সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ (রায়গঞ্জ অঞ্চল) জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী সুমন সরকারের বিরুদ্ধে জাল টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিজয়ীও হয়েছেন। কিন্তু ভোট দিয়ে বাজারে খরচ করতে গেলে টাকাগুলো জাল শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছেন টাকা নেওয়া একাধিক ভোটার।
বেশ কয়েকজন ভোটার টাকা খরচ করতে না পেরে আক্ষেপ করেছেন। তবে তাঁরা নিরাপত্তার স্বার্থে পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন। এ নিয়ে ফেসবুকে কয়েকজন স্ট্যাটাস দেওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝড় শুরু হয়।
রায়গঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক সেখ মোস্তফা নুরুল আমিন সোমবার ফেসবুকে লেখেন, ‘জেলা পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে রায়গঞ্জের এক সদস্য প্রার্থী জেলা পরিষদ নির্বাচনে তার পক্ষে ভোট আদায়ের কৌশল হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের টাকার বান্ডিল দিয়েছেন গত রাতে। ভোট দিয়ে কিছু কেনাকাটা করতে বের হন তারা। কিন্তু পরখ করে দেখেন রাতের অন্ধকারে কেনা-বেচার সব টাকাই জাল। কয়েক মেম্বার তাদের সেই প্রার্থীকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, জাল নোট যার কাছে পাওয়া যাবে তাকেই কিন্তু পাকড়াও করবে পুলিশ। এ কথা শুনে স্তব্ধ হন তারা। ভোট কেনা-বেচার বাজারে এভাবে কত কিছুই না ঘটছে।’
আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে টাকা নেওয়া একাধিক ভোটার বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগের দিন রাতে তাদের ৪ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী সুমন সরকার রাতে টাকার বান্ডিল বিতরণ করেছেন। তখন তাঁদের সতর্ক করা হয় যে, এই টাকা ভোটের আগে যেন খরচ করা না হয়। খরচ করলে টাকা দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হবে। এতে তাঁর ক্ষতি হবে। কথা অনুযায়ী ভোটের আগে টাকাগুলো কেউ খরচ করেননি। ভোট দেওয়ার পর স্থানীয় ধানগড়া বাজারে গেলে দোকানদার টাকা হাতে নিয়ে উল্টিয়ে দেখে বলেন—এগুলো জালনোট! এরপর টাকা নিয়ে প্রার্থী সুমন সরকারের কাছে গেলে তিনি ‘জালনোট রাখার অপরাধে’ পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান।
জানা গেছে, সুমন সরকার রায়গঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে বর্তমানে দলে কোনো পদে নেই। গতকাল অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে (বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগেও তিনি জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন সরকার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য না। আমি নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিপক্ষরা এমন মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছেন। আমি কোনো ইউপি সদস্যকে জাল টাকার বান্ডিল দেইনি।’
৪ নং ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী তালা প্রতীকের গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জালনোটের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। তবে কে কাকে জাল টাকার বান্ডিল দিয়েছে সেটা জানা নেই।’
সুমন সরকারের এমন কাণ্ডের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাদি আলমাজি জিন্নাহ বলেন, ‘মূলত “প্রক্রিয়া” করেছি নারী ভোটার সংগ্রহে। এবার পুরুষ ভোটারদের নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথাই ছিল না। অর্থ খরচের বিষয়টিও অমূলক।’
বিষয়টি জানালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে আমরা এই বিষয়টি অবগত নই।’
জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘জাল নোট দিয়ে ভোট কেনাবেচার বিষয়ে কেউই জানায়নি বা অভিযোগও দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিরাজগঞ্জ (রায়গঞ্জ অঞ্চল) জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী সুমন সরকারের বিরুদ্ধে জাল টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিজয়ীও হয়েছেন। কিন্তু ভোট দিয়ে বাজারে খরচ করতে গেলে টাকাগুলো জাল শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছেন টাকা নেওয়া একাধিক ভোটার।
বেশ কয়েকজন ভোটার টাকা খরচ করতে না পেরে আক্ষেপ করেছেন। তবে তাঁরা নিরাপত্তার স্বার্থে পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন। এ নিয়ে ফেসবুকে কয়েকজন স্ট্যাটাস দেওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝড় শুরু হয়।
রায়গঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক সেখ মোস্তফা নুরুল আমিন সোমবার ফেসবুকে লেখেন, ‘জেলা পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে রায়গঞ্জের এক সদস্য প্রার্থী জেলা পরিষদ নির্বাচনে তার পক্ষে ভোট আদায়ের কৌশল হিসেবে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের টাকার বান্ডিল দিয়েছেন গত রাতে। ভোট দিয়ে কিছু কেনাকাটা করতে বের হন তারা। কিন্তু পরখ করে দেখেন রাতের অন্ধকারে কেনা-বেচার সব টাকাই জাল। কয়েক মেম্বার তাদের সেই প্রার্থীকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, জাল নোট যার কাছে পাওয়া যাবে তাকেই কিন্তু পাকড়াও করবে পুলিশ। এ কথা শুনে স্তব্ধ হন তারা। ভোট কেনা-বেচার বাজারে এভাবে কত কিছুই না ঘটছে।’
আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে টাকা নেওয়া একাধিক ভোটার বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগের দিন রাতে তাদের ৪ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী সুমন সরকার রাতে টাকার বান্ডিল বিতরণ করেছেন। তখন তাঁদের সতর্ক করা হয় যে, এই টাকা ভোটের আগে যেন খরচ করা না হয়। খরচ করলে টাকা দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হবে। এতে তাঁর ক্ষতি হবে। কথা অনুযায়ী ভোটের আগে টাকাগুলো কেউ খরচ করেননি। ভোট দেওয়ার পর স্থানীয় ধানগড়া বাজারে গেলে দোকানদার টাকা হাতে নিয়ে উল্টিয়ে দেখে বলেন—এগুলো জালনোট! এরপর টাকা নিয়ে প্রার্থী সুমন সরকারের কাছে গেলে তিনি ‘জালনোট রাখার অপরাধে’ পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান।
জানা গেছে, সুমন সরকার রায়গঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে বর্তমানে দলে কোনো পদে নেই। গতকাল অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে (বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগেও তিনি জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন সরকার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য না। আমি নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিপক্ষরা এমন মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছেন। আমি কোনো ইউপি সদস্যকে জাল টাকার বান্ডিল দেইনি।’
৪ নং ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী তালা প্রতীকের গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জালনোটের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। তবে কে কাকে জাল টাকার বান্ডিল দিয়েছে সেটা জানা নেই।’
সুমন সরকারের এমন কাণ্ডের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাদি আলমাজি জিন্নাহ বলেন, ‘মূলত “প্রক্রিয়া” করেছি নারী ভোটার সংগ্রহে। এবার পুরুষ ভোটারদের নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথাই ছিল না। অর্থ খরচের বিষয়টিও অমূলক।’
বিষয়টি জানালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে আমরা এই বিষয়টি অবগত নই।’
জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘জাল নোট দিয়ে ভোট কেনাবেচার বিষয়ে কেউই জানায়নি বা অভিযোগও দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২১ ঘণ্টা আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১২ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৩ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২০ দিন আগে