Ajker Patrika

সরানো হলো অবসর বোর্ডের ‘বিতর্কিত’ সদস্যসচিব জাফর আহম্মদকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৯
সরানো হলো অবসর বোর্ডের ‘বিতর্কিত’ সদস্যসচিব জাফর আহম্মদকে

অবশেষে সরানো হয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের ‘বিতর্কিত’ সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদকে। তাঁর স্থলে পদায়ন পেয়েছেন হরগঙ্গা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. হুমায়ন কবির সেখ।

গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি কলেজ-২) তানিয়া ফেরদৌস স্বাক্ষর প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

গত ৩০ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় ‘শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব’ শীর্ষক প্রতিবেদক প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড। অভিযোগ উঠেছে, মূলত বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদের আগ্রহের কারণেই এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অধ্যাপক জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, সফটওয়্যার জটিলতা সমাধান না করা, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আবেদন নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তি করতে না পারার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে দায়ী করারও অভিযোগ রয়েছে।

একই প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যসচিব ড. শরিফা নাছরীনকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পদে পদায়ন পেয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম। আর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সহকারী পরিচালক (মূল্যায়ন) পেয়েছেন পলাশবাড়ী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. তারিকুল ইসলাম।

এ দিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যসচিব ড. শরিফা নাছরীনকে সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষকেরা। তাদের ভাষ্য, ড. শরিফা নাছরীন দায়িত্ব গ্রহণের পর কল্যাণ ট্রাস্টের অবসর জট অনেকটাই কমিয়ে এনেছেন। যার সুফল পাচ্ছেন শিক্ষকেরা।

আজ মঙ্গলবার সকালে নীলক্ষেতে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে দেখা হয় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার হালুয়াঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহসিন মিয়ার সঙ্গে।

তিনি বলেন, সকালে এসেই শুনলাম ম্যাডামকে (ড. শরিফা নাছরীন) সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুনে খুব খারাপ লাগল। মাত্র ২ মাসের মধ্যে উনি আমার অসুস্থতার আবেদনের সমাধান করেছেন। আর উনি সম্মানের সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কথা শোনেন, সাধ্য অনুযায়ী সমাধান দেন। যা আমরা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিবের কাছ থেকে এত দিন পাইনি।

তিনি আরও বলেন, শরিফা ম্যাডাম না থাকলে শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের অবস্থা আগের মতো হয়ে যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ