নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে নিহত ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৪০) হাতে লেখা আর্থিক লেনদেনের চিরকুটে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের নাম পাওয়া গেছে। আজ বুধবার বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারেন। সুলতানার হাতে লেখা সেই প্রমাণপত্রগুলো তাঁর স্বজনেরা উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দিয়েছেন।
তদন্ত কমিটির হাতে দেওয়া সেই চিরকুটে দেখা যায়, ৪৬ পাতার প্রমাণপত্রের মধ্যে একটি পাতায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একটি নম্বর, অঙ্কে ও কথায় লেখা ৫০ হাজার টাকা, ৫/১/২০২৩ তারিখ ও এডিসি মিল্টনের নাম লেখা আছে। সবই সুলতানার হাতে লেখা বলে তাঁর স্বজনেরা দাবি করেছেন।
সুলতানা জেসমিনের মামা নাজমূল হক মন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, নওগাঁ শহরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তাঁর ভাগনি। সম্প্রতি সেই বাসা থেকে আসবাব সরিয়ে নিতে গিয়ে আর্থিক লেনদেনের ৪৬ পাতার পত্রগুলো পাওয়া যায়। সেই পত্রগুলোয় দেখা যায়, মৃত্যুর আগে সাম্প্রতিক সময়ে সুলতানা বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে টাকা পাঠানো কথা লিখে রেখেছিলেন। প্রমাণপত্রগুলো হাইকোর্টের নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সুলতানার মামা আরও বলেন, ৪৬ পাতা প্রমাণপত্রের একটিতে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের নাম লেখা আছে। সেই কাগজে একটি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর ও ৫০ হাজার টাকা লেনদেনের কথা উল্লেখ আছে। সুলতানার হাতে লেখা এসব প্রমাণপত্রের সূত্র ধরে অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এনামূল হকের দায়ের করা মামলা ও মৃত্যুর ঘটনার অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
সুলতানার আর্থিক লেনদেনের প্রমাণপত্রে নাম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি মিল্টন চন্দ্র রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিষয়টি প্রথম শুনলাম আমি। এটা আমার নলেজে নাই এবং আমি তাঁকে চিনতামও না।’
আপনার পরিবারের সঙ্গে সুলতানা জেসমিনের কোনো সম্পর্ক ছিল কি না জানতে চাইলে এডিসি বলেন, তাঁর পরিবারের কারোর সঙ্গে সুলতানার কোনো সম্পর্ক ছিল না।
সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু ও তাঁর বিরুদ্ধে এনামূল হকের দায়ের করা মামলার বিষয়টি তদন্ত করছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি। সম্প্রতি নওগাঁ সার্কিট হাউসে সুলতানার স্বজনদের জবানবন্দি রেকর্ড করে তদন্ত কমিটি। ওই দিন তদন্ত কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘খুঁটিনাটি সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কেই প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন দেওয়ার আশা করি।’
গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র্যাব। এরপর র্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাঁকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৪ মার্চ সকালে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুলতানা।
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে নিহত ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৪০) হাতে লেখা আর্থিক লেনদেনের চিরকুটে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের নাম পাওয়া গেছে। আজ বুধবার বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারেন। সুলতানার হাতে লেখা সেই প্রমাণপত্রগুলো তাঁর স্বজনেরা উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দিয়েছেন।
তদন্ত কমিটির হাতে দেওয়া সেই চিরকুটে দেখা যায়, ৪৬ পাতার প্রমাণপত্রের মধ্যে একটি পাতায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একটি নম্বর, অঙ্কে ও কথায় লেখা ৫০ হাজার টাকা, ৫/১/২০২৩ তারিখ ও এডিসি মিল্টনের নাম লেখা আছে। সবই সুলতানার হাতে লেখা বলে তাঁর স্বজনেরা দাবি করেছেন।
সুলতানা জেসমিনের মামা নাজমূল হক মন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, নওগাঁ শহরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তাঁর ভাগনি। সম্প্রতি সেই বাসা থেকে আসবাব সরিয়ে নিতে গিয়ে আর্থিক লেনদেনের ৪৬ পাতার পত্রগুলো পাওয়া যায়। সেই পত্রগুলোয় দেখা যায়, মৃত্যুর আগে সাম্প্রতিক সময়ে সুলতানা বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে টাকা পাঠানো কথা লিখে রেখেছিলেন। প্রমাণপত্রগুলো হাইকোর্টের নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সুলতানার মামা আরও বলেন, ৪৬ পাতা প্রমাণপত্রের একটিতে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের নাম লেখা আছে। সেই কাগজে একটি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর ও ৫০ হাজার টাকা লেনদেনের কথা উল্লেখ আছে। সুলতানার হাতে লেখা এসব প্রমাণপত্রের সূত্র ধরে অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এনামূল হকের দায়ের করা মামলা ও মৃত্যুর ঘটনার অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
সুলতানার আর্থিক লেনদেনের প্রমাণপত্রে নাম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি মিল্টন চন্দ্র রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিষয়টি প্রথম শুনলাম আমি। এটা আমার নলেজে নাই এবং আমি তাঁকে চিনতামও না।’
আপনার পরিবারের সঙ্গে সুলতানা জেসমিনের কোনো সম্পর্ক ছিল কি না জানতে চাইলে এডিসি বলেন, তাঁর পরিবারের কারোর সঙ্গে সুলতানার কোনো সম্পর্ক ছিল না।
সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু ও তাঁর বিরুদ্ধে এনামূল হকের দায়ের করা মামলার বিষয়টি তদন্ত করছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি। সম্প্রতি নওগাঁ সার্কিট হাউসে সুলতানার স্বজনদের জবানবন্দি রেকর্ড করে তদন্ত কমিটি। ওই দিন তদন্ত কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘খুঁটিনাটি সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কেই প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন দেওয়ার আশা করি।’
গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠের সামনে থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে র্যাব। এরপর র্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাঁকে নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৪ মার্চ সকালে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুলতানা।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৯ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে