Ajker Patrika

গোদাগাড়ীর মাসুদ হত্যায় চার চোর গ্রেপ্তার, তিনজনের স্বীকারোক্তি

রাজশাহী প্রতিনিধি
গোদাগাড়ীর মাসুদ হত্যায় চার চোর গ্রেপ্তার, তিনজনের স্বীকারোক্তি

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চাঁপাল গ্রামের মাছচাষি মাসুদ রানা (৩৯) হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজন হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাই পেশাদার চোর। 

গ্রেপ্তার চারজন হলেন-নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভোলার পালশা গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে আবদুল লতিব (৪০), নওগাঁ সদর উপজেলার ফারাদপুর গ্রামের মৃত মন্টু ওরফে বসির খাঁ’র ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫০), দক্ষিণপাড় নওগাঁ গ্রামের ফসির উদ্দিনের ছেলে আবদুল করিম ওরফে জনি (২৫) এবং আরজি নওগাঁ নাপিতপাড়া গ্রামের মৃত দুলালের ছেলে মো. শাহীন (৩৪)। 

নিহত মাসুদ রানা চাঁপাল গ্রামের খালেক সরকারের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদের ভাগনে এবং উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আলমগীর কবির স্বপনের ভাই। গত ২৯ আগস্ট দিবাগত রাতে লালাদীঘি গ্রামে পুকুরপাড়ের টংঘরে খুন হন মাসুদ রানা। 

মো. লিটন নামের আরেক ব্যক্তির সঙ্গে পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করতেন মাসুদ। ঘটনার রাতে মাছ ধরার কথা ছিল। তাই তাঁরা টংঘরেই ঘুমান। রাত ৩টার দিকে একদল চোর গিয়ে তাঁদের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলেন। এরপর তাঁরা পুকুরে জাল নামিয়ে মাছ ধরতে থাকেন। এরই মধ্যে মাসুদ ও লিটনের জেলেরা চলে এলে চোরেরা জাল ও মাছ ফেলেই পালিয়ে যায়। কিন্তু মুখ বাঁধার কারণে শ্বাসরোধ হয়ে মাসুদ রানা মারা যান। এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। 

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর তাঁরা এমন দলটিকে খুঁজছিলেন, যাঁরা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মাছ চুরি করে থাকেন। এভাবেই নওগাঁর এই দলটির সন্ধান মেলে। তারপর কয়েক দিন আগে গোদাগাড়ী থানা ও জেলা বিশেষ শাখার একটি দল অভিযান চালিয়ে প্রথমে রেজাউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে দু’দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

রিমান্ডের এই জিজ্ঞাসাবাদেই তিনি স্বীকার করেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে অন্য তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় নিহত মাসুদ রানার মোবাইল ফোনও। বৃহস্পতিবার বিকেলে চারজনকে আদালতে তোলা হয়। তখন রেজাউল, করিম ও শাহীন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান। 

আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিরা জানিয়েছেন, তাঁরা পেশাদার মাছ চোর। রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন পুকুরে মাছ চুরি করা তাঁদের পেশা। ছোট ট্রাক নিয়ে তাঁরা ঘুরে বেড়াতেন এবং সুবিধামতো স্থানে পুকুর থেকে মাছ চুরি করতেন। ঘটনার রাতে তারা নয়জন একটি মিনি ট্রাকে করে নওগাঁর ফারাদপুর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে গোদাগাড়ী আসেন মাছ চুরি করতে। 

এ সময় অপ্রত্যাশিতভাবে তাঁরা পুকুরের টংঘরে মাসুদ রানা ও লিটনকে পেয়ে তাঁদের বেঁধে ফেলেন। এতে মাসুদ রানা মারা যান। মাছ ধরা শেষ হওয়ার আগেই লোকজন চলে এলে তাঁরা পালিয়ে যান। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ব্যাংকে চোখ বেঁধে গ্রাহককে হাতুড়িপেটা, পায়ের নখ তোলার চেষ্টা

সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো আসছে, পে কমিশন গঠন

‘সোজা কথা, যারে ভালো লাগবে তারে কোপামু’

শুল্ক ছাড়া যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানির সুযোগ পেল ভারত

সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াতে পারে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—শক্তিতে কে বেশি এগিয়ে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত