নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ঢাকার কলেজগুলোর মানসম্মত শিক্ষা, সময়মতো পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ—এ ধরনের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫ ’-এর খসড়া প্রণয়ন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খসড়া অধ্যাদেশটি গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিভাগটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ অংশীজনের মতামত আহ্বান করা হয়। এতে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত জমা পড়ে। অনলাইন ও সরাসরি মতবিনিময়ের পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করেও মতামত সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। বিভাগটি জানায়, সব মতামত আইনগত ও বাস্তবতার নিরিখে গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করে খসড়াটি পুনর্মূল্যায়ন ও পরিমার্জনের কাজ চলছে।
অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রস্তুতিকালে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয়—এ বিষয়ে তারা সচেতন। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে পর্যন্ত সাত কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে একজন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন, ক্লাস পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়ে অন্তর্বর্তী প্রশাসন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ১১ নভেম্বর এক সভায় করণীয় নির্ধারণ করা হয়। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অপারেশন ম্যানুয়েলও অনুমোদিত হয়েছে। এর আলোকে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে ক্লাস শুরুর তারিখ ২৩ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উচ্চশিক্ষার ব্যাপকতা, সাত কলেজের শিক্ষক–কর্মকর্তাদের পদ সংরক্ষণ, কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাসহ একাধিক জটিলতাকে সামনে রেখে ধাপে ধাপে ও বিধিবদ্ধ পদ্ধতি অনুসরণ করে অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করা হবে। এতে সময় লাগলেও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে বিভাগটির অভিমত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ আরও জানিয়েছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াকে তারা দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা–কর্মচারী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ন্যায্য স্বার্থ সংরক্ষণ এবং ইতিবাচক একাডেমিক পরিবেশ গড়ে তোলাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। ব্যক্তিগত ধারণা, অসম্পূর্ণ তথ্য বা গুজবের ভিত্তিতে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থেকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছে বিভাগটি। শিক্ষার্থীদের মূল্যবান শিক্ষা জীবন এবং সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয় সে জন্যও সবার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। প্রস্তাবিত নামটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নির্ধারণ করে। কলেজগুলো হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ঢাকার কলেজগুলোর মানসম্মত শিক্ষা, সময়মতো পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ—এ ধরনের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫ ’-এর খসড়া প্রণয়ন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খসড়া অধ্যাদেশটি গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিভাগটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ অংশীজনের মতামত আহ্বান করা হয়। এতে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত জমা পড়ে। অনলাইন ও সরাসরি মতবিনিময়ের পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করেও মতামত সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। বিভাগটি জানায়, সব মতামত আইনগত ও বাস্তবতার নিরিখে গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করে খসড়াটি পুনর্মূল্যায়ন ও পরিমার্জনের কাজ চলছে।
অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রস্তুতিকালে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয়—এ বিষয়ে তারা সচেতন। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে পর্যন্ত সাত কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে একজন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন, ক্লাস পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়ে অন্তর্বর্তী প্রশাসন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ১১ নভেম্বর এক সভায় করণীয় নির্ধারণ করা হয়। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অপারেশন ম্যানুয়েলও অনুমোদিত হয়েছে। এর আলোকে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে ক্লাস শুরুর তারিখ ২৩ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উচ্চশিক্ষার ব্যাপকতা, সাত কলেজের শিক্ষক–কর্মকর্তাদের পদ সংরক্ষণ, কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাসহ একাধিক জটিলতাকে সামনে রেখে ধাপে ধাপে ও বিধিবদ্ধ পদ্ধতি অনুসরণ করে অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করা হবে। এতে সময় লাগলেও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে বিভাগটির অভিমত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ আরও জানিয়েছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াকে তারা দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা–কর্মচারী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ন্যায্য স্বার্থ সংরক্ষণ এবং ইতিবাচক একাডেমিক পরিবেশ গড়ে তোলাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। ব্যক্তিগত ধারণা, অসম্পূর্ণ তথ্য বা গুজবের ভিত্তিতে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থেকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছে বিভাগটি। শিক্ষার্থীদের মূল্যবান শিক্ষা জীবন এবং সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয় সে জন্যও সবার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। প্রস্তাবিত নামটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নির্ধারণ করে। কলেজগুলো হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ঢাকার কলেজগুলোর মানসম্মত শিক্ষা, সময়মতো পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ—এ ধরনের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫ ’-এর খসড়া প্রণয়ন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খসড়া অধ্যাদেশটি গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিভাগটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ অংশীজনের মতামত আহ্বান করা হয়। এতে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত জমা পড়ে। অনলাইন ও সরাসরি মতবিনিময়ের পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করেও মতামত সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। বিভাগটি জানায়, সব মতামত আইনগত ও বাস্তবতার নিরিখে গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করে খসড়াটি পুনর্মূল্যায়ন ও পরিমার্জনের কাজ চলছে।
অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রস্তুতিকালে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয়—এ বিষয়ে তারা সচেতন। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে পর্যন্ত সাত কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে একজন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন, ক্লাস পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়ে অন্তর্বর্তী প্রশাসন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ১১ নভেম্বর এক সভায় করণীয় নির্ধারণ করা হয়। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অপারেশন ম্যানুয়েলও অনুমোদিত হয়েছে। এর আলোকে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে ক্লাস শুরুর তারিখ ২৩ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উচ্চশিক্ষার ব্যাপকতা, সাত কলেজের শিক্ষক–কর্মকর্তাদের পদ সংরক্ষণ, কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাসহ একাধিক জটিলতাকে সামনে রেখে ধাপে ধাপে ও বিধিবদ্ধ পদ্ধতি অনুসরণ করে অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করা হবে। এতে সময় লাগলেও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে বিভাগটির অভিমত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ আরও জানিয়েছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াকে তারা দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা–কর্মচারী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ন্যায্য স্বার্থ সংরক্ষণ এবং ইতিবাচক একাডেমিক পরিবেশ গড়ে তোলাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। ব্যক্তিগত ধারণা, অসম্পূর্ণ তথ্য বা গুজবের ভিত্তিতে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থেকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছে বিভাগটি। শিক্ষার্থীদের মূল্যবান শিক্ষা জীবন এবং সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয় সে জন্যও সবার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। প্রস্তাবিত নামটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নির্ধারণ করে। কলেজগুলো হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ঢাকার কলেজগুলোর মানসম্মত শিক্ষা, সময়মতো পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ—এ ধরনের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫ ’-এর খসড়া প্রণয়ন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খসড়া অধ্যাদেশটি গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিভাগটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ অংশীজনের মতামত আহ্বান করা হয়। এতে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত জমা পড়ে। অনলাইন ও সরাসরি মতবিনিময়ের পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত গ্রহণ করেও মতামত সংগ্রহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। বিভাগটি জানায়, সব মতামত আইনগত ও বাস্তবতার নিরিখে গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করে খসড়াটি পুনর্মূল্যায়ন ও পরিমার্জনের কাজ চলছে।
অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রস্তুতিকালে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয়—এ বিষয়ে তারা সচেতন। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে পর্যন্ত সাত কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে একজন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন, ক্লাস পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়ে অন্তর্বর্তী প্রশাসন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ১১ নভেম্বর এক সভায় করণীয় নির্ধারণ করা হয়। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অপারেশন ম্যানুয়েলও অনুমোদিত হয়েছে। এর আলোকে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে ক্লাস শুরুর তারিখ ২৩ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উচ্চশিক্ষার ব্যাপকতা, সাত কলেজের শিক্ষক–কর্মকর্তাদের পদ সংরক্ষণ, কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাসহ একাধিক জটিলতাকে সামনে রেখে ধাপে ধাপে ও বিধিবদ্ধ পদ্ধতি অনুসরণ করে অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করা হবে। এতে সময় লাগলেও সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে বিভাগটির অভিমত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ আরও জানিয়েছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াকে তারা দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা–কর্মচারী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ন্যায্য স্বার্থ সংরক্ষণ এবং ইতিবাচক একাডেমিক পরিবেশ গড়ে তোলাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। ব্যক্তিগত ধারণা, অসম্পূর্ণ তথ্য বা গুজবের ভিত্তিতে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থেকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছে বিভাগটি। শিক্ষার্থীদের মূল্যবান শিক্ষা জীবন এবং সামগ্রিক শিক্ষা কার্যক্রম যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয় সে জন্যও সবার প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে পৃথক করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে নতুন একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয়। প্রস্তাবিত নামটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) নির্ধারণ করে। কলেজগুলো হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) পরিচালনায় শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম হিসেবে চালু হচ্ছে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড)। ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের ১২টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-পিটিআইতে এই কোর্সের পাইলটিং শুরু
৬ ঘণ্টা আগে
অবশেষে সরানো হয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের ‘বিতর্কিত’ সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদকে। তাঁর স্থলে পদায়ন পেয়েছেন হরগঙ্গা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. হুমায়ন কবির সেখ।
১৫ ঘণ্টা আগে
৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকার সরকারি সাত কলেজের শিক্ষকরা প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি নিশ্চায়ন ও শ্রেণিকার্যক্রম শুরুর নির্দেশনাকে ‘আইনসিদ্ধ নয়’ আখ্যা দিয়েছে। একই সঙ্গে তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। এ সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বর্তী প্রশাসকের তিন কার্যদি
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) পরিচালনায় শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম হিসেবে চালু হচ্ছে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড)। ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের ১২টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-পিটিআইতে এই কোর্সের পাইলটিং শুরু হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেপের মহাপরিচালক ফরিদ আহ্মদ নতুন এ কোর্সের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুমিল্লা, জয়দেবপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া পিটিআইতে জানুয়ারি মাস থেকে ডিপিএড প্রোগ্রাম পাইলটিং ভিত্তিতে চালু হবে বলে তুলে ধরে নেপের মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রোগ্রামটির মেয়াদ হবে ১০ মাস। প্রোগ্রামটি অনাবাসিক এবং বৈকালিক।’
বাংলাদেশের যেকোনো স্থায়ী নাগরিক এই প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
ফরিদ আহ্মদ বলেন, কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএসহ (৪ স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ এবং ৫ স্কেলে ন্যূনতম ২.৮) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবেন; তবে শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়। নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে আগ্রহী প্রার্থীরা কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, আবেদনকারীকে নেপের ডিপিএড বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্ধারিত আসনে ভর্তির জন্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ৫০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্নের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। সময় হবে ৫০ মিনিট। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ভর্তির শর্ত পূরণ করে পিটিআইভিত্তিক মেধাতালিকার ভিত্তিতে ভর্তি হবেন।
ডিপিএড প্রোগ্রামটিতে মোট ১২০০ নম্বরের মূল্যায়ন হবে বলে তুলে ধরে নেপের ডিজি বলেন, প্রোগ্রামটির মোট ক্রেডিট ৩৫ এবং ২টি সেমিস্টারে ১০ মাসের কার্যক্রমটি পরিচালিত হবে। এই প্রোগ্রামে তাত্ত্বিক বিষয় হিসেবে শিক্ষা পরিচিতি ও শিক্ষাদর্শন, শিশুর বিকাশ ও শিখন, শিক্ষণ পদ্ধতি-কৌশল ও শ্রেণি ব্যবস্থাপনা, শিক্ষাক্রম ও শিখন সামগ্রী, শিখন মূল্যায়ন ও ফলাবর্তন, ভাষা দক্ষতা উন্নয়ন—বাংলা ও ইংরেজি, গাণিতিক ও বৈজ্ঞানিক দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সামাজিক দক্ষতা উন্নয়ন, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ গঠন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা ও শিল্পকলা কোর্সসমূহ এবং হাতে-কলমে অনুশীলনের জন্য সিমুলেশন, বিদ্যালয়ভিত্তিক অনুশীলন ও প্রতিফলনমূলক চর্চার ব্যবস্থা থাকবে।
নেপের ডিজি আরও বলেন, এই প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের বহুমাত্রিকভাবে সমৃদ্ধ করবে। শিক্ষাদর্শন, শিখন কৌশল ও মূল্যায়ন কাঠামো শেখার মাধ্যমে তারা আধুনিক শিক্ষক হিসেবে দক্ষ হয়ে উঠবেন। শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা উন্নত হবে, যা ভবিষ্যৎ পেশাগত জীবনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। প্রোগ্রামটি শেষে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্বশীল শিক্ষক হিসেবে গড়ে উঠবে, যা তাদের ক্যারিয়ার উন্নয়ন ও সমাজে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারে সহায়ক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আপাতত কোনো বাড়তি সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই বলে তুলে ধরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নেপের মহাপরিচালক ফরিদ আহ্মদ বলেন, এই কোর্স করলে তিনি ইন্টারন্যাশনালি কম্পিট করতে পারবেন। এই কোর্স হবে দুই সেমিস্টারে। ফি হবে প্রতি সেমিস্টারে ৬ হাজার করে ১২ হাজার টাকা। প্রতি সেমিস্টারেই প্রশিক্ষণার্থীরা ইন্টার্ন হিসেবে ক্লাস নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) পরিচালনায় শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম হিসেবে চালু হচ্ছে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড)। ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের ১২টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-পিটিআইতে এই কোর্সের পাইলটিং শুরু হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেপের মহাপরিচালক ফরিদ আহ্মদ নতুন এ কোর্সের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুমিল্লা, জয়দেবপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া পিটিআইতে জানুয়ারি মাস থেকে ডিপিএড প্রোগ্রাম পাইলটিং ভিত্তিতে চালু হবে বলে তুলে ধরে নেপের মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রোগ্রামটির মেয়াদ হবে ১০ মাস। প্রোগ্রামটি অনাবাসিক এবং বৈকালিক।’
বাংলাদেশের যেকোনো স্থায়ী নাগরিক এই প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
ফরিদ আহ্মদ বলেন, কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএসহ (৪ স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ এবং ৫ স্কেলে ন্যূনতম ২.৮) স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবেন; তবে শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়। নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে আগ্রহী প্রার্থীরা কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, আবেদনকারীকে নেপের ডিপিএড বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্ধারিত আসনে ভর্তির জন্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে ৫০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্নের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। সময় হবে ৫০ মিনিট। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ভর্তির শর্ত পূরণ করে পিটিআইভিত্তিক মেধাতালিকার ভিত্তিতে ভর্তি হবেন।
ডিপিএড প্রোগ্রামটিতে মোট ১২০০ নম্বরের মূল্যায়ন হবে বলে তুলে ধরে নেপের ডিজি বলেন, প্রোগ্রামটির মোট ক্রেডিট ৩৫ এবং ২টি সেমিস্টারে ১০ মাসের কার্যক্রমটি পরিচালিত হবে। এই প্রোগ্রামে তাত্ত্বিক বিষয় হিসেবে শিক্ষা পরিচিতি ও শিক্ষাদর্শন, শিশুর বিকাশ ও শিখন, শিক্ষণ পদ্ধতি-কৌশল ও শ্রেণি ব্যবস্থাপনা, শিক্ষাক্রম ও শিখন সামগ্রী, শিখন মূল্যায়ন ও ফলাবর্তন, ভাষা দক্ষতা উন্নয়ন—বাংলা ও ইংরেজি, গাণিতিক ও বৈজ্ঞানিক দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সামাজিক দক্ষতা উন্নয়ন, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ গঠন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা ও শিল্পকলা কোর্সসমূহ এবং হাতে-কলমে অনুশীলনের জন্য সিমুলেশন, বিদ্যালয়ভিত্তিক অনুশীলন ও প্রতিফলনমূলক চর্চার ব্যবস্থা থাকবে।
নেপের ডিজি আরও বলেন, এই প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের বহুমাত্রিকভাবে সমৃদ্ধ করবে। শিক্ষাদর্শন, শিখন কৌশল ও মূল্যায়ন কাঠামো শেখার মাধ্যমে তারা আধুনিক শিক্ষক হিসেবে দক্ষ হয়ে উঠবেন। শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা উন্নত হবে, যা ভবিষ্যৎ পেশাগত জীবনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। প্রোগ্রামটি শেষে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্বশীল শিক্ষক হিসেবে গড়ে উঠবে, যা তাদের ক্যারিয়ার উন্নয়ন ও সমাজে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারে সহায়ক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আপাতত কোনো বাড়তি সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই বলে তুলে ধরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নেপের মহাপরিচালক ফরিদ আহ্মদ বলেন, এই কোর্স করলে তিনি ইন্টারন্যাশনালি কম্পিট করতে পারবেন। এই কোর্স হবে দুই সেমিস্টারে। ফি হবে প্রতি সেমিস্টারে ৬ হাজার করে ১২ হাজার টাকা। প্রতি সেমিস্টারেই প্রশিক্ষণার্থীরা ইন্টার্ন হিসেবে ক্লাস নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
১২ ঘণ্টা আগে
অবশেষে সরানো হয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের ‘বিতর্কিত’ সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদকে। তাঁর স্থলে পদায়ন পেয়েছেন হরগঙ্গা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. হুমায়ন কবির সেখ।
১৫ ঘণ্টা আগে
৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকার সরকারি সাত কলেজের শিক্ষকরা প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি নিশ্চায়ন ও শ্রেণিকার্যক্রম শুরুর নির্দেশনাকে ‘আইনসিদ্ধ নয়’ আখ্যা দিয়েছে। একই সঙ্গে তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। এ সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বর্তী প্রশাসকের তিন কার্যদি
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অবশেষে সরানো হয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের ‘বিতর্কিত’ সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদকে। তাঁর স্থলে পদায়ন পেয়েছেন হরগঙ্গা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. হুমায়ন কবির সেখ।
গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি কলেজ-২) তানিয়া ফেরদৌস স্বাক্ষর প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গত ৩০ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় ‘শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব’ শীর্ষক প্রতিবেদক প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড। অভিযোগ উঠেছে, মূলত বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদের আগ্রহের কারণেই এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অধ্যাপক জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, সফটওয়্যার জটিলতা সমাধান না করা, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আবেদন নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তি করতে না পারার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে দায়ী করারও অভিযোগ রয়েছে।
একই প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যসচিব ড. শরিফা নাছরীনকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পদে পদায়ন পেয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম। আর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সহকারী পরিচালক (মূল্যায়ন) পেয়েছেন পলাশবাড়ী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. তারিকুল ইসলাম।
এ দিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যসচিব ড. শরিফা নাছরীনকে সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষকেরা। তাদের ভাষ্য, ড. শরিফা নাছরীন দায়িত্ব গ্রহণের পর কল্যাণ ট্রাস্টের অবসর জট অনেকটাই কমিয়ে এনেছেন। যার সুফল পাচ্ছেন শিক্ষকেরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে নীলক্ষেতে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে দেখা হয় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার হালুয়াঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহসিন মিয়ার সঙ্গে।
তিনি বলেন, সকালে এসেই শুনলাম ম্যাডামকে (ড. শরিফা নাছরীন) সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুনে খুব খারাপ লাগল। মাত্র ২ মাসের মধ্যে উনি আমার অসুস্থতার আবেদনের সমাধান করেছেন। আর উনি সম্মানের সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কথা শোনেন, সাধ্য অনুযায়ী সমাধান দেন। যা আমরা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিবের কাছ থেকে এত দিন পাইনি।
তিনি আরও বলেন, শরিফা ম্যাডাম না থাকলে শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের অবস্থা আগের মতো হয়ে যেতে পারে।

অবশেষে সরানো হয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের ‘বিতর্কিত’ সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদকে। তাঁর স্থলে পদায়ন পেয়েছেন হরগঙ্গা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. হুমায়ন কবির সেখ।
গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি কলেজ-২) তানিয়া ফেরদৌস স্বাক্ষর প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গত ৩০ অক্টোবর আজকের পত্রিকায় ‘শিক্ষকেরা ভাতা পান না, নতুন গাড়ি-অফিস চান সদস্যসচিব’ শীর্ষক প্রতিবেদক প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের পর বছর অবসর সুবিধা ভাতা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন দেশের হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী। তাঁদের অবসর ভাতা দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে অর্থসংকটের কথা। অথচ অর্থসংকটের মধ্যেও গাড়ি ক্রয় ও নতুন অফিস ভাড়া নেওয়ার মতো বিলাসী উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড। অভিযোগ উঠেছে, মূলত বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদের আগ্রহের কারণেই এই দুই খাতে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অধ্যাপক জাফর আহম্মদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, সফটওয়্যার জটিলতা সমাধান না করা, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে আবেদন নিষ্পত্তি করা এবং আবেদন নিষ্পত্তি করতে না পারার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে দায়ী করারও অভিযোগ রয়েছে।
একই প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যসচিব ড. শরিফা নাছরীনকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পদে পদায়ন পেয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম। আর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সহকারী পরিচালক (মূল্যায়ন) পেয়েছেন পলাশবাড়ী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. তারিকুল ইসলাম।
এ দিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যসচিব ড. শরিফা নাছরীনকে সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষকেরা। তাদের ভাষ্য, ড. শরিফা নাছরীন দায়িত্ব গ্রহণের পর কল্যাণ ট্রাস্টের অবসর জট অনেকটাই কমিয়ে এনেছেন। যার সুফল পাচ্ছেন শিক্ষকেরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে নীলক্ষেতে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে দেখা হয় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার হালুয়াঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোহসিন মিয়ার সঙ্গে।
তিনি বলেন, সকালে এসেই শুনলাম ম্যাডামকে (ড. শরিফা নাছরীন) সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুনে খুব খারাপ লাগল। মাত্র ২ মাসের মধ্যে উনি আমার অসুস্থতার আবেদনের সমাধান করেছেন। আর উনি সম্মানের সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কথা শোনেন, সাধ্য অনুযায়ী সমাধান দেন। যা আমরা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিবের কাছ থেকে এত দিন পাইনি।
তিনি আরও বলেন, শরিফা ম্যাডাম না থাকলে শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের অবস্থা আগের মতো হয়ে যেতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) পরিচালনায় শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম হিসেবে চালু হচ্ছে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড)। ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের ১২টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-পিটিআইতে এই কোর্সের পাইলটিং শুরু
৬ ঘণ্টা আগে
৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকার সরকারি সাত কলেজের শিক্ষকরা প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি নিশ্চায়ন ও শ্রেণিকার্যক্রম শুরুর নির্দেশনাকে ‘আইনসিদ্ধ নয়’ আখ্যা দিয়েছে। একই সঙ্গে তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। এ সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বর্তী প্রশাসকের তিন কার্যদি
১ দিন আগেসুমন বাইজিদ, চবি

৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা, কেক কাটা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি—এই ৪ বিভাগ, ৭ জন শিক্ষক ও ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৯টি অনুষদে ৪৮টি বিভাগ, ৬টি ইনস্টিটিউট, হাজারের অধিক শিক্ষক ও প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আছে ১৪টি আবাসিক হল ও একটি ছাত্রাবাস। এর মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও ৫টি মেয়েদের।
এশিয়ার একমাত্র শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস এটি। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৯৮০ সালে প্রথম শাটল ট্রেন চালু হয়। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের বয়ে আনা এই শাটল যেন কালের সাক্ষী ও ঐতিহ্যের ধারক। দিনের পর দিন বগি চাপড়ে গানে গানে শাটল মাতিয়ে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার পথে পুরোটা সময় গানে গানে মুখর থাকে শাটলের সব কটি বগি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাটল ট্রেনেও বেড়েছে ভিড়।
৫৯ বছর পূর্ণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়েছে ৫টি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২৮ বছর পর সাবেক উপাচার্য ড. রফিকুল ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালে ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ সমাবর্তন। ২০২৫ সালের ১৪ মে পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ সমাবর্তনে রূপ নেয়। পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট)’ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া সমাবর্তনে ৪২ জনকে পিএইচডি, ৩৩ জনকে এমফিলসহ মোট ২২ হাজার ৫৮৬ শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। ৫৬ হাজার ৭০০ বর্গফুট পরিমিত এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এটি চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ও আধুনিক গ্রন্থাগার। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর মাত্র ৩০০ বই নিয়ে যে লাইব্রেরির যাত্রা শুরু হয়। লাইব্রেরির ‘দুষ্প্রাপ্য ও পাণ্ডুলিপি’ শাখায় রয়েছে পরাগল খাঁর ‘মহাভারত’ থেকে শুরু করে আবুল ফজলের আকবরনামা পর্যন্ত। এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের জন্য রয়েছে ২৪টি গবেষণাকক্ষ। এখানে ১৯৬৮ সাল থেকে প্রকাশিত আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা বাঁধাই করে সংরক্ষণ করা আছে। ১৮৭২ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার পুরোনো সাময়িকী রয়েছে শাখাটিতে। এই গ্রন্থাগারে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বই রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিরল বই, জার্নাল, অডিও ভিজ্যুয়াল উপাদান, পাণ্ডুলিপি ও দৃষ্টিহীনদের ব্রেইল বই। তবে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় হতাশা হলো, লাইব্রেরিতে বই নিয়ে প্রবেশ নিষেধ কর্তৃপক্ষের।
চাকসু:
১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে মাত্র সাতবার। এর মধ্যে প্রথম নির্বাচনটি হয় ১৯৭০ সালে। আর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৫ অক্টোবর। ১৯৭৩ সালের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
দেশের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠ জন্ম দিয়েছে অনেক গুণীজনের। বরেণ্য মনীষীদের পদচারণে মুখর হয়েছে এই ক্যাম্পাস। উপমহাদেশের খ্যাতিমান ভৌতবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক আবুল ফজল, আলাউদ্দিন আল আজাদ, সৈয়দ আলী আহসান, মুর্তজা বশীর, ঢালী আল মামুন, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মান্নানসহ বহু কীর্তিমান মনীষী জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
চবি শিক্ষক ড. মো. শাহাদাত হোসেনের নতুন মাছের প্রজাতি শনাক্ত এবং প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষা ও গবেষণায় অবদানের জন্য শিক্ষক মনজুরুল কিবরীয়া পেয়েছেন দেশি-বিদেশি সম্মাননা। ড. শেখ আফতাব উদ্দিনের কম খরচে সমুদ্রের পানি সুপেয় করার পদ্ধতি আবিষ্কার, ড. আল আমিনের লেখা বই যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেফারেন্স বুক হিসেবে নির্বাচন, অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান চৌধুরীর বঙ্গোপসাগর নিয়ে মানচিত্র তৈরিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক নিজ নিজ ক্ষেত্রে রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর।
পিছিয়ে নেই শিক্ষার্থীরাও। ব্যাঙের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করে সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সাজিদ আলী হাওলাদার, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে চবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র শাখাওয়াত হাসান ও তাঁর দলের নাম ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিটি করপোরেশন মেয়র, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চবি শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক। দেশের ক্রান্তিকালেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০২৪-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন চবির ১৫ জন। ঠিক একইভাবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী হৃদয় তরুয়া ও ফরহাদ হোসেন। দেশের অন্যতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন ড. আজিজুর রহমান মল্লিক। বর্তমানে ২০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও রাখা হয়েছে দিনব্যাপী আয়োজন।

৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা, কেক কাটা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি—এই ৪ বিভাগ, ৭ জন শিক্ষক ও ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৯টি অনুষদে ৪৮টি বিভাগ, ৬টি ইনস্টিটিউট, হাজারের অধিক শিক্ষক ও প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আছে ১৪টি আবাসিক হল ও একটি ছাত্রাবাস। এর মধ্যে ৯টি ছেলেদের ও ৫টি মেয়েদের।
এশিয়ার একমাত্র শাটল ট্রেনের ক্যাম্পাস এটি। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৯৮০ সালে প্রথম শাটল ট্রেন চালু হয়। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের বয়ে আনা এই শাটল যেন কালের সাক্ষী ও ঐতিহ্যের ধারক। দিনের পর দিন বগি চাপড়ে গানে গানে শাটল মাতিয়ে রাখেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়ার পথে পুরোটা সময় গানে গানে মুখর থাকে শাটলের সব কটি বগি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাটল ট্রেনেও বেড়েছে ভিড়।
৫৯ বছর পূর্ণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়েছে ৫টি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২৮ বছর পর সাবেক উপাচার্য ড. রফিকুল ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালে ১৯৯৪ সালে প্রথম সমাবর্তন হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়, ২০০৮ সালে তৃতীয় এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ সমাবর্তন। ২০২৫ সালের ১৪ মে পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ সমাবর্তনে রূপ নেয়। পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট)’ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া সমাবর্তনে ৪২ জনকে পিএইচডি, ৩৩ জনকে এমফিলসহ মোট ২২ হাজার ৫৮৬ শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। ৫৬ হাজার ৭০০ বর্গফুট পরিমিত এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এটি চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ও আধুনিক গ্রন্থাগার। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর মাত্র ৩০০ বই নিয়ে যে লাইব্রেরির যাত্রা শুরু হয়। লাইব্রেরির ‘দুষ্প্রাপ্য ও পাণ্ডুলিপি’ শাখায় রয়েছে পরাগল খাঁর ‘মহাভারত’ থেকে শুরু করে আবুল ফজলের আকবরনামা পর্যন্ত। এমফিল ও পিএইচডি গবেষকদের জন্য রয়েছে ২৪টি গবেষণাকক্ষ। এখানে ১৯৬৮ সাল থেকে প্রকাশিত আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা বাঁধাই করে সংরক্ষণ করা আছে। ১৮৭২ সাল থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার পুরোনো সাময়িকী রয়েছে শাখাটিতে। এই গ্রন্থাগারে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ বই রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিরল বই, জার্নাল, অডিও ভিজ্যুয়াল উপাদান, পাণ্ডুলিপি ও দৃষ্টিহীনদের ব্রেইল বই। তবে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় হতাশা হলো, লাইব্রেরিতে বই নিয়ে প্রবেশ নিষেধ কর্তৃপক্ষের।
চাকসু:
১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে মাত্র সাতবার। এর মধ্যে প্রথম নির্বাচনটি হয় ১৯৭০ সালে। আর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৫ অক্টোবর। ১৯৭৩ সালের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, প্রতিবছর চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
দেশের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠ জন্ম দিয়েছে অনেক গুণীজনের। বরেণ্য মনীষীদের পদচারণে মুখর হয়েছে এই ক্যাম্পাস। উপমহাদেশের খ্যাতিমান ভৌতবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক আবুল ফজল, আলাউদ্দিন আল আজাদ, সৈয়দ আলী আহসান, মুর্তজা বশীর, ঢালী আল মামুন, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মান্নানসহ বহু কীর্তিমান মনীষী জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
চবি শিক্ষক ড. মো. শাহাদাত হোসেনের নতুন মাছের প্রজাতি শনাক্ত এবং প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষা ও গবেষণায় অবদানের জন্য শিক্ষক মনজুরুল কিবরীয়া পেয়েছেন দেশি-বিদেশি সম্মাননা। ড. শেখ আফতাব উদ্দিনের কম খরচে সমুদ্রের পানি সুপেয় করার পদ্ধতি আবিষ্কার, ড. আল আমিনের লেখা বই যুক্তরাষ্ট্রের ছয়টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেফারেন্স বুক হিসেবে নির্বাচন, অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান চৌধুরীর বঙ্গোপসাগর নিয়ে মানচিত্র তৈরিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক নিজ নিজ ক্ষেত্রে রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর।
পিছিয়ে নেই শিক্ষার্থীরাও। ব্যাঙের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করে সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র সাজিদ আলী হাওলাদার, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে চবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র শাখাওয়াত হাসান ও তাঁর দলের নাম ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিটি করপোরেশন মেয়র, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চবি শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক। দেশের ক্রান্তিকালেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ২০২৪-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন চবির ১৫ জন। ঠিক একইভাবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী হৃদয় তরুয়া ও ফরহাদ হোসেন। দেশের অন্যতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন ড. আজিজুর রহমান মল্লিক। বর্তমানে ২০তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এবারও রাখা হয়েছে দিনব্যাপী আয়োজন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) পরিচালনায় শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম হিসেবে চালু হচ্ছে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড)। ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের ১২টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-পিটিআইতে এই কোর্সের পাইলটিং শুরু
৬ ঘণ্টা আগে
অবশেষে সরানো হয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের ‘বিতর্কিত’ সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদকে। তাঁর স্থলে পদায়ন পেয়েছেন হরগঙ্গা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. হুমায়ন কবির সেখ।
১৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকার সরকারি সাত কলেজের শিক্ষকরা প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি নিশ্চায়ন ও শ্রেণিকার্যক্রম শুরুর নির্দেশনাকে ‘আইনসিদ্ধ নয়’ আখ্যা দিয়েছে। একই সঙ্গে তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। এ সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বর্তী প্রশাসকের তিন কার্যদি
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকার সরকারি সাত কলেজের শিক্ষকরা প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি নিশ্চায়ন ও শ্রেণিকার্যক্রম শুরুর নির্দেশনাকে ‘আইনসিদ্ধ নয়’ আখ্যা দিয়েছে। একই সঙ্গে তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। এ সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বর্তী প্রশাসকের তিন কার্যদিবসের মধ্যে পদত্যাগও দাবিও করেছেন তারা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সাত কলেজের শিক্ষকদের এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন ১৭–২০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে ক্লাস শুরু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগেই এমন নির্দেশনা বিভিন্ন আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মাধ্যমে বিধিবদ্ধভাবে সরকারি কলেজে কর্মরত শিক্ষকরা প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও ভর্তি–সংক্রান্ত কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
আরও বলা হয়, সভায় তিন দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৮, ১৯ ও ২০ নভেম্বর সরকারি সাত কলেজে সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান পাবলিক পরীক্ষা এ কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে।
আরও বলা হয়, ভর্তি নির্দেশনা ও শ্রেণিকার্যক্রম শুরুর নোটিশ জারির মাধ্যমে জটিলতা সৃষ্টির দায়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বর্তী প্রশাসককে তিন কার্যদিবসের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।

ঢাকার সরকারি সাত কলেজের শিক্ষকরা প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি নিশ্চায়ন ও শ্রেণিকার্যক্রম শুরুর নির্দেশনাকে ‘আইনসিদ্ধ নয়’ আখ্যা দিয়েছে। একই সঙ্গে তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। এ সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বর্তী প্রশাসকের তিন কার্যদিবসের মধ্যে পদত্যাগও দাবিও করেছেন তারা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সাত কলেজের শিক্ষকদের এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি শিক্ষার্থীদের নিশ্চায়ন ১৭–২০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে ক্লাস শুরু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগেই এমন নির্দেশনা বিভিন্ন আইনি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের মাধ্যমে বিধিবদ্ধভাবে সরকারি কলেজে কর্মরত শিক্ষকরা প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও ভর্তি–সংক্রান্ত কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।
আরও বলা হয়, সভায় তিন দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৮, ১৯ ও ২০ নভেম্বর সরকারি সাত কলেজে সর্বাত্মক পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান পাবলিক পরীক্ষা এ কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে।
আরও বলা হয়, ভর্তি নির্দেশনা ও শ্রেণিকার্যক্রম শুরুর নোটিশ জারির মাধ্যমে জটিলতা সৃষ্টির দায়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বর্তী প্রশাসককে তিন কার্যদিবসের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলসহ রাজধানীর সাত সরকারি কলেজকে একীভূত করে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে নতুন একটি স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) পরিচালনায় শিক্ষকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম হিসেবে চালু হচ্ছে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড)। ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের ১২টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-পিটিআইতে এই কোর্সের পাইলটিং শুরু
৬ ঘণ্টা আগে
অবশেষে সরানো হয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের ‘বিতর্কিত’ সদস্যসচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদকে। তাঁর স্থলে পদায়ন পেয়েছেন হরগঙ্গা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. হুমায়ন কবির সেখ।
১৫ ঘণ্টা আগে
৫৯ পেরিয়ে ৬০ বছরে পদার্পণ করেছে পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীর জোবরা গ্রামে এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়।
১৭ ঘণ্টা আগে