শাকিল আহমেদ
চীনের সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছেন শাকিল আহমেদ। পড়াশোনার পাশাপাশি চীনে উচ্চশিক্ষা নিয়ে সহায়কমূলক কনটেন্ট তৈরি করে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে চীনে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শুনে লিখেছেন মোফাজ্জল হোসেন।
চীন একটা বহুল বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে আসার পর দেখেছি, স্থানীয়রা চীনের সংস্কৃতিগুলো খুব জোরালোভাবে প্রচার করে। চীন বৃহৎ দেশ হওয়ায় একেক প্রদেশে একেক ধরনের সংস্কৃতি দেখা যায়। নিরাপত্তার দিক দিয়েও চীন অন্যতম। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চীনের নিরাপত্তা অত্যন্ত যত্নসহকারে রক্ষা করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে চীন ভিন্ন। যেমন অন্যান্য দেশে বর্ণবৈষম্য থাকলেও এখানে তা নেই। এখানকার মানুষ খুবই অতিথিপরায়ণ। চীনে পেমেন্ট ব্যবস্থা অত্যন্ত দক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, বয়স্ক মানুষ ছাড়া তেমন কেউ ক্যাশ ব্যবহার করেন না। আর ট্রান্সপোর্টেশন খুবই দ্রুত। মুহূর্তে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যাওয়া যায়। এসব কারণে শুধু বাংলাদেশি নয়, বিশ্বের অনেক দেশের শিক্ষার্থীদের কাছেই চীন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
কেন চীনকেই বেছে নেবেন
যাঁরা ম্যানেজমেন্ট বা বিজনেস রিলেটেড বিষয়ে পড়াশোনা শেষে ব্যবসা অথবা পর্যটনশিল্পে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাঁদের জন্য চীন অনন্য। তবে আমি বলব, পড়াশোনায় ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্যান্য ডিপার্টমেন্টকে বেছে না নিয়ে শুধু ম্যানেজমেন্ট বা বিজনেস সম্পর্কীয় বিষয় বেছে নিলে অবশ্যই সুবিধা পাবেন। তা ছাড়া যাঁদের ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে পড়ার আর্থিক অবস্থা নেই, তাঁরা স্বল্প খরচে চীনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। আর চীনের সরকার অনেক বেশি বৃত্তি দেয়। আপনি এখানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি করে সহজে অন্য দেশে মুভ করতে পারবেন। কেননা বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আবার অ্যাম্বাসি ফেস করতেও ঝামেলায় পড়তে হয়, সে ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীরা চীনকে বেছে নিতে পারেন।
রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা
চীনে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন অন্য দেশের তুলনায় চীনে বেশি বৃত্তি পাওয়া যায়। বিদেশে স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির ক্ষেত্রে বৃত্তি পাওয়া অনেক কঠিন বা বেশি খরচে পড়তে হয়। সেখানে চীন সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি দেয়। আবার বৃত্তি ছাড়াও কম খরচে উচ্চমানের শিক্ষার সুবিধা দিয়ে থাকে চীন।
লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরির সুযোগ
চীনে পড়ালেখার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ রয়েছে, তবে খুব কম। সপ্তাহে ৮ ঘণ্টা এবং ভ্যাকেশন সময়ে প্রতি সপ্তাহে ১৬ ঘণ্টা কাজের সুযোগ আছে। আর এটা শুধু যাঁরা টপ র্যাঙ্কিং ইউনিভার্সিটিতে পড়েন, তাঁরাই এই সুযোগটা পান। বড় সিটিগুলো এই সুযোগ দিয়ে থাকে। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ পেয়েছি ইউনিভার্সিটি থেকে। অবশ্যই তাদের রুলস-রেগুলেশন মেনে কাজ করতে হয়েছে। খণ্ডকালীন কাজের অনেক কন্ডিশনের মধ্যে আপনার মেজর বা বিষয়-সম্পর্কিত কাজ করতে হবে। এরপর কোম্পানি থেকে অফার লেটার এবং ভার্সিটি কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে কাজ করতে হবে। আর আপনি তৃতীয় সেমিস্টার থেকে সপ্তম সেমিস্টার অর্থাৎ ২য় বর্ষ থেকে শুরু করে ৪র্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন।
চায়নিজ বনাম ইংলিশ মিডিয়াম প্রোগ্রামের পার্থক্য
আমি বলব, চীনে পড়তে আগ্রহীরা অবশ্যই ইংলিশ মিডিয়ামে আসবেন। কেননা চায়নিজ ভাষায় যতই ফ্লুয়েন্সি হোন না কেন, যখন চায়নিজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পড়বেন, তখন অনেক জটিলতার সম্মুখীন হবেন, এটা তো আপনার মাতৃভাষা না। এ ছাড়া অনেক পার্থক্য ও সুবিধা-অসুবিধা দুটোয় আছে। চায়নিজ মাধ্যমে বেশি সুবিধা পাবেন, যা ইংলিশ মাধ্যমে নেই। অসুবিধা হলো, চায়নিজ মাধ্যমে পড়তে হলে আপনাকে চায়নিজ বাচ্চাদের সঙ্গে পড়তে হবে, অ্যাসাইনমেন্টগুলোও তাদের সঙ্গেই করতে হবে। তবে টপ র্যাঙ্কিং ভার্সিটিগুলোতে চায়নিজ মাধ্যমে থেকে ইংরেজি মাধ্যম ভালো, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য। তাই আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ইংরেজি মাধ্যমকে প্রেফার করব। কেননা আমার পরিচিত অনেকে চায়নিজ মাধ্যমে এসে ভুক্তভোগী হন, এমনকি অনেকের বৃত্তি বাদ হয়ে যায়। তারপর শিফট করে অন্য বিষয়ে নিজের টাকা দিয়ে পড়তে হয়।
ভর্তির আবেদনের জন্য যেসব ডকুমেন্ট লাগবে
চীনে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সাধারণত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বা দেশের মতোই। আপনি যদি স্নাতকে ভর্তি হতে চান, সে ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসির সার্টিফিকেট এবং মাস্টার্সের জন্য শুধু ব্যাচেলরের সার্টিফিকেট লাগবে। এ ছাড়া ট্রান্সক্রিপশন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট, নিজের ফরমাল ছবি, স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), ব্যাংক স্টেটমেন্ট, রিকমান্ডেশন লেটার–এগুলোই।
স্কলারশিপ ও আবেদনপ্রক্রিয়া
চীন বেশ কিছু স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে জনপ্রিয় স্কলারশিপ হলো China Scholarship Council (CSC), যা চায়নিজ গভর্নমেন্ট কর্তৃক দিয়ে থাকে। এ ছাড়া Provincial Government scholarship (PGS), University scholarship-সহ অনেক ধরনের স্কলারশিপের সুযোগ-সুবিধা চায়নাতে আছে। আবেদনপ্রক্রিয়া খুবই সহজ, CSC স্কলারশিপে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আর PGS, University Scholarship বা অন্যান্য স্কলারশিপে তাদের ওয়েবসাইট থেকেই আবেদন করতে পারবেন।
আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ
আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আমার পরামর্শ হলো, চীনে আসার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সেটি হলো আপনি কোন বিষয়ে পড়তে আসছেন? চীনে এর ভ্যালু এবং ক্যারিয়ার কেমন? আরেকটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, ভাষাগত দিক। যদি চীনে পড়তে আসতে চান, তাহলে চীনা ভাষায় লেভেল ফোর, যেটাকে HSK score বলা হয়, এটাতে পাস করতেই হবে। অন্যথায় আপনার ইউনিভার্সিটি কখনোই সার্টিফিকেট দেবে না। তার মানে আপনাকে চীনা ভাষা শিখতেই হবে। আপনি যদি চীনা ভাষা শিখতে না চান, তাহলে এখানে এসে বিপদে পড়তে হবে। আর আপনি যদি এমন ধারণা রাখেন যে চীনে এসে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করে
নিজের খরচ নিজে চালাবেন বা বাড়িতে টাকা পাঠাবেন, এটা কিন্তু প্রথমাবস্থায় পারবেন না।
চীনের সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছেন শাকিল আহমেদ। পড়াশোনার পাশাপাশি চীনে উচ্চশিক্ষা নিয়ে সহায়কমূলক কনটেন্ট তৈরি করে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে চীনে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শুনে লিখেছেন মোফাজ্জল হোসেন।
চীন একটা বহুল বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে আসার পর দেখেছি, স্থানীয়রা চীনের সংস্কৃতিগুলো খুব জোরালোভাবে প্রচার করে। চীন বৃহৎ দেশ হওয়ায় একেক প্রদেশে একেক ধরনের সংস্কৃতি দেখা যায়। নিরাপত্তার দিক দিয়েও চীন অন্যতম। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চীনের নিরাপত্তা অত্যন্ত যত্নসহকারে রক্ষা করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে চীন ভিন্ন। যেমন অন্যান্য দেশে বর্ণবৈষম্য থাকলেও এখানে তা নেই। এখানকার মানুষ খুবই অতিথিপরায়ণ। চীনে পেমেন্ট ব্যবস্থা অত্যন্ত দক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, বয়স্ক মানুষ ছাড়া তেমন কেউ ক্যাশ ব্যবহার করেন না। আর ট্রান্সপোর্টেশন খুবই দ্রুত। মুহূর্তে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যাওয়া যায়। এসব কারণে শুধু বাংলাদেশি নয়, বিশ্বের অনেক দেশের শিক্ষার্থীদের কাছেই চীন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
কেন চীনকেই বেছে নেবেন
যাঁরা ম্যানেজমেন্ট বা বিজনেস রিলেটেড বিষয়ে পড়াশোনা শেষে ব্যবসা অথবা পর্যটনশিল্পে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাঁদের জন্য চীন অনন্য। তবে আমি বলব, পড়াশোনায় ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্যান্য ডিপার্টমেন্টকে বেছে না নিয়ে শুধু ম্যানেজমেন্ট বা বিজনেস সম্পর্কীয় বিষয় বেছে নিলে অবশ্যই সুবিধা পাবেন। তা ছাড়া যাঁদের ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে পড়ার আর্থিক অবস্থা নেই, তাঁরা স্বল্প খরচে চীনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। আর চীনের সরকার অনেক বেশি বৃত্তি দেয়। আপনি এখানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি করে সহজে অন্য দেশে মুভ করতে পারবেন। কেননা বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আবার অ্যাম্বাসি ফেস করতেও ঝামেলায় পড়তে হয়, সে ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীরা চীনকে বেছে নিতে পারেন।
রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা
চীনে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন অন্য দেশের তুলনায় চীনে বেশি বৃত্তি পাওয়া যায়। বিদেশে স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির ক্ষেত্রে বৃত্তি পাওয়া অনেক কঠিন বা বেশি খরচে পড়তে হয়। সেখানে চীন সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি দেয়। আবার বৃত্তি ছাড়াও কম খরচে উচ্চমানের শিক্ষার সুবিধা দিয়ে থাকে চীন।
লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরির সুযোগ
চীনে পড়ালেখার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ রয়েছে, তবে খুব কম। সপ্তাহে ৮ ঘণ্টা এবং ভ্যাকেশন সময়ে প্রতি সপ্তাহে ১৬ ঘণ্টা কাজের সুযোগ আছে। আর এটা শুধু যাঁরা টপ র্যাঙ্কিং ইউনিভার্সিটিতে পড়েন, তাঁরাই এই সুযোগটা পান। বড় সিটিগুলো এই সুযোগ দিয়ে থাকে। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ পেয়েছি ইউনিভার্সিটি থেকে। অবশ্যই তাদের রুলস-রেগুলেশন মেনে কাজ করতে হয়েছে। খণ্ডকালীন কাজের অনেক কন্ডিশনের মধ্যে আপনার মেজর বা বিষয়-সম্পর্কিত কাজ করতে হবে। এরপর কোম্পানি থেকে অফার লেটার এবং ভার্সিটি কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে কাজ করতে হবে। আর আপনি তৃতীয় সেমিস্টার থেকে সপ্তম সেমিস্টার অর্থাৎ ২য় বর্ষ থেকে শুরু করে ৪র্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন।
চায়নিজ বনাম ইংলিশ মিডিয়াম প্রোগ্রামের পার্থক্য
আমি বলব, চীনে পড়তে আগ্রহীরা অবশ্যই ইংলিশ মিডিয়ামে আসবেন। কেননা চায়নিজ ভাষায় যতই ফ্লুয়েন্সি হোন না কেন, যখন চায়নিজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পড়বেন, তখন অনেক জটিলতার সম্মুখীন হবেন, এটা তো আপনার মাতৃভাষা না। এ ছাড়া অনেক পার্থক্য ও সুবিধা-অসুবিধা দুটোয় আছে। চায়নিজ মাধ্যমে বেশি সুবিধা পাবেন, যা ইংলিশ মাধ্যমে নেই। অসুবিধা হলো, চায়নিজ মাধ্যমে পড়তে হলে আপনাকে চায়নিজ বাচ্চাদের সঙ্গে পড়তে হবে, অ্যাসাইনমেন্টগুলোও তাদের সঙ্গেই করতে হবে। তবে টপ র্যাঙ্কিং ভার্সিটিগুলোতে চায়নিজ মাধ্যমে থেকে ইংরেজি মাধ্যম ভালো, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য। তাই আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ইংরেজি মাধ্যমকে প্রেফার করব। কেননা আমার পরিচিত অনেকে চায়নিজ মাধ্যমে এসে ভুক্তভোগী হন, এমনকি অনেকের বৃত্তি বাদ হয়ে যায়। তারপর শিফট করে অন্য বিষয়ে নিজের টাকা দিয়ে পড়তে হয়।
ভর্তির আবেদনের জন্য যেসব ডকুমেন্ট লাগবে
চীনে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সাধারণত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বা দেশের মতোই। আপনি যদি স্নাতকে ভর্তি হতে চান, সে ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসির সার্টিফিকেট এবং মাস্টার্সের জন্য শুধু ব্যাচেলরের সার্টিফিকেট লাগবে। এ ছাড়া ট্রান্সক্রিপশন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট, নিজের ফরমাল ছবি, স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), ব্যাংক স্টেটমেন্ট, রিকমান্ডেশন লেটার–এগুলোই।
স্কলারশিপ ও আবেদনপ্রক্রিয়া
চীন বেশ কিছু স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে জনপ্রিয় স্কলারশিপ হলো China Scholarship Council (CSC), যা চায়নিজ গভর্নমেন্ট কর্তৃক দিয়ে থাকে। এ ছাড়া Provincial Government scholarship (PGS), University scholarship-সহ অনেক ধরনের স্কলারশিপের সুযোগ-সুবিধা চায়নাতে আছে। আবেদনপ্রক্রিয়া খুবই সহজ, CSC স্কলারশিপে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আর PGS, University Scholarship বা অন্যান্য স্কলারশিপে তাদের ওয়েবসাইট থেকেই আবেদন করতে পারবেন।
আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ
আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আমার পরামর্শ হলো, চীনে আসার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সেটি হলো আপনি কোন বিষয়ে পড়তে আসছেন? চীনে এর ভ্যালু এবং ক্যারিয়ার কেমন? আরেকটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, ভাষাগত দিক। যদি চীনে পড়তে আসতে চান, তাহলে চীনা ভাষায় লেভেল ফোর, যেটাকে HSK score বলা হয়, এটাতে পাস করতেই হবে। অন্যথায় আপনার ইউনিভার্সিটি কখনোই সার্টিফিকেট দেবে না। তার মানে আপনাকে চীনা ভাষা শিখতেই হবে। আপনি যদি চীনা ভাষা শিখতে না চান, তাহলে এখানে এসে বিপদে পড়তে হবে। আর আপনি যদি এমন ধারণা রাখেন যে চীনে এসে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করে
নিজের খরচ নিজে চালাবেন বা বাড়িতে টাকা পাঠাবেন, এটা কিন্তু প্রথমাবস্থায় পারবেন না।
শাকিল আহমেদ
চীনের সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছেন শাকিল আহমেদ। পড়াশোনার পাশাপাশি চীনে উচ্চশিক্ষা নিয়ে সহায়কমূলক কনটেন্ট তৈরি করে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে চীনে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শুনে লিখেছেন মোফাজ্জল হোসেন।
চীন একটা বহুল বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে আসার পর দেখেছি, স্থানীয়রা চীনের সংস্কৃতিগুলো খুব জোরালোভাবে প্রচার করে। চীন বৃহৎ দেশ হওয়ায় একেক প্রদেশে একেক ধরনের সংস্কৃতি দেখা যায়। নিরাপত্তার দিক দিয়েও চীন অন্যতম। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চীনের নিরাপত্তা অত্যন্ত যত্নসহকারে রক্ষা করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে চীন ভিন্ন। যেমন অন্যান্য দেশে বর্ণবৈষম্য থাকলেও এখানে তা নেই। এখানকার মানুষ খুবই অতিথিপরায়ণ। চীনে পেমেন্ট ব্যবস্থা অত্যন্ত দক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, বয়স্ক মানুষ ছাড়া তেমন কেউ ক্যাশ ব্যবহার করেন না। আর ট্রান্সপোর্টেশন খুবই দ্রুত। মুহূর্তে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যাওয়া যায়। এসব কারণে শুধু বাংলাদেশি নয়, বিশ্বের অনেক দেশের শিক্ষার্থীদের কাছেই চীন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
কেন চীনকেই বেছে নেবেন
যাঁরা ম্যানেজমেন্ট বা বিজনেস রিলেটেড বিষয়ে পড়াশোনা শেষে ব্যবসা অথবা পর্যটনশিল্পে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাঁদের জন্য চীন অনন্য। তবে আমি বলব, পড়াশোনায় ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্যান্য ডিপার্টমেন্টকে বেছে না নিয়ে শুধু ম্যানেজমেন্ট বা বিজনেস সম্পর্কীয় বিষয় বেছে নিলে অবশ্যই সুবিধা পাবেন। তা ছাড়া যাঁদের ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে পড়ার আর্থিক অবস্থা নেই, তাঁরা স্বল্প খরচে চীনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। আর চীনের সরকার অনেক বেশি বৃত্তি দেয়। আপনি এখানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি করে সহজে অন্য দেশে মুভ করতে পারবেন। কেননা বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আবার অ্যাম্বাসি ফেস করতেও ঝামেলায় পড়তে হয়, সে ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীরা চীনকে বেছে নিতে পারেন।
রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা
চীনে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন অন্য দেশের তুলনায় চীনে বেশি বৃত্তি পাওয়া যায়। বিদেশে স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির ক্ষেত্রে বৃত্তি পাওয়া অনেক কঠিন বা বেশি খরচে পড়তে হয়। সেখানে চীন সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি দেয়। আবার বৃত্তি ছাড়াও কম খরচে উচ্চমানের শিক্ষার সুবিধা দিয়ে থাকে চীন।
লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরির সুযোগ
চীনে পড়ালেখার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ রয়েছে, তবে খুব কম। সপ্তাহে ৮ ঘণ্টা এবং ভ্যাকেশন সময়ে প্রতি সপ্তাহে ১৬ ঘণ্টা কাজের সুযোগ আছে। আর এটা শুধু যাঁরা টপ র্যাঙ্কিং ইউনিভার্সিটিতে পড়েন, তাঁরাই এই সুযোগটা পান। বড় সিটিগুলো এই সুযোগ দিয়ে থাকে। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ পেয়েছি ইউনিভার্সিটি থেকে। অবশ্যই তাদের রুলস-রেগুলেশন মেনে কাজ করতে হয়েছে। খণ্ডকালীন কাজের অনেক কন্ডিশনের মধ্যে আপনার মেজর বা বিষয়-সম্পর্কিত কাজ করতে হবে। এরপর কোম্পানি থেকে অফার লেটার এবং ভার্সিটি কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে কাজ করতে হবে। আর আপনি তৃতীয় সেমিস্টার থেকে সপ্তম সেমিস্টার অর্থাৎ ২য় বর্ষ থেকে শুরু করে ৪র্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন।
চায়নিজ বনাম ইংলিশ মিডিয়াম প্রোগ্রামের পার্থক্য
আমি বলব, চীনে পড়তে আগ্রহীরা অবশ্যই ইংলিশ মিডিয়ামে আসবেন। কেননা চায়নিজ ভাষায় যতই ফ্লুয়েন্সি হোন না কেন, যখন চায়নিজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পড়বেন, তখন অনেক জটিলতার সম্মুখীন হবেন, এটা তো আপনার মাতৃভাষা না। এ ছাড়া অনেক পার্থক্য ও সুবিধা-অসুবিধা দুটোয় আছে। চায়নিজ মাধ্যমে বেশি সুবিধা পাবেন, যা ইংলিশ মাধ্যমে নেই। অসুবিধা হলো, চায়নিজ মাধ্যমে পড়তে হলে আপনাকে চায়নিজ বাচ্চাদের সঙ্গে পড়তে হবে, অ্যাসাইনমেন্টগুলোও তাদের সঙ্গেই করতে হবে। তবে টপ র্যাঙ্কিং ভার্সিটিগুলোতে চায়নিজ মাধ্যমে থেকে ইংরেজি মাধ্যম ভালো, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য। তাই আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ইংরেজি মাধ্যমকে প্রেফার করব। কেননা আমার পরিচিত অনেকে চায়নিজ মাধ্যমে এসে ভুক্তভোগী হন, এমনকি অনেকের বৃত্তি বাদ হয়ে যায়। তারপর শিফট করে অন্য বিষয়ে নিজের টাকা দিয়ে পড়তে হয়।
ভর্তির আবেদনের জন্য যেসব ডকুমেন্ট লাগবে
চীনে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সাধারণত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বা দেশের মতোই। আপনি যদি স্নাতকে ভর্তি হতে চান, সে ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসির সার্টিফিকেট এবং মাস্টার্সের জন্য শুধু ব্যাচেলরের সার্টিফিকেট লাগবে। এ ছাড়া ট্রান্সক্রিপশন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট, নিজের ফরমাল ছবি, স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), ব্যাংক স্টেটমেন্ট, রিকমান্ডেশন লেটার–এগুলোই।
স্কলারশিপ ও আবেদনপ্রক্রিয়া
চীন বেশ কিছু স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে জনপ্রিয় স্কলারশিপ হলো China Scholarship Council (CSC), যা চায়নিজ গভর্নমেন্ট কর্তৃক দিয়ে থাকে। এ ছাড়া Provincial Government scholarship (PGS), University scholarship-সহ অনেক ধরনের স্কলারশিপের সুযোগ-সুবিধা চায়নাতে আছে। আবেদনপ্রক্রিয়া খুবই সহজ, CSC স্কলারশিপে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আর PGS, University Scholarship বা অন্যান্য স্কলারশিপে তাদের ওয়েবসাইট থেকেই আবেদন করতে পারবেন।
আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ
আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আমার পরামর্শ হলো, চীনে আসার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সেটি হলো আপনি কোন বিষয়ে পড়তে আসছেন? চীনে এর ভ্যালু এবং ক্যারিয়ার কেমন? আরেকটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, ভাষাগত দিক। যদি চীনে পড়তে আসতে চান, তাহলে চীনা ভাষায় লেভেল ফোর, যেটাকে HSK score বলা হয়, এটাতে পাস করতেই হবে। অন্যথায় আপনার ইউনিভার্সিটি কখনোই সার্টিফিকেট দেবে না। তার মানে আপনাকে চীনা ভাষা শিখতেই হবে। আপনি যদি চীনা ভাষা শিখতে না চান, তাহলে এখানে এসে বিপদে পড়তে হবে। আর আপনি যদি এমন ধারণা রাখেন যে চীনে এসে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করে
নিজের খরচ নিজে চালাবেন বা বাড়িতে টাকা পাঠাবেন, এটা কিন্তু প্রথমাবস্থায় পারবেন না।
চীনের সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছেন শাকিল আহমেদ। পড়াশোনার পাশাপাশি চীনে উচ্চশিক্ষা নিয়ে সহায়কমূলক কনটেন্ট তৈরি করে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে চীনে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শুনে লিখেছেন মোফাজ্জল হোসেন।
চীন একটা বহুল বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে আসার পর দেখেছি, স্থানীয়রা চীনের সংস্কৃতিগুলো খুব জোরালোভাবে প্রচার করে। চীন বৃহৎ দেশ হওয়ায় একেক প্রদেশে একেক ধরনের সংস্কৃতি দেখা যায়। নিরাপত্তার দিক দিয়েও চীন অন্যতম। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চীনের নিরাপত্তা অত্যন্ত যত্নসহকারে রক্ষা করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে চীন ভিন্ন। যেমন অন্যান্য দেশে বর্ণবৈষম্য থাকলেও এখানে তা নেই। এখানকার মানুষ খুবই অতিথিপরায়ণ। চীনে পেমেন্ট ব্যবস্থা অত্যন্ত দক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, বয়স্ক মানুষ ছাড়া তেমন কেউ ক্যাশ ব্যবহার করেন না। আর ট্রান্সপোর্টেশন খুবই দ্রুত। মুহূর্তে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে যাওয়া যায়। এসব কারণে শুধু বাংলাদেশি নয়, বিশ্বের অনেক দেশের শিক্ষার্থীদের কাছেই চীন আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
কেন চীনকেই বেছে নেবেন
যাঁরা ম্যানেজমেন্ট বা বিজনেস রিলেটেড বিষয়ে পড়াশোনা শেষে ব্যবসা অথবা পর্যটনশিল্পে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাঁদের জন্য চীন অনন্য। তবে আমি বলব, পড়াশোনায় ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্যান্য ডিপার্টমেন্টকে বেছে না নিয়ে শুধু ম্যানেজমেন্ট বা বিজনেস সম্পর্কীয় বিষয় বেছে নিলে অবশ্যই সুবিধা পাবেন। তা ছাড়া যাঁদের ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে পড়ার আর্থিক অবস্থা নেই, তাঁরা স্বল্প খরচে চীনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। আর চীনের সরকার অনেক বেশি বৃত্তি দেয়। আপনি এখানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি করে সহজে অন্য দেশে মুভ করতে পারবেন। কেননা বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আবার অ্যাম্বাসি ফেস করতেও ঝামেলায় পড়তে হয়, সে ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীরা চীনকে বেছে নিতে পারেন।
রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা
চীনে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন অন্য দেশের তুলনায় চীনে বেশি বৃত্তি পাওয়া যায়। বিদেশে স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির ক্ষেত্রে বৃত্তি পাওয়া অনেক কঠিন বা বেশি খরচে পড়তে হয়। সেখানে চীন সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি দেয়। আবার বৃত্তি ছাড়াও কম খরচে উচ্চমানের শিক্ষার সুবিধা দিয়ে থাকে চীন।
লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরির সুযোগ
চীনে পড়ালেখার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ রয়েছে, তবে খুব কম। সপ্তাহে ৮ ঘণ্টা এবং ভ্যাকেশন সময়ে প্রতি সপ্তাহে ১৬ ঘণ্টা কাজের সুযোগ আছে। আর এটা শুধু যাঁরা টপ র্যাঙ্কিং ইউনিভার্সিটিতে পড়েন, তাঁরাই এই সুযোগটা পান। বড় সিটিগুলো এই সুযোগ দিয়ে থাকে। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ পেয়েছি ইউনিভার্সিটি থেকে। অবশ্যই তাদের রুলস-রেগুলেশন মেনে কাজ করতে হয়েছে। খণ্ডকালীন কাজের অনেক কন্ডিশনের মধ্যে আপনার মেজর বা বিষয়-সম্পর্কিত কাজ করতে হবে। এরপর কোম্পানি থেকে অফার লেটার এবং ভার্সিটি কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে কাজ করতে হবে। আর আপনি তৃতীয় সেমিস্টার থেকে সপ্তম সেমিস্টার অর্থাৎ ২য় বর্ষ থেকে শুরু করে ৪র্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টার পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন।
চায়নিজ বনাম ইংলিশ মিডিয়াম প্রোগ্রামের পার্থক্য
আমি বলব, চীনে পড়তে আগ্রহীরা অবশ্যই ইংলিশ মিডিয়ামে আসবেন। কেননা চায়নিজ ভাষায় যতই ফ্লুয়েন্সি হোন না কেন, যখন চায়নিজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পড়বেন, তখন অনেক জটিলতার সম্মুখীন হবেন, এটা তো আপনার মাতৃভাষা না। এ ছাড়া অনেক পার্থক্য ও সুবিধা-অসুবিধা দুটোয় আছে। চায়নিজ মাধ্যমে বেশি সুবিধা পাবেন, যা ইংলিশ মাধ্যমে নেই। অসুবিধা হলো, চায়নিজ মাধ্যমে পড়তে হলে আপনাকে চায়নিজ বাচ্চাদের সঙ্গে পড়তে হবে, অ্যাসাইনমেন্টগুলোও তাদের সঙ্গেই করতে হবে। তবে টপ র্যাঙ্কিং ভার্সিটিগুলোতে চায়নিজ মাধ্যমে থেকে ইংরেজি মাধ্যম ভালো, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য। তাই আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ইংরেজি মাধ্যমকে প্রেফার করব। কেননা আমার পরিচিত অনেকে চায়নিজ মাধ্যমে এসে ভুক্তভোগী হন, এমনকি অনেকের বৃত্তি বাদ হয়ে যায়। তারপর শিফট করে অন্য বিষয়ে নিজের টাকা দিয়ে পড়তে হয়।
ভর্তির আবেদনের জন্য যেসব ডকুমেন্ট লাগবে
চীনে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সাধারণত অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বা দেশের মতোই। আপনি যদি স্নাতকে ভর্তি হতে চান, সে ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসির সার্টিফিকেট এবং মাস্টার্সের জন্য শুধু ব্যাচেলরের সার্টিফিকেট লাগবে। এ ছাড়া ট্রান্সক্রিপশন, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট, নিজের ফরমাল ছবি, স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), ব্যাংক স্টেটমেন্ট, রিকমান্ডেশন লেটার–এগুলোই।
স্কলারশিপ ও আবেদনপ্রক্রিয়া
চীন বেশ কিছু স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে জনপ্রিয় স্কলারশিপ হলো China Scholarship Council (CSC), যা চায়নিজ গভর্নমেন্ট কর্তৃক দিয়ে থাকে। এ ছাড়া Provincial Government scholarship (PGS), University scholarship-সহ অনেক ধরনের স্কলারশিপের সুযোগ-সুবিধা চায়নাতে আছে। আবেদনপ্রক্রিয়া খুবই সহজ, CSC স্কলারশিপে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আর PGS, University Scholarship বা অন্যান্য স্কলারশিপে তাদের ওয়েবসাইট থেকেই আবেদন করতে পারবেন।
আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ
আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আমার পরামর্শ হলো, চীনে আসার আগে অবশ্যই কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সেটি হলো আপনি কোন বিষয়ে পড়তে আসছেন? চীনে এর ভ্যালু এবং ক্যারিয়ার কেমন? আরেকটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, ভাষাগত দিক। যদি চীনে পড়তে আসতে চান, তাহলে চীনা ভাষায় লেভেল ফোর, যেটাকে HSK score বলা হয়, এটাতে পাস করতেই হবে। অন্যথায় আপনার ইউনিভার্সিটি কখনোই সার্টিফিকেট দেবে না। তার মানে আপনাকে চীনা ভাষা শিখতেই হবে। আপনি যদি চীনা ভাষা শিখতে না চান, তাহলে এখানে এসে বিপদে পড়তে হবে। আর আপনি যদি এমন ধারণা রাখেন যে চীনে এসে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করে
নিজের খরচ নিজে চালাবেন বা বাড়িতে টাকা পাঠাবেন, এটা কিন্তু প্রথমাবস্থায় পারবেন না।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
৮ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদনের সময়সীমা ও এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
যেসব বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে, সেগুলো হলো বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি, বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস, এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল ও বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন ফিশারিজ।
চীন একটা বহুল বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে আসার পর দেখেছি, স্থানীয়রা চীনের সংস্কৃতিগুলো খুব জোরালোভাবে প্রচার করে। চীন বৃহৎ দেশ হওয়ায় একেক প্রদেশে একেক ধরনের সংস্কৃতি দেখা যায়। নিরাপত্তার দিক দিয়েও চীন অন্যতম। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চীনের নিরাপত্তা অত্যন্ত যত্নসহকারে রক্ষা করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য
০৯ আগস্ট ২০২৫‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
৮ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেমো. আশিকুর রহমান
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস বিপুলেন্দু বসাক। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান
মানুষ এখন ধীরে ধীরে বুঝতে শিখছে। মানুষ একা ভালো থাকতে পারে না; চারপাশ ভালো না থাকলে নিজের মঙ্গলও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সামগ্রিক ভালো থাকার মূল চাবিকাঠি হলো পরিবেশ। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশবিজ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিল, সেখানে আমাদের দেশে বিষয়টি গুরুত্ব পেতে আরও প্রায় অর্ধশতাব্দী লেগে গেছে। এই দীর্ঘ অপেক্ষা আমাদের পরিবেশ ও উন্নয়নের সূচকে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে এনেছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
এ দেশের পরিবেশবিজ্ঞান খুব পুরোনো কোনো বিষয় নয়। গত শতকের শেষ দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে বিষয়টির একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগ চালু এবং ব্যক্তি পর্যায়ের চিন্তা থেকে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও কর্মসূচি একটি সামগ্রিক রূপ নিতে শুরু করে।
২০১৬ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বুটেক্সেও একই নামে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত টেক্সটাইল শিল্পের দূষণ ও এর প্রতিকার নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছে।
একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোনো একক শাখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃত অর্থে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রফেশনাল অ্যাপ্রোচ। এই বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য দরকার পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, ভূগোল, অণুজীববিজ্ঞান, হাইড্রোলজি, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড সেফটির মতো নানা ক্ষেত্রের জ্ঞান।
ভূমির গভীর কোর থেকে শুরু করে মহাশূন্যের এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল অবজেক্ট পর্যন্ত। প্রকৃতির প্রতিটি স্তর এই বিষয়ের গবেষণার পরিসরে আসে। এককথায়, পৃথিবীকে জানাই এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।
কর্মপরিধি ও সম্ভাবনা
পরিবেশবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পেশার সুযোগ অত্যন্ত বিস্তৃত। পরিবেশবিজ্ঞানী বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজের পাশাপাশি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দপ্তর, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পানিসম্পদ বিভাগ, নদী ও উপকূল গবেষণা কেন্দ্র, মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা, স্প্যারো), বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও এনজিওতেও কাজের সুযোগ রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা
বর্তমান বিশ্বে একজন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্টিস্ট বা ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা ও বেতন দুটোই বিশ্বে প্রথম সারির পেশাগুলোর মধ্যে অন্যতম। উচ্চশিক্ষা ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই পেশায় খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করা যায়। আর উন্নত বিশ্বে এই বিভাগের উচ্চ চাহিদার কথা মাথায় রেখেই উচ্চশিক্ষার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ, ফেলোশিপ ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা। যেগুলোতে কোয়ালিফাই করতে হলে ছাত্রজীবনে একটু অধ্যয়ন ও গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
চীন একটা বহুল বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে আসার পর দেখেছি, স্থানীয়রা চীনের সংস্কৃতিগুলো খুব জোরালোভাবে প্রচার করে। চীন বৃহৎ দেশ হওয়ায় একেক প্রদেশে একেক ধরনের সংস্কৃতি দেখা যায়। নিরাপত্তার দিক দিয়েও চীন অন্যতম। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চীনের নিরাপত্তা অত্যন্ত যত্নসহকারে রক্ষা করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য
০৯ আগস্ট ২০২৫২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
৯ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেফোনেটিকস
মমতাজ জাহান মম
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)
স্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
ব্যঞ্জনবর্ণ কী?
যখন তুমি কোনো শব্দ উচ্চারণ করো আর মুখের ভেতর বাতাস কোথাও গিয়ে আটকে যায় বা ধাক্কা খায়, তখন তৈরি হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এ বাধা শব্দকে আলাদা আলাদা করে শোনায়।
উদাহরণ
‘b’ বললে ঠোঁট একসঙ্গে বন্ধ হয়।
‘t’ বললে জিব দাঁতের কাছে ঠেকে যায়।
‘s’ বললে বাতাস দাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।
ইংরেজিতে ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা
প্রায় ২৪টি ব্যঞ্জন ধ্বনি আছে। এগুলোকে উচ্চারণের ধরন ও জায়গা অনুযায়ী ভাগ করা হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের দুই বড় দিক
১. উচ্চারণের ধরন
Plosive (বিস্ফোরণধ্বনি)
Fricative (ঘর্ষণধ্বনি) f, v, s, z, sh, zh
Nasal (নাসিক্যধ্বনি) m, n, ng
Lateral l
Approximant— r, w, y
২. উচ্চারণের স্থান
Bilabial (দুই ঠোঁট) b, p, m
Dental (দাঁতের কাছে)— th (think, this)
Alveolar (দাঁতের মাড়ির কাছে) t, d, s, z, n, l
Velar (জিভের পেছনে) k, g, ng
মজার তুলনা
ভাবো, তোমার মুখটা এক মিউজিক ব্যান্ড। ঠোঁট = ড্রাম; দাঁত = গিটার
জিভ = পিয়ানো।
প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণ একেকটা বাদ্যযন্ত্রের মতো বাজে, আর মিলেমিশে বানায় সুন্দর গান, মানে কথা।
ছোট্ট অনুশীলন
একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলো: p, t, k। দেখো ঠোঁট, জিব আর গলার কোন অংশ নড়ে।
তারপর বলো: f, s, sh এবার লক্ষ করো বাতাস কীভাবে বের হচ্ছে।
আগামী পর্বে (পর্ব-৭)
চীন একটা বহুল বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে আসার পর দেখেছি, স্থানীয়রা চীনের সংস্কৃতিগুলো খুব জোরালোভাবে প্রচার করে। চীন বৃহৎ দেশ হওয়ায় একেক প্রদেশে একেক ধরনের সংস্কৃতি দেখা যায়। নিরাপত্তার দিক দিয়েও চীন অন্যতম। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চীনের নিরাপত্তা অত্যন্ত যত্নসহকারে রক্ষা করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য
০৯ আগস্ট ২০২৫২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
৮ ঘণ্টা আগেজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা..
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেননি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয় থেকে বের হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সংগঠন ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট’ এ দাবি জানায়।
জোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি ছিল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও দাবি নিয়ে আলোচনা করা। কিন্তু পদযাত্রা শুরু করার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের সহযোগিতায় ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পেশ করলেও শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’
মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা দেখা না করে শিক্ষকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছেন। এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, গোটা শিক্ষকসমাজের প্রতি অবমাননা। শিক্ষকদের সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকসমাজকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দুপুরে পদযাত্রা শুরু করেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের গেটের মাঝামাঝি সড়কে পুলিশ তা আটকে দেয়। এরপর দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে সচিবালয়ে যায় ১৫ জন শিক্ষকের প্রতিনিধিদল।
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো ১ হাজার ৮৯টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুত অনুমোদন, এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টি এবং আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন।
চীন একটা বহুল বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে আসার পর দেখেছি, স্থানীয়রা চীনের সংস্কৃতিগুলো খুব জোরালোভাবে প্রচার করে। চীন বৃহৎ দেশ হওয়ায় একেক প্রদেশে একেক ধরনের সংস্কৃতি দেখা যায়। নিরাপত্তার দিক দিয়েও চীন অন্যতম। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চীনের নিরাপত্তা অত্যন্ত যত্নসহকারে রক্ষা করা হয়। এ ছাড়া অন্যান্য
০৯ আগস্ট ২০২৫২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির ডিন মুহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে‘পরিবেশ’ শব্দটি এখন কেবল বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা স্বাস্থ্য—সব ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য আলোচ্য বিষয়। কিন্তু এই বোধ সঞ্চার করতে সময় লেগেছে অনেক, আর সেই বিলম্বই আজ পৃথিবীকে করেছে অসুস্থ। এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার নিয়ে পরামর্শ...
৮ ঘণ্টা আগেস্বরবর্ণ হলো ভাষার সুর, কিন্তু সুরে গড়ন না থাকলে গান টেকে না। ব্যঞ্জনবর্ণ বা Consonants হলো সেই গড়ন। এটি ভাষাকে কাঠামো দেয়, শব্দকে শক্তপোক্ত করে তোলে।
৯ ঘণ্টা আগে