ ক্ল্যাসিফাই আস’।
১৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বর এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯ ঘণ্টা আগে