প্রতিনিধি, নাটোর
নাটোরে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে সিআইডি কর্মকর্তার স্ত্রী সুমি বেগমকে (৩৮) গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে আদালতে তোলা হলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক এএফএম গোলজার রহমান জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃত সুমি বেগম ঢাকায় কর্মরত সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী/। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহকর্মীর নাম শ্যামলী খাতুন (১২)। সে নাটোর সদর উপজেলার পাইকেরদল গ্রামের মঞ্জিল হোসেনের মেয়ে।
শ্যামলীর প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার বিকেলে সুমি বেগম শ্যামলীর বাবা-মাকে দেখাতে তাঁকে নিয়ে পাইকেরদোল গ্রামে যায়। এ সময় শ্যামলীর শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখে আত্মীয়স্বজনরা জিজ্ঞাসা করলে সে টানা তিন বছর ধরে চলা নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী সুমি বেগম এবং শাশুড়ি দিলারা বেগমকে আটকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই নাটোর থানায় সুমি বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী শ্যামলীর মা নার্গিস বেগম।
নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর পরিবারের লোকজন বলেন, অভাবের তাড়নায় দরিদ্র বাবা-মা শ্যামলীকে মাসিক ১ হাজার ২০০ টাকা বেতনে তিন বছর আগে ওই কর্মকর্তার বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজে পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে শ্যামলীকে আর তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। প্রথম ৮ মাস নিয়মিত বেতন পাঠিয়ে দিলেও পরে আর বেতনও দেননি। কাজে যোগ দেওয়ার এক মাস পর থেকেই নানা বিষয় নিয়ে গৃহকর্ত্রী সুমি শ্যামলীকে বকাঝকা ও নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে তার শরীরে গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা এবং প্লাস দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানের চামড়া তুলে ফেলে। এতে তার মাথা ও হাত-পায়ের আঙুলসহ পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।
শিশু শ্যামলী কাঁদতে কাঁদতে বলে, কাজে একটু ভুল করলেই আমাকে প্রচুর মারধর করা হতো। জোরে কান্না করলে আরও বেশি মারত। তবে গৃহকর্তা আমাকে মা বলে ডাকত। নিজের মেয়ের মতো আদর করত। আমাকে মারপিট করলে স্ত্রীকে বকাঝকা করতেন।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. তারেক জুবায়ের বলেন, পুলিশের একটি টিম মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে নির্যাতনের অভিযোগে সুমি বেগমকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নাটোরে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে সিআইডি কর্মকর্তার স্ত্রী সুমি বেগমকে (৩৮) গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে আদালতে তোলা হলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক এএফএম গোলজার রহমান জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃত সুমি বেগম ঢাকায় কর্মরত সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী/। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহকর্মীর নাম শ্যামলী খাতুন (১২)। সে নাটোর সদর উপজেলার পাইকেরদল গ্রামের মঞ্জিল হোসেনের মেয়ে।
শ্যামলীর প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার বিকেলে সুমি বেগম শ্যামলীর বাবা-মাকে দেখাতে তাঁকে নিয়ে পাইকেরদোল গ্রামে যায়। এ সময় শ্যামলীর শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখে আত্মীয়স্বজনরা জিজ্ঞাসা করলে সে টানা তিন বছর ধরে চলা নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী সুমি বেগম এবং শাশুড়ি দিলারা বেগমকে আটকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই নাটোর থানায় সুমি বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী শ্যামলীর মা নার্গিস বেগম।
নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর পরিবারের লোকজন বলেন, অভাবের তাড়নায় দরিদ্র বাবা-মা শ্যামলীকে মাসিক ১ হাজার ২০০ টাকা বেতনে তিন বছর আগে ওই কর্মকর্তার বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজে পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে শ্যামলীকে আর তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। প্রথম ৮ মাস নিয়মিত বেতন পাঠিয়ে দিলেও পরে আর বেতনও দেননি। কাজে যোগ দেওয়ার এক মাস পর থেকেই নানা বিষয় নিয়ে গৃহকর্ত্রী সুমি শ্যামলীকে বকাঝকা ও নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে তার শরীরে গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা এবং প্লাস দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানের চামড়া তুলে ফেলে। এতে তার মাথা ও হাত-পায়ের আঙুলসহ পুরো শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।
শিশু শ্যামলী কাঁদতে কাঁদতে বলে, কাজে একটু ভুল করলেই আমাকে প্রচুর মারধর করা হতো। জোরে কান্না করলে আরও বেশি মারত। তবে গৃহকর্তা আমাকে মা বলে ডাকত। নিজের মেয়ের মতো আদর করত। আমাকে মারপিট করলে স্ত্রীকে বকাঝকা করতেন।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. তারেক জুবায়ের বলেন, পুলিশের একটি টিম মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে নির্যাতনের অভিযোগে সুমি বেগমকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৩ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৫ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২১ দিন আগে