Ajker Patrika

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন লঙ্ঘনে শাস্তি বাড়ছে

  • আইন সংশোধনের উদ্যোগ, খসড়া তৈরি।
  • অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ জরিমানা।
  • উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের যোগ্যতার শর্ত বাড়বে।
  • ভবনের আয়তন ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ বর্গফুট।
  • খণ্ডকালীন শিক্ষকের পরিমাণ সীমিত করা হবে।
রাহুল শর্মা, ঢাকা 
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০: ১১
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন লঙ্ঘনে শাস্তি বাড়ছে

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ যুগোপযোগী করতে নতুন করে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সংশোধিত আইনের খসড়ায় আইন লঙ্ঘনে শাস্তি বাড়ানো, উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতা নির্ধারণ, ট্রাস্টি বোর্ডে পরিবর্তন আনাসহ বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে। ইউজিসি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এবং সংশোধিত আইনের খসড়া পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশোধিত আইনের খসড়ায় আইন লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে এই জরিমানার পরিমাণ ১০ লাখ টাকা।

ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৬। এর মধ্যে ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান চলছে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নানা কারণে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন ৩,৪১,০৯৮ জন শিক্ষার্থী।

জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আইনটি সংশোধনের কাজ চলছে। আশা করছি, তা শিগগির চূড়ান্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সম্ভব হবে।’

সংশোধিত আইনের খসড়ায় দেখা যায়, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এবার ১ লাখ বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া বাড়ির কথা বলা হয়েছে। আগের আইনে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভবনের প্রয়োজনীয় আয়তন ২৫ হাজার বর্গফুট করা হয়েছিল। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ১ একর জমি থাকার বাধ্যবাধকতা বাড়িয়ে ৫ একর করা হয়েছে। তবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪ সালের আগে অনুমোদন পেয়েছে, তাদের জন্য জমির পরিমাণের বাধ্যবাধকতা শিথিল থাকবে।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সংরক্ষিত তহবিল বৃদ্ধি করে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য ন্যূনতম ৫ কোটি টাকা, অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য ন্যূনতম ৩ কোটি টাকা এবং বাকি এলাকাগুলোর জন্য দেড় কোটি টাকা তফসিলি ব্যাংকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত রাখতে হতো। সংশোধিত আইনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ৮ কোটি, অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ কোটি আর এর বাইরের এলাকার জন্য ৩ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

স্থায়ী সনদহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাগাম টানারও উদ্যোগ নেওয়া রয়েছে সংশোধিত আইনে। বলা হয়েছে, আইনের অধীনে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে সাময়িক অনুমতির (সাত বছর) মেয়াদের মধ্যেই স্থায়ী সনদ গ্রহণ করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে স্থায়ী সনদের জন্য আবেদন করতে ব্যর্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসহ সব কার্যক্রম বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। সংশোধিত প্রস্তাব অনুযায়ী স্থায়ী সনদ না নিলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রথম সাত বছর এবং নবায়নের পাঁচ বছর মোট ১২ বছরের মধ্যে স্থায়ী সনদ নিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ক্ষমতায় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করা হয়েছে সংশোধিত আইনে। বলা হয়েছে, ২১ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করতে হবে। বোর্ডের ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ/শিক্ষানুরাগী হতে হবে। সরকারের অনুমোদন ছাড়া ট্রাস্টি বোর্ড পরিবর্তন করা যাবে না। প্রয়োজনে ট্রাস্টি বোর্ডে সরকার একজন পর্যবেক্ষক মনোনয়ন করতে পারবে। ট্রাস্টি বোর্ডের কোনো সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভজনক পদে যুক্ত হতে পারবেন না। এমনকি কোনো সভা বা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আর্থিক সুবিধা নিতে পারবেন না। পুরোনো আইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কমিটিতে সরকার ও ইউজিসি দুজন সদস্যের নাম প্রস্তাব করতে পারত। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, সরকার একজন ও ইউজিসি দুজন সদস্য দিতে পারবে।

সংশোধিত আইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত বাড়ানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পিএইচডি ডিগ্রি অথবা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের যেকোনো একটিতে প্রথম শ্রেণি বা সিজিপিএ-৪ স্কেলে ৩.৫ এবং কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতাসহ অন্তত ২০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা লাগবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কোনোটিতে তৃতীয় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না। উপাচার্য দুই মেয়াদের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

সংশোধিত আইনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধির কথাও বলা হয়েছে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ বা প্রোগ্রামের খণ্ডকালীন শিক্ষকের সংখ্যা সংশ্লিষ্ট কোর্সের পূর্ণকালীন শিক্ষকের সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ইউজিসির কাছ থেকে অনুমোদন করা উপযুক্ত বেতনকাঠামো থাকতে হবে।

সরকারের অনুমোদন ছাড়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টার ও শাখা ক্যাম্পাস করা যাবে না বলেও সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে। এই আইনের অধীনে অনুমোদনপ্রাপ্ত নয় এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা ক্যাম্পাস, স্টাডি সেন্টার বা টিউটোরিয়াল সেন্টার ইত্যাদিতে শিক্ষার্থী ভর্তি বা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য কোনো ধরনের প্রচার করা যাবে না।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে ‘জাতীয়’, ‘আন্তর্জাতিক’ শব্দ ব্যবহার না করা, প্রস্তাবিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম ৩টি অনুষদ থাকা, প্রতি তিন মাসে একটি সিন্ডিকেটের সভা আহ্বানসহ বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের কথা রয়েছে সংশোধিত আইনে।

সার্বিক বিষয়ে অভিমত জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল হালিম বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন যুগোপযোগী করার উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানাই। তবে শাস্তির জন্য সাজা বৃদ্ধিই সমাধান নয়। আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করায় জোর দিতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেডিকেল ভর্তি-ইচ্ছুকদের শেষ মুহূর্তের করণীয়

সুরাইয়া ফেরদৌস ঋতু
সুরাইয়া ফেরদৌস ঋতু। ছবি: সংগৃহীত
সুরাইয়া ফেরদৌস ঋতু। ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ ডিসেম্বর। বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম, অসংখ্য রাত জাগা, পরিবার-পরিজনের ত্যাগ—সবকিছুর লক্ষ্য হলো কাঙ্ক্ষিত আসনটি নিশ্চিত করা। এই দীর্ঘ যাত্রার শেষ ধাপ হচ্ছে পরীক্ষার আগের কয়েকটি দিন, যা ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দক্ষতা, মেধা ও প্রস্তুতির সেরা ব্যবহার হয় ঠিক এই সময়েই। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি অনেকের জন্য চাপের। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনা ও মানসিক স্থিরতা থাকলে এটিই হতে পারে সাফল্যের মোড় ঘোরানোর সময়।

ভুল থেকে শেখাই শেষ মুহূর্তের সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি

যাঁরা নিয়মিত মডেল টেস্ট দিয়েছেন বা বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করেছেন, তাঁদের সবারই কিছু ভুল থাকে—বিষয়ভিত্তিক বা প্রশ্নভিত্তিক। শেষ সময়ে এই ভুলগুলোই হয়ে ওঠে সবচেয়ে কার্যকর উপাদান। ভুলগুলো চিহ্নিত করে টপিকভিত্তিক দ্রুত রিভিশন করলে মস্তিষ্ক তথ্য ধরে রাখতে আরও সক্ষম হয়। সুপারফিসিয়াল রিভিশন বা দ্রুত চোখ বোলানো রিভিশনও শেষ মুহূর্তে দারুণ কাজ দেয়; কারণ, এটি মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় তথ্যের সিগন্যালকে আরও সক্রিয় করে। তাই এখন নতুন কিছু শেখার চেয়ে নিজের ভুল জানা এবং সেগুলো সংশোধন করাই বেশি যুক্তিসংগত।

নেগেটিভ মার্কিং এড়াতে কৌশল

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো নেগেটিভ মার্কিং। শেষ মুহূর্তে বাড়তি উত্তেজনায় অনেকেই কনফিউজিং প্রশ্নে ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। এতে প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে কাটা নম্বরই বেশি হয়। তাই নিয়মটি পরিষ্কার—৫০% নিশ্চিত না হলে দাগানো নয়। আর ৭০-৮০% নিশ্চিত হলে তখন হিসাব করে উত্তর দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, ভর্তি পরীক্ষা শুধু জানার পরীক্ষা নয়; এটি হলো বুদ্ধি, স্থিরতা এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষণেরও পরীক্ষা।

মানসিক চাপ হলো সাফল্যের নীরব শত্রু

পরীক্ষার আগে চাপ অনুভব করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই চাপ যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়, তবে এটি মেধাবী শিক্ষার্থীকেও দুর্বল করে দিতে পারে। ‘চান্স না পেলে কী হবে?’, ‘সবাই তো পারছে, আমি পারব তো?’— এমন ভাবনা আত্মবিশ্বাসকে ভেতর থেকে খেয়ে ফেলে। নিজের সঙ্গে অন্যের তুলনা করা এই সময় সবচেয়ে বড় ভুল। প্রত্যেকের যাত্রাই আলাদা, চেষ্টা ও মানসিক প্রস্তুতিও ভিন্ন। তাই শেষ সময়ে নিজের প্রতি আস্থা রাখতে হবে, আর আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনি যেদিন প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন, সেদিন থেকেই আপনি সঠিক পথেই হাঁটছেন।

ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মনোবল ধরে রাখে

ভর্তি পরীক্ষার চাপ, দুশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা—সবই মানসিক শক্তিকে দুর্বল করে। কিন্তু ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখতে পারলে মন স্থির থাকে, মনোযোগ বাড়ে এবং পরীক্ষার হলে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। ভুল হওয়া স্বাভাবিক; কিন্তু ভুল দেখেই ভেঙে পড়লে চলবে না। বরং ভাবতে হবে, আমি জানি, আমি পারি, এবং সেরা চেষ্টা আমি করব। ইতিবাচক মনোভাবই শেষ ধাপের লড়াইয়ে আপনাকে সবচেয়ে কার্যকরভাবে টিকিয়ে রাখবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তি

ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য ভুয়া তথ্য—প্রশ্নপত্র ফাঁস, সময় পরিবর্তন, আসনসংখ্যা, নম্বর বণ্টন নিয়ে ভিত্তিহীন পোস্ট, কিংবা ‘নিশ্চিত প্রশ্ন’ নামে গুজব, এগুলো অনেকের মনকে অস্থির করে তোলে। যারা যাচাই না করে এসব শেয়ার করে, তারা বিভ্রান্তি আরও বাড়ায়। এই সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা বা শুধু সরকারি নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুসরণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে মনোযোগ বিঘ্নিত হয় না এবং মানসিক চাপও কম থাকে।

শেষ মুহূর্তে যেসব বিষয় অবশ্যই মেনে চলা উচিত

শেষ সময়ে নিজেকে স্থির রাখা সবচেয়ে জরুরি। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা নয়; বরং পড়া বিষয়গুলো রিভিশন করলেই স্মৃতি আরও স্থায়ী হয়। নিয়মিত, হালকা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত; কম খেয়ে দুর্বল হওয়া নয়। পর্যাপ্ত পানি পান শরীরকে সতেজ রাখে এবং স্বল্প সময় হাঁটা বা স্ট্রেচিং মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে। পরিবারের সঙ্গে শুধু প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বললে মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয় না। সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক করে দিলে অপ্রয়োজনীয় গুজব থেকে দূরে থাকা যায়। আর হালকা দোয়া-ইবাদত মনকে শান্ত করে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

শেষ কথা হলো, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুধু বইয়ের নয়, মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতিরও সমন্বয়। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, নিয়ম মেনে চলুন এবং সেরাটুকু দিন। সাফল্য অবশ্যই আসবে। শুভকামনা প্রতিটি ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য।

অনুলিখন: তানজিল কাজী

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ব্যাচেলর অব মেডিসিন ও ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) এবং ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, এবার ভর্তি পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পাস নম্বর ৪০।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরীক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ব্যাগে রঙিন প্রবেশপত্র, কালো কালির স্বচ্ছ বলপয়েন্ট কলম, এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে। মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, ইলেকট্রনিকসামগ্রী বা অন্য কোনো ব্যাগ নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়নে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছাত্র ও ৭৩ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রী।

স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ১০০ ও ডেন্টাল ইউনিটে ৫৪৫টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬ হাজার ১টি এবং ডেন্টাল কলেজে ১ হাজার ৪০৫টি। অর্থাৎ এমবিবিএস কোর্সে মোট ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্সে ১ হাজার ৯৫০টি আসন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি: অধ্যাদেশ জারির আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের অধ্যাদেশ জারির দাবিতে চলমান আন্দোলন ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রাজধানীর ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও ঢাকা কলেজের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রবিন হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এক দফার কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। এ বিষয়ে সাত কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীরাও আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এ সময়ের মধ্যে পরবর্তীতে যেকোনো পরিস্থিতির আলোকে আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করে জানাব।’

ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ—এই সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম যখন চলছে, তখন এর আশু কাঠামো নিয়ে কলেজগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কয়েকটি অংশ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা স্কুলিং কাঠামোয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, কলেজগুলোয় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রস্তাবিত কাঠামোতে সাতটি কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মতো মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তাঁরা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ‘অধিভুক্তিমূলক কাঠামোতে’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে কলেজগুলোর বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি কাঠামো দ্রুত নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে দ্রুততম সময়ে অধ্যাদেশ জারির দাবি জানায়। গত রোববার ও গতকাল সোমবার শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা।

আজ ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত রাখার ঘোষণা এল তাদের কাছ থেকে।

অপর দিকে উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতোই প্রস্তাবিত কাঠামোর বিরোধিতা করে বলছে, স্কুলিং কাঠামোয় কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকবে না।

এমন বাস্তবতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করে অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জন ও চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। ২৫ ডিসেম্বর খসড়া অধ্যাদেশ নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা আয়োজনের কথা রয়েছে। আর প্রথম ব্যাচের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রবিন হোসেন বলেন, ‘আমরা বরাবরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সরকার তথা রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যশীল। বিগত সময়ের মতো এবারও আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যে সময়সীমা জানানো হয়েছে, সে সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ এবং নবীনদের পাঠদান শুরু হবে। আমরা শুনেছি, চলতি মাসের মধ্যে অধ্যাদেশের আরেকটি খসড়া প্রকাশ করা হবে। আমরা সেই খসড়ায় গভীর দৃষ্টি রাখছি। শুনেছি, পূর্বের খসড়ায় বৃহৎ সংশোধনী আনা হচ্ছে। শিক্ষা সিন্ডিকেট তথা ষড়যন্ত্রকারীদের প্রেসক্রিপশনে এমন সংশোধনী আনা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে আমাদের আশঙ্কা আছে।’

অধ্যাদেশে গুণগত শিক্ষার মান ও অধিকার সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে রবিন বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধ্যাদেশে যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে শিক্ষার্থীরা সে অধ্যাদেশ ছুড়ে ফেলে দেবেন। শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে কোনো ষড়যন্ত্রকারীদের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের গুণগত শিক্ষার মান নিশ্চিতের লক্ষ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ নিয়ে সভা ২৫ ডিসেম্বর, নতুন বছরে প্রথম দিন ক্লাস শুরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ১৩
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ করে নানা স্লোগান দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ করে নানা স্লোগান দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি) প্রথম ব্যাচের ক্লাস আগামী ১ জানুয়ারি শুরু হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের খসড়া ২৫ ডিসেম্বর আন্তমন্ত্রণালয় সভায় উপস্থাপন করা হবে।

অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষার্থীদের একাংশের শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মধ্যে আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধ্যাদেশ সংশোধন করা হচ্ছে জানিয়ে বলেছে, এ প্রক্রিয়া ‘সময়সাপেক্ষ’।

আজ বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ হাজার ৩৮৮ জন শিক্ষার্থী ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, বিজ্ঞান ইউনিট ও ব্যবসাশিক্ষা ইউনিটে ভর্তি নিশ্চয়ন করেছেন। বিদ্যমান একাডেমিক কাঠামোতে ভর্তি করা শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর জন্য স্ব-স্ব কলেজের শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আসন্ন শীতকালীন ছুটি শেষে ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবে বলে শিক্ষক প্রতিনিধিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সুধীজনসহ বিভিন্ন মহল হতে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত প্রতিটি মতামত আইনগত ও বাস্তবতার নিরিখে পর্যালোচনা করে খসড়া পরিমার্জন করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, পরিমার্জনের কাজ সম্পন্ন করে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিমার্জিত খসড়ার ওপর আন্তমন্ত্রণালয় সভা করা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে সাত কলেজের সম্পৃক্ততার ধরন বিষয়ে বাস্তবসম্মত, কার্যকর ও উপযোগী কাঠামো নির্ধারণসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে ও বিধিবদ্ধ পদ্ধতি অনুসরণ করে অধ্যাদেশের খসড়া পরিমার্জন করা হচ্ছে।

এদিকে এই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের একাংশ অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। দুপুরের পর আব্দুল গণি রোডের শিক্ষা ভবনের সামনের সংযোগ সড়ক থেকে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে অবস্থান নেন তাঁরা। এতে হাইকোর্ট মোড় থেকে সচিবালয় অভিমুখে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট হয়। শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে গতকাল রোববার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত শিক্ষা ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

জানতে চাইলে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ২০২৪-২৫ ব্যাচের ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবু বকর আজ দুপুরে বলেন, ‘অধ্যাদেশ জারি হওয়ার আগপর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব ৷ দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের কার্যক্রম চলছে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ বা ‘স্কুলিং’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী কলেজগুলোতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।

ওই খসড়া প্রকাশের পর কলেজগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ভিন্ন অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন। ওই সাত কলেজসহ সারা দেশের সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতির মতো মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কায় আছেন। তাঁরা কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ‘অধিভুক্তিমূলক কাঠামোতে’ নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের একাংশ দ্রুত অধ্যাদেশের দাবি জানিয়েছেন এবং উচ্চমাধ্যমিক ও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ ‘স্কুলিং’ কাঠামো বাতিল এবং কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার দাবি জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত