Ajker Patrika

তানোরে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১২ 

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২১, ২২: ৫৩
তানোরে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১২ 

রাজশাহী তানোর উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আসন্ন। এ নিয়ে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রার্থী বাছাই নিয়ে আয়োজন করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা। এই সভায় দু'পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি, চেয়ার ছোড়াছুড়িতে পণ্ড হয়েছে সেই সভা। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিপেটা করে পুলিশ। আজ শুক্রবার বিকেলে তানোর উপজেলা পরিষদ হলরুমে ঘটনা ঘটে। আহত নেতা কর্মীরা সকলেই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানীর অনুসারী। 

জানা গেছে, আগামী ১১ নভেম্বর তানোর উপজেলা সাতটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচন উপলক্ষে বিকেলে ৫টায় তানোর উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাত ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ সভায় জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতৃবৃন্দ সহ প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী। 
সভা শুরুর একপর্যায়ে সভায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার সমর্থকদের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের অনুসারীদের বাগ্‌বিতণ্ডা বেঁধে যায়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পরে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ও তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসানসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিতি হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী তাঁর অনুসারী নেতা কর্মীদের নিয়ে উপজেলা চত্বরের পাশে তানোর পৌরসভা কার্যালয়ে অবস্থান নেন। তবে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী উপজেলা পরিষদ হলরুমেই আবারও ওই বর্ধিত সভার কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময়ে এমপি অনুসারী উপজেলার সাত ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ও ঠিকানা জমা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

এ বিষয়ে গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এক চিঠিতে ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর তালিকা দিতে বলেছেন। সে অনুযায়ী সভা ডাকা হয়। এই সভা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মতিতেই ডাকা হয়েছে। কিন্তু আমি সভাপতি হলেও আমাকে সভাপতিত্ব করতে দেবে না জেলা আওয়ামী লীগ। এ কারণে আমি ওই সভায় যাইনি। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আমার সমর্থকরা সেখানে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়।’ 

সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মঞ্চে ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কারকে বসানো হয়। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েও মঞ্চে আমার জায়গা হয়নি। এতে আমার সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সামনেই আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমাদের মঞ্চে ওঠা দেখেই তারা হইচই শুরু করে। পরে তারা মারপিট করে। পরিকল্পিতভাবেই এমপি ও তার ভাতিজা উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না হামলা করিয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার পায়ের রগ কেটে গেছে। তাদের প্রার্থীর নাম এককভাবে পাঠাতেই পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করেছে।’ 

তিনি জানান, তাদের হামলায় সাংগঠনিক সম্পাদক পাপুল সরকার, পৌর যুবলীগ সভাপতি রাজীব সরকার হিরো, কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দীন, বন ও পরিবেশ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন খান, আকতার মাস্টার, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সম্পাদক অধ্যক্ষ মিজান, মৃদুল সরকার, কাউছার, নাজমুল, হাবিবুর, শম্ভুনাথসহ অন্তত ১২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। 

এ নিয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সভার প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রশ্নে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত