Ajker Patrika

বিএনপি নেতাকে হত্যা: মৃত্যুর আগে ১১ জনকে দায়ী করা ভিডিও ভাইরাল

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৩৬
বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর স্ক্রিনশট। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরের ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর স্ক্রিনশট। ছবি: আজকের পত্রিকা

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা আবুল কালাম জহিরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার আগে ছোট কাউসারসহ ১১ জনকে দায়ী করে নিজের দেওয়া একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আজ সোমবার রাত ১০টার পর ৩৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে মৃত্যুর আগে আবুল কালাম জহিরকে বলতে শোনা যায়, তাঁর মৃত্যুর জন্য ১১ জন দায়ী থাকবে। বিশেষ করে তাঁর আপন চাচাতো ভাই খোরশেদ, ছোট কাউসার ও তাঁর তিন ভাই, শাহ আলম ও তাঁর দুই ছেলে, স্বপন, আলমগীর ও সুমনকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘যদি আমার মৃত্যু হয়, তাহলে এদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।’

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মন্তব্য করছেন। তাঁদের দাবি, নিহত বিএনপি নেতা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন, যেকোনো সময় তিনি তাদের হাতে খুন হতে পারেন।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, ভিডিওটি পুলিশের নজরে এসেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত লতিফপুর এলাকার শাহ আলমের ছেলে ইমন হোসেন, মমিন উল্যাহর ছেলে আলমগীর হোসেন, নুরুল আমিনের ছেলে হুসাইন কবির সেলিমসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এর আগে একই দিন বিকেলে নিহত আবুল কালাম জহিরের স্ত্রী আইরিন আক্তার বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ওই ১১ জন ছাড়াও আরও দুজনকে আসামি করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যেহেতু আবুল কালাম জহির মৃত্যুর আগেই বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলেন, এখন সব পরিষ্কার। কারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত এবং কেন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, এ বিষয়ে তাঁদের কোনো সন্দেহ নেই। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান গ্রামবাসী ও স্বজনেরা।

এর আগে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জের মোস্তফার দোকান এলাকায় আবুল কালাম জহিরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ছিলেন অভিযুক্ত কাউসার। এরপর রাত ৯টার দিকে তিনি ক্রিকেট খেলার একটি ভিডিও পোস্ট করে ফেসবুকে ‘আউট’ লেখেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এটি হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত হিসেবেই দেওয়া হয়েছে।

কাউসার হোসেন জানান, ভিডিওটি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হলেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁর দাবি, ঘটনার সময় তিনি লতিফপুর বাজারের মোস্তফার দোকানে ছিলেন এবং কালাম ভাই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে বাজারে ঘোরাফেরা করেছেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পর অভিযুক্ত ছাত্রদলের কর্মী ফেসবুকে ‘আউট’ লিখে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। নিহতের পরিবার ওই ছাত্রদল কর্মী কাউসার হোসেনকেই হত্যার জন্য দায়ী করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনে নীতিগত সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ চূড়ান্তের অপেক্ষা

হঠাৎ বেশ কটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইট ডাউন, যা জানা গেল

এনবিআর সদস্য বদিউল আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দিল্লি সফরে এক দিন আগেই ঢাকা ছাড়লেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা

গ্রাহক সেজে গ্রামীণ ব্যাংকের ফটকে ককটেল ঝুলিয়ে উধাও দুই নারী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ