দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরে কলেজছাত্র শাহরিন আলম বিপুলকে (১৮) বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে তারই প্রেমিকাকে পছন্দ করা যুবক ও তাঁর সহযোগীরা। হত্যার পর মরদেহ দিনাজপুর স্টেডিয়ামের গ্যালারির নিচে অন্ধকার স্থানে রেখে দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে স্টেডিয়ামের গ্যালারির নিচে, টয়লেটের পেছনে ময়লা আবর্জনার আড়াল থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ। গতকাল বুধবার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করে দিনাজপুর সদর থানা-পুলিশ।
নিহত শাহরিন আলম বিপুল সদর উপজেলার আস্করপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি সরকারি সিটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—দিনাজপুর সদর উপজেলার শালকী (বোয়ালমারী) গ্রামের মো. রশিদের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (২০), উপশহর ৬ নম্বর পুরোনো পাওয়ার হাউস এলাকার মো. উজ্জল হোসেনের ছেলে মো. শাকিব শাহরিয়ার (২১), হাউজিং মোড় এলাকার মো. হামিদুর রহমানের ছেলে মো. আসিফ মাহমুদ হৃদয় (১৮) ও নিশ্চিন্তপুর এলাকার এক কিশোর।
পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ বলেন, ‘আসামি মো. দেলোয়ার হোসেন পূরবী (ছদ্মনাম) নামের এক মেয়েকে পছন্দ করে। কিছুদিন সম্পর্কের পর পুরভীর প্রেমিক বিপুলের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। দেলোয়ার পুরভীর সঙ্গে বিপুলের বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় তিনি বিপুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। প্রথমে তিনি বিপুলকে ফলো করা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ভুয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে বিপুলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। ফেসবুক থেকেই বিপুলের ছবি তোলার শখ আছে বলে জেনে নেন দোলোয়ার। আর সেটাকেই হত্যার কৌশল হিসেবে বেছে নেন।’
এসপি শাহ ইফতেখার আহম্মেদ আরও বলেন, ‘দেলোয়ার মেসেঞ্জার বিপুলকে ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা ধার দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। বিপুলকে বলা হয়—শামীম রেজা সাগর (ছদ্ম নাম) নামে একজন জেলা স্কুলের ছাত্র শনিবার (৪ মার্চ) সকাল ৯টার সময় স্টেডিয়ামের গেটে ক্যামেরা নিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করবে। এ সময় বিপুল বাড়ি থেকে স্টেডিয়ামে যাওয়ার জন্য তার পকেটে কোনো টাকা নাই জানালে, আসামি দেলোয়ার তাঁকে ১০০ টাকা বিকাশ করেন। সরল বিশ্বাসে বিপুল স্টেডিয়ামের গেটে গেলে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা দেলোয়ার, শাকিল, সাগর এবং আসিফসহ অজ্ঞাতনামা ১-২ জন সহযোগী বিপুলকে টেনে স্টেডিয়ামের ভেতরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হলে তারা বিপুলের মাথার পেছনে ও গলায় আঘাত করে। পরে বিপুলের মৃত্যু নিশ্চিত হলে লাশ ময়লা-আবর্জনা দিয়ে ঢেকে গ্যালারির নিচে ফেলে রেখে আসামিরা পালিয়ে যায়।’
পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ বলেন, ‘তরুণ খুনের ঘটনায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মো. শাকিব শাহরিয়ার, মো. আশরাফুল হোসেন মিলন ও মো. আসিফ মাহমুদ হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের রিমান্ডও চাওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি শাহরিন আলম বিপুল। পরে তাঁর বড় ভাই শাহরিয়ার আলম রোববার দিবাগত রাত ১২টার নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন সোমবার দুপুরে স্টেডিয়ামের পাশে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।
দিনাজপুরে কলেজছাত্র শাহরিন আলম বিপুলকে (১৮) বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে তারই প্রেমিকাকে পছন্দ করা যুবক ও তাঁর সহযোগীরা। হত্যার পর মরদেহ দিনাজপুর স্টেডিয়ামের গ্যালারির নিচে অন্ধকার স্থানে রেখে দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে স্টেডিয়ামের গ্যালারির নিচে, টয়লেটের পেছনে ময়লা আবর্জনার আড়াল থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ। গতকাল বুধবার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করে দিনাজপুর সদর থানা-পুলিশ।
নিহত শাহরিন আলম বিপুল সদর উপজেলার আস্করপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি সরকারি সিটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—দিনাজপুর সদর উপজেলার শালকী (বোয়ালমারী) গ্রামের মো. রশিদের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (২০), উপশহর ৬ নম্বর পুরোনো পাওয়ার হাউস এলাকার মো. উজ্জল হোসেনের ছেলে মো. শাকিব শাহরিয়ার (২১), হাউজিং মোড় এলাকার মো. হামিদুর রহমানের ছেলে মো. আসিফ মাহমুদ হৃদয় (১৮) ও নিশ্চিন্তপুর এলাকার এক কিশোর।
পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ বলেন, ‘আসামি মো. দেলোয়ার হোসেন পূরবী (ছদ্মনাম) নামের এক মেয়েকে পছন্দ করে। কিছুদিন সম্পর্কের পর পুরভীর প্রেমিক বিপুলের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। দেলোয়ার পুরভীর সঙ্গে বিপুলের বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় তিনি বিপুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। প্রথমে তিনি বিপুলকে ফলো করা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ভুয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে বিপুলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। ফেসবুক থেকেই বিপুলের ছবি তোলার শখ আছে বলে জেনে নেন দোলোয়ার। আর সেটাকেই হত্যার কৌশল হিসেবে বেছে নেন।’
এসপি শাহ ইফতেখার আহম্মেদ আরও বলেন, ‘দেলোয়ার মেসেঞ্জার বিপুলকে ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা ধার দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। বিপুলকে বলা হয়—শামীম রেজা সাগর (ছদ্ম নাম) নামে একজন জেলা স্কুলের ছাত্র শনিবার (৪ মার্চ) সকাল ৯টার সময় স্টেডিয়ামের গেটে ক্যামেরা নিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করবে। এ সময় বিপুল বাড়ি থেকে স্টেডিয়ামে যাওয়ার জন্য তার পকেটে কোনো টাকা নাই জানালে, আসামি দেলোয়ার তাঁকে ১০০ টাকা বিকাশ করেন। সরল বিশ্বাসে বিপুল স্টেডিয়ামের গেটে গেলে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা দেলোয়ার, শাকিল, সাগর এবং আসিফসহ অজ্ঞাতনামা ১-২ জন সহযোগী বিপুলকে টেনে স্টেডিয়ামের ভেতরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হলে তারা বিপুলের মাথার পেছনে ও গলায় আঘাত করে। পরে বিপুলের মৃত্যু নিশ্চিত হলে লাশ ময়লা-আবর্জনা দিয়ে ঢেকে গ্যালারির নিচে ফেলে রেখে আসামিরা পালিয়ে যায়।’
পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ বলেন, ‘তরুণ খুনের ঘটনায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মো. শাকিব শাহরিয়ার, মো. আশরাফুল হোসেন মিলন ও মো. আসিফ মাহমুদ হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের রিমান্ডও চাওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি শাহরিন আলম বিপুল। পরে তাঁর বড় ভাই শাহরিয়ার আলম রোববার দিবাগত রাত ১২টার নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন সোমবার দুপুরে স্টেডিয়ামের পাশে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১৫ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫