Ajker Patrika

একই ইউনিয়নে দুই আ. লীগ নেতা খুন, উভয়েই বিএনপি নেতা হত্যা মামলার আসামি

মো. তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৪, ০১: ৩৩
একই ইউনিয়নে দুই আ. লীগ নেতা খুন, উভয়েই বিএনপি নেতা হত্যা মামলার আসামি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নয়ালাভাঙা ইউনিয়নের দুই আওয়ামী লীগ নেতা এক বছরের ব্যবধানে খুন হয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুজনই স্থানীয় বিএনপির এক নেতাকে হত্যা মামলার আসামি। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপির এক নেতাকে দুষছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এবং পরিবার। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যদের বর্ণনা অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নয়ালাভাঙা ইউনিয়নের রানিহাটি ডিগ্রি কলেজের সামনে চেয়ার পেতে গল্প করছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য ও নয়ালাভাঙা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম। সঙ্গে ছিলেন একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও হরিনগর হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মতিন, আওয়ামী লীগ কর্মী টিটো ও আব্দুর রহিম বাদশা। হঠাৎ তাঁদের ওপর এসে পড়ে একটি হাতবোমা। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন আব্দুস সালাম ও আব্দুল মতিন। আহত অবস্থায় পালিয়ে রক্ষা পান আব্দুর রহিম ও টিটো। এরপরেই ছোড়া হয় গুলি। ২০–২৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সালাম ও মতিনের। খবর পেয়ে সালামের মরদেহ নেওয়া হয় বাড়িতে ও মতিনের মরদেহ জেলা হাসপাতালে। 

এর আগে গত বছরের ২৫ জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা দুরুল হোদাকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনিও নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মিরাটুলি বাবুপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী–সন্তানের সামনেই কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল দিনদুপুরে সন্ত্রাসীরা বোমা মেরে ও কুপিয়ে হত্যা করে নয়ালাভাঙা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য আলম হোসেনকে। তিনি একই ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন। সেই মামলার এজাহার নামীয় আসামি ছিলেন গতকাল বৃহস্পতিবার খুন হওয়া আব্দুস সালাম এবং গত বছর শ্বশুরবাড়িতে খুন হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা দুরুল হোদা। 

গতকাল হামলার সময় প্রাণে বেঁচে যাওয়া আব্দুর রহিম বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সালামকে হত্যার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নয়ালাভাঙা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক। তার নির্দেশেই হত্যা করতে রাতের অন্ধকারে প্রাইভেট কার ও বাড়িতে হামলা চালানো হয়। সে দুই দফায় প্রাণে বেঁচে যান সালাম। কিন্তু এবার বাঁচানো গেল না! পরিকল্পনা করেই হত্যা করা হলো।’ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীরাও একই কথা বলছেন। 

বিএনপি নেতা আশরাফুল হক আওয়ামী লীগ নেতা দুরুল হোদা হত্যা মামলার আসামি। 

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম হোসেন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তাঁর স্বামী। মামলাটি সমাধানের চেষ্টা করছিলেন সালামসহ দুই পক্ষের লোকজন। কিন্তু আশরাফ মীমাংসার নামে নাটক করেছেন। আশরাফই তাঁর স্বামীর ওপর হামলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মনে করেন ফেরদৌসী বেগম। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ছাইদুল হাসান বলেন, ‘কোনো হত্যাকাণ্ডই কাম্য নয়। পুলিশ সব অপরাধের তদন্ত করে বিচারের মুখোমুখি করে। সালাম ও মতিন হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত হবে, যারা দোষী তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত