আনিসুল ইসলাম নাঈম
ক্যারিয়ার নিয়ে খুব বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষা কখনোই ছিল না। চাকরির বাজারে প্রবেশের পর থেকেই ইচ্ছা ছিল মোটামুটি ধরনের প্রথম শ্রেণির একটি সরকারি চাকরি করার। সে লক্ষ্য মাথায় রেখে একনিষ্ঠভাবে চাকরির প্রস্তুতি নিতে থাকি। প্রথম চাকরির জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। প্রথম লিখিত পরীক্ষা এবং প্রথম ভাইভাতেই সরকারি ব্যাংকের (জনতা ব্যাংক) সিনিয়র অফিসার পদে চাকরি করার সুযোগ হয়। তখন থেকেই মনে হতে থাকে, বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। এর পর থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চাকরি করার স্বপ্ন দেখা শুরু করি। এমবিএতে পড়া অবস্থায় চাকরির প্রস্তুতি শুরু করি। যেহেতু ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে পড়াশোনা করেছি, তাই একটা ইচ্ছা ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চাকরি করার।
চাকরির পেছনের গল্প
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করে এমবিএ শুরু করার প্রথম থেকেই ধীরে ধীরে প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ দেড় বছর সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ থাকায় একটানা প্রস্তুতি চলতে থাকে। এতে করে প্রিলিমিনারির জন্য শক্ত ভিত তৈরি হয়ে যায়। ফলে কোনো চাকরির প্রিলিমিনারি পাস করতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। তখন থেকে ব্যাংক জবকে প্রধান লক্ষ্য রেখে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকি। সফলতাও পাই খুব দ্রুত। তবে প্রথমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদের লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় নতুন উদ্যমে প্রস্তুতি নেই। অবশেষে সেখানেও সফলতা ধরা দেয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন সত্যিতে পরিণত হয়।
অনুপ্রেরণায় যারা ছিল
বাবা-মা, ভাই-বোন সকলেই আমার অনুপ্রেরণার উৎস ছিল। বিশেষ করে বাবার দেওয়া উৎসাহ এবং বড় ভাইয়ের গাইডলাইন সব সময় প্রেরণা জুগিয়েছে। পাশাপাশি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অগ্রজদের সফলতাও অনুপ্রাণিত করেছে। আমার পড়াশোনায় উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না। তবে চাকরির বাজারে চরম মাত্রার প্রতিযোগিতা একটা ভীতি তৈরি করত।
ব্যাংকের প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি যেমন
ব্যাংক প্রিলিমিনারি পাস করার জন্য কম সময়ে ম্যাথ সমাধান করার দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। ইংরেজির জন্য গ্রামার এবং ভোকাবুলারিতে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ জন্য বেশি বেশি অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া বাংলা, সাধারণ জ্ঞান, সাম্প্রতিক তথ্য এবং কম্পিউটার অংশেও ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। চাকরির প্রস্তুতিতে ফেসবুকের কিছু গ্রুপ এবং পেজ ব্যাংক চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে পত্রিকার পেজগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এবং চাকরির গ্রুপগুলো সাম্প্রতিক তথ্য পেতে সহায়ক হয়। প্রিলির জন্য সিলেক্টিভ প্রস্তুতি না নিয়ে সামগ্রিক প্রস্তুতি নেওয়া ভালো।
লিখিত পরীক্ষায় যা করবেন
লিখিত পরীক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দুই ঘণ্টার মধ্যে ২০০ নম্বরের উত্তর করা। এ জন্য কোনো বিষয়ে কত সময় দিতে হবে সে বিষয়ক একটা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। কোনো অংশে খুব বেশি সময় দিতে গিয়ে অন্য অংশে কম সময় দিলে আশানুরূপ নম্বর পাওয়া যাবে না। প্রিলির মতো লিখিত পরীক্ষায়ও ম্যাথ, সাধারণ জ্ঞানে সর্বোচ্চ নম্বর নিশ্চিত করতে হবে। ফোকাসে ভালো করার জন্য পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো পড়তে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো নোট করে রাখতে হবে।
ভাইভা কোনো বড় বাধা নয়
লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর নিশ্চিত করতে পারলে ভাইভা কোনো বড় বাধা নয়। তবে অবশ্যই নিজের পঠিত বিষয়ে মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। তা ছাড়া অর্থনৈতিক ও সাম্প্রতিক তথ্য, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, নিজ জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে যেতে হবে।
ক্যারিয়ার নিয়ে খুব বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষা কখনোই ছিল না। চাকরির বাজারে প্রবেশের পর থেকেই ইচ্ছা ছিল মোটামুটি ধরনের প্রথম শ্রেণির একটি সরকারি চাকরি করার। সে লক্ষ্য মাথায় রেখে একনিষ্ঠভাবে চাকরির প্রস্তুতি নিতে থাকি। প্রথম চাকরির জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। প্রথম লিখিত পরীক্ষা এবং প্রথম ভাইভাতেই সরকারি ব্যাংকের (জনতা ব্যাংক) সিনিয়র অফিসার পদে চাকরি করার সুযোগ হয়। তখন থেকেই মনে হতে থাকে, বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। এর পর থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চাকরি করার স্বপ্ন দেখা শুরু করি। এমবিএতে পড়া অবস্থায় চাকরির প্রস্তুতি শুরু করি। যেহেতু ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে পড়াশোনা করেছি, তাই একটা ইচ্ছা ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চাকরি করার।
চাকরির পেছনের গল্প
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করে এমবিএ শুরু করার প্রথম থেকেই ধীরে ধীরে প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ দেড় বছর সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ থাকায় একটানা প্রস্তুতি চলতে থাকে। এতে করে প্রিলিমিনারির জন্য শক্ত ভিত তৈরি হয়ে যায়। ফলে কোনো চাকরির প্রিলিমিনারি পাস করতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। তখন থেকে ব্যাংক জবকে প্রধান লক্ষ্য রেখে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকি। সফলতাও পাই খুব দ্রুত। তবে প্রথমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদের লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় নতুন উদ্যমে প্রস্তুতি নেই। অবশেষে সেখানেও সফলতা ধরা দেয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন সত্যিতে পরিণত হয়।
অনুপ্রেরণায় যারা ছিল
বাবা-মা, ভাই-বোন সকলেই আমার অনুপ্রেরণার উৎস ছিল। বিশেষ করে বাবার দেওয়া উৎসাহ এবং বড় ভাইয়ের গাইডলাইন সব সময় প্রেরণা জুগিয়েছে। পাশাপাশি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অগ্রজদের সফলতাও অনুপ্রাণিত করেছে। আমার পড়াশোনায় উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না। তবে চাকরির বাজারে চরম মাত্রার প্রতিযোগিতা একটা ভীতি তৈরি করত।
ব্যাংকের প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি যেমন
ব্যাংক প্রিলিমিনারি পাস করার জন্য কম সময়ে ম্যাথ সমাধান করার দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। ইংরেজির জন্য গ্রামার এবং ভোকাবুলারিতে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ জন্য বেশি বেশি অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া বাংলা, সাধারণ জ্ঞান, সাম্প্রতিক তথ্য এবং কম্পিউটার অংশেও ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। চাকরির প্রস্তুতিতে ফেসবুকের কিছু গ্রুপ এবং পেজ ব্যাংক চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে পত্রিকার পেজগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এবং চাকরির গ্রুপগুলো সাম্প্রতিক তথ্য পেতে সহায়ক হয়। প্রিলির জন্য সিলেক্টিভ প্রস্তুতি না নিয়ে সামগ্রিক প্রস্তুতি নেওয়া ভালো।
লিখিত পরীক্ষায় যা করবেন
লিখিত পরীক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দুই ঘণ্টার মধ্যে ২০০ নম্বরের উত্তর করা। এ জন্য কোনো বিষয়ে কত সময় দিতে হবে সে বিষয়ক একটা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। কোনো অংশে খুব বেশি সময় দিতে গিয়ে অন্য অংশে কম সময় দিলে আশানুরূপ নম্বর পাওয়া যাবে না। প্রিলির মতো লিখিত পরীক্ষায়ও ম্যাথ, সাধারণ জ্ঞানে সর্বোচ্চ নম্বর নিশ্চিত করতে হবে। ফোকাসে ভালো করার জন্য পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো পড়তে হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো নোট করে রাখতে হবে।
ভাইভা কোনো বড় বাধা নয়
লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর নিশ্চিত করতে পারলে ভাইভা কোনো বড় বাধা নয়। তবে অবশ্যই নিজের পঠিত বিষয়ে মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। তা ছাড়া অর্থনৈতিক ও সাম্প্রতিক তথ্য, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, নিজ জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে যেতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ যুগোপযোগী করতে নতুন করে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সংশোধিত আইনের খসড়ায় আইন লঙ্ঘনে শাস্তি বাড়ানো, উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতা নির্ধারণ, ট্রাস্টি বোর্ডে পরিবর্তন আনাসহ বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে। ভর্তিপ্রক্রিয়া চলবে আগামী ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। বরাবরের মতো এবারও শিক্ষার্থীদের ফলের ভিত্তিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে হবে। তিন পর্যায়ে আবেদন নেওয়া হবে।
১ দিন আগেবাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে আগামী রোববার থেকে স্বল্প পরিসরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে। এ দিন শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শ্রেণি কার্যক্রম চালু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণির কার্যক্রম শুরু হবে।
২ দিন আগেএইচএসসির স্থগিত পরীক্ষাগুলো আলাদা দিনে নেওয়ার জন্য নতুন সময়সূচি ঘোষণা করেছে আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী, স্থগিত হওয়া ২২ জুলাইয়ের পরীক্ষা হবে আগামী ১৭ আগস্ট এবং ২৪ জুলাইয়ের পরীক্ষা হবে ১৯ আগস্ট।
২ দিন আগে