নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর বদলি হওয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুল জলিলের নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে এ তদন্ত শুরু করেছে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। বুধবার (৭ জুন) তদন্ত কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে তদন্ত করবেন। এ জন্য ডিসি জলিলের সময় নিয়োগ পাওয়া ছয় কর্মচারীকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ওই নিয়োগ কমিটির সমন্বয়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হককেও যথাসময়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইমতিয়াজ হোসেন এ তদন্ত করবেন।
সোমবার (৫ জুন) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ রাজশাহীর তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের বদলির আদেশ জারি হয়। আবদুল জলিল রাজশাহীতে প্রায় দুই বছর থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১২২ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন বিভিন্ন পদে। বদলির আদেশ জারি হওয়ার পরও তিনি ছয়জনকে নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে গত ২১ মার্চ আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘নিয়োগটা দিয়েই রাজশাহী ছাড়তে চান বদলির আদেশ পাওয়া ডিসি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
এরপর ২ এপ্রিল পর্যন্ত অফিস করেন ডিসি আবদুল জলিল। বদলির আদেশ হওয়ার পরও তিনি নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব করেন এবং নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করেন। ২ এপ্রিল ডিসি জলিলের শেষ কর্মদিবসে নতুন নিয়োগ পাওয়া ছয়জন যোগ দেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, যারা নিয়োগ পান তাঁরা ডিসি জলিলের পূর্বপরিচিত। চাকরি পাওয়া রিপন হোসেন ডিসি জলিলের স্ত্রীর গাড়িচালক ছিলেন। আরেক অফিস সহায়ক ফাইম আহম্মেদ ডিসির বাংলোর নাজির নূর আহমেদ টিপুর ভাতিজা। আরেক অফিস সহায়ক আলী আহাম্মেদ ডিসির কার্যালয়ের ভিপি শাখার অফিস সহকারী মো. মনজুরের ভাতিজা। পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ পাওয়া অজয় কুমারের বাবা শম্ভু নাথও ডিসির কার্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কর্মরত আছেন।
অভিযোগ রয়েছে, আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে অনিয়মের মাধ্যমে তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগে চারজন অফিস সহায়কের পদের বিপরীতে ৫২১ জন এবং একটি নিরাপত্তা প্রহরীর বিপরীতে ৩৪ জন ও একটি পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদের বিপরীতে ১৪ জন পরীক্ষায় বসেছিলেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে গত ৩ এপ্রিল আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘৬ কর্মচারীর নিয়োগ সম্পন্ন করেই রাজশাহী ছাড়ছেন ডিসি আবদুল জলিল’ শিরোনামে আরেকটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
এর দুই মাস পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা তদন্তের মুখে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ওই নিয়োগ কমিটির সমন্বয়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক বলেন, ‘আমি আজ অফিসে নেই। চিঠি এসে থাকলে ডাক ফাইলে আছে। এখনো দেখিনি।’
তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইমতিয়াজ হোসেন আজ মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এই নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আমাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) তদন্ত করা হবে।’
রাজশাহীর বদলি হওয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুল জলিলের নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে এ তদন্ত শুরু করেছে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। বুধবার (৭ জুন) তদন্ত কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে তদন্ত করবেন। এ জন্য ডিসি জলিলের সময় নিয়োগ পাওয়া ছয় কর্মচারীকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ওই নিয়োগ কমিটির সমন্বয়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হককেও যথাসময়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইমতিয়াজ হোসেন এ তদন্ত করবেন।
সোমবার (৫ জুন) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে পৌঁছানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ রাজশাহীর তৎকালীন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের বদলির আদেশ জারি হয়। আবদুল জলিল রাজশাহীতে প্রায় দুই বছর থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১২২ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন বিভিন্ন পদে। বদলির আদেশ জারি হওয়ার পরও তিনি ছয়জনকে নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে গত ২১ মার্চ আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘নিয়োগটা দিয়েই রাজশাহী ছাড়তে চান বদলির আদেশ পাওয়া ডিসি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
এরপর ২ এপ্রিল পর্যন্ত অফিস করেন ডিসি আবদুল জলিল। বদলির আদেশ হওয়ার পরও তিনি নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব করেন এবং নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করেন। ২ এপ্রিল ডিসি জলিলের শেষ কর্মদিবসে নতুন নিয়োগ পাওয়া ছয়জন যোগ দেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, যারা নিয়োগ পান তাঁরা ডিসি জলিলের পূর্বপরিচিত। চাকরি পাওয়া রিপন হোসেন ডিসি জলিলের স্ত্রীর গাড়িচালক ছিলেন। আরেক অফিস সহায়ক ফাইম আহম্মেদ ডিসির বাংলোর নাজির নূর আহমেদ টিপুর ভাতিজা। আরেক অফিস সহায়ক আলী আহাম্মেদ ডিসির কার্যালয়ের ভিপি শাখার অফিস সহকারী মো. মনজুরের ভাতিজা। পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ পাওয়া অজয় কুমারের বাবা শম্ভু নাথও ডিসির কার্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কর্মরত আছেন।
অভিযোগ রয়েছে, আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে অনিয়মের মাধ্যমে তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগে চারজন অফিস সহায়কের পদের বিপরীতে ৫২১ জন এবং একটি নিরাপত্তা প্রহরীর বিপরীতে ৩৪ জন ও একটি পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদের বিপরীতে ১৪ জন পরীক্ষায় বসেছিলেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে গত ৩ এপ্রিল আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘৬ কর্মচারীর নিয়োগ সম্পন্ন করেই রাজশাহী ছাড়ছেন ডিসি আবদুল জলিল’ শিরোনামে আরেকটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
এর দুই মাস পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা তদন্তের মুখে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ওই নিয়োগ কমিটির সমন্বয়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক বলেন, ‘আমি আজ অফিসে নেই। চিঠি এসে থাকলে ডাক ফাইলে আছে। এখনো দেখিনি।’
তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইমতিয়াজ হোসেন আজ মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, ‘পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এই নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আমাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) তদন্ত করা হবে।’
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
৪ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
৬ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
৭ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫