আইভিলিগের অন্তর্ভুক্ত ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউ হ্যাভেন শহরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। মাত্র ৪ দশমিক ৪৬ এক্সেপ্টেন্স রেট নিয়ে বিশ্বের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। স্বাভাবিকভাবেই এখানে পড়াশোনা করার সুযোগ পেতে শিক্ষার্থীদের কঠিন ভর্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এসব প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকের মনেই নানান প্রশ্ন থাকে। সেসব বিষয়ে জানিয়েছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পিএইচডি প্রোগ্রামের শৈতী শ্রাবন্তী হালদার।
আবেদনের প্রক্রিয়া
মাস্টার্স, পিএইচডি ইত্যাদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসটা যুক্তরাষ্ট্রের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই প্রায় এক। ইয়েলে অ্যাপ্লাই করতে কয়েকটা জিনিস লাগে:
আবেদনের আগে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-ব্যয়
ইয়েলের খরচ কেমন এটা বিভাগের ওপরে নির্ভর করে। কিন্তু পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য ইয়েল আসলে মোটামুটি পাঁচ বছরই ফান্ডিং নিশ্চিত করে। টিউশন ফি বছরে ইউএসডি ৪৫ হাজার এবং স্টাইপেন্ড (থাকা-খাওয়ার খরচের জন্য) বর্তমানে বছরে ইউএসডি ৩৮ হাজার। এই ইউএসডি ৮৩ হাজার প্রথম বছর ইয়েল দেয় এবং পরবর্তী বছর থেকে যেই প্রফেসরের তত্ত্বাবধানে গবেষণা চলছে উনি দেন। বছরে ইউএসডি ৩৮ হাজার নিউ হেভেনে থাকা-খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত এবং এক্সট্রা উপার্জন থাকলে আরও একটু স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা যায়। তবে যেসব শিক্ষার্থীর সন্তান আছে তাঁরা চাইলে আরও এক্সট্রা ইউএসডি ৬ হাজার ৬০০ বছরে ইয়েলের কাছ থেকে পাবেন। পাঁচ বছর পরে ফান্ডিং নিয়ে একটু সমস্যা হতে পারে, কিন্তু ইয়েল সাধারণত সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেন শিক্ষার্থীদের আর্থিক কোনো অসুবিধা না হয়।
কর্মসংস্থানের সুযোগ
পড়াশোনার সময়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা চাইলে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত অন-ক্যাম্পাস জব করতে পারেন। এই জব হতে পারে ইয়েলের কোনো প্রশাসনিক দপ্তরে কাজ বা টিচিং, অথবা লেখালেখি। এর বাইরে যদি কেউ ইন্টার্নশিপ করতে চান, তাহলে প্রফেসরের অনুমতি নিয়ে সামারে তিন মাস, গবেষণা বন্ধ রেখে যেকোনো কোম্পানিতে কারিকুলার প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিংয়ের (সিপিটি) জন্য আবেদন করতে পারে। পিএইচডি শেষে তিন বছর পর্যন্ত যেকোনো প্রতিষ্ঠানে অপশনাল প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিংয়ের (ওপিটি) মাধ্যমে চাকরি করতে পারবেন। এর পরে ইউএসএতে কাজ করতে চাইলে ওয়ার্ক ভিসা (এইচ১-বি) অথবা গ্রিন কার্ডের আবেদন করতে হবে।
নেতিবাচক মন্তব্য উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট হোক আর গ্র্যাজুয়েট, বড়মাপের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলেই কিন্তু যুদ্ধটা শেষ নয়; বরং মাত্র যুদ্ধের শুরু। তাই নিজের পড়াশোনার অথবা গবেষণার বিষয়টাকে ভালোবাসলে সেই যুদ্ধটা হাজার গুণ সহজ হয়ে যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গবেষণার অভিজ্ঞতা অর্জন করা এবং কয়েকজন অধ্যাপকের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করা। আমার আরেকটা উপদেশ হলো—সম্ভব হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের ফান্ডিংয়ের জন্যও আবেদন করা। বাংলাদেশ থেকে যদি কেউ স্নাতক করে থাকেন, তাহলে তাঁরা এউএস অ্যাম্বাসির অধীনে ফুলব্রাইট স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। আন্তর্জাতিক নারী শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু অল্পসংখ্যক স্কলারশিপও আছে, যেগুলো খুবই সম্মানজনক। তাই আমি মেয়েদের বিশেষ করে বলব, বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে। বর্তমানে মেয়েদের বাইরে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক বাধা আছে। পেছনে কারণ হিসেবে অনেক কিছুই থাকতে পারে, কিন্তু আমার মনে হয় যেসব চিন্তা থেকে বাধা দেওয়া হয়, সেগুলো নিতান্তই অমূলক। প্রতিটি পরিবারের উচিত, মেধাবী ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের স্বপ্নগুলো ভাঙতে না দেওয়া। বাইরে উচ্চশিক্ষা নিয়ে অনেক ভুল তথ্য বা ধারণা মানুষের মনে আছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আশপাশের মানুষের নেতিবাচক মন্তব্য উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে।
অনুলিখন: সাদিয়া আফরিন হীরা
আইভিলিগের অন্তর্ভুক্ত ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউ হ্যাভেন শহরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। মাত্র ৪ দশমিক ৪৬ এক্সেপ্টেন্স রেট নিয়ে বিশ্বের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। স্বাভাবিকভাবেই এখানে পড়াশোনা করার সুযোগ পেতে শিক্ষার্থীদের কঠিন ভর্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এসব প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকের মনেই নানান প্রশ্ন থাকে। সেসব বিষয়ে জানিয়েছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পিএইচডি প্রোগ্রামের শৈতী শ্রাবন্তী হালদার।
আবেদনের প্রক্রিয়া
মাস্টার্স, পিএইচডি ইত্যাদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য অ্যাপ্লিকেশন প্রসেসটা যুক্তরাষ্ট্রের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই প্রায় এক। ইয়েলে অ্যাপ্লাই করতে কয়েকটা জিনিস লাগে:
আবেদনের আগে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-ব্যয়
ইয়েলের খরচ কেমন এটা বিভাগের ওপরে নির্ভর করে। কিন্তু পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য ইয়েল আসলে মোটামুটি পাঁচ বছরই ফান্ডিং নিশ্চিত করে। টিউশন ফি বছরে ইউএসডি ৪৫ হাজার এবং স্টাইপেন্ড (থাকা-খাওয়ার খরচের জন্য) বর্তমানে বছরে ইউএসডি ৩৮ হাজার। এই ইউএসডি ৮৩ হাজার প্রথম বছর ইয়েল দেয় এবং পরবর্তী বছর থেকে যেই প্রফেসরের তত্ত্বাবধানে গবেষণা চলছে উনি দেন। বছরে ইউএসডি ৩৮ হাজার নিউ হেভেনে থাকা-খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত এবং এক্সট্রা উপার্জন থাকলে আরও একটু স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা যায়। তবে যেসব শিক্ষার্থীর সন্তান আছে তাঁরা চাইলে আরও এক্সট্রা ইউএসডি ৬ হাজার ৬০০ বছরে ইয়েলের কাছ থেকে পাবেন। পাঁচ বছর পরে ফান্ডিং নিয়ে একটু সমস্যা হতে পারে, কিন্তু ইয়েল সাধারণত সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেন শিক্ষার্থীদের আর্থিক কোনো অসুবিধা না হয়।
কর্মসংস্থানের সুযোগ
পড়াশোনার সময়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা চাইলে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত অন-ক্যাম্পাস জব করতে পারেন। এই জব হতে পারে ইয়েলের কোনো প্রশাসনিক দপ্তরে কাজ বা টিচিং, অথবা লেখালেখি। এর বাইরে যদি কেউ ইন্টার্নশিপ করতে চান, তাহলে প্রফেসরের অনুমতি নিয়ে সামারে তিন মাস, গবেষণা বন্ধ রেখে যেকোনো কোম্পানিতে কারিকুলার প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিংয়ের (সিপিটি) জন্য আবেদন করতে পারে। পিএইচডি শেষে তিন বছর পর্যন্ত যেকোনো প্রতিষ্ঠানে অপশনাল প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিংয়ের (ওপিটি) মাধ্যমে চাকরি করতে পারবেন। এর পরে ইউএসএতে কাজ করতে চাইলে ওয়ার্ক ভিসা (এইচ১-বি) অথবা গ্রিন কার্ডের আবেদন করতে হবে।
নেতিবাচক মন্তব্য উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট হোক আর গ্র্যাজুয়েট, বড়মাপের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলেই কিন্তু যুদ্ধটা শেষ নয়; বরং মাত্র যুদ্ধের শুরু। তাই নিজের পড়াশোনার অথবা গবেষণার বিষয়টাকে ভালোবাসলে সেই যুদ্ধটা হাজার গুণ সহজ হয়ে যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গবেষণার অভিজ্ঞতা অর্জন করা এবং কয়েকজন অধ্যাপকের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করা। আমার আরেকটা উপদেশ হলো—সম্ভব হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের ফান্ডিংয়ের জন্যও আবেদন করা। বাংলাদেশ থেকে যদি কেউ স্নাতক করে থাকেন, তাহলে তাঁরা এউএস অ্যাম্বাসির অধীনে ফুলব্রাইট স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। আন্তর্জাতিক নারী শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু অল্পসংখ্যক স্কলারশিপও আছে, যেগুলো খুবই সম্মানজনক। তাই আমি মেয়েদের বিশেষ করে বলব, বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে। বর্তমানে মেয়েদের বাইরে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক বাধা আছে। পেছনে কারণ হিসেবে অনেক কিছুই থাকতে পারে, কিন্তু আমার মনে হয় যেসব চিন্তা থেকে বাধা দেওয়া হয়, সেগুলো নিতান্তই অমূলক। প্রতিটি পরিবারের উচিত, মেধাবী ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের স্বপ্নগুলো ভাঙতে না দেওয়া। বাইরে উচ্চশিক্ষা নিয়ে অনেক ভুল তথ্য বা ধারণা মানুষের মনে আছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আশপাশের মানুষের নেতিবাচক মন্তব্য উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে।
অনুলিখন: সাদিয়া আফরিন হীরা
তিনি বলেন, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের ফল ১০ আগস্টের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। তবে ফল প্রকাশের তারিখ এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট হয়নি। ফল পরিবর্তন হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নম্বরে এসএমএস পাঠানো হবে। পাশাপাশি সংশোধিত ফল সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হবে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সুস্থতা’ শীর্ষক একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বিইউবিটির ‘আর ইউ ওকে!’ (Are you okay?) কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড পার্শিং স্কয়ার গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ইংল্যান্ডের...
১ দিন আগেঢাকার সরকারি সাত কলেজ নিয়ে গঠিত ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ চারটি স্কুলে বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হবে। এর মধ্যে স্কুল অব সায়েন্সের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস; স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউমিনিটিসের জন্য সরকারি বাংলা কলেজ এবং স্কুল অব
২ দিন আগে