Ajker Patrika

বান্ধবীকে আইফোন উপহার দিতে আত্মগোপনে থেকে ‘অপহরণ নাটক’

প্রতিনিধি, বগুড়া
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২১, ২১: ৩০
বান্ধবীকে আইফোন উপহার দিতে আত্মগোপনে থেকে ‘অপহরণ নাটক’

বান্ধবীকে আইফোন কিনে দিতে আত্মগোপনে থেকে অপহরণ নাটকের তিন দিন পর ধরা পড়েছেন রাকিবুল হাসান রিয়াদ নামে এক যুবক। এ সময় রাকিবুলকে সহযোগিতা করা মুন্না হাসান নামের এক বন্ধুকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

অপহরণ অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে দুপচাঁচিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে র‍্যাব। পরে র‍্যাব জানতে পারে তারা নিজেরাই অপহরণের এই নাটক সাজান। বগুড়া র‍্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (লেফটেন্যান্ট কমান্ডার) আব্দুল্লাহ আল মামুন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

রাকিবুল হাসান রিয়াদ সোনাতলা উপজেলার নামাজখালী গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম ওবায়দুল সরকার। তাঁর বন্ধু মুন্না হাসান জয়পুরহাট কালাই উপজেলার মোলামগাড়ী গ্রামের মইফুল আকন্দের ছেলে। 

র‍্যাব জানায়, রিয়াদ তাঁর এক বান্ধবীকে আইফোন কিনে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর কাছে কোনো টাকা ছিল না। বাবা-মায়ের কাছ থেকে টাকা নিতে রিয়াদ তাঁর বন্ধু মুন্নাকে নিয়ে অপহরণ নাটকের পরিকল্পনা করেন। তাঁদের পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে বের হন রিয়াদ। এর কিছুক্ষণ পর থেকেই তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ করে রাখেন তিনি। রাতে বাড়ি না ফেরায় তাঁর বাবা-মা চিন্তিত হয়ে পড়েন। এদিকে রিয়াদকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। পরে গত ২৫ জুলাই তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সোনাতলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। 

র‍্যাব আরও জানায়, গত ২৬ জুলাই সকালে রিয়াদের নম্বর থেকে তাঁর বাবার কাছে ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, `তোর ছেলে রিয়াদকে জীবিত উদ্ধার করতে হলে জরুরিভাবে এক লাখ টাকা রেডি করে জানা।' এ ফোনের পর পরই রিয়াদের বাবা বুঝতে পারেন তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। ছেলে অপহরণ হয়েছে ভেবে তাঁকে উদ্ধারের জন্য র‍্যাব ক্যাম্পে এসে সহযোগিতা চান তাঁর (রিয়াদ) বাবা। 

র‍্যাব কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রিয়াদ ও মুন্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, রিয়াদ তাঁর বাবার কাছ থেকে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ নেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই অপহরণ নাটক সাজান। এই টাকা দিয়ে রিয়াদ তার এক বান্ধবীকে আইফোন উপহার দিতে চেয়েছিলেন। এ কারণে পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই বন্ধুর এই নাটক। দুজনই তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করতেন ও বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করতেন। 

তিনি আরও বলেন, রিয়াদ ও তার বন্ধু মুন্নাকে নিজ নিজ অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তাঁরা জড়াবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত