আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সেই সার্ভেয়ার সাবিনা ইয়াছমিনকে কাউনিয়ায় বদলি করা হয়েছে। তাঁর বদলির খবর শুনে গতকাল সোমবার ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁকে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখেন অর্ধশতাধিক সেবাগ্রহীতা।
পরে খবর পেয়ে ওই কার্যালয়ে যান দায়িত্বপ্রাপ্ত গঙ্গাচড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহা। তিনি ওই দিন রাত ৮টার দিকে উপস্থিত লোকজনের বক্তব্য শোনেন। এরপর এসি (ল্যান্ড) তাঁদের উদ্দেশে বলেন, পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত সার্ভেয়ারকে আপাতত এখানেই রাখা হবে। এমন আশ্বাসে লোকজন শান্ত হন। পরে সার্ভেয়ারকে তাঁর গাড়িতে তুলে নিয়ে অফিস ত্যাগ করেন এসি (ল্যান্ড)।
সার্ভেয়ারের ঘুষ দুর্নীতি নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি, ২ ও ২৩ মার্চ আজকের পত্রিকায় তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তদন্তে নামেন বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ। সার্ভেয়ার সাবিনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে ইউএনও চলতি মাসের প্রথম দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
এরপর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে তাঁকে কাউনিয়া উপজেলায় বদলি করা হয়। তাঁর এই বদলির খবর শুনে গত সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সার্ভেয়ারের কার্যালয়ে অর্ধশতাধিক সেবাগ্রহীতা ঘুষের টাকা ফেরতের জন্য অবস্থান নেন।
মিরাপাড়া গ্রামের গৃহবধূ সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, ‘জমির সীমানা মেপে দেওয়ার কথা বলে দুই বছর আগে ৪৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন সার্ভেয়ার সাবিনা। পরে তিনি কাজ করে দিতে পারেননি। তখন থেকে ঘুরতে ঘুরতে দুইবারে ৭ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছি।’
কালুপাড়ার মধ্যপাড়া গ্রামের সামছুল হক বলেন, ‘জমি খারিজের জন্য ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। কাজ করে দিতে পারেননি। টাকাও ফেরত দেননি। সাবিনার বদলির খবর শুনে এখানে এসেছি।’
লোহানীপাড়া মুসলমারী তেলিপাড়া গ্রামের কাশমিরা বেগমকে জমি বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলে সার্ভেয়ার ৪৭ হাজার টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু জমি বন্দোবস্ত করে দিতে পারেননি। তাঁর টাকাও ফেরত দেননি। সার্ভেয়ারের বদলির খবর শুনে কাশমিরা বেগম গতকাল সোমবার ছুটে আসেন উপজেলা ভূমি অফিসে। সার্ভেয়ারের কার্যালয়ে ঢুকেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
শংকরপুর ফয়জার পাড়া গ্রামের ইবনে ফারুক বলেন, ‘দোকান বরাদ্দ ও জামানতসহ নগদ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা নিয়েছেন সাবিনা। তিনি এক বছর ধরে ঘুরাচ্ছেন। দোকান বরাদ্দের কোনো কাজকর্মই করেননি তিনি।’
এ ছাড়া সার্ভেয়ার মোস্তফাপুর গুদামপাড়া গ্রামের স্বাধীন রায়ের কাছ থেকে ৮ হাজার, কালুপাড়া ইউনিয়নের হাঁড়িভাঙা গ্রামের মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৯০ হাজার, শংকরপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা কাজ করে দেওয়ার কথা বলে নেন সাবিনা।
এ ব্যাপারে ইউএনও আবু সাঈদ বলেন, ‘তদন্তে সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।’
সার্ভেয়ারকে অবরুদ্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘এমন বিষয় শুনে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত গঙ্গাচড়ার এসিল্যান্ডকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।’
সেলফোনে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন বলেন, আপাতত সার্ভেয়ারকে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সেই সার্ভেয়ার সাবিনা ইয়াছমিনকে কাউনিয়ায় বদলি করা হয়েছে। তাঁর বদলির খবর শুনে গতকাল সোমবার ঘুষের টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁকে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখেন অর্ধশতাধিক সেবাগ্রহীতা।
পরে খবর পেয়ে ওই কার্যালয়ে যান দায়িত্বপ্রাপ্ত গঙ্গাচড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহা। তিনি ওই দিন রাত ৮টার দিকে উপস্থিত লোকজনের বক্তব্য শোনেন। এরপর এসি (ল্যান্ড) তাঁদের উদ্দেশে বলেন, পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত সার্ভেয়ারকে আপাতত এখানেই রাখা হবে। এমন আশ্বাসে লোকজন শান্ত হন। পরে সার্ভেয়ারকে তাঁর গাড়িতে তুলে নিয়ে অফিস ত্যাগ করেন এসি (ল্যান্ড)।
সার্ভেয়ারের ঘুষ দুর্নীতি নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি, ২ ও ২৩ মার্চ আজকের পত্রিকায় তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তদন্তে নামেন বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ। সার্ভেয়ার সাবিনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে ইউএনও চলতি মাসের প্রথম দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
এরপর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে তাঁকে কাউনিয়া উপজেলায় বদলি করা হয়। তাঁর এই বদলির খবর শুনে গত সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সার্ভেয়ারের কার্যালয়ে অর্ধশতাধিক সেবাগ্রহীতা ঘুষের টাকা ফেরতের জন্য অবস্থান নেন।
মিরাপাড়া গ্রামের গৃহবধূ সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, ‘জমির সীমানা মেপে দেওয়ার কথা বলে দুই বছর আগে ৪৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন সার্ভেয়ার সাবিনা। পরে তিনি কাজ করে দিতে পারেননি। তখন থেকে ঘুরতে ঘুরতে দুইবারে ৭ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছি।’
কালুপাড়ার মধ্যপাড়া গ্রামের সামছুল হক বলেন, ‘জমি খারিজের জন্য ৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। কাজ করে দিতে পারেননি। টাকাও ফেরত দেননি। সাবিনার বদলির খবর শুনে এখানে এসেছি।’
লোহানীপাড়া মুসলমারী তেলিপাড়া গ্রামের কাশমিরা বেগমকে জমি বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলে সার্ভেয়ার ৪৭ হাজার টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু জমি বন্দোবস্ত করে দিতে পারেননি। তাঁর টাকাও ফেরত দেননি। সার্ভেয়ারের বদলির খবর শুনে কাশমিরা বেগম গতকাল সোমবার ছুটে আসেন উপজেলা ভূমি অফিসে। সার্ভেয়ারের কার্যালয়ে ঢুকেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
শংকরপুর ফয়জার পাড়া গ্রামের ইবনে ফারুক বলেন, ‘দোকান বরাদ্দ ও জামানতসহ নগদ ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা নিয়েছেন সাবিনা। তিনি এক বছর ধরে ঘুরাচ্ছেন। দোকান বরাদ্দের কোনো কাজকর্মই করেননি তিনি।’
এ ছাড়া সার্ভেয়ার মোস্তফাপুর গুদামপাড়া গ্রামের স্বাধীন রায়ের কাছ থেকে ৮ হাজার, কালুপাড়া ইউনিয়নের হাঁড়িভাঙা গ্রামের মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ৯০ হাজার, শংকরপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা কাজ করে দেওয়ার কথা বলে নেন সাবিনা।
এ ব্যাপারে ইউএনও আবু সাঈদ বলেন, ‘তদন্তে সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলা পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।’
সার্ভেয়ারকে অবরুদ্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘এমন বিষয় শুনে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত গঙ্গাচড়ার এসিল্যান্ডকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।’
সেলফোনে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন বলেন, আপাতত সার্ভেয়ারকে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৬ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৭ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে