পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ে কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে তুলে নিয়ে শ্লীলতাহানির বিচার না পেয়ে ভুক্তভোগী পিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। গত বুধবার রাতে আত্মহত্যার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পুলিশ তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের লাখেরাজ ঘুমটি গ্রামে। আত্মহত্যাকারী একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, গত ১৭ জানুয়ারি রাতে কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে পলাশ চন্দ্র বর্মণ (৩০) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পলাশের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পলাশ সেখান থেকে পালিয়ে যান। এতে কলেজছাত্রীর বাবা আহত হলে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আত্মহত্যাকারীর (৫০) ছেলে (৩২) বলেন, ‘বিষয়টি জানাজানি হলে আমাদের সম্মানহানি হয়। পরে আমরা পলাশের বিচার দাবি করলে ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ আশ্বস্ত করেন যে, বিষয়টি সুরাহা করে দেবেন। কিন্তু এক সপ্তাহেও চেয়ারম্যান কোনো উদ্যোগ না নিলে গত ২৪ জানুয়ারি তাঁরা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান ১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদে সালিসে বসার সময় দেন। সেদিনও সালিস না হওয়ায় বিচার পাওয়া নিয়ে আমরা শঙ্কিত ছিলাম। সেই আশঙ্কা থেকেই বুধবার রাতে বাবা বাড়ির পাশের একটি গাছে গলায় চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
তাঁর দাবি, সালিসে চেয়ারম্যানের অবহেলার কারণে লজ্জিত হওয়ায় তাঁর বাবা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এ জন্য তাঁর বোনও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষকে বসার নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু অভিযোগকারীরা আসেনি। না এলে কীভাবে সুরাহা করব? আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমি তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলাম। তবে তিনি কেন আত্মহত্যা করেছেন আমার জানা নেই।’
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সুরতহাল শেষে মরদেহ সৎকারের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে আগের কোনো বিষয়ে আমরা অবগত নই। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পঞ্চগড়ে কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে তুলে নিয়ে শ্লীলতাহানির বিচার না পেয়ে ভুক্তভোগী পিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। গত বুধবার রাতে আত্মহত্যার পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পুলিশ তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের লাখেরাজ ঘুমটি গ্রামে। আত্মহত্যাকারী একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, গত ১৭ জানুয়ারি রাতে কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে পলাশ চন্দ্র বর্মণ (৩০) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পলাশের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পলাশ সেখান থেকে পালিয়ে যান। এতে কলেজছাত্রীর বাবা আহত হলে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আত্মহত্যাকারীর (৫০) ছেলে (৩২) বলেন, ‘বিষয়টি জানাজানি হলে আমাদের সম্মানহানি হয়। পরে আমরা পলাশের বিচার দাবি করলে ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ আশ্বস্ত করেন যে, বিষয়টি সুরাহা করে দেবেন। কিন্তু এক সপ্তাহেও চেয়ারম্যান কোনো উদ্যোগ না নিলে গত ২৪ জানুয়ারি তাঁরা চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
তিনি আরও বলেন, চেয়ারম্যান ১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদে সালিসে বসার সময় দেন। সেদিনও সালিস না হওয়ায় বিচার পাওয়া নিয়ে আমরা শঙ্কিত ছিলাম। সেই আশঙ্কা থেকেই বুধবার রাতে বাবা বাড়ির পাশের একটি গাছে গলায় চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
তাঁর দাবি, সালিসে চেয়ারম্যানের অবহেলার কারণে লজ্জিত হওয়ায় তাঁর বাবা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। এ জন্য তাঁর বোনও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষকে বসার নোটিশ দিয়েছি। কিন্তু অভিযোগকারীরা আসেনি। না এলে কীভাবে সুরাহা করব? আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমি তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলাম। তবে তিনি কেন আত্মহত্যা করেছেন আমার জানা নেই।’
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সুরতহাল শেষে মরদেহ সৎকারের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে আগের কোনো বিষয়ে আমরা অবগত নই। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৩ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৩ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৫ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২২ দিন আগে