Ajker Patrika

ফল সংশোধনের পর ২৩তম শিক্ষার্থী হলেন ২২০৫তম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিনিধি 
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২১, ১৯: ১৩
ফল সংশোধনের পর ২৩তম শিক্ষার্থী হলেন ২২০৫তম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২০-২১ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার বি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয় গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সোয়া একটায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলে ত্রুটির অভিযোগ ওঠায় আজ মঙ্গলবার সকালে ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে দুপুর একটার দিকে পুনরায় সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত তালিকায় অনেক শিক্ষার্থীর নম্বর ও মেধাতালিকার ক্রমে বিস্তর পরিবর্তন দেখা যায়। এতে করে এই ফল প্রকাশ নিয়ে পুনরায় ত্রুটি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে বি ইউনিটের পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়ক এ অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন। 

প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে মো. আব্দুল্লাহ আল রাফিউ হাসান নামের এক শিক্ষার্থী ৭৮.২৫ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় তার অবস্থান ৪৫ তম। এদিকে আজ দুপুরে প্রকাশিত সংশোধিত ফলাফলে দেখা যায়, তার প্রাপ্ত নম্বর ৫১ এবং মেধাতালিকায় তার অবস্থান ২০৫৭ তম।  

একই রকম ঘটনা ঘটেছে ইমু সাহা নামে আরেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। প্রথম প্রকাশিত ফলাফলে ৮০.৩০ নম্বর পেয়ে ২৩তম মেধা তালিকায় দেখানো হয় তাকে। এরপর সংশোধিত ফলাফলে দেখা যায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯.৬০ এবং মেধাতালিকায় তার অবস্থান দেখানো হয় ২২০৫ তম। 

বি ইউনিটের পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক জিন্নাত আরা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'আমাদের ওএমআর এ নাম্বারিং করার ক্ষেত্রে ওভারল্যাপিং হয়েছিল। পরবর্তীতে তা সংশোধন করা হয়েছে।' এ ছাড়া এটিকে সামান্য ভুল বলে মন্তব্যও করেন তিনি। 

জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনটি গ্রুপে (বি-১, বি-২, বি-৩) ৩১ হাজার ৫১৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। সোমবার রাতে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, বি-২ গ্রুপে প্রায় ১ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হলে মঙ্গলবার সকালে ফলাফল ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। পরবর্তীতে দুপুর একটার দিকে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে প্রথমবার পাশ করা অনেক শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ও মেধাক্রমে অনেক তারতম্য দেখা যায়। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের একটু টেকনিক্যাল সমস্যা হয়েছিল। রোল নম্বর পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। একজনের জায়গায় অন্য জনের নাম চলে এসেছিল। যার কারণে এমনটা হয়েছে।' 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ বলছেন, বি ইউনিটের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের ভুল কোনো ভাবেই কাম্য নয়। রেজাল্ট পরিবর্তনের ফলে প্রথমে যারা মেধাতালিকায় ছিল তাদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সকলকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত। 
 
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম বলেন, বি ইউনিটের পরীক্ষার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব সেখানকার প্রধান তত্ত্বাবধায়ককে দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফরে ৪০ যৌনকর্মীকে হোটেলে নেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু

‘আমি স্কুলে যেতে চাই না’, আত্মহত্যার আগে বলেছিল ৯ বছরের আমাইরা

বিএনপি আলোচনায় বসতে রাজি নয়, জানালেন জামায়াত নেতা

এত শক্তি প্রদর্শন আপনাদের মানায় না—অন্তর্বর্তী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি সালাহউদ্দিনের

মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ডাকাতির চেষ্টা ব্যর্থ, দোকানদার থেকে ২৫ সেকেন্ডে খেলেন ২০টি চড়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ